ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৩১ মার্চ, ২০২০

ছুঁতে চাই: এম এন আবছার

উড়ন্ত রাক্ষসী কেড়ে নিল পৃথিবীর সুখ
হতাশ পলকে চেয়ে আছে অসহায় লোক।
মন মাজারে চলছে বিচ্ছেদের কম্পন
পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছে কে কখন।
কেউ আছি স্বদেশে কেউবা বিদেশে
সব আশা ছেড়ে আছি আপন নিবাসে।
কেউ পাচ্ছে না দুবেলা দুটো খেতে
ভাইরাস ভয়ে কেউ আসেনা নিতে ও দিতে।
যাচ্ছে না কেউ কারো ধারে কাছে
পৃথিবীর সকল মায়া আসলেই মিছে।
চিকিৎসক সকল ভাইরাসের ভয়ে কাবু
রোগী দেখা শেষে ছুঁতে পারে না নিজের বাবু।
দূর থেকে দেখে চলে যায় আপন কাজে
মনের দুখ বলতে পারেনা কাউকে লাজে।
আপন জনকে বারবার ছুঁতে মন চায়
যাচ্ছে না বুঝা কোন ঘাটের জল কোন ঘাটে যায়।

করোনা আপডেট:

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ গত ২৪ ঘন্টায় ইতালিতে মারা গেছেন ৮১২ জন। আগের দিনের তুলনায় আজ সেখানে ৫৫ জন বেশি মারা গেছেন। স্পেনে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৫৩৭ জন। তবে এ সংখ্যাও বাড়বে বলেই জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ২২২ জন। যুক্তরাজ্যে মারা গেছে ১৮০ জন। তবে এই সংখ্যাও রাতের দিকে আরো বাড়তে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, করোনায় যুক্তরাষ্ট্রে নিহতের সংখ্যা ২ লাখ হলে তিনি নিজেকে সফল মনে করবেন। আর বৃটিশ মন্ত্রী ইংগিত দিয়েছেন চলমান লকডাউন আরো ৬ মাস চলতে পারে। পরাক্রমশালী দুই দেশের এই দুই ঘোষণা বিশ্বজুড়ে নতুন করে আতংক তৈরি করবে তা বলাই বাহুল্য। গত ২৪ ঘন্টায় ফ্রান্সে মারা গেছেন ৪১৮জন, আর ইরানে মারা গেছে ১১৭ জন। স্পেন ও ইতালির পর নতুন করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, অস্ট্রিয়া, সুইডেন, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমনে মারা গেছেন ২৭৯৯ জন। গতকাল জার্মানীতে ১শ’র ওপর লোক মারা গেলেও আজ এখন পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বিগত ২৪ ঘন্টায় নেদারল্যান্ডসে ৯৩, বেলজিয়ামে ৮২, পর্তুগালে ২১, অস্ট্রিয়ায় ২২, তুরস্কে ৩৭, সুইজারল্যান্ডে ৪৮, সু্ইডেনে ৩৬. ইন্দোনেশিয়ায় ৭, পাকিস্তান ও ফিলিপিনসে ৭ জন করে মারা গেছেন।
করোনা ভাইরাসে মোট নিহতের সংখ্যা গতকাল এ সময়ে ছিল ৩৩,৫২৪ জন, আর ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে মোট নিহতের সংখ্যা এখন ৩৬,৮৫৫ জন। এ পর্যন্ত করোনায় ইতালিতে মারা গেছে ১১,৫৯১ জন, স্পেনে ৭৩৪০ জন, ফ্রান্সে ৩০২৪, ইরানে ২৭৫৭, যুক্তরাষ্ট্রে ২৮০৫, যুক্তরাজ্যে ১৪০৮ এবং নেদারল্যান্ডসে ৮৬৪ জন মারা গেছেন। অনেকে ভারতের আপডেট জানতে চেয়েছেন। ভারতে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১০৭১ জন, আজ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন। ভারতে এ পর্যন্ত মারা গেছে ২৯ জন। আজ দুজন আক্রান্ত রোগী সেখানে মারা গেছেন।
মাত্র ২৪ ঘন্টায় বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৭ হাজার থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়ে ৭ লাখ ৫৯ হাজারে উন্নীত হয়েছে। তার মানে গত ২৪ ঘন্টায় বিশ্বে প্রায় ৫২ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ ৫১ হাজারে পৌছেছে। ২৪ ঘন্টায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪৫৩ জন। ইতালিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এখন ১ লাখ পার হয়ে এখন ১ লাখ ১ হাজারে পৌছেছে। ইতালিতে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৪০৫০। আরো যেসব দেশে বেশি লোক গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছে তার মধ্যে স্পেনে ৫০৮৫, ফ্রান্সে ৪৩৭৬, জার্মানীতে ১৪৯৪, ইরানে ৩১৮৬, যুক্তরাজ্যে ২৬১৯, তুরস্কে ১৬১০, সুইজারল্যান্ডে ৯৩১, নেদারল্যান্ডসে ৮৮৪, অস্ট্রিয়াতে ৭৩২, বেলজিয়ামে ১০৬৩, পুর্তুগালে ৪৪৬, কানাডায় ৩৫১, সুইডেনে ৩২৮, মালয়েশিয়ায় ১৫৬ (মারা গেছে ২ জন), ডেনমার্কে ১৮২, চিলিতে ৩১০, ফিলিপাইনে ১২৭, ইন্দোনেশিয়াতে ১২৮ এবং রাশিয়ায় ৩০২ জন আক্রান্ত হয়েছে।
বাংলাদেশে মোট রোগী ৪৯ জন। আজ নতুন করে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট মারা গেছে ৫ জন আর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১৯ জন। আজ সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ৪ জন। যার মধ্যে একজনের বয়স ৮০ বছর এবং দুজনের ৬০ বছর। আক্রান্তদের মধ্যে ক্রিটিকাল অবস্থায় আছেন একজন। এগুলো সব সরকারী হিসেব। এর বাইরে বিভিন্ন পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনা উপসর্গে বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেলেও সরকারী হিসেবে তা স্বীকার করা হয়নি।
আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুন। আমিন।
(From beloved brother Ali Ahmad Mabrur)

সোমবার, ৩০ মার্চ, ২০২০

করোনা পরিস্থিতিতে মাওলানা সাঈদীর মুক্তির আবেদন

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনা করে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তির আবেদন করেছে চিকিৎসকদের পেশাজীবী সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম। শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক মো: নজরুল ইসলাম সাক্ষরিত বিবৃতিতে এই আবেদন জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার বয়স্কদের মধ্যে অনেক বেশি। বর্তমানে কারাবন্দি এবং ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য, নন্দিত আলেম ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মোফাসসিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পঁচাত্তরোর্ধ একজন বৃদ্ধ। এছাড়াও তিনি ডায়াবেটিস রোগী, একইসাথে তিনি হার্টের রোগী। তার হার্টে একাধিক রিং পরানো আছে। উপরন্তু তার রয়েছে ফ্রোজেন শোল্ডার সমস্যা। ডায়াবেটিস ও হৃদরোগে আক্রান্তদের মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা অনেক বেশি।
অধ্যাপক নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ‘এসব মানবিক দিক বিবেচনা করে করোনার ঝুঁকিতে থাকা অসুস্থ মাওলানা সাঈদীর কারামুক্তির আবেদন করেন’।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০২০

