ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২০

ইফতারের সুন্নতি পদ্ধতি এবং এ সংক্রান্ত ১০টি নির্দেশনা:



বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সারাদিন রোজা থাকার পরে ইফতার করা মুমিনদের জন্য একটি বিরাট আনন্দের বিষয় তো বটেই বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতও। কিন্তু অনেক মুসলিম ইফতারের সঠিক নিয়ম-পদ্ধতি না জানার কারণে বিভিন্ন ধরণের সুন্নত পরিপন্থী কার্যক্রম করে থাকে।

তাই নিম্নে ইফতারের সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতি এবং এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হলো:

◈ ১) সূর্য ডোবার সাথে সাথে ইফতার করা। ইচ্ছাকৃত ভাবে বিলম্ব না করা।

কিছু মানুষ সূর্য ডোবার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পরও অতিরিক্ত সতর্কতার জন্য ৪/৫ মিনিট বিলম্ব করে। কিছু মানুষ আজান শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করে। নি:সন্দেহে এগুলো সুন্নত পরিপন্থী ও দীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি।

◈ ২) ইফতারের পূর্বে আল্লাহর কাছে দুআ করা। সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে যে, রোজা অবস্থায় দুআ কবুল হয়। তাছাড়াও সহিহ হাদিসে ইফতারের আগে দুআ কবুলে বিষয়টিও প্রমাণিত। সে সময় মানুষ এক দিকে রোজা অবস্থায় থাকে অন্য দিকে রোজার কারণে ক্ষুধার্ত, তৃষ্ণার্ত ও ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। তাই এ অবস্থায় দুআ কবুলের অধিক আশা করা যায়। তবে প্রত্যেক রোজাদার নিজে নিজে দুআ করবে। এ ক্ষেত্রে সম্মিলিতভাবে দুআ করা বিদআত।

◈ ৩) আধা পাকা নরম খেজুর দ্বারা ইফতার করা। তা সম্ভব না হলে শুকনা খেজুর। তাও সম্ভব না হলে পানি দ্বারা ইফতার। এ তিনটির কোনটি না পেলে অন্য যে কোন হালাল খাদ্য-পানীয় দ্বারা ইফতার করা।

উল্লেখ্য যে, বাঙ্গালীর ইফতারে বুট-মুড়ি না থাকলেই নয়। এ ক্ষেত্রে অনেকে মুড়ির সাথে কাঁচা পিয়াজ মেশান। কিন্তু হাদিসে কাঁচা পেঁয়াজের দুর্গন্ধ সহকারে মসজিদে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তাই হয় কাঁচা পেয়াজ খাওয়া বাদ দিতে হবে অথবা আগুনে সিদ্ধ করে তার দুর্গন্ধ দূর করতে হবে অথবা সালাতে যাওয়ার পূর্বে ভালভাবে ব্রাশ করে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।

◈ ৪) ইফতারের শুরুতে ‘বিসমিল্লাহ’ (আল্লাহর নামে শুরু করছি) পাঠ করা (পরিপূর্ণ ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম’ নয়)।

উল্লেখ্য যে, আমাদের সমাজে ইফতারের জন্য বিশেষ একটি দুআ প্রচলিত রয়েছে। তাহলো, “আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিযক্বিকা আফত্বারতু”। অর্থ- হে আল্লাহ্, আমি আপনার জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনার দেয়া রিজিক দিয়ে ইফতার করছি।) কিন্তু এ হাদিসটি সনদ গতভাবে জঈফ (দুর্বল)[(দ্র: জঈফ আবু দাউদ, হা/২৩৫৮]। তাই তা না পড়াই ভালো। বরং অন্যান্য খাবার গ্রহণের সময় ‘বিসমিল্লাহ’ পাঠ করা বিশুদ্ধ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। তাই এখানেও তাই যথেষ্ট। তবে কেউ উক্ত দুআ পাঠ করলে তাকে বিদআত বলা ঠিক নয়।

◈ ৫) ইফতারের সময় সাধারণত মাগরিবের আজান হয়। তাই খাওয়া-দাওয়া চলাকালীন সময়েও আজানের জবাব দেয়া ও আজানের পরের দরুদ ও দুআ পড়া।

◈ ৬) ইফতারের সময় বা ইফতার শেষে “যাহাবায যামাউ, ওয়াব তাল্লাতিল উরূক্বু ও ছাবাতাল আজরু ইনশাআল্লাহ্‌।” (অর্থ: তৃষ্ণা দূর হয়ে গেল, শিরা-উপশিরা সিক্ত হল এবং ইনশাআল্লাহ্‌, সওয়াব সাব্যস্ত হল)” [শাইখ আলবানী সহিহ আবু দাউদ গ্রন্থে হাদিসটিকে হাসান আখ্যায়িত করেছেন]। (আল্লামা উসাইয়মীন রহ. এ দুআটি ইফতারের পরে পড়ার কথা বলেছেন)

◈ ৭) পেট পুরে কিংবা মাত্রাতিরিক্ত না খাওয়া। হাদিসে পেট ভরে খাওয়াকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সুতরাং সেহরি, ইফতার বা অন্য কখনোই পেট ভরে বা মাত্রাতিরিক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ নয়। এটাই আধুনিক স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্যনীতি।

◈ ৮) পানাহারে অপচয় রোধ করা জরুরি। কিছু মানুষ ইফতারে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাদ্য ও পানীয়ের পসরা সাজায়। কিন্তু সামান্য কিছু খেয়ে বাকি খাবার ডাস্টবিনে নিক্ষেপ করে। এটি নি:সন্দেহে নিন্দনীয় ও গর্হিত কাজ।

◈ ৯) অন্য রোজাদারকে ইফতারি করানো। এতে উক্ত রোজাদারের সমপরিমাণ সওয়াব হবে। অর্থাৎ এক সাথে দুটি রোজার সওয়াব পেতে চাইলে আরেকজন রোজাদারকে ইফতার করান। এভাবে যত বেশি রোজদারকে ইফতার করানো হবে ততটি সওয়াব আপনার আমলনামায় লেখা হবে। কিন্তু যারা ইফতার করবে তাদের সওয়াব হ্রাস করা হবে না।

◈ ১০) প্রতিবেশী ও গরিব-অসহায় মানুষের বাড়িতে ইফতার পাঠানো।
প্রতিবেশীর বাড়িতে ইফতার পাঠালে পারস্পারিক ভালবাসা ও সুসম্পর্ক বৃদ্ধি পায়। আর গরীব-অসহায় মানুষের বাড়িতে ইফতার পাঠানোর মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটানো হয়। যা অত্যন্ত সওয়াবের কাজ।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সুন্নাহ মোতাবেক রোজা পালনের তওফিক দান করুন। আমীন।
▬▬▬▬ ◐◑ ▬▬▬▬
লেখক:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (আল হাদীস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব

শুক্রবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২০

আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবী জানিয়ে ৯টি ছাত্রসংগঠনের যৌথ বিবৃতি


