ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১৯ মে, ২০১৯

ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য পীযূষ বন্দোপাধ্যায় আইন ও সংবিধান লংঘন করেছেন : জামায়াত

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠনের প্রধান পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় “দাঁড়ি, টুপি এবং টাখনুর ওপর কাপড় পরা জঙ্গিবাদের লক্ষণ” মর্মে ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে যে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
এ ব্যাপারে দলটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, “সম্প্রীতি বাংলাদেশ নামক একটি সংগঠনের প্রধান পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘দাঁড়ি, টুপি এবং টাখনুর ওপর কাপড় পরা জঙ্গিবাদের লক্ষণ’ মর্মে ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করে দেশের আইন ও সংবিধান লংঘন করেছেন। আমি তার এ ধরনের গর্হিত আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, ইসলামী বিধি-বিধান সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার কোনো এখতিয়ার তার নেই। দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় অধিকারের উপর আঘাত দিয়ে ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি দেশে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করেছেন। তার মন্তব্য থেকেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, তিনি একজন চরম সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি। তার এ ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আমি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ইসলাম বিদ্বেষী বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্য আমি পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। অন্যথায় তাকে গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
৪৫ নারীকে গ্রেফতারের নিন্দা 
এদিকে মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাট বোয়ালিয়া গ্রামের একটি বাড়িতে আয়োজিত ইফতার মাহফিল থেকে বাড়ির মালিকসহ ৪৫ নারীকে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর এবং সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার মাধ্যমে সরকার তাদের ধর্মীয় অধিকারে হস্তক্ষেপ করেছে।

তিনি বলেন, রমযানে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে। এ অধিকারে বাধা দিয়ে নারীদের গ্রেফতার করে সরকার দেশের সংবিধান ও আইন লংঘন করেছে। দেশের মানুষের ধর্মীয় অধিকার সংরক্ষণ করা সরকারের দায়িত্ব। সে দায়িত্ব পালন না করে সরকার সংবিধান লংঘন করেছে।
সরকারের এহেন অন্যায় আচরণের প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। দেশের আইন ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাট বোয়ালিয়া গ্রাম থেকে গ্রেফতারকৃত সবাইকে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

বুধবার, ১ মে, ২০১৯

চট্টগ্রামে ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত। শোষণ,ক্ষুধা,দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত একটি ইনসাফপুর্ণ সমাজ গড়তে হবে। ...........শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চ,মহানগরী।

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী আয়োজিত সমাবেশে বক্তারা বলেন ১লা মে নির্যাতিত নিপীড়িত শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায় ও স্বীকৃতি পাওয়ার দিন। বিশ্বব্যাপী এ দিবস শ্রম জাগরণের দিবস। পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র,ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ ও জাতীয়তাবাদ যুগের পর যুগ ধরে শ্রমিক অধিকারের পক্ষে মন ভুলানো চটকদার কথা বললেও শ্রমিকদের কল্যাণে ভুমিকা রাখেনি, বরং শ্রমিকদের স্বার্থ খর্ব করেছে। আদর্শহীন রাজনীতি শ্রমিকদের কল্যানের পরিবর্তে বঞ্চনা করেছেই বেশী। এসব রাজনৈতিক নেতারা শ্রমিকের বন্ধু সেজে মুলত শ্রমিকদেরকে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হিসাবে ব্যাবহার করেছে।
বক্তারা বলেন শ্রমিকদের মুক্তির পথ কেবলমাত্র একটি তা হলো ইসলামী শ্রমনীতি। ইসলামী শ্রমনীতিই শ্রমিকদের মুক্তির একমাত্র সনদ। ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠিত হলে শোষন, ক্ষুধা,দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত একটি ইনসাফপুর্ণ সমাজ গড়া সম্ভব। বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করছে। সমাবেশে বক্তারা পবিত্র মাহে রমযানে হোটেল শ্রমিক ছাঁটাই ও নির্যাতন বন্ধ,সর্বস্তরের শ্রমিকদের ১৫ রমযানের পুর্বেই বেতন বোনাস প্রদান করার দাবী জানান।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যান ফেডারেশন চট্টগ্রাম মহানগরী উদ্যোগে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগরী সভাপতি বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবু তাহের খান। কেন্দ্রীয় সহকারী সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগরী সাধারণ সম্পাদক এস,এম,লুৎফর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মহানগরী সহ-সভাপতি ডা: আব্দুল ওয়াছি, বন্দর শ্রমিক নেতা কাজী জাহাঙ্গীর হোসাইন, পতেঙ্গা থানা সভাপতি এনামুল কবির,সদর অঞ্চল সভাপতি মকবুল আহমদ, ডক শ্রমিক নেতা আবু তালেব চৌধুরী, বাকলিয়া থানা সভাপতি আসাদুল্লাহ আদিল, বায়েজিদ থানা সভাপতি মো: জাহাঙ্গীর আলম, চকবাজার থানা সভাপতি আবদুল আজিজ শোয়াইব, নির্মান শ্রমিক নেতা মো: ইব্রাহিম, হোটেল শ্রমিক নেতা মো: নুরুন্নবী, সদরঘাট থানা সভাপতি রফিকুল আলম, ইপিজেড থানা সভাপতি আবুল কাশেম আযাদ, পাহাড়তলী থানা সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ, রিকসা শ্রমিক নেতা মো: আলমগীর, শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে এক বিশাল মিছিল নগরীর বড়পুল থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিন করে।