করোনাভাইরাস: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১০ তথ্য

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিশ্বের ১৯৯টি দেশে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। আর এই আতঙ্কের সঙ্গে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস নিয়ে নানা বিভ্রান্তিও ছড়িয়ে পড়ছে।
কোভিড-19 করোনাভাইরাস সম্পর্কে প্রতিদিনই নতুন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তাদের ওয়েবসাইটে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বারবার হাত ধোয়ার কথা বলেছেন। মেডিকেল বিশেষজ্ঞরা ঘরের মেঝে, পরার কাপড় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে বলেছেন।
বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে দেয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ ও সুরক্ষা কৌশল। এসব অপরীক্ষিত কৌশল ও পরামর্শ যদি সঠিক না হয়, তবে এ থেকেও বিপদ ঘটতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেয়া পরামর্শই অনুসরণ করা উচিত। যেহেতু বিশ্বে করোনা ভাইরাসটি মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের নানা সংস্থার নেয়া বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বয়ের কাজটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই করছে, সেহেতু তাদের দেয়া তথ্যের ওপরই নির্ভর করা উচিত। 
তাহলে দেখে নেয়া যাক করোনাভাইরাস নিয়ে চারপাশে যে বিভ্রান্তি রয়েছে এবং এগুলো সম্পর্কে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কী বলছে—

উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়াতেও কোভিড-19 ছড়ায়

শোনা যাচ্ছে, করোনাভাইরাস উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়ায় সংক্রমিত হয় না, এই তথ্যটি ভুল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এখন পর্যন্ত উষ্ণ ও আর্দ্র আবহাওয়াসহ সব ধরনের পরিবেশ এবং এলাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। জলবায়ু ও আবহাওয়া যেমনই হোক, সতর্ক থাকুন। কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছে এমন এলাকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকুন। মনে রাখবেন, কোভিড-19 থেকে সুরক্ষিত থাকার সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে একটু পরপরই সাবান-পানি বা অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড রাব বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। একই সঙ্গে হাত দিয়ে নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় করোনাভাইরাস মরে না

করোনাভাইরাস বা অন্য কোনও রোগ প্রতিরোধে ঠাণ্ডা আবহাওয়া কার্যকর এমনটা নয়। কারণ, বাইরের তাপমাত্রা যা-ই হোক না কেন, মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৯৭-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) মধ্যেই থাকে।

গরম পানিতে গোসল করোনাভাইরাস রোধে কার্যকর না

করোনাভাইরাস থেকে প্রতিরোধের উপায় হিসেবে অনেকে গরম পানিতে গোসলের কথা বলছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গরম পানিতে গোসলের মাধ্যমে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকা যাবে না। কারণ, বাইরের তাপমাত্রা যা-ই হোক না কেন, মানুষের শরীরের তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৫ থেকে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (৯৭-৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইট) থাকে। মনে রাখবেন, কোভিড-19 থেকে সুরক্ষিত থাকার সবচেয়ে ভালো পথ হচ্ছে একটু পরপরই সাবান-পানি বা অ্যালকোহলভিত্তিক হ্যান্ড রাব বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করা। এর মাধ্যমেই আপনার হাতে থাকা জীবাণু অপসারিত হবে। একই সঙ্গে হাত দিয়ে নাক, মুখ, চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

মশার মাধ্যমে নতুন করোনা ভাইরাস ছড়ায় না

এখন কাঠ ফাটা রোদ হলেও সামনে আসছে বর্ষা মৌসুম। এরইমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মশার উপদ্রব বেড়ে গেছে। এই অবস্থায় মশার মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ায় কি না, তা নিয়ে নানা জল্পনা আছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, মশার মাধ্যমে নতুন করোনাভাইরাস ছড়ানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও তথ্য বা প্রমাণ পাওয়া যায়নি। নতুন এই ভাইরাস শ্বাসপ্রশ্বাসের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি ভাইরাস। আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির সময় তাদের শ্বাসতন্ত্র থেকে নির্গত ড্রপলেট বা লালার বিন্দু বা নাক ঝাড়ার সময় নির্গত জলকণার মাধ্যমে ছড়ায়। নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে একটু পরপর হাত পরিষ্কার করুন এবং হাত দিয়ে নাক-চোখ-মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন। একই সঙ্গে হাঁচি-কাশি রয়েছে এমন ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

সারা শরীরে অ্যালকোহল দিয়ে করোনামুক্ত থাকা যায় না

এককথায় উত্তর, ‘না’। পশ্চিমা দেশে এ ধরনের কিছু বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যে ভাইরাস এরই মধ্যে শরীরে প্রবেশ করেছে, তাকে মারতে সারা শরীরে অ্যালকোহল বা ক্লোরিন বা ব্লিচিং ছড়িয়ে কোনও লাভ নেই। এ ধরনের রাসায়নিকের সংস্পর্শ চোখ ও মুখের ত্বক ও ঝিল্লি (মিউকাস মেমব্রেন) ক্ষতি করে। এ দুইটি রাসায়নিকই ঘরবাড়ি পরিষ্কারের কাজে লাগে। তবে ব্যবহারের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ মেনে ব্যবহার করতে হবে।

নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন করোনা থেকে সুরক্ষা দেবে না

না। নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন বা হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ বি ভ্যাকসিনসহ নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিন শুধু নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধেই কার্যকর। এগুলো করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেবে না। এই ভাইরাস একেবারেই নতুন এবং আগেরগুলোর চেয়ে আলাদা যে এর প্রতিরোধে একেবারে নতুন ভ্যাকসিনেরই প্রয়োজন। বিভিন্ন দেশের গবেষকরা করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা করছেন, যেখানে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। বিদ্যমান ভ্যাকসিনগুলো কোভিড-19 -এর বিরুদ্ধে কার্যকর না হলেও শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতা রোধে বিদ্যমান ভ্যাকসিন যে কোনও মানুষেরই গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিত্সকরা।

রসুন করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা দেয় না

রসুন স্বাস্থ্যকর খাবার এবং এর রয়েছে অণুজীবনাশক ক্ষমতা। একইভাবে থানকুনি বা তুলসীপাতাও স্বাস্থ্যকর এবং এগুলোর নানা ঔষধি গুণ রয়েছে। কিন্তু এর কোনোটিরই করোনাপ্রতিরোধী কোনও ক্ষমতা নেই। এমন কোনও প্রমাণ এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

করোনাভাইরাসে শুধু বয়স্ক ব্যক্তিরা আক্রান্ত হয় না

নতুন করোনাভাইরাস সব বয়সি মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। বয়স্ক মানুষ বিশেষত যাদের অ্যাজমা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগসহ আরও স্বাস্থ্য সমস্যা আগে থেকেই রয়েছে, তাদের ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। সব বয়সি ব্যক্তিদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এ ক্ষেত্রে নিয়মিত হাত ধোয়া ও শ্বাসপ্রশ্বাস সম্পর্কিত সু-অভ্যাসের ওপর জোর দিচ্ছে সংস্থাটি।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধ এবং এর চিকিত্সায় অ্যান্টিবায়োটিক কার্যকর নয়

অ্যান্টিবায়োটিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না। এটি শুধু ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কাজ করে। নতুন করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ একটি ভাইরাস। তাই এর প্রতিরোধ বা চিকিত্সায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অনেক রোগীকে হয়তো অ্যান্টিবায়োটিক দেয়া হচ্ছে। মনে রাখতে হবে, সেগুলো করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য নয়, বরং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ যেন না ঘটে, সেজন্য দেয়া হচ্ছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে নির্দিষ্ট ওষুধ নেই