বিশ্ববরেণ্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির দাবি জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে ইসলামী ও সমমনা ৯টি ছাত্রসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রনেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী একটি অবিসংবাদিত নাম। সুদীর্ঘ ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি দেশে বিদেশে কুরআনের তাফসির করেছেন। তিনি দুইবার নিজ এলাকা থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেছেন। বহু মানুষ তাঁর তাফসির শুনে ইসলামী জীবন-যাপনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে। দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ তাঁকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। তাঁর মুখে কুরআনের কথা শুনে মানুষ আল্লাহর পথে চলার প্রেরণা পেয়েছে, লাখো তরুণ আলোর দিশা পেয়েছে। এদেশের সাধারণ তরুণ ছাত্রসমাজকে মাদক, ধর্ষণ, সন্ত্রাস ও অনৈতিক সমস্ত কর্মকা- থেকে বিরত থেকে জাতির কাক্সিক্ষত নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে আল্লামা সাঈদীর তাফসির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তিনি আজ ১০ বছর যাবত কারাগারে বন্দি রয়েছেন। বর্তমানে তার বয়স ৮১ বছর। তাঁর হার্টে ৫টি রিং বসানো এবং তিনি ডায়াবেটিসসহ বাধ্যর্ক্যজনিত নানান জটিল রোগে আক্রান্ত।
বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমণে মানুষের মাঝে চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে মানুষ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। ইতোমধ্যে দেশের হাজার হাজার আলেম, আইনজীবী, ডাক্তার, শিক্ষক, প্রকৌশলী, ব্যবসায়ী, পেশাজীবী, শ্রমজীবীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ এবং বিশিষ্ট্য ব্যক্তিরা আল্লামা সাঈদীর ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে তাঁর মুক্তির দাবী জানিয়েছেন। দল-মত নির্বিশেষে সবাই আল্লামা সাঈদীর মুক্তি চায়। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক দেশ কারাবন্দিদের মুক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ধর্মীয়, মানবিক ও বয়সের বিবেচনায় আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। আমরা আশা করি সরকার আপামর জনগণের চাওয়াকে মূল্যায়ন করে যত দ্রুত সম্ভব আল্লামা সাঈদীর মুক্তির ব্যবস্থা করবেন।
বিবৃতি প্রদানকারী ছাত্রনেতৃবৃন্দ হচ্ছেন- বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশের কেন্দ্রীয় সভাপতি মনসুরুল আলম মনসুর, জাতীয় ছাত্র সমাজের (কাজী জাফর) সভাপতি কাজী ফয়েজ আহমেদ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি তোফায়েল গাজালি, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রুবেল, ছাত্রকল্যাণ পার্টির সভাপতি শেখ তামিম, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি সৈয়দ মো: মহসিন, বাংলাদেশ ছাত্রমিশনের সভাপতি সৈয়দ মো: মিলন এবং জাতীয় ছাত্র পার্টির সভাপতি সোহেল রানা।

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

আমরা শোকাহত


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ শহীদ ডা. মঈন উদ্দীনকে নিয়ে কিছু কথা জানতে পারলাম। আমরা ছোটবেলায় আমার জীবনের লক্ষ্য রচনায় যেমন ডাক্তার হবার কথা লিখতাম, এই লোকটা ছিলেন তেমন একজন ডাক্তার। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিনা পয়সায় গরীব রোগী দেখতেন, এমনকি নিজের প্রাইভেট চেম্বারেও বিনা পয়সায় গরীব রোগী দেখতেন, সুযোগ পেলে তাদের রেফার করে দিতেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে, যাতে রোগীরা কম খরচে চিকিৎসাটা পেতে পারে। এর মানে, ডা. মঈন উদ্দীন সেই সমস্ত গুটিকয়েক চিকিৎসকদের একজন, যিনি এই দেশের রোগীদের প্রধান সমস্যাটা বুঝতেন, টাকার অভাব। শুধু বুঝতেনই না, নিজের ক্ষমতায় থাকা সবকিছু তিনি করতেন মানুষকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য।

এই মানুষটি নাকি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিবিরের সভাপতি ছিলেন এককালে। এই কারনেই কি তবে তাকে আইসিইউ বা এয়ার এম্বুলেন্স দিতে এমন নীচতার পরিচয় দিল প্রশাসন??
আমার জানামতে, বাংলাদেশে হাজার হাজার মেডিক্যাল ছাত্র এবং ডাক্তার কোন না কোনসময় জামায়াত/শিবির করেছেন বা করেন। আচ্ছা, তারা আওয়ামী লীগের রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সময় ওষুধের বদলে বিষ দিয়ে দেন?? দিলে মানুষ বাচতো??

তাহলে কেন আপনারা এভাবে এই মানুষটাকে মারলেন??

সন্ধ্যা থেকে দেখছি অনলাইনে শহীদ ডাঃ মঈনের রাজনৈতিক অতীত নিয়ে কথা উঠছে। তিনি শিবির করতেন এটা নিয়ে আওয়ামীরা খোচা দেয়ার চেষ্টা করছে। এরা বোঝাতে চেষ্টা করছে, যেহেতু লোকটা এককালে শিবির করতো, তাই তিনি একটা নেগলিজিবল ক্যাজুয়ালটি। তার জীবন ও সম্পদ মূল্যহীন।

এই দাবির সাথে একমত হতে গিয়েই আজকে বাংলাদেশের মানুষ একদল দুর্বৃত্তের হাতে তাদের সর্বস্ব তুলে দিয়ে দেউলিয়া সেজেছে।

যারা চলমান দুর্বৃত্তের শাসন থেকে কোন একদিন বাংলাদেশের মুক্তি কামনা করেন, তাদের এই মুহুর্তের রাজনৈতিক ওয়াজিব হল যারা ডাঃ মঈন শিবির করতেন বলে তার মৃত্যুকে জায়েয করার চেষ্টা করছে তাদের মুখের ওপর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া, হ্যা, শিবির করতেন, তো??

কাউকে তার শিবির পরিচয় দিয়ে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার নোংরা রাজনীতি অনেক দেখেছি। ক্যাম্পাসে হলের এক বেডে ডাবলিং করে থাকা একই ডিপার্টমেন্টের দুই ব্যাচমেটের একজন আরেকজনকে শিবির সাজিয়েছে কেবল রাতে একা ঘুমানোর জন্য, এমন দৃশ্যও দেখেছি চোখের সামনে। এই শিবির পরিচয়কে হত্যার লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার করেই গত বছর খুন করা হয় আবরার ফাহাদকে।

২০১৮ সালের এই সময়ে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের মতিয়া চৌধুরী রাজাকারের বাচ্চা বলেছিলেন, ঐদিন রাতে লিখেছিলাম আজ থেকে বাংলাদেশে রাজাকার ও শিবির গালি হিসেবে অচল হয়ে গেল।

Yes, the age of dehumanising your political opponent by labelling them as Jamaat-Shibir to legitimise your immoral brutality against them is over!!

আমরা, যারা ইনসাফের জন্য লড়াইয়ের দম ফুসফুসে ধারন করে এখনো জালিমের সামনে হক্ব কথা বলি, আমরা এখন আর এই জামাত শিবির ট্যাগকে গুনি না।

Yes, we dare to say that being Shibir is nothing wrong if the person is honest and serves people of Bangladesh!!