নতুন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বা এর চিকিত্সায় এখন পর্যন্ত কোনো সুনির্দিষ্ট ওষুধ নেই। তবে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রকাশিত বিভিন্ন উপসর্গ অনুযায়ী তাকে চিকিত্সাসেবা দিতে হবে। যাদের অবস্থা গুরুতর হবে, তাদের বিশেষ পরিচর্যার আওতায় নিতে হবে। এর ভ্যাকসিন ও চিকিত্সার জন্য সুনির্দিষ্ট ওষুধ তৈরিতে গবেষণা চলছে। এ সম্পর্কিত গবেষণার গতি বাড়াতে বিভিন্ন দেশে কাজ করে চলা গবেষক ও সংস্থাগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোনও সুনির্দিষ্ট ওষুধ আবিষ্কৃত হলে তার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে আগে।
সূত্র: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (who)

শুক্রবার, ২৭ মার্চ, ২০২০

শীর্ষ উলামায়ে কেরামের বিবৃতি: বয়স, মানবিক ও ধর্মীয় বিবেচনায় আল্লামা সাঈদীর মুক্তি দিন।


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম এক যৌথ বিবৃতিতে মানবিক, ধর্মীয় ও বয়স বিবেচনায় বর্ষীয়ান আলেমে দ্বীন মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।

শীর্ষ উলামাগণ বলেন- বর্ষীয়ান আলেমে দ্বীন মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী নানান জটিল ও কঠিন রোগ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত কারাভোগ করছেন। দেশ জাতির এ কঠিন মূর্হুতে তার প্রতি সদয় হওয়া সময়ের দাবী। তাই আমরা রাষ্ট্র প্রধান ও সরকার প্রধানের কাছে আল্লামা সাঈদীর আশু মুক্তি দাবী করছি। ক্ষমতা কোনো দিন চিরস্থায়ী নয়। সামান্য একটি ভাইরাস দিয়ে আল্লাহ তায়ালা গোটা দুনিয়াকে স্তব্ধ করে দিয়েছেন। দুনিয়ার বড় শক্তিগুলোকে মানবিক হতে শিখিয়েছে। সেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে আমাদের ফরিয়াদ বর্ষীয়ান এ মুফাসসির কুরআনকে মুক্তির ব্যবস্থা করুন। আমাদের সরকার ও রাষ্ট্র বর্ষীয়ান এ মুফাসসিরের প্রতি সদয় হয়ে তাঁকে মুক্তি দিন। মহান আল্লাহ তাঁর গজব “করোনা ভাইরাস” থেকে দেশ, জাতি ও উম্মাহকে রক্ষা করুন। আমীন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- বর্ষীয়ান আলেমে দ্বীন হেফাজতে ইসলামের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মুহিববুল্লাহ বাবুনগরী, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর হাফেজ মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জী হজুর, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন পরিষদের আমীর মাওলানা আবু তাহের জিহাদী, সমমনা ইসলামী দলসমূহের মহাসচিব মাওলানা জাফরুল্লাহ খান, সম্মিলিত উলামা মাশায়েখ পরিষদের সহ-সভাপতি মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনুল আবেদীন, হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমীর মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ড. মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের মহাসচিব শর্ষীনার ছোট পীর মাওঃ শাহ আরিফ বিল্ল¬াহ সিদ্দীকি, মীরের সরাইর পীর সাহেব মাওঃ আঃ মোমেন নাছেরী, টেকের হাটের পীর সাহেব মাওঃ কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মুফতি ফয়জুল হক জালালাবাদী, মুফতি মাওলনা আবদুর রহমান চৌধুরী, নেজামে ইসলামীর মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, মাওলানা আজিজুর রহমান আজিজ, মাওঃ হাফেজ আবুল হোসাইন, মুফতি মাওঃ নাসির উদ্দীন খান, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের আমির আধ্যাত্মিক গুরু শাইখ নুরুল হুদা ফয়েজী, হক্কানী ত্বরীকত মিশনের জেনারেল সেক্রেটারী আল্লামা মুস্তাক ফয়েজী, ইসলামী ঐক্য মঞ্চ সভাপতি মাওলানা ইদ্রিস, ইসলামী কানুন বাস্তবায়ন কমিটির মহাসচিব মাওলানা ফয়জুল্লাহ আশরাফী, বেফাকের কেন্দ্রিয় উস্তাদ মুফতি বাহউদ্দীন, মুসলিম পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি শায়েখ মাওলানা রহমান আজিজ হবিগঞ্জী, খতিব পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা সালেহ, মুফাসসির পরিষদের কেন্দ্রিয় নেতা মাওলানা জাকির হোসাইন, হক্কানী পীর মাশায়েখ পরিষদের সহ সভাপতি মাওলানা আবুল কাশেম, খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কাসেম কাসেমী,গণসভা আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা বনী ইয়ামিন, কাসেমী পরিষদের আমীর শায়খ আবু বকর কাসেমী, অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, অধ্যক্ষ মাওলানা রফিকুল ইসলাম, অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম, জাতীয় ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা লুৎফর রহমান, ইসলামী অনলাইন এ্যাক্টিভিষ্টস ফোরামের কেন্দ্রিয় নেতা মাওলানা শেখ মহিউদ্দীন, মুহতামিম পরিষদের সভাপতি মাওলানা শাহ আলম, সম্মিলিত ইসলামিক জোটের আমির মাওলানা আবদুল বাকি, সেক্রেটারী জেনারেল মাওঃ মনিরুজ্জামান, জাতীয় ইমাম সোসাইটির মহাসচিব মুফতি জোবায়ের আহমদ কাসেমী, হাফেজ মুফতি মাওঃ আব্দুর রহমান, মাওলানা মুহাম্মদ ইখলাস উদ্দিন, মাওঃ আবু হানিফ নেছারী, অধ্যক্ষ মাওলানা মশিউর রহমান, হাফেজ ফারুক হোসাইন, মাওঃ এহতেশামুল হক, নাস্তিক-মুরতাদ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মাওঃ আব্দুল ক্দ্দুুস আল কাসেমী ও মহাসচিব শাইখ আব্দুল কাউয়ূম, ইসলাহুল মুসলিলিমিন সভাপতি মুফতি আবুল বাশার ও মহাসচিব মুহাদ্দিস হাসানুল ইমাম, ইসলামী সমাজ সভাপতি মাওলানা রফিকুর রহমান আল কাশেমী ও সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি জাকারিয়া, ইসলামী জনতা সভাপতি মুফতি আবদুল কুদ্দুস ও মহাসচিব হাফেজ আবুল কাসেম, তালিমুল কুরআন সোসাইটি মুফতি আবদুল হালিম, মহাসচিব মাওলানা সিজরাজুল ইসলাম, আল কুরআন ফাউন্ডেশন সভাপতি মুফতি জামাল উদ্দীন ও সেক্রেটারী মুফতি ইসহাক, জমিয়াতে উলামা দেওবন্দ পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মুহাদ্দেস আবদুল্লাহ কাসেমী ও সেক্রেটারী হযরত মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক কাসেমী প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার, ২৬ মার্চ, ২০২০

কুমিল্লায় করোনা সচেতনতামূলক পোস্টারিংয়ের সময় শিবির নেতার উপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কুমিল্লা মনোহরগঞ্জে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত সচেতনতামূলক পোস্টারিং করার সময় স্থানীয় ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীগণ কর্তৃক ছাত্রশিবির মনোহরগঞ্জ উপজেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেনকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম ও নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নেও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা তাদের বিকৃত পৈশাচিকতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। ফলে দেশের ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বর্বর রুপ দেখতে হচ্ছে জাতিকে। জনগণকে করোনা বিষয়ে সচেতন করতে সচেতনতামূলক পোস্টারিং করার সময় কোন কারণ ছাড়াই কুমিল্লা মনোহরগঞ্জ উপজেলায় ছাত্রশিবির মনোহরগঞ্জ উপজেলা পশ্চিম শাখার সভাপতি মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেনের উপর হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংস হামলা চালিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। হামলায় নেতৃত্ব দেয় মরিচা গ্রামের ছাত্রলীগ কর্মী মমিন ও যুবলীগ নেতা মোঃ সাজু(স্থানীয় ইউপি মেম্বার)। তাদের সাথে ছিল শাহাপুর গ্রামের ছাত্রলীগ সন্ত্রাসী মো. ইউসুফ ও মো. বেলাল। ছাত্রলীগের এই হিংস্র বর্বরতায় ছাত্রজনতা হতবাক ও ক্ষুব্ধ। এই ঘৃণ্য অপকর্মের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।
নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে অজানা আশঙ্কায় দেশের মানুষ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে আছে। দেশের মানুষ যার যার অবস্থান থেকে করোনা পরিস্থিতি উত্তোরণে সাধ্যমত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরাও সাধ্যমত নানাবিধ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এখন ছাত্রলীগের কর্মীরাও যেখানে দেশের স্বার্থে জনগনের সেবায় যেখানে তৎপর থাকা উচিত ছিল, সেখানে উল্টো এ অবস্থাতেও তারা অপকর্মের ঘৃন্য নজির স্থাপন করে চলেছে। সম্প্রতি করোনা ভয়াবহতার মাঝেও পাবনার সুজানগরে পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক সুমন খানের নেতৃত্বে এক গৃহবধুকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। আজ বিনা কারণে কাপুরুষোচিতভাবে হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছে শিবির নেতা মোহাম্মদ ফাহাদ হোসেনকে। দেশের দু:সময়ে এমন অসভ্য বর্বরতার নজির স্থাপন করে ছাত্রলীগ তাদের জঙ্গিবাদী সন্ত্রাসবাদের বিকৃত রুপকে চূড়ান্তভাবে প্রকাশ করেছে।
অবিলম্বে হামলাকারী চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বেআইনি ও নৃশংস কর্মকান্ডের লাগাম টেনে ধরতে হবে। দেশবাসী কোনভাবেই ছাত্রলীগের বর্বরতা দেখতে প্রস্তুত নয়।

বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তিতে অভিনন্দন ও মাওলানা সাঈদীসহ ষাটোর্ধ্ব বয়সের বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহবান

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সদ্য কারামুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানিয়ে ও কারাগারে আটক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডলসহ ষাটোর্ধ্ব বয়সের বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা: শফিকুর রহমান ২৫ মার্চ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন:
“২৫ মাসেরও বেশী সময় কারাগারে বন্দী থাকার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২৫ মার্চ বুধবার মুক্তি লাভ করেন। তার মুক্তিতে জনগণের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আমরা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য একাধিকবার সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলার আইনী বেড়াজালে তাকে কারাগারে আটক করে রাখে। আজ কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করায় আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করছি। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে সরকার তাকে মুক্তি দিয়ে যে শুভবুদ্ধির পরিচয় দিয়েছে সে জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাই।
দেশ এক কঠিন পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে। আমরা লক্ষ্য করছি যে, দেশের কারাগারগুলোও করোনা ভাইরাসের বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপদ স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। করোনা সংক্রমণ থেকে উত্তরণের জন্য সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। এ সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে ইতোমধ্যে অনেক দেশ বন্দীদের মুক্তি দিয়ে উদাহরণ স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ অনুরূপ উদাহরণ স্থাপন করুক জনগণ তা চায়। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে কারাগারে আটকদের মধ্যে বিশেষ করে যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব তাদের দ্রুত মুক্তি দেয়া দরকার বলে আমরা মনে করি। বিশেষ করে বিশ্ববরেণ্য মুফাস্সিরে কুরআন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডল দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে বন্দী জীবন-যাপন করছেন। দেশের এ ক্রান্তিলগ্নে তারা সকলেই করোনা ভাইরাসের হুমকিতে রয়েছেন।
করোনা ভাইরাসে সংক্রমণের পরিস্থিতিতে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল খালেক মন্ডলসহ ষাটোর্ধ্ব বয়সের আটক সকল বন্দীদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”

মঙ্গলবার, ২৪ মার্চ, ২০২০

করোনাভাইরাস থেকে দেশ ও জাতিকে নিরাপদ রাখার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্য বন্ধ করার আহবান

 বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ২৩ মার্চ ২০২০, সোমবার, ৮:১৫
করোনা ভাইরাস থেকে দেশ ও জাতিকে নিরাপদ রাখার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন বক্তব্য বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৩ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,

“সারা বিশ্বের আলেম-উলামা ও ইসলামী চিন্তাবিদগণ একমত পোষণ করেছেন যে, বর্তমান বিশ্বের চলমান যে মহামারি তা মানুষের কারণেই। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ পাকের ঘোষণা, ‘তোমাদের ওপর যে বিপদ-আপদ আসে তা তোমাদেরই হাতের কামাই। আর অনেক অপরাধ তো তিনি ক্ষমাই করে দেন’। (সূরা আশ-শুরা: ৩০)
বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের অব্যাহত বিস্তৃতিতে দেশের মানুষ উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। মানুষ তার কৃতকর্মের জন্য অনুশোচনায় কাতর হয়ে আল্লাহর নিকট ধরণা দিচ্ছে। এমতাবস্থায় করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থী হওয়া উচিত।

রাষ্ট্রের দায়িত্বে নিয়োজিত সরকার দেশ ও জাতিকে নিরাপদ রাখার জন্য এখনো কার্যকর ও সন্তোষজনক কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি। দেশের নাগরিকদের অনিরাপদ অবস্থায় রেখে সরকারের কতিপয় মন্ত্রী-এমপিগণ যে ধরনের বেফাঁস কথা-বার্তা বলছেন, তা নিতান্তই বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু নয়। একজন মন্ত্রী বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাসের চেয়ে আমরা শক্তিশালী।’ আরেক মন্ত্রী বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা থাকতে করোনা ভাইরাস আমাদের কিছুই করতে পারবে না।’ এক মন্ত্রী বলেছেন, ‘আমরা করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি।’ আরেক জন মন্ত্রী বলেছেন, ’করোনা ভাইরাস মারাত্মক কোনো রোগ নয়, সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতই।’ ২৩ মার্চ মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেছেন, ‘ডাক্তারদের পিপিই-এর প্রয়োজন নেই।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এ বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য, অপ্রত্যাশিত ও অনভিপ্রেত এবং গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে উপহাসের শামিল। ইতোমধ্যেই খবর প্রকাশিত হয়েছে যে, ৪ জন ডাক্তার ও ২ জন নার্স কোয়ারেন্টিনে আছেন এবং একজন ডাক্তার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের এ ধরনের অযাচিত বক্তব্য অহমিকা ও অজ্ঞতার বহিঃপ্রকাশ এবং জনগণের সাথে উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের সরকার নিজ নিজ দেশে করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তিলাভের জন্য বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। সে তুলনায় বলতে গেলে আমাদের দেশের সরকার কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করেননি। আমরা বলতে চাই, করোনা ভাইরাস যে মহান আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন, তাঁর সাহায্য ছাড়া পরিত্রাণ পাওয়ার কোনো উপায় নেই। মন্ত্রী-এমপিগণ এ ধরনের আচরণ পরিহার করে আল্লাহর কাছে বিনয়ী হোন ও ক্ষমা প্রার্থনা করুন। দেশ ও জাতিকে হেফাযতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ধরণা দিন। করোনা ভাইরাসের মহামারি থেকে মুক্তিলাভের জন্য কুরআন-হাদীসের নির্দেশনা মেনে চলুন এবং আলেম-উলামাদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের লক্ষ্যে পর্যাপ্ত চিকিৎসাসহ সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শনিবার, ২১ মার্চ, ২০২০