ডা. মঈনের মত লোক যদি শিবির হয়ে থাকে, তবে সারা বাংলাদেশ শিবির হয়ে গেলে ক্ষতি কি?? আপনাদের মত চালচোর-ডালচোর তো আর হচ্ছে না।
.
লিখেছেন : মুহাম্মদ সজল

বুধবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২০

অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মঈন উদ্দিনের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৫ এপ্রিল এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, “ডা. মঈন উদ্দিন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম করোনা যোদ্ধা যিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে নিজেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জীবন দিলেন।
তিনি গত ৫ এপ্রিল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সিলেটের একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি হন। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে ঢাকায় নিয়ে আসার চেষ্টা করলেও যথাসময়ে এ্যাম্বুলেন্স পাওয়া যায়নি এবং সরকারের পক্ষ থেকে এয়ার এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়নি।
তিনি সিলেটের একজন জনপ্রিয় ডাক্তার ছিলেন যাকে সবাই মানবিক ডাক্তার বলে আখ্যায়িত করে থাকেন। মানবতার সেবায় তিনি সদা তৎপর ছিলেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সেবা দিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার মাধ্যমে তিনি একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। বাংলাদেশের চিকিৎসা সেবার ইতিহাসে তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। জাতি তাকে করোনা যোদ্ধা হিসেবে স্মরণ করবে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করার কারণে তাকে জাতীয় বীর ঘোষণা করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। তার অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানো রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি। আমি মহান আল্লাহর নিকট আন্তরিকভাবে দোয়া করছি তিনি যেন তাকে শহীদ হিসেবে কবুল করেন। তার জীবনের সকল নেক আমল কবুল করেন।
আমি তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।
অপর এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট চিকিৎসক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ডা: সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের বলেন, ডা: মঈন উদ্দিন বাংলাদেশের প্রথম চিকিৎসক যিনি করোনা আক্রান্ত রোগীর সেবা দিতে গিয়ে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাকে করোনা যোদ্ধা হিসেবে জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
ডা: মঈন চিকিৎসা সেবায় নিজের জীবন দিয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন তা এ পেশায় নিয়োজিত চিকিৎসকদের যুগ যুগ ধরে অনুপ্রেরণা যোগাবে। তার পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব নেয়ার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। আল্লাহ তাকে শাহাদাতের মর্যাদা দান করুন।”

হযরত আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন, ‘যখন আমার উম্মত ১০টা কাজ করবে, তখন তাদের ওপর বিপদ নেমে আসবে।

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ রাসূল (সা.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, কি সেই দশটি কাজ? যা করলে বিপদ হবে?

তিনি বললেন,
(১) যখন রাস্ট্রীয় সম্পদকে ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করা হবে।
(২) যখন আমানত হিসেবে রক্ষিত সম্পদকে লুটের মাল হিসাবে গ্রহণ করা হবে।
(৩) যাকাতকে জরিমানার মত মনে করা হবে।
(৪) স্বামী যখন স্ত্রীর আনুগত্য করবে এবং মায়ের অবাধ্য হবে।
(৫) বন্ধুর প্রতি সদাচারী ও পিতার সঙ্গে দুর্ব্যবহারকারী হবে।
(৬) মসজিদে হৈ চৈ হবে।
(৭) জনগণের নেতা হবে সেই ব্যক্তি যে তাদের মধ্যেকার সবচেয়ে নিকৃষ্ট চরিত্রের অধিকারী।
(৮) মানুষকে তার ক্ষতির আশংকায় সম্মান করা হবে।
(৯) গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রের হিড়িক পড়ে যাবে।
(১০) উম্মতের পরবর্তীরা পূর্ববর্তীদেরকে অভিশাপ দেবে।
- তখন আগুনের বাতাস আসবে, মাটির ধস ও দেহের বিকৃতি ঘটবে।’

সহীহ তিরমিযী, আততারগীব ওয়াত তারহীব: ৩য় খন্ড: ১৫৪১।

শনিবার, ১১ এপ্রিল, ২০২০

‘কোয়ারানটাইন’ ধারণা চালু করেছিলেন ইবনে সিনা


ইরানে জন্মগ্রহণকারী ইবনে সিনা ছিলেন মুসলিম দুনিয়া তথা বিশ্বের একজন অগ্রণী বিজ্ঞানী, গবেষক ও দার্শনিক। তাঁর পুরো নাম আবু আলি আল হুসেইন ইবনে আবদুল্লাহ্ ইবন-সিনা। অবশ্য পাশ্চাত্যে তিনি পরিচিত আভিসিন্নাহ নামে। তার ছিল বিভিন্ন বিষয়ে বিরল প্রতিভা। এককথায় ‘পলিম্যাথ’ বা বহুবিদ্যাধর। ইবনে সিনা ছিলেন একাধারে চিকিৎসাবিজ্ঞানী, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, দার্শনিক। বিভিন্ন বিষয়ে তিনি ৪৫০টি গবেষণা গ্রন্থ লিখেছিলেন। তার মধ্যে এখনও ২৪০টি গ্রন্থ পাওয়া যায়।
ইবনে সিনাকে দুনিয়ার আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানের জনকও বলা হয়। তার সময়কাল ছিল ৯৮০-১০৩৭ খ্রিস্টা·। যাঁদের প্রতিভার আলোকে বিজ্ঞান ও গবেষণায় ইসলামি সোনালী যুগ উদ্ভাসিত হয়েছিল, তার মধ্যে ইবনে সিনা ছিলেন অগ্রগণ্য। চিকিৎসাবিজ্ঞানে তাঁর লেখা ৪০টি কিতাব রয়েছে। এগুলোর মধ্যে বিশেষভাবে খ্যাত হল ‘দ্য বুক অফ হিলিং’ (আরোগ্য পুস্তক) ও ‘দ্য ক্যানন অফ মেডিসিন’ (চিকিৎসাশাস্ত্র)।
ইবনে সিনা ধারণা করেছিলেন, কিছু রোগ নিশ্চিতভাবে মাইক্রোঅর্গানিজম দ্বারাই ছড়ায়। তাই মানুষ থেকে মানুষে রোগ সংক্রমণ প্রতিহত করতে তিনি যে ব্যবস্থাপত্রের কথা বলেছিলেন তা হচ্ছে, সংক্রমিত বা সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিকে ৪০ দিন ধরে একেবারে আলাদা করে আইসোলেশনে অর্থাৎ নির্জনে রাখতে হবে। আর এর দ্বারাই সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। তার এই ব্যবস্থাপত্রকে আরবিতে বলা হয়, ‘আল আরবা’ইনিয়া’ (অর্থাৎ ৪০ দিন)।
ভেনিসের ব্যবসায়ীরা রোগ সংক্রমণ প্রতিরোধের এই সফল পদ্ধতির কথা শুনেছিলেন এবং তারা অর্জিত এই জ্ঞানকে বর্তমানের ইতালি ভূ-খণ্ডে নিয়ে যান। তারা আরবি থেকে অনুবাদ করে ইতালিতে এই পদ্ধতিটির নামকরণ করেন ‘কোয়ারানটেনা’ (অর্থাৎ ইতালি ভাষায় ৪০ দিন)। আর এ থেকেই ইংরেজি ‘কোয়ারানটাইন’ শব্দটির উদ্ভব।
আধুনিক পৃথিবীতে এই যে প্রণালীটি ‘বৈশ্বিক-মহামারি’ রুখতে ব্যবহার করা হচ্ছে, তার শিকড় রয়েছে ইসলামি দুনিয়ায়। এ ছাড়া মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. তাঁর জীবিতকালেই নির্দেশ দিয়ে গেছিলেন যে, ‘যদি কেউ কোনো মহামারি আক্রান্ত এলাকায় অবস্থান করে, তবে মহামারি চলাকালীন তার ওই স্থান ত্যাগ করে অন্যত্র আসা উচিত নয়। অন্যদিকে, মহামারি আক্রান্ত নয়, এমন স্থান থেকে কোনো সুস্থ ব্যক্তির মহামারিগ্রস্ত এলাকায় যাওয়া সমীচিন নয়।’
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ্ বলেছেন, ‘যদি কেউ কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করে, তাহলে তা সমগ্র মানবতাকে রক্ষা করার সমান।’ আজকের দিনেও ইবনে সিনার পদ্ধতিটি লাখ লাখ মানুষের জীবন রক্ষা করছে। ইবনে সিনার এই প্রণালীটি মাশাআল্লাহ্ বিশেষ বরকতময়। আজকের করোনার সময়েও পৃথিবীর নানা দেশের চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতিটিকেই খুব কঠোরভাবে অনুসরণ করার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তথ্য সম্পাদনা : আহমদ হাসান ইমরান
সূত্র : পূবের কলম
নয়া দিগন্ত অনলাইন ০৮ এপ্রিল ২০২০

শুক্রবার, ১০ এপ্রিল, ২০২০

ছোট একটা শিরোনামহীন আর্জি

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সরকার বলে তোমার চাকরি নেই।ইসলামি ব্যাংক বলে তোমার চাকরি নেই।এনজিও বলে তোমার চাকরি নেই।আদর্শিক কোচিং সেন্টার বলে আপনি ক্লাস নিতে পারবেন না(আপনি কালার)।নিজেদের কলেজে শিক্ষকতা করি সেখানে আমার কারনে সবাই গ্রেপ্তার।প্রশাসন বলে তোমার নামে ওয়ারেন্ট ও পি এন্ড আছে!!পুলিশ এসে ঘরের মালামাল নিয়ে গেল(ফ্রিজ,সোফাসেট,ডাইনিং টেবিল, টেলিভিন, বৈদ্যুতিক পাকা, টি টেবিল এমন কি হাঁড়িপাতিল) ।ডাকাত এসে ঘর ডাকাতী করে সব লন্ডভন্ড করে দেয়।পুলিশ বারবার বাসায় এসে সবাইকে গ্রেপ্তার করে।অনেক আপনজন ইন্তেকাল করলো জানাজায় যেতে দেয়নি স্থানীয় কিছু মানুষরুপী জানোয়ার।আওয়ামীলীগ বলে তুমি ব্যবসা করতে পারবেনা।চকবাজার দাড়িয়েছি ছাত্রলীগ ডেকে বলে এখানে দাড়ালে শিরদাঁড়া ভেঙে দিবে।পরিবার বলে তুই একটা বোকা, কি করলি সারা জীবন??আর কতদিন জ্বলবেো তুর কারণে??
অর্থনীতি বিষয় নিয়ে অনার্স, মাস্টার্স করেছি রেজাল্টও ভাল।সাথে আরও কিছু ডিগ্রিও আছে ঝুলিতে।
#৫বছরের_কলেজ_শিক্ষকতার_অভিজ্ঞতা_আছে।এনজিও তে চাকরি করতাম ফৌজদারি অপরাধের মামলা থাকায় চাকরি চলে গেল।
একটা গ্রুপ অব কোম্পানীতে চাকরি করেছি দুই মাস ২০ দিন, তাও চলে গেল একই অপরাধে।গ্রামের বাড়ীতে পাহাড়ে কিছু গাছের বাগান ছিল তাও জবরদখল হলো।
তারপরও বেকারত্বের খাতায় নাম উঠে যাচ্ছে বলে হালাল যত কাজ পেয়েছি সব করেছি(ডাইয়িং ফ্যাক্টরি, প্যাকেজিং সাপ্লাই, গার্মেন্টস পলি সাপ্লাই,গার্মেন্টস এক্সেসরিজ সাপ্লাই,স্টক লটের ব্যবসা, কেক বোর্ড সাপ্লাই, দোকান- জায়গার মিডিয়া,প্রিন্টিং প্রেস সহ আরও কত কি!!!।)

(বন্ধুদের মধ্যে কেউ পুলিশ ক্যাডার,কেউ ডাক্তার,কেউ কাস্টমস ক্যাডার, কেউ প্রশাসনিক ক্যাডার,কেউ মাল্টিন্যশনাল কোম্পানির কর্মকর্তা,কেউ ব্যাংকার, কেউ আবার আইনজীবি কেউবা আবার শিক্ষক।)
এমতবস্থায় ধারদেনা করে, ব্যাংক লোন দিয়ে পুঁজি জোগাড় করে কিছু কষ্টকর হালাল পন্যের ব্যবসা শুরু করলাম। নিতান্তই হালাল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য।
আমার সে ব্যবসার পন্যগুলো যারা বাড়ী তৈরি করেন,কিংবা নির্মান প্রতিষ্ঠান আছে তাদের সবার দরকার।অর্থাৎ নির্মান সামগ্রী।
তাই সাহস নিয়ে
কিছু আদর্শিক প্রিয় ভাইদের কাছে গেলাম।যেসব ভাইয়েরা শহরে বাড়ী করছেন।তাদের কাজের জন্য আমার সেসব পন্যগুলো দরকার।যা অন্য দশজন বিক্রেতার মত আমিও বিক্রি করি।।যে সকল প্রিয় আদর্শিক ভাইয়েরা অন্যের কাছে কিনছে সেই সব ভাইদের কাছে গিয়ে বললাম,
প্রিয় ভাই
আপনি অন্যদের কাছ থেকে আপনার দরকারী যে সকল পন্য নিচ্ছেন একই পন্য আমার কাছ থেকে নিবেন দামে কম রাখবো,মানে ঠিক রাখবো,ওজনেও ঠিক রাখবো ।আমার ক্রয়মূল্য দেখে আপনি মূল্য দিবেন।আমি কোন চুরি করবোনা(প্রশ্ন-ই আসে না)।
যা আপনার দরকার তাই নিবেন।
তখন সেই প্রিয় আদর্শিক ভাইদের কি ভাব!??আমি যেন তার কাছে ভিক্ষা করতে গেছি এমন একটা মুড।কথা বলার সময় এমন আচরণ প্রকাশ করেন যেন, তিনি আমার কাছে কয়টা পন্য কিনে আমাকে অনেক বড় করুণা করতে যাচ্ছেন!!প্রিয় ভাইদের কাছে আমার চেয়ে অন্য বিক্রেতা ভালো((কারন সে রিসিভার ও ক্রয়ে নিয়োজিত ব্যক্তিকে কমিশন দেয়))সে বিক্রেতার আদর্শ যাই হোক! #ওহ_ভাই_ইহুদিদের_ইতিহাস_পড়বেন (যদি না পড়ে থাকেন) তারা তাদের জাতীকে প্রতিষ্ঠিত করতে কত বেশি আন্তরিক!?কত বেশি সেক্রিফাইজ করে?।আরে ভাই আমাকে কোন সেক্রিফাইজ করার দরকার নেই।মান,দাম ওজন দেখে নিবেন।। অন্যদের চেয়ে কমদামে,একই পন্য সঠিক মাপে নেন। ((#অন্য_আদর্শের_লোক_চুরি_করছেন_মাপে_কম_দিচ্ছেন তাও আপনি সাহস করে বলতে পারবেন না, তখন উল্টা আপনার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে সেই দ্বীনি ভাইয়েরা))।আমরা তো ভাই হুমকি দিব না কারন আখিরাতকে দারুন ভাবে বিশ্বাস করি।কিন্তু আপনি যখন নিজেকে শতভাগ সৎ হিসেবে জাহির করেন তখনই বিপত্তি!!সৎ অসৎ এসব বিষয় পড়ে চেটে-পুটে খেয়েছি।নিজে সৎ হই আল্লাহর ভয়ে।আপনি চটাং চটাং করবেন না।!কয়টা পয়সা ইনকাম করছেন এটা আল্লাহর দয়া বৈ আর কিছুই নয়!!।আরে মিয়া আপনি যে আন্দোলনের কর্মী দাবি করেন,আমরাও সেই একই আন্দোলনের কর্মী।।আজকে আপনি আল্লাহর দয়ায় একটা চাকরি পেয়েছেন বা ব্যবসার সুযোগ পেয়েছেন।ব্যক্তিগত গাড়ি বা কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার করছেন। নিজের নামে বাড়ী করছেন! খবর রাখেন নাকি??আমরা বছরের পর বছর জন্মদাতা বাবার কবরটাও জেয়ারত করতে পারছিনা।মায়ের ঔষধের টাকা দিতে পারছিনা।আপনি অনেক পেয়েছেন, আমরা রাস্তায় লড়াই করছি দু মুঠো হালাল রুজির জন্য, মনে রাখবেন দু অবস্থা'ই আল্লাহর পরীক্ষা।সুতরাং দাম্ভিক হবেন না।কয়টা পয়সা জীবনের সব কিছু নয়।আল্লাহ ফকির কে রাজা আর রাজাকে ফকির বানান নিমিষেই।রিজিক কিন্তু আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে।।ভুলে যাবেন না আপনি নিজেকে যতই সৎ বলে মুখে ফেনা তুলেন না কেন, যে প্রক্রিয়ায় চলছেন তা যদি বিবেক ও শরীয়তের মানদন্ডে যাচাই করেন তবে হয়ত বের হবে নিজের অজান্তে বা কৌশলে অনেক অসৎ ও অসুন্দর্য্যকে আপনি অত্যান্ত নোংরা ভাবে নিজে লালন করছেন। সুতরাং কাউকে কথা বলার সময় আল্লাহর শক্তি ও নিজের অতীতের দিকে একবার তাকাবেন, সব দম্ভ চুর্ণ হবে।আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হকের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন।
(বিশেষদ্রষ্টব্য #প্লিজ_দয়া_করে_এটাকে_হাতাশার_লিখা_কিংবা_কারো_করুণা_বা_দয়ার_আশায়_লিখা_মনে_করবেন_না। বরং এখানে সমাজের নিষ্ঠুর বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।এবং সকল অবস্থায় আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকার তাগাদার অনুভূতি জাগ্রত করার চেষ্টাও বটে। এছাড়াও নিজেকে প্রিয় ভাইদের মোনাজাতে শরীক করবার প্রত্যয়ে লিখা)

শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০

সন্তানের জন্য পিতামাতার প্রতিক্ষার প্রহর দীর্ঘই হচ্ছে -ছাত্রশিবির


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকৃত ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের আদাবর থানার সভাপতি, মেধাবী ছাত্রনেতা হাফেজ জাকির হোসেনের সন্ধানের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল শুক্রবার দেয়া যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারের পর গুম হওয়া সন্তানের জন্য পিতামাতার প্রতিক্ষার প্রহর দীর্ঘ হলেও অমানবিক আচরণেই অটল রয়েছে প্রশাসন। ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল দিবাগত রাত ৪ টায় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শ্যামলী রিং রোডের ১৯/৬ টিক্কাপাড়া, বাসা থেকে হাফেজ জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরের দিন ৩ এপ্রিল ২০১৩ ইং তারিখে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব-২ ক্যাম্প এবং মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় খোঁজ নেয়া হয়। কিন্তু তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা প্রশাসন অস্বীকার করে। পরে ৪ এপ্রিল তাঁর সন্ধানের বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় তার বড় ভাই কর্তৃক সাধারণ ডায়রি করা হয়। সাধারণ ডাইরি নাম্বার-৩২৮। তাঁর খোঁজে সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশাসন কর্তৃক বারবার বিষয়টিকে উপেক্ষা করায় প্রমাণ হয় তারাই জাকির হোসেনকে গুম করে রেখেছে। অথচ তাঁর মা-বাবা আজও সন্তানের ফেরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছেন। সহপাঠিরা তাঁকে ফিরে পাওয়ার আশায় প্রহর গুণছে। এমনই ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তারের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ওয়ালিউল্লাহ ও আল-মুকাদ্দাসের মত অসংখ্য নেতা কর্মীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের মেধাবী ছাত্ররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এমনভাবে গুম হয়ে যাবে তা কল্পনাও করা যায়না। এটা কোন সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ হতে পারেনা।
নেতৃদ্বয় বলেন, অন্য সবার মত জাকির হোসেনও এদেশের সন্তান। সাংবিধানিকভাবে তাঁর ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আইনের ধারক-বাহকরাই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই মেধাবী ছাত্রকে গুম করে রেখেছে। কোন সভ্য সমাজে এমন লোমহর্ষক আচরণ চিন্তা করা যায় না। এত কিছুর পরও আমরা বিশ্বাস করি জাকির হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেই নিরাপদে আছেন। আমরা আশা করি, কলিজার টুকরা সন্তানের জন্য প্রতিক্ষারত, বেদনাহত মা-বাবার প্রতিক্ষা আর দীর্ঘ করবে না প্রশাসন; তারা অবিলম্বে তাঁর সন্ধান প্রদান করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের শপথ ও পোশাকের প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলেও হাফেজ জাকির হোসেনকে তাঁর মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিবে।
নেতৃদ্বয় অমানবিকতার অবসান ঘটিয়ে জাকির হোসেনসহ গুম হওয়া সকল ছাত্র ও রাজনৈতিক ব্যক্তির সন্ধান ও মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার, ৩ এপ্রিল, ২০২০

দশটি উপকারী বিষয়ে দৃঢ়তা অবলম্বন করো : আবদুস শহীদ নাসিম


০১. প্রতিটি কথা ও কাজের পেছনে সৎ উদ্দেশ্য ও সৎ সংকল্পে অটল থাকবে।
০২. প্রবল দু:খ-কষ্ট আর চাপের মাঝেও মুখের অমলিন হাসি অটুট রাখবে।
০৩. রাগের মাঝেও দয়া আর কোমলতাকে প্রাধান্য দেবে।
০৪. কান্নার মাঝেও প্রবল মনোবল বজায় রাখবে।
০৫. চুপ থাকাকেও যুক্তিসংগত ও সুফলদায়ক বানাবে।
০৬. হাসিকে খুশির বাহক আর ব্যক্তিত্বের প্রকাশক বানাবে।
০৭. আচরণে বিনয়ী হবে, কাজে বাহাদুর হবে।
০৮. অজ্ঞদের সালাম দেবে, তবে তাদের সাথে বিতর্ক পরিহার করবে।
০৯. জ্ঞানী ও প্রাজ্ঞজনদের সম্মান করবে এবং তাঁদের প্রতি মনযোগী হবে।
১০. সব মানুষের কল্যাণ কামনা করবে।