কারাগার এ টি এম আজহারুল ইসলামের সাথে সাক্ষাত: এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ১৫ মার্চ এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপীলের পূর্নাংগ লিখিত রায় প্রকাশিত হয়।আইন অনুযায়ী ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ দায়েরের বিধান রয়েছে।রিভিউ দায়ের ও রায়ের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার জন্য আমরা আইনজীবীগন কাশেমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আজ তার সাথে সাক্ষাতের জন্য উপস্হিত হই।
রায়ের বিভিন্ন দিক আলোচনার পর তিনি বলেন আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি আমাকে মৃত্যুদন্ড থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন ।অপর বিচারপতিগণ আমাকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন।এটি একটি বিভক্তি রায়।আমি ন্যায় বিচার থেকে বন্চিত হয়েছি।তিনি আমাদেরকে রিভিউ দায়েরের নির্দেশ দেন।তিনি বলেন বিচারপতিদের বিভক্তি রায় প্রমান করে আমি হয়ত দুনিয়ার আদালতে ন্যায় বিচার পাবোনা। কিন্তু আখেরাতের আদালতে আমি অবশ্যই ন্যায় বিচার পাবো । দুনিয়ার জীবন আর কয়দিন! যেখানে অনন্তকাল থাকতে হবে আমি সেইদিন আল্লাহর কাছে পুরস্কার পেতে চাই ।
তিনি বলেন আমি মৃত্যুকে পরোয়া করিনা। আমি কোন অপরাধ করিনি অতএব আমার ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই।অন্যায় ভাবে একজন মানুষকে হত্যা করা সমগ্র মানব জাতিকে হত্যার শামিল।আমি শহীদি মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত।
করোনা ভাইরাসের বিস্তৃতিতে তিনি কোরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন মানুষ যখন অন্যায়, অবিচার,পাপাচার, ও সীমালংঘন করে আল্লাহ তখন বিভিন্ন ধরনের আপদ বিপদ নাজিল করেন ।এ বিপদ মুসিবৎ মানুষের হাতের কামাই। তিনি বলেন আমি এ দেশের একজন নাগরিক হিসেবে কারাগারে বন্দী থাকা অবস্হায় মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমাদেরকে মাফ করে দেন।তিনি দেশের জনগনকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ও বেশী বেশী করে ইস্তেগফার পড়ার আহবান জানান।
তিনি দেশবাসীকে সালাম জানান ও তার জন্য দোয়া করতে বলেন।

শুক্রবার, ২০ মার্চ, ২০২০

জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় ও করণীয় সম্পর্কে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ

করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে হলে আল্লাহর কাছে ধর্না দিতে হবে---মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহাজাহান বলেছেন, করোনা ভাইরাস মানুষের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি পরীক্ষা। এটা মানুষের হাতের কামাই। মানুষের বিভিন্ন অপরাধ ও দুষ্কর্মের ফসল। এই মহা বিপদ থেকে রক্ষার জন্য মহান আল্লাহকে ভয় করতে হবে। তিনি বলেন করোনায় আতংক নয় জনগণকে সচেতন করতে হবে। করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য কামনা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দেশে এখন ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত নেই। সকল প্রকার দুনীতি, জুলুম নির্যাতন ও অপরাধ বন্ধ করে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহর কাছে ধর্না দিতে হবে। একমাত্র মহান আল্লাহ তায়ালাই এই বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারে। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করতে পারে, নাজাত দিতে পারে। তিনি ভাইরাস প্রতিরোধে চিকিৎসকগণের বিধি ও নিয়ম মেনে চলার জন্য সকল কর্মী, সমর্থক, শুভাকাঙ্খী ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে চকবাজার এলাকায় বাদ জুমা এক পথ সভায় জনগণের মাঝে ভাইরাস প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে সচেতন করার জন্য লিফলেট বিতরণকালে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আয়োজিত এক সভা চকবাজার কাচাঁ বাজার জামে মসজিদ প্রঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ উল্লাহ, চকবাজার থানা জামায়াতের আমীর এ.কে.আনোয়ার,জামায়াত নেতা আবদুল হান্নান ও মুহাম্মদ ইলিয়াছ প্রমুখ। এ সময় নগর জামায়াত আমীর মাওলামা মুহাম্মদ শাহাজাহান মসজিদের মুসল্লি, ব্যবসায়ী ও এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট ও মাস্ক বিতরণ করেন।

বৃহস্পতিবার, ১৯ মার্চ, ২০২০

এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে সরকার প্রদত্ত ন্যায়ভ্রষ্ট রায় দেশবাসী ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে- ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, কোন অপরাধ নয় বরং রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে এবং জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করতেই জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিচারের নামে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অথচ এটিএম আজহারের বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও বানোয়াট। দেশবাসী সরকার প্রদত্ত এই ন্যায়ভ্রষ্ট রায় ঘৃনাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলেন, হঠকারীতা, হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি পরিহার করে অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুস সুবহান ও আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দণ্ডাদেশ বাতিল করে তাদের নিঃশর্ত মুক্তি দিন অন্যথায় আপনাদেরকেও একদিন জনতার কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি একথা বলেন। আজ শনিবার সকালে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ি বিশ্বরোড এলাকা থেকে শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এক সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, কামাল হোসাইন, শামছুর রহমান, শ্রমিক নেতা আব্দুস সালাম, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলওয়ার হোসাইন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল জাব্বার, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, আজম রুহুল কুদ্দুস, হাফিজুর রহমান, ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাহিত্য সম্পাদক রাজিফুল হাসান বাপ্পি, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন হেলালী, ঢাকা মহানগর পুর্বের সভাপতি হাফিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ফয়সাল আমিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, সরকার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে কথিত বিচারের নামে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যার ষড়যন্ত্র করছে। তারা রাজনৈতিক নেতাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করে দেশকে বধ্যভূমিতে পরিনত করছে।

মহামারী থেকে বাঁচতে আমাদের পূর্বসূরিদের আমল ||


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ইমাম ইবনু কাসীর রহ. তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ আল-বিদায়াহ ওয়ান নিহায়াতে উল্লেখ করেছেন,
.৪৭৮ হিজরিতে (ইংরেজি ১০৮৫ সালে) একটি রোগ এবং প্লেগ মহামারী আকার ধারণ করে ইরাক, সিরিয়া এবং হিজায অঞ্চল জুড়ে। এর ধরণটা ছিল প্রচণ্ড জ্বর হতো। মানুষজন, পশুপাখি, মোট কথা প্রাণীজগৎ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। চারিদিকে মৃত্যুর মিছিল শুরু হয়। আমিষের অভাবে ভুগছিল লোকজন। এক প্রকার কালো বাতাস আর বজ্রপাত গাছপালা উপড়ে ফেলছিল। লোকেরা ভাবতে শুরু করল কিয়ামত বুঝি চলে এসেছে!
.
এই মহামারী প্রতিরোধ করতে তৎকালীন আব্বাসি খলিফা আল-মুকতাদী বি-আমরিল্লাহ (মৃত্যু ৪৮৭ হি.) নির্দেশ জারী করলেন, সবাই যেন আমর বিল-মা'রূফ ওয়া নাহী আনিল-মুনকার করে; অর্থাৎ সৎ কাজে আদেশ এবং অসৎ কাজে বাঁধা প্রদানে নেমে পড়ে।
.
এতে করে সকল বাদ্য-যন্ত্র গুঁড়িয়ে দেয়া হলো। ভেঙে চুরমার করে দেয়া হলো মদের বোতল। আর দুর্নীতি সমূলে উচ্ছেদ করা হলো দেশ থেকে। ফলশ্রুতিতে কিছু কাল যেতেই সেই রোগ দূর হয়ে গেল।
-----------
সূত্র: আল-বিদায়াহ ওয়ান-নিহায়াহ, ১৩/২১৬
অনুবাদ: ওয়াফি লাইফ

মঙ্গলবার, ১৭ মার্চ, ২০২০

জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৭ মার্চ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম দীর্ঘ ৯ বছর যাবত সরকারের কারাগারে বন্দি। সরকার ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে গ্রেফতার করে। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। ডাণ্ডা বেড়ি পরিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি ২০১২ সালে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। এরপর তিনি বাসায় থাকাবস্থায় সরকারের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার বাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখে। বাড়ির চতুর্দিকে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে এক ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি করা হয়। এরপর তাকে পুনরায় গ্রেফতার করে তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত সরকারের দায়ের করা ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করে। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপীল দায়ের করেন। মাননীয় আপীল বিভাগ বিভক্তি রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। ১৫ মার্চ পূর্ণাঙ্গ লিখিত রায় প্রকাশিত হয়।

আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে, সরকারের দলীয় লোকদের মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। যে সব সাক্ষীর বক্তব্যের উপর ভিত্তি করে তাকে সাজা দেয়া হলো, তা বিশ্বাসযোগ্য নয়। একজন সাক্ষী বলেছেন, তিনি ৭ কিমি দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। অপর সাক্ষী বলেছেন, তিনি ৩ কিমি দূর থেকে ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। একজন সাক্ষী জনাব আজহার সাহেবের ক্লাসমেট দাবি করে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ঐ সাক্ষী ১৯৭০ সালে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। আর এটিএম আজহারুল ইসলাম তার ২ বছর পূর্বে অর্থাৎ ১৯৬৮ সালে কারমাইকেল কলেজ ত্যাগ করেন। এ সব সাক্ষীর বক্তব্য থেকে দেশ, জাতি ও বিশ্ববাসীর প্রশ্ন, সরকার দলীয় এ সব লোকদের মিথ্যা সাক্ষ্য বিশ্বাস করার কোনো যৌক্তিকতা আছে কিনা?

মূলত সরকার জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দকে একে একে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করছে। তারই সর্বশেষ শিকার জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম। জনাব আজহারুল ইসলাম একজন আইন অনুগত নাগরিক। তিনি এ রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দায়ের করবেন। আদালত ন্যায় বিচার নিশ্চিত করলে তার রিভিউ গৃহীত হবে এবং তিনি বেকসুর খালাস পাবেন ইনশাআল্লাহ।

আমরা রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বন্ধ করে জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে তাকে হত্যার সরকারি ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, গণতান্ত্রিক দেশ ও শান্তিকামী বিশ্ববাসী এবং দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

শনিবার, ১৪ মার্চ, ২০২০

করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে অন্যায়, অসৎ ও গর্হিত কাজ থেকে মুক্ত থেকে মহান আল্লাহর কাছে বেশি দোয়া করতে হবে - মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, করোনা ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের দেশেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রচারিত হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। তাই এই ক্রান্তিকালে আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহ তালাশের মাধ্যমেই সমূহ বিপদ থেকে পরিত্রাণ লাভ করা সম্ভব। মূলত বিপদ-আপদ আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে আর তিনিই তা থেকে পরিত্রাণ দান করেন। পবিত্র কালামে হাকীমের সুরা আল বাকারার ১৫৫ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, ‘যখন মুমিরা বিপদে পতিত হয়, তখন বলে, নিশ্চয় আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো।’ এমতাবস্থায় দেশ ও জাতিকে বিপর্যয়মুক্ত করার জন্য আল্লাহর তায়ালার অনুগত হয়ে তার সাহায্য কামনার কোন বিকল্প নেই। তিনি করোনা ভাইরাস সহ দেশ ও জাতিকে সকল প্রকার দুর্যোগ থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার রহমত কামনায় দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন।

তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর আয়োজিত করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য এক দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্য এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য নাজিম উদ্দীন মোল্লা ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, জামায়াত নেতা ইঞ্জিনিয়ার মোতাহার হোসেন ও ছাত্রনেতা আবু নাহিদ প্রমূখ।

সেলিম উদ্দিন বলেন, যে কোন রোগব্যাধি থেকে নিজেদেরকে মুক্ত রাখার জন্য কতগুলো সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। করোনা ভাইরাস থেকেও নিরাপদ থাকার জন্য চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ ইতোমধ্যে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। এসব সতর্কতামূলক পরামর্শগুলো মেনে চললে এই ভাইরাসের অনিষ্ট থেকে প্রায় মুক্ত থাকা সম্ভব। সেগুলো হচ্ছে, হাঁচি বা কাশি দেওয়ার সময় অবশ্যই টিস্যু দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখা, ঠাণ্ডা লাগা বা কাশি হওয়া রোগীদের সংস্পর্শে আসার সময় সতর্কতা অবলম্বন করা, জীবন্ত বন্য অথবা ফার্মের গবাদি পশুর সংস্পর্শ এড়িয়ে চলা, সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে খুব ভালোভাবে হাত পরিষ্কার রাখা, গোস্ত ও ডিম খাবার সময় ভালোভাবে সিদ্ধ করা, প্রচুর পরিমাণ ফলের রস ও পানি পান করা এবং মুখে মাস্ক ব্যবহার করা। তিনি এসব বিষয়ে গণসচেতনা সৃষ্টির জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান।
তিনি বলেন, কোন ধরনের দুরারোগ্য ব্যাধি দেখা দিলে রাসুল (সা.) আল্লাহর কাছে ধরণা দিতেন ও দোয়া করতেন-হে আল্লাহ! অবশ্যই আমি তোমার নিকট শ্বেত, উন্মাদনা, কুষ্ঠরোগ এবং সকল প্রকার দুরারোগ্য ব্যাধি হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি। (আবু দাউদ-১৫৫৪) তাই করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে অন্যায়, অসৎ ও গর্হিত কাজ থেকে মুক্ত থেকে মহান আল্লাহর কাছে বেশি দোয়া করতে হবে। পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা বাজায় রেখে যথাযথভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় ও নফল রোজা রাখতে হবে। তাহলেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদেরকে এই শাস্তি থেকে মুক্তি দান করবেন।

সোমবার, ২ মার্চ, ২০২০

গণসংযোগ পক্ষ: (০১-১৫ই মার্চ পুরুষ এবং ১৬-৩১শে মার্চ মহিলা ২০২০) উপলক্ষ্যে দেশবাসীর প্রতি আমীরে জামায়াতের আহবান