আল্লামা সাঈদীর মুক্তি দাবি করে খুলনার ১০০ আলেমের বিবৃতি

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ধর্মীয়, মানবিক ও বয়সের বিবেচনায় বিশ্ববরেন্য মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনাট ১০০ জন ওলামা।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সুদীর্ঘ ৫০ বছর আল্লামা সাঈদী দেশে বিদেশে কুরআনের তাফসীর করেছেন। জাতীয় সংসদে তিনি দুবার নিজ এলাকা থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে দেশ ও জাতির উন্নয়নে ভূমিকা পালন করেছেন। বহু মানুষ তার তাফসির শুনে ইসলামী জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে । মানুষ তাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। তিনি ১০ বছর যাবত কারাগারে বন্দী রয়েছেন। বর্তমানে তার বয়স ৮১ বছর। নানান জটিল রোগে তিনি আক্রান্ত। বর্তমানে বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের ব্যাপক সংক্রমনে মানুষের মাঝে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এ অবস্থায় আল্লামা সাঈদীকে নিয়ে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মানুষ তার মুক্তি চায়। ইতোমধ্যে অনেক দেশ কারাবন্দীদের মুক্তি দিয়েছে।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন, মাওলানা মনোয়ার হোসাইন আলমাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা রহমাতুল্লাহ, অধ্যক্ষ মাওলানা ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, উপাধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রউফ, মাওলানা নাসিরউদ্দীন, মাওলানা আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, মুফতি মাওলানা হুমায়ুন কবীর, মুহাদ্দিস আনোয়ার হোসাইন, মাওলানা আবুবকর সিদ্দিক, মাওলানা মহিউদ্দীন, মুফতি মাওলানা জাহিদুল হক (ইমাম ও খতিব ট্যাংক রোড জামে মসজিদ), মাওলানা নাসির উদ্দীন মোঃ হুমায়ুন, মুফতি মাওলানা মাসুম বিল্লাহ,গাজী মাওলানা আজিজুল ইসলাম, মাওলানা নূর সাঈদ জ¦ালালী, মুফতি মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা সেলিম রেজা, মাওলানা আবু নাঈম, মাওলানা আতাউর রহমান, মুফতি মাওলানা জাকারিয়া, মাওলানা নুরুল ইসলাম নূরানী,মাওলানা গাজী আল আমীন, মাওলানা কবির উদ্দীন, মাওলানা আল মামুন, মাওলানা আব্দুল করিম, মাওলানা আব্দুল আওয়াল, মাওলানা আবুল কাশেম, মাওলানা ফরিদ উদ্দীন, মাওলানা আব্দুল হক (ইমাম ও খতিব দেয়ানা জামে মোল্লাহ জামে মসজিদ), মাওলানা আমানত উল্লাহ (ইমাম ও খতিব দেয়ানা আল আকসা জামে মসজিদ), মাওলানা নুওে আলম সিদ্দিকী (ইমাম ও খতিব চুনুর বটতলা বায়তুল আমান জামে মসজিদ), মাওলানা আবু হুরায়রা (ইমাম ও খতিব বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদ), মাওলানা আইয়ুব আলী (ইমাম ও খতিব কেডিএ ফায়ার ব্রিগেড জামে মসজিদ), মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা নূও সাইদ জালালী (ইমাম ও খতিব কৃষিকলেজ জামে মসজিদ) ,মাওলানা আরিফ বিল্লাহ (ইমাম ও খতিব দেয়ানা উত্তর পাড়া জামে মসজিদ), হাফেজ মাওলানা আব্দুস সবুর (মুহতামিম গাইকুড় নূরানী মাদরাসা), মাওলানা আবু সাঈদ (ইমাম ও খতিব দেয়ানা জাব্বারের রেজওয়ান জামে মসজিদ) মাওলানা মাহদী হাসান (কে ডি এ গাইকুড় জামে মসজিদ), মাওলানা মাহমুদ (ইমাম ও খতিব দেয়ানা আল মদিনা জামে মসজিদ), মাওলানা জহির উদ্দীন, মুফতি মাওলানা শফিউল্লাহ ও মাওলানা সাইফুল্লাহ।

সাইয়েদুল ইসতিগফার দু’আটি জানা আছে কি? এতে রয়েছে জান্নাতের ঘোষণা!


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সাইয়েদুল ইসতিগফার(আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাওয়ার জন্য শ্রেষ্ঠতম দুআ) টি কি আমাদের জানা আছে? হয়ত অনেকের জানা আছে আবার অনেকের জানা নেই। কিন্তু প্রতিটি মুসলমানের জন্য দু’আটি জানা দরকার। কারণ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এতে আমাদের জন্য জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছেন। এটা একটি বিরাট ঘোষণা। নি:সন্দেহে তা জান্নাত প্রত্যাশী মানুষের আনন্দিত হওয়ার বিষয়। রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ) বলেছেন,
“যে কেউ দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে দিনের বেলা এই দু‘আটি (সাইয়েদুল ইসতিগফার) পাঠ করবে ঐ দিন সন্ধ্যা হওয়ার আগে মৃত্যু বরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে এবং যে কেউ ইয়াকিনের সাথে রাত্রিতে পাঠ করবে ঐ রাত্রিতে মৃত্যুবরণ করলে সে জান্নাতবাসী হবে।” (বুখারী)
তাই নিচে দু’আটির আরবী মূল টেক্সট সহ, বাংলা উচ্চারণ এবং বালা অনুবাদ দেয়া হল। সুতরাং আসুন এই গুরুত্বপূর্ণ দু’আটি যাদের মুখস্ত নেই তারা মুখস্ত করি এবং সকলেই আমল করার চেষ্টা করি।
দুআটি হল:
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُك وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ:
“আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী,
লা-ইলাহা ইল্লা আনতা
খালাকতানী ওয়া আনা আবদুকা
ওয়া আনা আলা আহদিকা ওয়া ও’য়াদিকা মাসতাত’তু
আউযুবিকা মিন শার্ রি মা ছা’নাতু
আবূউলাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা
ওয়া আবূউলাকা বিযামবী
ফাগ্ ফির্ লী ফাইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা”
অর্থঃ
“হে আল্লাহ, তুমি আমার প্রতিপালক,
তুমি ছাড়া প্রকৃত এবাদতের যোগ্য কেউ নাই।
তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছ, আর আমি তোমার গোলাম
আর আমি সাধ্যমত তোমার সাথে কৃত অঙ্গীকারের উপর অবিচল রয়েছি।
আমার কৃত-কর্মের অনিষ্ট থেকে তোমার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
আমাকে যত নেয়ামত দিয়েছে সেগুলোর স্বীকৃতি প্রদান করছি।
যত অপরাধ করেছি সুগুলোও স্বীকার করছি।
অত:এব, তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারণ, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার কেউ নেই।”

বৃহস্পতিবার, ২ এপ্রিল, ২০২০

করোনায় মৃত ব্যক্তি থেকে করোনা ছড়ায় না: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কভিড-১৯ করোনাভাইরাসে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তির শরীর থেকে অন্য কারও সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে মৃতদেহ সৎকারের সময় হাতের সুরক্ষা ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। গত ২৪ মার্চ Infection Prevention and Control for the safe management of a dead body in the context of COVID-19 শিরোনামের একটি নিবন্ধে তারা এসব তথ্য জানিয়েছে। 
ওই নিবন্ধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আরও বলেছে, সংক্রামক ব্যাধিতে মৃতদের পুড়িয়ে ফেলা উচিত- এমন গুজব চালু রয়েছে। তবে তা সত্যি নয়। ইবোলা, মারবার্গ, কলেরা ছাড়া, অন্য ভাইরাসে মৃতদেহ অন্য কারো শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়ে দেয় না। তবে সংক্রমিতর ব্যক্তির ফুসফুসের যদি ময়নাতদন্তের সময় সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা না হয়, তবে তা সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারে। তাছাড়া মৃতদেহ সংক্রমণ ছড়াতে পারে না। 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, কভিড-১৯ শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা যা ফুসফুসের ওপর প্রভাব ফেলে, এখন পর্যন্ত যেসব তথ্য-প্রমাণাদি পাওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে যে এ ভাইরাস বায়ুবাহিত নয়। এটা একটি নতুন ভাইরাস যার সূত্রপাত এবং রোগের বিস্তার সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য এখনো জানা যায়নি। বিস্তারিত তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত সবাইকে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, নিজ নিজ সমাজের রীতি অনুযায়ী মরদেহ পুড়িয়ে ফেলা যেতে পারে এবং কবর দেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো নির্দেশনা নেই। যথাসম্ভব দ্রুত মরদেহে সমাধিক্ষেত্রে নিয়ে যেতে হবে। মৃতদেহ পরিবহনে বিশেষ গাড়ির প্রয়োজন নেই এবং সমাধিক্ষেত্রে পাঠানোর সময় মৃতদেহের ওপর জীবানুনাশক ছিটানোর প্রয়োজন নেই। রীতি মেনে মৃতদেহ সৎকারের আগে স্বজনরা শেষবারের জন্য প্রিয়জনের মুখ দেখতে পারেন। তবে মৃতদেহ স্পর্শ করা বা চুমু খাওয়া যাবে না। সমাধিস্ত করার পর এর দায়িত্বে যারা ছিলেন তাদের গ্লাভস খুলে ফেলার পর হাত পরিষ্কার করতে হবে। যারা মৃতদেহের সংস্পর্শে আসবেন তারা ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম পরবেন (গাউন এবং গ্লাভসসহ)। মৃতদেহের জন্য আলাদা ব্যাগের দরকার নেই, তবে অন্য কোনো কারণে প্রয়োজন হতে পারে (মৃতদেহের শরীর থেকে কোনো তরল গড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকলে)
সৌজন্যেঃ বিডি প্রতিদিন

বুধবার, ১ এপ্রিল, ২০২০

প্রাথমিকসহ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে ঈদের পর!

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ মহামারি করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চলমান সাধারণ ছুটি ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এছাড়া দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকলেও ঈদুল ফিতরের পর খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে সূত্রের বরাত।
কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, রমজানের আগে আবাসিক শিক্ষার্থীরা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসলে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যায়।
আজ মঙ্গলবার গণভবনে এ নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, খাদ্যমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত থাকবেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলমান বন্ধের পর ১১ এপ্রিল খোলার কথা থাকলেও তা খুলবে রমজানের ঈদের পরে। কারণ হিসাবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলগুলোও। এতে করে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন।
এখন যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়, তাহলে সকল শিক্ষার্থীই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসবে, এতে করে ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদুল ফিতরের পরে খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
টিবিটি নিউজের সৌজন্যে

ধর্ষনঃ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার যশরা ইউনিয়নের পাড়াভরট গ্রামের দরিদ্র পিতা আব্দুল মতিন তার মেয়ে তাকমিনাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন অনেক : মেয়ে পবিত্র কোরআনের হাফেজা হবে, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে, কোনো ঈমানদার ছেলের হাতে তুলে দিবে, মেয়ে স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার গড়বে।

পিতা মতিনের স্বপ্ন প্রায় পূরণের পথেই ছিল। মেয়ে এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছে, সে নামাজ পড়ে, কোরআন পড়ে, হিজাব করে। মেয়েটিও তাঁর বাবার স্বপ্ন পূরণে ছিল অপ্রতিরোধ্য! তাকমিনা সরলবিশ্বাসে প্রেম করে গ্রামের 'জামিয়া আরাবিয়া কাসেমুল উলুম কওমী মাদ্রাসা'র কিতাব বিভাগের ছাত্র এবং মসজিদের মুয়াজ্জিন আশিকুলের সাথে।

হালকা-পাতলা ও লম্বা দেহের অধিকারী আশিকুল। গালভরা দাড়ি। চেহারায় নূর ভাসে! হাসলে মুক্তা ঝরে। চোখে ঈমানী জৌলুশ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে। মসজিদে আযান দেয়। ঈমামতি করে। কোরআন তেলাওয়াত করে। কথার ফাঁকেফাঁকে আলহামদুলিল্লাহ, মাশাল্লা, সুবহানআল্লাহ ইত্যাদি শব্দ উচ্চারণ করে! মাদ্রাসার কিতাব বিভাগের ছাত্র সে। আর কিছুদিন পরেই ফতুয়া দেয়া শুরু করবে। ওয়াজ নসিহত করবে। দাপিয়ে বেড়াবে দেশের অলিগলি। সাধারণ মুসলমান তাকে সম্মান করবে, ভয় করবে, হাদিয়া দিবে!

শয়তান বেশি-বেশি ধোকা দেয় মুমিনবানন্দাদের ; আশিকুলও শয়তানের ধোকা থেকে বাঁচতে পাড়েনি! তাকমিনা আল্লাহর উপর ভরসা রেখে হুজুর আশিকুলকে সত্যিকারের ভালবাসলেও, শয়তানের কুমন্ত্রণায় আশিকুল ভালবাসেনি, তার ভিতরে ছিল কামনার আগুন নেভানোর কুমতলব! তাই সে অভিনয় করতে থাকে।

ফোনে কথা হয়। দু'জনার দেখা হয়। কথা হয় পাশাপাশি বসে। একে অপরকে আলিঙ্গন করে। স্পর্শ করে। চুম্বন করে। চোখে চোখ রাখে। সোহবত করে! নেমে আসে ঐশ্বরিক প্রশান্তি!

আশিকুল বারবার তাকমিনাকে নির্জন জায়গায় ডেকে নিয়ে সোহবত করে, আঁজল করে ; তাকমিনার গর্ভবতী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। দু'জনার মিলিত হওয়া প্রসঙ্গে কেউ সন্দেহ করে না। কারণ, ওরা ঈমানদার বান্দা -বান্দি। অসচেতন পিতাও টের পায়না তার মেয়ের কি সর্বনাশ হতে চলেছে!

প্রহর দিন মাস বছর, এমনি করে বহতা নদীর মতো সময় চলে যায় বহুদূর! তাকমিনার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যায়। বিয়ের জন্য চাপ দেয় কোরআনের পাখি হুজুর আশিকুলকে। আশিকুল সিদ্ধান্ত দেয় না ; বারবার অপেক্ষায় রাখে। তাকমিনার অপেক্ষার পালা শেষ হয় না। মাদ্রাসার বড় হুজুরের কাছে ঘটনা ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখায় আশিকুলকে। আশিকুল মনেমনে ক্ষিপ্ত হয়!

দিন যায় রাতে আসে। আশিকুল এশার সালাত আদায় করে শুতে যায় ; ঘুম আসে না। চোখ বুঝলেই জান্নাতি হুর কল্পনার আকাশে উঁকিঝুঁকি মারে! জান্নাতি রমণীদের জঙ্ঘা, উরু, স্তন, বগল, নাভি ও যৌনাঙ্গের চিত্র তার চোখে আঁকিবুঁকি করে! পানপাত্র কুঁজা ও শরাবপূর্ণ পেয়ালা হাতে গেলমানেরা ভাসে চোখের তাঁরায়! শিশ্নমোবারক জিহাদীদের মতো টগবগ করে, উত্তেজিত হয়! ঈমানের তেঁজ সহ্য করতে পারেনা সে!

গভীর রাতে তাকমিনাকে ফোন করে আশিকুল। তাকমিনাকে মসজিদের সামনে আসতে বলে। তাকমিনা রাজি হয় না। তাকমিনা বুঝে গেছে তাকে ডেকে নিয়ে খায়েস পূরণ করবে আশিকুল। আশিকুল বারবার আল্লাহর কসম কাটে। ওয়াদা দেয় সোহবত করবে না। তাকমিনা কোনোভাবেই রাজি হয় না। অতঃপর পালিয়ে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দেয় আশিকুল। তাকমিনা আল্লাহ্কে স্মরণ করে চুপিচুপি ঘরের বের হয়।

আজ তাকমিনা ঘরের বের হচ্ছে স্বামীর হাতে নিজেকে সমর্পিতা করার জন্য। সে জানেনা কোন অচেনা গন্তব্যপথে চলছে...! গর্ভধারিণী মা ঘুমায়। হতভাগ্য পিতা ঘুমায় নিশ্চিন্তে। তারা টের পায়না তাদের ধন পরপারের দিকে পা বাড়িয়েছে! তাকমিনা রাতের বুক চিরে টিপটিপ করে হাটতে থাকে মসজিদের উদ্দেশ্যে।

আশিকুল তার দুই সাহাবী মাহফুজ ও আরিফকে প্রস্তুত করেছে এদিকে! দুই বন্ধুকে বুঝিয়েছে - তাকমিনা যদি আমার মারেফাত প্রকাশ করে দেয়,তাহলে শরিয়তের বদনাম হবে! বদনাম হবে আমাদের মসজিদ ও মাদ্রাসার! আলেম সমাজের প্রতি মানুষ ঘৃণার চোখে তাকাবে! সুতরাং, তাকমিনাকে কতল করতে হবে। আশিকুলের অনুরোধে দু'জন রাজি হয়। মসজিদের আড়ালে ঘাপটি মেরে বসে থাকে তারা।

গ্রামের সহজসরল মেয়ে তাকমিনা মসজিদের সামনে এসে হাজির হয়। রাত্র দ্বিপ্রহর! আশিকুল তাকমিনার হাত ধরে বলে - চল। তাকমিনা আশিকুলের পিছে হাটে। মসজিদের পাশে রমজান আলীর ভিটায় যায় আশিকুল, সঙ্গে তাকমিনা।

রমজান আলীর ভিটায় গিয়েই আশিকুল তাকমিনাকে ঝাপটে ধরে, ঠোঁটে কামড় দেয়, স্তন মর্দন করে,চাপাচাপি করে! তাকমিনা বিরক্ত হয়ে বলে, - 'এসব কি হচ্ছে? আমরা কোথায় যাচ্ছি সেটা বলো'। আশিকুল তাকমিনার মুখ চেপে ধরে!

জিহাদের ময়দানে কাফেরদের যেভাবে পরাজিত করার আপ্রাণ চেষ্টা চলে,সেভাবে জোরজবরদস্তি করে আশিকুল! হিংস্র হয়েনার মতো খুবলে খেতে থাকে মেয়েটিকে! মেয়েটি চিৎকার করতে চায়! আশিকুল মুখ চেপে ধরে! দৌড়ে আসে দুই সাহাবী মাহফুজ ও আরিফ। ওরা তাকমিনার হাতপা শক্ত করে ধরে। আশিকুল তাকমিনার শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। অতঃপর আশিকুল তার পাগড়ি মোবারক দিয়ে তাকমিনার গলা পেঁচিয়ে ফেলে, এবং টেনেহিচড়ে জামগাছে ফাঁসিতে ঝুলায়!

এতক্ষণে ফজরের সময় হয়েছে। আল্লাহর হুকুম আদায় করতে হবে, আজান দিতে হবে, দুই রাকাত সুন্নত এবং ফরজ পড়তে হবে। আশিকুল তাড়াহুড়ো করে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে! ততক্ষণে আশিকুলের পোষাকে এবং লিঙ্গমোবারকে লেগে থাকা বীর্য হয়তো শুকিয়ে যায়নি! অজু-গোসল ছাড়াই আশিকুল আজান দেয়।

মহামারি করোনাভাইরাস বিশ্বকে আতঙ্কিত করে তুলেছে! বন্ধ হয়ে গেছে সি বিচ,ক্লাব,সিনেমাহল, বিদ্যালয়, ইয়োগা সেন্টার, মেডিটেশন সেন্টার, পর্যটনশিল্প, কলকারখানা, যানবাহন এবং অফিস আদালত! বহির্বিশ্বে অচল হয়ে গেছে মসজিদ,মন্দির,প্যাগোডা, সিনাগোগ,গুরুদুয়ারা এবং কাবা! বিশ্ব যখন অচল,তখন বাংলাদেশের মসজিদ সমূহ সচল! এদেশে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়েছে! আল্লাহ্ হেদায়েত করেছেন এদেশের মুসলমানদের! তারা জেনে গেছে - করোনা ভাইরাস অাল্লাহর গজব ; এটা মুসলমানদের ক্ষতি করবে না ; এটা কাফেরদের জন্য এসেছে, করোনাভাইরাস আল্লাহর সৈনিক! ইসলামে ছোঁয়াচে রোগ বলে কিছু নাই। মসজিদে জামায়াতের সহিত নামাজ অবশ্যই পড়তে হবে। দোয়াদরুদ বেশি-বেশি পড়তে হবে। সরকারের পক্ষ থেকে মসজিদ বন্ধের ঘোষণা আসলে কঠিন জবাব দেয়া হবে! তাই মসজিদ খোলা।

আশিকুলের আজান দেওয়া শেষ। মুসুল্লিরা এসেছেন নামাজ পড়তে। সময় পার হয়ে যায় - বড় ঈমাম আসেননি। ঈমামতির দায়িত্ব পরে আশিকুলের ওপর। অকুতোভয় আশিকুল ঈমামতি করে।

নামাজ শেষে মুসুল্লিরা যখন বাড়ী ফিরছিলেন,তখন দেখতে পান জামগাছতলা ঝুলন্ত এক লাশ! হৈঁইচই লেগে যায়। চারদিক থেকে লোকজন আসতে থাকে। এই ফাঁকে আশিকুল পালিয়ে যায়। তাকমিনার বাবা-মা এসে দেখে - এযে তাদের সন্তান তাকমিনা! চিৎকার দিয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়! জ্ঞান ফিরলে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে তাকমিনার দিকে! এমনটা তো হওয়ার কথা ছিল না!

তাকমিনার বাবার জায়গায় নিজেকে একবার দাঁড় করিয়েছি। বুঝতে চেষ্টা করেছি এভাবে সন্তান হারানোর বেদনা কতটুকু! বিশ্বাস করেন, সমস্ত পৃথিবীটা অন্ধকার হয়ে আসছিল! আকাশ ভেঙে মনে হচ্ছিল আমার মস্তকটাকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে! বুকের বাম পাশটা ব্যাথায় মোচড় দিয়ে উঠছিল! চোখেরজল মুছতে মুছতে নিজের কাছে নিজেকে প্রশ্ন করলাম,'৯৫ শতাংশ মুসলমানদের দেশে ধর্মপ্রচারক আশিকুলদের কি দ্রূত বিচার হবে? ফেনির নুসরাতের খুনিরা কি এখনো জেলখানার ভেতর টুপি পাঞ্জাবি পরে নামাজ আদায় করে'?

কৃতজ্ঞ: Shahidul Islam.