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীমঃ
সম্মানিত দেশবাসী ভাই ও বোনেরা
আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
আপনারা জানেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এদেশে নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক পদ্বতীতে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চায়। সে লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী দীর্ঘদিন ধরে এদেশের জনগনের পাশে থেকে মানুষের মুক্তি ও কল্যানের জন্যে কাজ করে যাচ্ছে।
এ কাজ মহান আল্লাহ নির্দেশিত কাজ যা মহান আল্লাহ প্রেরিত সকল নবী-রাসূলগণ করে গেছেন। আমাদের প্রিয় নবী শেষ নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা,) নবুয়তী জীবনের সবটুকু সময়ই আল্লাহর দেয়া বিধান ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করার ও প্রতিষ্ঠিত রাখার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন।
মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা,) কে শুধু ইসলাম প্রচার করার জন্যই পাঠাননি বরং অন্য সকল মতবাদের উপর ইসলামকে বিজয়ী করার দায়িত্বও দিয়েছিলেন। তাঁর অবর্তমানে উম্মতের উপরও একই দায়িত্ব বর্তায়। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন- "তিনিই সেই সত্তা যিনি তাঁর রাসুলকে হিদায়াত ও একমাত্র সত্য দ্বীন দিয়ে পাঠিয়েছেন যেন সেই দ্বীনকে আর সব দ্বীনের উপর বিজয়ী করেন।" (সূরা আত তাওবা : ৩৩, আল ফাতহ : ২৮. আস সফ: ৯ আয়াত)
শেষ নবী মুহাম্মাদ (সা.) এর পূর্বে যত নবী-রাসূল এসেছেন তাঁদের প্রতি এ একই দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষনা করেছেন-"তিনি তোমাদের জন্য দ্বীনের সেই নিয়ম-বিধান নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যার হুকুম তিনি নুহকে দিয়েছিলেন। আর যা (হে মুহাম্মাদ !) এখন তোমার প্রস্তুতি আমরা অহীর সাহায়্যে পাঠিয়েছি। আর যার হিদায়াত আমরা ইবরাহীম, মূসা ও ঈসাকে দিয়েছিলাম এই তাকীদ সহকারে যে, কায়েম কর এ দ্বীনকে এবং এতে বিভেদ-বিভক্তি-বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি করো না। " (সূরা আশ শূরা : ১৩)
কুরআনের অন্যত্র ঘোষনা করা হয়েছে "যে কেউ ইসলাম ছাড়া কোন ধর্ম-মতাদর্শ গ্রহন করতে চাইবে তার থেকে তা কখনো গ্রহন করা হবে না। আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থদের একজন।" (আলে ইমরান:৮৫)
সূরা বাকারার ২০৮ নং আয়াতে বলা হয়েছে "হে ইমানদার গন তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর এবং শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরন করো না। কারন শয়তান তোমাদের প্রকাশ্য ও ঘোষিত শত্রু।" ইসলাম কেবলমাত্র মুসলমানদের জন্য আল্লাহ পাকের উপহার নয়, এটি সমগ্র মানবতার জন্য মহান রবের এক বিশাল করুনা। যে কোন পরিচয়ের উর্ধ্বে উঠে সকল মানুষই এ থেকে উপকৃত হবে। আল্লাহ পাক সকলেরই মহান স্রষ্ঠা।
সচেতন দেশবাসী
রাষ্টীয় শক্তি ইসলামী না হলে কোন মুসলমানের পক্ষেই ইসলাম পরিপূর্ণভাবে মানা সম্ভব নয়। এজন্যই নবী-রাসুলগন সমাজে দ্বীন কায়েমের সর্বাত্নক প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। ইকামাতে দ্বীন বা ইসলাম প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব একা একা পালন করা সম্ভব নয় বলে নবীগন (আ:) সংঘবদ্বভাবে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। পবিত্র কুরানে আল্লাহ রব্বুল আলামীন ঘোষনা করেছেন-

" সকলে মিলে আল্লাহর রজ্জু শক্তভাবে ধারন কর এবং দলিতলিতে লিপ্ত হয়ো না। "(সূরা আলে ইমরান:১০৩) সূরা আস সফের ৪নং আয়াতে বলা হয়েছে "আল্লাহ সে সব লোকদের ভালোবাসেন যারা তাঁর পথে সংগ্রাম করে সীসাঢালা প্রাচীরের ন্যায় সুসংঘবদ্ধ হয়ে, মযবুতভাবে।"
মহান আল্লাহর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন যে, মেষের পাল থেকে আলাদা একটি মেষকে যেমন নেকড়ে বাঘ ধরে খায়, তেমনি জামায়ত থেকে বিচ্ছিন্ন থাকলে শয়তান নামক নেকড়ে বাঘের কবলে পড়তে হয়। তাই জামায়াতে ইসলামী সংঘবদ্ধ ভাবে ইসলাম বিজয়ের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে এবং ইসলামের পক্ষে বৃহৎ ঐক্য গড়ে তোলার কাজ করছে।
ঐক্যবদ্বভাবে দ্বীন পালন ও প্রতিষ্ঠার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা বা আন্দোলন করাকে সবচেয়ে বড় লাভজনক ব্যবসা বলে সূরা আস সফের ১০ থেকে ১৩ নম্বর আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে " হে ইমানদার লোকেরা আমি কি তোমাদের এমন এক ব্যবসার সন্দ্বান দেবো যা তোমাদের নাজাত (মুক্তি) দিবে বেদনা দায়ক আযাব থেকে ? তা হলো তোমরা ইমান রাখবে আল্লাহর প্রতি এবং তাঁর রসূলের প্রতি, আর জিহাদ (চেষ্টা-সংগ্রাম) করবে আল্লাহর পথে তোমাদের অর্থ-সম্পদ এবং জান-প্রান দিয়ে।। তোমাদের জন্য এটাই কল্যাণকর যদি তোমরা জনো। এব্যসা করলে তিনি ক্ষমা করে দেবেন তোমাদোর গুনাহসমূহ এবং তোমাদের প্রবেশ করাবেন এমন জান্নাতে যার নীচ দিয়ে থাকবে বহমান নদ-নদীর নহর। আরো থাকবে স্থায়ী জান্নাতে চমৎকার আবাস। (বাসগৃহ) সমূহ। এটাই মহা সাফল্য। তোমাদের জন্য আরো থাকবে যা তোমরা (দুনিয়ার জীবনে) আকাঙ্খা করো সেটা, অর্থাৎ আল্লাহর সাহায়্য আর নিকটবর্তী বিজয়। হে নবী মুমিনদের সূ-সংবাদ দাও।
এ ব্যবসাকে সফল পরিনতিতে পৌঁছানোর জন্যই ঐক্যবদ্ব হতে হবে। আর ভাতৃত্বের বন্দ্বনই ঐক্যকে অটুট রাখতে পারে। এ ঐক্যই হলো শয়তান ও বাতিল শক্তি থেকে আত্নরক্ষাকারী ঢাল এবং গুরুত্বপূর্ণ ফরজ। আল্লাহর প্রিয়ভাজন হবার উৎকৃষ্টতম উপায়।
সম্মানিত ভাই ও বোনেরা
আপনারা জানেন যে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আজ নানা সমস্যায় জর্জরিত। বর্তমান ক্ষমতাসীনদের কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা, অমানবিক কায়দায় প্রতিপক্ষকে দমন, হয়রানী হামলা-মামলা দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দুূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, চাঁদাবাজি, শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, মাদকের ভয়াবহ ছোবল ইত্যাদি কারণে মানুষ আজ দিশেহারা। জনগন তাদের ভোটাধিকারটুকুও হারিয়েছে। বিশেষ করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্বে মিথ্যা প্রচারনা, অপবাদ, ইসলাম ও ইসলাম শিক্ষার বিরুদ্বে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চলছে যার মাধ্যমে প্রকারান্তরে সূ-কৌশলে ইসলামের ভিত্তিমূলে আঘাত হানা হচ্ছে। আলেম-ওলামা ও ধর্মপরায়ন মানুষসহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ও নানা ভাবে নিগৃহীত হচ্ছে। নৈরাজ্য, নিরাপত্তাহীনতা, হতাশা, উদ্বেগ, উৎকন্ঠা আজ নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের বাইরের অবস্থাও উদ্বেগজনক। বর্তমান বিশ্বে ৫৭ টি মুসলিম দেশ, প্রায় ১৫০ কোটি মুসলিম জনসংখ্যা, বিশ্ব সম্পদের প্রায় ৫৫% মুসলমানদের হাতে কিন্তু সারা বিশ্বে মুসলিমগন নির্যাতিত, নিপীড়িত, অবহেলিত ও পদদলিত।

আজ সমস্ত আরব বিশ্ব একটি টালমাটাল অবস্থার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে, অনৈক্য, হানা-হানি, এক ভাইয়ের রক্তে অপর ভাইয়ের হাত রন্জিত। মাত্র কয়েক লাখ ইহুদির হাতে মুসলমানতের ইজ্জত আব্রু ও সম্মান ভুলুন্ঠিত। মাযানমারের মুসলমানরা আজ নির্বাসিত, রাষ্টহীন ও মযলুম। কাশ্মীরের ভাগ্যাহত মুসলমান, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, সীরিয়া সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের অবস্থা আমাদের অজানা নয়। প্রতিপক্ষ শক্তি মুসলমানদের বিরুদ্বে আজ ঐক্যবদ্ব আর আমরা মুসলিমরা অনৈক্য ও প্রতিহিংসায় লিপ্ত। অথচ মুসলমানদেরই হওয়ার কথা ছিল সীসাঢালা প্রাচীরের মত ঐক্যবদ্ব।
এমতাবস্থায় আল্লাহ রব্বুল আলামীনের সেই আয়াতের প্রতিধ্বনিই যেন আমরা শুতে পাই যেখানে মহান আল্লাহ বলেন-
"তোমাদের কী হয়েছে, কেন তোমরা সংগ্রাম করছো না আল্লাহর পথে ! সেই সব দুর্বল অসহায় নর-নারী ও শিশুদের জন্যে, যারা ফরিয়াদ করে বলছে: "আমাদের প্রভু ! আমাদের বের করে নাও এই জনপদ থেকে। এর অধিবাসীরা যালিম। আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্যে একজন অলির (অভিভাবকের) ব্যবস্থা করে দাও এবং ব্যবস্থা করে দাও একজন সাহায্যকারীর। " (সূরা আন নিসা: ৭৫)

সূ-প্রিয় দেশবাসী
বস্তুত: আজ আমাদের দেশের মানুষ এ কঠিন সংকট থেকে পরিত্রান চায়। কায়েমী স্বার্থবাদী মহলের ভয়ে অনেকেই হক কথা বলতে সাহস পায় না। অথচ পৃথিবীর ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় প্রতিটি সমাজ বিপ্লবে প্রভাবশালী ও স্বার্থবাদী মহল নয় সাধারন মানুষের আহাজারী ও আকাঙ্খারই বিজয় হয়েছে। সংকটাপন্ন সভ্যতায় মহান আল্লাহই বিপন্ন মানুষের মুক্তির জন্য নতুন শক্তির জন্ম দেন। আমরা বাংলাদেশের রাজনীতির বিপর্যস্থ অবস্থায় জনগনের মনে আশার আলো জালাতে চাই। যে রাজনীতি প্রতিসিংসার বদলে রক্তপাতহীনভাবে মক্কা বিজয় ও পরম শত্রুকে নিরাপত্তা দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরার শিক্ষা দেয় সে রাজনীতি দিয়ে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র এদেশের জনগনকে উপহার দেয়ার জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি, একাজ ইমানের দাবী, শেষ নবীর (সা,) মূল মিশন ও সাহাবায়ে কেরামের পবিত্র জীবন ধারা। মহান আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেছেন- "যদি জনপদের লোকেরা ইমান আনতো এবং তাকওয়ার নীতি অবলম্বন করতো তাহলে আমি তাদের জন্য আকাশ ও পৃথিবীর বরকতসমূহের দুয়ার খুলে দিতাম।।" (সূরা আল আরাফ : ৯৬)

এ ধরনের একটি সৎ, আল্লাহভীরু, জবাবদিহিতার সমাজ, জান্নাতি সমাজের কারিগর তৈরীর স্কীম হাতে নিয়েই জামায়াত অগ্রসর হচ্ছে।
তাই এদেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ, সুশীল সমাজ, আলেম-উলামা, শ্রমিক-জনতা সকলের কাছে আবেদন আসুন! এমন একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তুলি যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই জানমালের নিরাপত্তাসহ পরম শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।
আর একাজে প্রচেষ্টারত শত-শত শহীদের দ্বীনি কাফেলা "বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীতে আপনিও শামিল হয়ে দুনিয়ার কল্যাণ ও আখেরাতের নাজাতের পথে এগিয়ে আসবেন, এটাই আমার প্রত্তাসা।।
মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন এবং আল্লাহ তা'য়ালা প্রদত্ত ইকামতে দ্বীনের কাজে যথার্থ ভূমিকা রাখার তৌফিক দান করুন। আমীন।।
আল্লাহ হাফিজ
ডা: মো: শফিকুর রহমান
আমীর
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

রবিবার, ১ মার্চ, ২০২০

মসজিদে আগুন দেয়ার মাধ্যমে উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা দেড়শ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আগুন দিয়েছে- ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ভারতের দিল্লীতে উগ্রপন্থী হিন্দুরা শুধুমাত্র মসজিদেই আগুন দেয়নি, এই আগুন দেয়ার মাধ্যমে তারা সারাবিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের হৃদয়ে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছে। ভারত স্বাধীন হয়েছিল মুসলমানদের রক্তের বিনিময়ে। ৯২ হাজার শহীদের মধ্যমে ৬৫ হাজার মুসলমান জীবন দিয়ে ভারতকে স্বাধীন করেছিল। অথচ আজ দিল্লিতে সেই মুসলমানদের ওপর নির্যাতন চলছে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। সেখানে কোনও নিরাপত্তা নেই। আগুন দিয়ে মসজিদ ও ঘরবাড়ি পোড়ানো হচ্ছে। এই স্বাধীনতার শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি করলে, মুসলমানদের রক্ত নিয়ে হোলি খেললে ভারত ভেঙে খান খান হয়ে যাবে। সাম্প্রতিক সময়ে চীনকে দেখে ভারত সরকারের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিৎ। বিশ্বায়নের এই যুগে পৃথিবীতে এককভাবে টিকে থাকা সম্ভব নয়। অনতিবিলম্বে ভারতকে এই নির্যাতন ও হত্যাকান্ড বন্ধ করতে হবে। অন্যথায় ১৫০ কোটি মুসলমান সারাবিশ্ব থেকে ভারতকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে।