ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২১

মুসলিম জাতির উদ্দেশ্যে একজন ইহুদি যুবকের মেসেজ!

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আমি একজন ইহুদি। এতে আমি গর্বিত। কেননা দুনিয়ায় আজ আমাদেরই রাজত্ব। জিহাদে তোমাদের সাথে পেরে উঠতে না পেরে আমরা কি করেছি জান?? খুব সহজে তোমাদের যুবতিদের থেকে পর্দা উঠিয়ে দিয়েছি। কোরআনের শিক্ষা থেকে তোমাদের সরিয়ে দিয়েছি। তোমাদের কাছে আমাদের পোশাক পাঠিয়ে দিয়েছি, আমাদের সংস্কৃতি পাঠিয়ে দিয়েছি, আমাদের সভ্যতা রপ্তানি করেছি।

তোমাদের শপিংমলগুলোর দিকে তাকাও। কি দেখতে পাচ্ছ?? সব উলঙ্গ পোশাকের মেলা। তাই না? মজার ব্যপার হল, তোমরা বড় সহজে তা গ্রহণ করে নিয়েছ। তোমরা কি জান না?? লুত সম্প্রদায়ের এই হাল ছিল?? কত নির্বোধ তোমরা!! হাহাহা।
তোমরা শ্লোগান দেও, ইহুদিরা আমাদের পবিত্র ভূমি ছিনিয়ে নিয়েছে, আমাদের প্রথম কিবলা দখল করে রেখেছে, কোরআন সুন্নাহকে শেষ করে দিচ্ছে, কিন্তু কই?? কি করেছ তোমরা?? কিছুই করতে পারনি। পারবেও না। হাহাহা।
দৃষ্টি মেলে তাকাও, রাস্তায় রাস্তায় তোমাদের যুবতিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। আহ ! কি খুশির কথা ! তোমাদের অবস্থা সূচনীয়। তোমরা মুসলমানরা শেষ হয়ে গেছ। প্রভূ আমাদের সহায় হোন। তোমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা বদলে দিয়েছি। সেখানে ইসলাম বলতে কিছুই নেই। আছে কিছু বিকৃত মতবাদ। টেলিভিশনে দিয়েছি সব নিচু মানষিকতার প্রোগ্রামস। তোমাদের এখন চুপচাপ থেকে আমাদের বাতলানো পথে চলাই ভাল। যদি বাঁচতে চাও। আর দেখে যাও আমাদের প্রোগ্রামগুলো।
আমরা তোমাদের যুবকদের মগজকে নষ্ট করে
দিয়েছি। এক সময় তোমরা বড় সম্মানী জাতি ছিলে। এখন আমরা সম্মানী। তোমাদের যুবকরা আমাদের হাতের দিকে তাকিয়ে থাকে। তোমরা এখন চাকর জাতি। আমরাই তোমাদের এখন পরিচালনা করি।
তোমাদের জাতীয় ভাষাকে আমরা বদলে দিয়েছি। যে ভাষায় কোরআন, যে ভাষা স্বর্গের, যে ভাষা তোমাদের নবীর। এখন তোমরা আমাদের ভাষা শিখে, আমাদের ভাষায় (হাই, হ্যালো, মার্সি ইত্যাদি) কথা বলতে পেরে গর্ববোধ কর। এখন তোমরা আরবি ভাষাকে অহেতুক মনে কর। হাহাহা।
তোমরা একতাবদ্ধ থাকো সেটা আমাদের পছন্দ হয়নি। তাই তোমাদের মসজিদে মসজিদে বিরোধী ফিরকা তৈরি করে দিয়েছি। এখন তোমরা মুসলমান মুসলমানের সাথেই লড়ছ। আমরা তোমাদের দ্বীনকে বড় গভীরভাবে অধ্যায়ন করেছি এবং ছোট ছোট মাসআলা দিয়ে
তোমাদের মধ্যে ফিরকা তৈরি করেছি। তোমরা এখন সেই আগুনেই পোড়ে মরছ। এখন তোমাদের বাচ্চারা সিরিয়াল দেখে দেখে বড় হয়। আর তোমরা তাদেরকে শান্ত রাখতে সিরিয়ালে মত্ত রাখ আর নিজেরা ডুবে থাকো অন্য সিরিয়ালে। হাহা।
অধ্যায়ন থেকে তোমাদের দূরে রাখতে আমরা বিভিন্ন ধরনের গেমস আবিষ্কার করেছি। যাতে তোমরা গেমসে ব্যস্ত থেকে কোরআনের জ্ঞানার্জন করতে না পার। কোরআনকে ভুলে যাও, তোমাদের আলেমদের ভুলে যাও, মুসলিম বিজ্ঞানীদের ভুলে যাও।
তোমাদের নতুন প্রজন্ম এমন প্রজন্ম, যারা সত্য বলতে ভয় পায়, সত্য না বলাকে হেকমত মনে করে। আমরা তোমাদেরকে এমন এক মিডিয়া দিয়েছি যাতে সারাদিন পড়ে থাকা যায় ও নামাজ, কোরান থেকে দুরে রাখা যায়। এটা আমাদেরই সফলতা। হাহাহা।
আমরা ইহুদি জাতি এই কথার উপর গর্ব করি যে, আমরা সংখ্যায় অতি নগণ্য হয়েও তোমাদেরকে আজ তরকারির ন্যায় খরিদ করে নিয়েছি। আর এতে তোমরা মোটেও চিন্তিত নও। বরং আমাদের অধিনে কাজ করতে পেরে তোমরা গর্ববোধ কর। প্রভূ আমাদের কৃপা করুন। যাতে একজন মুসলিমও না থাকে।
[একটি আরবি লিখা থেকে অনুবাদ করা ]

বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২১

করোনার টিকা বিষয়ে জনগণের সংশয়-সন্দেহের যৌক্তিক অবসান চাই

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ করোনা মানব জাতির জন্য বিশাল এক পরীক্ষা। ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। আবার অনেকেই আল্লাহ তায়ালার একান্ত মেহেরবাণীতে সুস্থও হয়ে উঠেছেন।


করোনো পরিস্থিতির সূচনালগ্ন থেকেই বাংলাদেশে নানাবিধ অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা বিরাজ করছে। এমনকি পদে পদে দুর্নীতির ভয়াবহ তাণ্ডব আমরা লক্ষ্য করছি। দায়িত্বপ্রাপ্ত অনেক ব্যক্তি এ বিষয়ে শুরু থেকেই কাণ্ডজ্ঞানহীন বক্তব্য রেখে জাতিকে হতাশ ও বিভ্রান্ত করেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে দেশ এখনো মোটেই ভালো নেই।

করোনার প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দুনিয়ার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান আবিষ্কার করেছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার প্রয়োগও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। কোথাও কোথাও উদ্বেগজনকভাবে প্বার্শপ্রতিক্রিয়া পরিলক্ষিত হচ্ছে। করোনার এই টিকা বিশ্ব সম্প্রদায়ের মতো বাংলাদেশের জনগণেরও পাওয়ার হক রয়েছে।

সরকার ভারত থেকে এই টিকা আমদানির উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এদিকে ভারতের দু’টি টিকা প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টিকার গুণগত মান নিয়ে পরস্পরের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উত্থাপন করেছে। যা মিডিয়ার সুবাধে ইতিমধ্যে বিশ্ববাসী জানতে পেরেছে। একদিকে মানুষের জীবন করোনা সংক্রমণের কারণে বিরাট ঝুঁকিতে রয়েছে। আবার অন্যদিকে করোনার টিকার কারণে আরেকটি উদ্বেগজনক ঝুঁকি যদি মানুষের উপরে চলে আসে, তাহলে এটা হবে “মরার উপরে খাড়ার ঘা”।

টিকা বিষয়ে পরবর্তী যেকোন উদ্যোগ গ্রহণের আগে টিকার গুণগত মান ও প্বার্শপ্রতিক্রিয়ামুক্ত হওয়া বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া একান্ত প্রয়োজন। 

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২১

জামায়াত নেতা হাফেজ মাওলানা ‍নুরুল আমীন’র ইন্তেকাল

 

জামায়াত নেতা হাফেজ মাওলানা নুরুল আমীন  সাহেব এর ইন্তেকাল
দাগন ভুইয়া উপজেলার দক্ষিন আলি পুর নিবাসী, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী দাগনভুইয়া পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের নায়েবে আমীর আজ রাত ২.৩০ ঘটিকায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন।

আজ বাদ যোহর উনার নিজ বাড়ি দক্ষিন আলিপুর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
ড. মুহাম্মদ ফখরুদ্দিন মানিক তার ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন। বিবৃতিতে তিনি উল্লেখ করেন, 
“আল্লাহ তার সকল দ্বীনি খেদমত কবুল করুন,জান্নাতের মেহমান বানিয়ে নিন,পরিবার, আত্মীয় প্রতিবেশী এবং সহকর্মীদের ধৈর্য্য ধারনের তৌফিক দিন, আমীন।”

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রশ্নে কমরেড মাহমুদ এর যৌক্তিক বিশ্লেষণ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবের প্রশ্ন ছিলো "রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর স্ত্রী'গনকে বিয়ে করা যাবে না কেনো? আব্বাসী সাহেব বললেন, আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, নবীর স্ত্রী'গন তোমাদের মা। মা'কে বিবাহ করা হারাম। তখন জাফরুল্লাহ বললেন, এমনকি হতে পারে না, উনি চান নাই উনার স্ত্রী'গণকে কেউ বিয়ে করুক তাই সেইভাবে আল্লাহর নিকট থেকে আয়াত নাজিল করিয়েছেন"!

এই প্রশ্নে দু'টি জিনিস ফুটে ওঠে। এক. জাফরুল্লাহ সাহেব সরাসরি বলার সাহস পাচ্ছেন না কিন্তু মনে করেন এসব আয়াত আল্লাহর নিকট থেকে আসে নাই, রাসুলুল্লাহ নিজের দরকার মতো বানিয়েছেন (নাউজুবিল্লাহ), দুই, অথবা উনি মনে করেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উনার দরকার মতো আয়াত আল্লাহর নিকট থেকে নিয়ে আসতে পারতেন! এগুলো চিন্তাভাবনা কিন্তু নাস্তিকতার পরিচয়।
এই যায়গায় আব্বাসী সাহেব অসাধারণ উত্তর দিয়েছেন। প্রথমেই তিনি বলেন, আপনার সম্ভবত পুরো কোরআনের উপর বিশ্বাস নেই। কিছু আয়াতে বিশ্বাস আছে কিছু আয়াতে নেই। আপনার তওবা পড়া উচিত এবং আমি আপনার হেদায়েত কামনা করছি।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যদি নিজের ইচ্ছামত আয়াত চেয়ে নিয়ে আসতেন তবে গোটা কোরআনে নিজের মায়ের কথা একবারও আনলেন না কেনো! নিজের প্রিয় মা'কে নিয়ে একটা আয়াত অন্তত আনতেন। কোন স্ত্রী'গনের নামে কোন আয়াত সুরা নেই। দুঃসময়ে পাশে থাকা প্রিয় স্ত্রী বিবি খাদিজাকে নিয়ে অন্তত একটা সুরা আনতেন। অন্যদিকে কোরআনে আছে অন্য নবীর মা মরিয়মের নামে সুরা। কেনো? কারন আল্লাহ যেভাবে চেয়েছেন উনার ইচ্ছামাফিক কোরআন নাজিল হয়েছে।"
এটা গেলো আব্বাসী সাহেবের চমতকার যৌক্তিক উত্তর। এই বিষয়ে আমার নিজের কাছে একটা উদাহরণ আছে। "আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের মারা যাওয়ার পর তার পুত্র এসে কান্নাকাটি করে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে অনুরোধ করলেন পিতার জানাজা পড়ানোর এবং গায়ের একটা জামা দিতে। সেটা দিয়ে দাফন করতে চাইলেন যদি আল্লাহ ক্ষমা করেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের সাহাবী পুত্রের কথা অনুযায়ী গায়ের জামা দিয়ে দিলেন এবং জানাজা পড়াতে রাজি হলেন। হযরত ওমর (রাঃ) এসে বাঁধা দিলেন জানাজা না পড়াতে। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বললেন আমি ৭০ বার জানাজা পড়ালেও কাজ হবে না। ছেলেটা এতকরে বলছে আমি পড়াই! আল্লাহ তো আমাকে নিষেধ করেননি, বলেছে আপনি ৭০ বার পড়ান বা না পড়ান তাতে কোন লাভ হবে না!
পরবর্তীতে আল্লাহ কোরআন নাজিল করে বলে দিলেন ওদের জানাজাও আপনি পড়াবেন না।"
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজের ইচ্ছামত আয়াত আনলে উনার চাওয়ার বিপরীতে আয়াত নাজিল হতো না। উনি জানাজা পড়ানোতে রাজি ছিলেন কিন্তু আল্লাহ নিষেধ করে দিলেন।
মুল বিষয় হলো, এসব জ্ঞানী লোকদের নিকট কোরআনের কোন জ্ঞান নেই। আর যে ব্যাক্তির কাছে কোরআনের জ্ঞান নেই তিনি পৃথিবীর সেরা মুর্খ। বলা যায় শিক্ষিত মুর্খ...
( Shafiqur Rahman)

সালাতে ধীর-স্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রসূল (সাঃ) বলেন, যখন সালাত শুরু হয়, তখন দৌড়িয়ে গিয়ে সালাতে যোগদান করবে না, বরং হেঁটে গিয়ে সালাতে যোগদান করবে।

সালাতে ধীর-স্থিরভাবে যাওয়া তোমাদের জন্য অপরিহার্য। কাজেই জামা’আতের সাথে সালাত যতটুকু পাও আদায় কর, আর ছুটে গেছে, পরে তা পূর্ণ  করে নাও। 

রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১

মিসরে বাড়তি টমাটো শুকিয়ে সংরক্ষণ করছে চাষীরা

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ মধ্যপ্রাচ্যের একটা বিদেশী কাগজে গতকালই এই ছবিগুলো প্রকাশিত হলো। মিসরে বাড়তি টমাটো এভাবে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়।

.
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সূর্যের আলোতে শুকানো টমাটোর বেশ চাহিদাও আছে। মিসরের চাষীরা এখন সেই সুযোগ নিচ্ছে। দেশটিতে একসময় বিপুল টমাটো অপচয় হতো।
.
আমাদের দেশেও প্রতি শীতে মওসুমের শেষের দিকে অনেক সবজি উৎপাদকই ভালো দাম পান না।
.
গত মাসেই ঢাকার কাছের সাভারে ক্ষেতে ও রাস্তার ধারে অনেক সবজি পড়ে থাকতে দেখলাম। কৃষকরা সেখানে সেসব বাজারে নিতেও ইচ্ছুক নয়।
.
মিসরে সূর্যের আলোতে স্বল্প খরচে টমাটো শুকানো এবং সেগুলো মোড়কজাত করার প্রযুক্তি বাংলাদেশের অনেক চাষীর জন্যই একটা ভালো বিকল্প হতে পারে।
.
এটা ব্যাপকতা পেলে-- অনেক জেলাতেই গ্রামে নারী-পুরুষ সকলের কর্মসংস্থানের একটা ভালো উপায় হতো।

বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২১

ঢাকা মহানগরী উত্তর, গুলশান পশ্চিম থানার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন।

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ জানুয়ারী ১৯,২০২১ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ঢাকা মহানগরী উত্তর, গুলশান পশ্চিম থানার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন।

ঢাকা মহানগরী উত্তর, গুলশান পশ্চিম থানার উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন আজ সকালে রাজধানীর কড়াইল বস্তি এলাকায় যান, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের সাথে কথা বলেন, তাদের খোঁজ খবর নেন এবং গুলশান পশ্চিম থানার উদ্যোগে শীতবস্ত্র উপহার প্রদান করেন।

শহীদের স্বপ্নের ইসলামী সমাজ বিনির্মানের জন্য প্রয়োজন সেই পর্যায়ের ঈমান এবং আমল

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ "শাহাদাতের দিন রোযা রেখেছিলেন শহীদ মীর কাশেম আলী। পরিবারের পক্ষ থেকে আনা সুস্বাদু খাবার পুলিশ সদস্যদেরকে দিয়ে দিতে বলেছিলেন, নীল আকাশী পাঞ্জাবীর উপর সাদা এম্রোডারীর জামা পরে শাহাদাতের তাম্মানায় উজ্জিবিত ছিলেন আমার বাবা।"- সুমাইয়া রাবেয়া।

জামায়েতে ইসলামী এ উপমহাদেশে কিছু সোনার মানুষ তৈরী করছে, আলহামদুলিল্লাহ্। যারা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না, গভীর রাতে তাদের অশ্রু জানামাজ ভিজায়। গোলাম মাওলা রনি বলেন; কারাগারের ভিতরে প্রত্যাক নামাজে মীর কাশেম আলী জামা বদলিয়ে পরিচ্ছন্ন আরেকটি জামা পরতেন। জান্নাতে গিয়ে লাঞ্চ করবেন এই প্রত্যাশায় পরিবারের খাবার ফিরিয়ে দেন। ঈমানের দীপ্ত চেতনা এবং শহীদী তামান্নাই বিদেশ থেকে দেশে ফিরে এসেছিলেন।
শহীদের স্বপ্নের ইসলামী সমাজ বিনির্মানের জন্য প্রয়োজন সেই পর্যায়ের ঈমান এবং আমল। আধ্যাতিক শক্তি যুগে যুগে ইসলামী বিপ্লবকে তরান্বিত করেছে। সংকীর্ণ জাতিয়তাবাদের উর্দ্ধে উঠে এ বিপ্লবকে তরান্বিত করা সম্ভব।
" Politics sometimes create divisions between us." its also kind of nationalism. Love, respect, care and tolerance have a fruitful consequence which we don't realize in the beginning of planting. If we would of knew then we would of more cautious about it.
I have shared recently a video where a non-muslim stand for Muslim right ( Athan). It was possible because in Durban Hindu and Muslims live with peace and harmony. They never hate each other for religion rather they value their cultural homogeneity. In Cape town, the funeral of Christian or Muslims all the religious people express their condolence.
এখন আরেকটু সেনসেটিভ বিষয় ডিসকাস করবো। আমরা অনেক সময় দূরের মানুষ থেকে কাছের মানুষকে বেশি ঘৃণা করি। ভাইয়ের চেয়ে বন্ধু আপন। আমাদের একজনের ছোট দাড়ি, মসজিদে অনিয়মিত, আহলে হাদিস, তাবলীগী, চরমোনাই, আটরশীর মুরিদ কিংবা জামায়াত কর্মীকে বাকা দৃষ্টিতে দেখি। প্রতিটি মানুষের মন্দের পাশাপাশি কিছু ভাল দিক আছে। ভাল দিকের কদর করলে আপনা আপনি মন্দটি দূরিভূত হয়।
জামায়াতে ইসলামীর রিপোর্ট বইয়ের টার্গেট ভিত্তিক দাওয়াতী কাজের বাহিরে একজন মুসলিমের হওয়া চাই 24 ঘন্টা দাওয়াতি বা সমাজসেবা মূলক কাজ। একজন মানুষকে গাশতে গিয়ে 40 মিনিট কুরআন হাদীসের আলোকে যা বুঝানো হয় এক লোকমা ভাত মহব্বতের সাথে খাওয়ানোর সময় নিজের গোস্তের টুকরো অপরের দিকে বাড়িয়ে দেওয়ার ন্যায় বাস্তব জীবনে অগ্রাধিকার দেওয়ার ইফেক্ট অনেক বেশি।
প্রবাসে দেখলাম একজনের রোগ (সমস্যা) তো আরেকজনের সূখ/ধান্দা। আমিও তো বিনা স্বার্থে কিছুই করি না, আবার মানুষের আমানতের ও খেয়ানত করি। আমি মরলে কি আজ মানুষ কাঁদবে! পরোপকারে মিলে খোদার সন্তুষ্টি। আমার ব্যাবহারে যদি কিছু মানুষ অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলামকে ভালোবাসে সেটি সবচেয়ে বড় পাওয়া।
ইসলামী সমাজ বিনির্মানের অগ্রপথিক শহীদ মীর কাশেম অসংখ্য প্রতিষ্ঠান গড়েছেন। আল্লাহ তার আমলে সালেহগুলো কবুল করে, ক্ষমা করে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন।
আল্লাহুম্মাগফির লাহু ওরহামহু ও আসকিনহু ফিল জান্নাহ। কপি পোস্ট

সোমবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২১

আদালতে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী: আপনি ন্যায় বিচার ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা করুন

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আজ(সোমবার) সকাল সাড়ে ৯ টায় রাজধানীর পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী হাফিজাহুল্লাহকে হাজির করা হয়। মিথ্যে ও বানোয়াট মামলায় চার্জ গঠনের দিন ধার্য্য ছিলো।


প্রসিকিউশন ও আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে আদালতের অনুমতিক্রমে অন্যায়ভাবে চার্জ গঠনের ব্যাপারে আল্লামা সাঈদী আদালতে সংক্ষিপ্ত কথা বলেন।

আদালতের উদ্দেশে আল্লামা সাঈদী বলেন -
'রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, হয়রানী ও আমার চরিত্রহননের হীন উদ্দেশ্যেই 'যাকাতের টাকা আত্নসাতের' মতো নিকৃষ্ট মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের সাথে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। আমি আমার আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে বলছি, যাকাতের এই টাকা আমি দেখি নাই, ধরি নাই, তালিকা করি নাই, বিতরণও করি নাই।'

'সবাইকেই একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে। অন্যায়ভাবে যারা আমার প্রতি জুলুম করছেন তাদেরকে অবশ্যই আল্লাহর আদালতে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (ﷺ)-এর ওয়াদা অনুযায়ী মিথ্যা স্বাক্ষ্যদানকারীরা হবে জাহান্নামী।'

'মাননীয় আদালত! আমার বয়স ৮২ বছর। আমি শারিরীকভাবে অসুস্থ। আমি হার্ট, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের পেশেন্ট। আমি নির্দোষ। আমি আপনার কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করি। আপনি ন্যায় বিচার করুন এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা করুন। বয়স ও শারিরীক অসুস্থতা বিবেচনা করে হলেও মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানীমূলক এই নিকৃষ্ট মামলা থেকে আমাকে অব্যহতি দিন। আল্লাহকে ভয় করুন।' 

রবিবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২১

জামায়াতে ইসলামী হিন্দ এর সিনিয়র নেতা ড. মোহাম্মদ রাফাতের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার, বহু গ্রন্থ প্রণেতা এবং জামায়াতে ইসলামী হিন্দ এর সিনিয়র নেতা ড. মোহাম্মদ রাফাতের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ১০ জানুয়ারি এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।

শোকবাণীতে তিনি বলেন, “বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার, বহু গ্রন্থ প্রণেতা এবং জামায়াতে ইসলামী হিন্দ এর সিনিয়র নেতা ড. মোহাম্মদ রাফাত গত ৮ জানুয়ারি ২০২১ ভারতের নয়া দিল্লির আল-শিফা হাসপাতালে ইন্তিকাল করেছেন। সম্প্রতি তিনি জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি একজন লেখক ও গবেষক হিসেবে বহু গ্রন্ত রচনা করেছেন। তার ইন্তিকালে মুসলিম উম্মাহ একজন বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও ইসলামিক ব্যক্তিত্বকে হারালো। আমরা তার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তার শোকাহত পরিবার, দলীয় সহকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
মহান আল্লাহ তায়ালা তার নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চ মর্যাদা দান করুন।”

আট টুকরো পিজ্জা তাকে লাইফের নতুন অর্থ শিখিয়েছে।

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ১০ জানুয়ারী ২০২১ সাল
স্ত্রী : এতোগুলো কাপড় ধোয়ার জন্য ফেলে রেখোনা।

স্বামী : কেন?
স্ত্রী : খালা(বুয়া) আগামী ২দিন আসবেন না।
স্বামী : কেন?
স্ত্রী : তিনি মেয়ের বাড়িতে নাতনীকে দেখতে যাবেন।
স্বামী : ওকে! তাহলে কিছু কাপড় আমি নিজেই ধুয়ে ফেলবো।
স্ত্রী : আমি কি উনাকে ১০০০টাকা অতিরিক্ত দিতে পারি???
স্বামী : কেন? সামনে তো ঈদ! তখন তো তাকে এমনিতেই বোনাস দিতে হবে!
স্ত্রী : ওহ জান! তিনি তার মেয়ে এবং নাতনীকে দেখতে যাবেন।যাওয়ার সময় তিনি হয়তো তাদের জন্য কিছু নিয়ে যাবেন।আজকাল সবকিছুর দাম বাড়তি।যাওয়ার সময় তার কিছু টাকার প্রয়োজন!
স্বামী : তুমি অতি সহজেই ইমোশনাল হয়ে পড়ো!
স্ত্রী : ওহ জান! তুমি চিন্তা করোনা,তোমাকে অতিরিক্ত খরচ করতে হবেনা।আজ বিকেলে রেস্টুরেন্টে পিজ্জা খাওয়ার যে কথাটা ছিলো,সেটা আমি খাবোনা। কেন শুধু শুধু কয়েকটুকরো ব্রেড খাওয়ার জন্য এতোগুলো টাকা খরচ করবো।সেই টাকাটা আমরা খালাকে (বুয়াকে) দিয়ে দিবো।
স্বামী : তোমার যা ইচ্ছে করো।
.
বুয়া ৩দিন পরে বাসায় আসলো। এসেই ঘর-দোর পরিস্কার করতে লেগে গেলো।
স্বামী বুয়াকে জিজ্ঞেস করলো: " আপনার ছুটি কেমন কেটেছে? "
বুয়া: মামা অনেক ভালো কেটেছে। আমি যাওয়ার সময় আম্মা(স্ত্রী) আমাকে ১০০০টাকা দিয়েছেন! "
স্বামী : তাই আপনি মেয়ে এবং নাতনীর সাথে দেখা করতে গিয়েছেন?
বুয়া: জী,মামা। অনেক মজা হয়েছে,২দিনে সবটা টাকা খরচ হয়েছে!
স্বামী : তাই? কি কি করলেন ১০০০টাকা দিয়ে শুনি?
বুয়া: ৩০০টাকা দিয়ে নাতনীর জন্য একটা জামা কিনেছি, ৮০টাকা দিয়ে একটা পুতুল নিয়েছি, ২০০টাকার মিষ্টি কিনেছি, ১৫০টাকা দিয়ে মেয়ের জন্য চুড়ি কিনেছি, ১২০টাকা বাস ভাড়া এবং ১৫০টাকা নাতনীর স্কুলের খাতা-কলম কেনার জন্য দিয়েছি।
এভাবে বুয়া সবটা টাকার হিসেব দিয়ে দিলো।
.
বিকেলে যখন সে স্ত্রীকে নিয়ে পিজ্জা খেতে গেলো, ওয়েটার পিজ্জা দেওয়ার পর সে আশ্চর্য হলো! আট টুকরো পিজ্জার দিকে তাকিয়ে তার সকালবেলায় বুয়ার কথাগুলো মনে পড়লো!.... সে আট পিস পিজ্জার দিকে তাকিয়ে রইলো...১ম পিস পিজ্জা দিয়ে ১টা শিশুর নতুন পোশাক...২য় পিস পিজ্জা দিয়ে ১টা শিশুর জন্য মিষ্টি... ৩য় পিস পিজ্জা দিয়ে একটা শিশুর স্কুলের খাতা....৪র্থ পিস পিজ্জা দিয়ে খেলার পুতুল...৫ম পিস পিজ্জা দিয়ে বাস ভাড়া...এভাবে কতোকিছু সম্ভব!
.
আট টুকরো পিজ্জা যেন তার মনকে হাতুড়ির মতো আঘাত করছিলো।এতোদিন সে পিজ্জাকে এক দৃষ্টি থেকে দেখতো,আজ বুয়া তাকে পিজ্জার অন্যদিকটাও দেখিয়ে দিয়েছে। আট টুকরো পিজ্জা তাকে লাইফের নতুন অর্থ শিখিয়েছে।
আজ সে বুঝতে পারলো - "

শুক্রবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২১

কবি ফররুখের অসুস্থ সন্তানের শয্যাপাশে জামায়াত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কবি ফররুখের অসুস্থ সন্তানের শয্যাপাশে জামায়াত আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান।
 কিডনীজনিত রোগে গুরুতর অসুস্থ ইসলামী রেনেসাঁর কবি ফররুখ আহমদের সুযোগ্যপূত্র বিশিষ্ট সাংবাদিক নয়া দিগন্ত ও বাসসের সাবেক সিনিয়র সাব-এডিটর কবি আহমদ আখতারের চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ছুটে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন ডাঃ খালিদুর রহমান, শাহীন আহমদ খান, ওমর ফারুক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

এসময় নেতৃবৃন্দ অসুস্থ কবির চিকিৎসা সহ সার্বিক খোঁজখবর নেন এবং তার পুর্ণসুস্থতা কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে দোয়া করেন।

প্রাক্তন ছাত্র নেতাদের উদ্দেশ্যে জনাব নজরুল ইসলাম ভাইয়ের তিনটি পরামর্শ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ

১. #হালাল পথে রিজিক তালাশি:

ছাত্র জীবনে অর্জিত ডিগ্রীর সাথে মিল রেখে নিজের রুচিমত ক্যরিয়ার গঠন অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না। এটা হলো আমাদের সমাজ বাস্তবতা যেখানে বেকারত্ব ও কর্মহীনতা নিত্য সঙ্গী। কিন্তু আমাদের দৃঢ় ঈমান হলো আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকের জন্য রিজিকের বরাদ্দ রেখেছেন এবং সেটা পরিশ্রম করে হালাল পন্থায় তালাশ করে নেয়াও আমাদের দুনিয়া-আখিরাতের সফলতার জন্য অপরিহার্য। কাজেই আল্লাহ প্রদত্ত যোগ্যতার সর্বোত্তম ব্যবহার করে একটি সুনির্দিষ্ট ক্যরিয়ার লাইন ঠিক করে হালাল পথে রিজিক তালাশির কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। কোন পেশাকেই খাট করে দেখার সুযোগ নেই। চাকরী হোক বা ব্যবসা হোক নিজ নিজ যোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতাকে মাথায় রেখে অধ্যবসায়ী হলে আল্লাহ অবশ্যই রিজিকের পথ খুলে দেবেন। পাখী যেমন সকালে খালী পেটে বের হয়ে সন্ধ্যায় ভরা পেটে নীড়ে ফিরে- আল্লাহ আমাদেরকেও অনুরূপভাবে রিজিক দেবেন। হালাল রিজিক দুনিয়ায় পবিত্র জীবন যাপনের পাশাপাশি আল্লাহর গ্রহণযোগ্য বান্দাহ হওয়ার জন্যও জরুরী। মনে রাখতে হবে বরাদ্দকৃত রিজিকের প্রতিটি বিন্দু ভোগ করার আগে কারো মৃত্যু হবে না। কাজেই রিজিকের ব্যাপারে অতিরিক্ত টেনশন না করে আল্লাহর উপর তায়াওয়াক্কুলই বেশী প্রয়োজন।

২. #বিয়ে শাদী যথাসময়ে করে সাংসারিক জীবন গড়ে তোলা:

ইসলাম বিয়েটাকে অনেক সহজ করেছে একটি নৈতিকতাপূর্ণ পুত পবিত্র সমাজ গঠনের লক্ষে। কিন্তু সামাজিক রুছুম রিওয়াজ বিয়েকে জটিল করে ফেলেছে। সামাজিকতার দোহাই দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দু:স্বপ্নে অনেকে বিয়ের সাহস হারিয়ে ফেলে এবং অনেক দেরীতে বিয়ে করে নিজের জীবন যৌবনের উপর জুলুম করছেন। বিয়েকে 'নিসফুল ঈমান' তথা ঈমানের অর্ধেক বলার গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে এবং নিজের ও নিজ পরিবারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পাত্রী নির্বাচন করে সহজভাবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে ও সংসার জীবন শুরু করতে হবে। বিয়ে একদিকে যেমন পুত পবিত্র জীবনের সুযোগ এনে দেয় অন্যদিকে রিজিক প্রশস্ত হওয়ার কারণও ঘটে। সাহাবায়ে কিরামের জীবনে এমন দৃষ্টান্ত আছে। 'আরো খাই- আরো চাই' দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে সীমিত আয়ের সীমাবদ্ধ চাহিদায় সন্তুষ্ট থেকে সহজ সরল জীবন যাপন করতে পারলে সংসারে অভাব থাকলেও অশান্তি থাকবে না ইনশা-আল্লাহ। মু'মিনদের জন্য এরকম শান্তিময় পবিত্র জীবন তথা হায়াতে তাইয়্যেবাহ অর্জনও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।

৩. #ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন:

ইসলামী আন্দোলন তথা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ছাত্র জীবন বা জীবনের কোন খন্ডিত অংশের কাজ নয় বরং আজীবনের সংগ্রাম। তাবুক অভিযানে অনুপস্থিত মুনাফিকরা মিথ্যা ওজর পেশ করে রাসুলুল্লাহ (স:) এর নিকট থেকে ছুটি মন্জুর করিয়ে নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু পরকালীন আজাব থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। বিপরীত পক্ষে তিনজন খাটি মু'মিন নিজ গড়িমসির সরল স্বীকারোক্তি দিয়ে মুসলিম সমাজে বয়কটের মতো শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছিলেন। দীর্ঘ পন্চাশ দিন বয়কটের শাস্তি ভোগ করা এমনকি শেষ দশদিন নিজ নিজ স্ত্রী থেকেও বিচ্ছিন্ন থাকার মত শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছিলেন একটিমাত্র সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গাফেলতির কারণে। অথচ তিনজনের মধ্যে দু'জন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মর্যাদাবান সাহাবী ছিলেন। আমাদেরও ছাত্র ইসলামী আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আছে কিন্তু চূড়ান্ত সফলতা পেতে হলে আহযাব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবায়ে কিরামের মত আজীবন জিহাদের পথে সক্রিয় থাকার শপথ নিতে হবে। আল্লাহর রেজামন্দী হাসিলের লক্ষে 'জীবন যতদিন-ইসলামী আন্দোলনও ততদিন'- এটাই জিহাদের হাক্ব অনুযায়ী জিহাদ তথা 'হাক্কা জিহাদিহি' এর সঠিক মর্মার্থ। ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার লক্ষেই আমরা সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে বাছাই করেছি। কাজেই জামায়াতী জীন্দেগীর শৃঙ্খলা মেনেই আমাদেরকে পথ চলতে হবে। সিলেবাস অনুসরণ, ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণসহ সংগঠনের নির্দেশনা অনুসরণ ছাড়া আনুগত্যের হক্ব আদায় হবে না। জামায়াতবদ্ধ হওয়া, শুনা, মানা এবং চারিত্রিক সংশোধনের মাধ্যমেই ইসলামী আন্দোলনে তৎপর থাকতে হবে।
রিপোস্ট।
ছবিঃ প্রতিকী 

বৃহস্পতিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২১

আমাদের নাজির ভাই - আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃছোট ভাই’র জানাযায় হাজার মানুষের ভীড়ের মধ্যে নাজির ভাইয়ের সাথে সর্বশেষ দেখা। আমাকে জড়িয়ে ধরলেন। মন খুলে দু’টি কথা বলার মত পরিবেশে ছিলাম না। এ দুনিয়ায় আর দেখা হবে না। ঐ দেখাই শেষ দেখা। তিনি চলে গেলেন। আর ফিরবেন না। তখন বুঝতে পারিনি এখানেই মানুষের চরম সীমাবদ্ধতা।


নাজির ভাই বলতেন “তোমরা আমাকে দিয়ে বেশী আশা করো না। আমি খুবই ভীরু মানুষ।” না, নাজির ভাই, আপনি ভীরু নন। ভীরু ছিলেন না। জরুরি অবস্থায় (২০০৭-০৮) নিজামী ভাই জেলে থাকা অবস্থায় দিন-রাত, সকাল-বিকাল-দুপুরে ডাকা জরুরি বৈঠকগুলোতে আপনি আগে এসে বসে থাকতেন। কখনও আপত্তি করেননি। বিরক্ত হননি বরং সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

সবাই যখন জেলে তখন আপনিও কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। আপনাকেও রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। ডিবি অফিসে এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৯০ সেলে আপনাকে রাখা হয়েছিল। শুনেছি, আপনি সেখানেও দৃঢ় ছিলেন। অবিচল ছিলেন। আপনি ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দী ছিলেন না। কিন্তু এতে আপনি অসন্তুষ্ট ছিলেন না। আপনি নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত বা চিন্তিত ছিলেন না। আপনি চিন্তিত ছিলেন দেশ ও জনগণকে নিয়ে। ইসলামী আন্দোলনকে নিয়ে। চিন্তিত ছিলেন কারাবন্দী নেতা কর্মীদের নিয়ে। ময়দানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগ্রামরত জনগণ ও সাথীদের নিয়ে। আপনার চারিত্রিক মাধুর্য ত্যাগ, দেশপ্রেম অবিচল, ঈমান, পান্ডিত্য এবং অল্পেতুষ্ট মানসিকতা সংশ্লিষ্টদের মুগ্ধ করেছে, বিমোহিত করেছে।

কারাবন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেয়ে আপনার ভারসাম্যপূর্ণ বলিষ্ঠ নেতৃত্ব আমাদেরকে প্রেরণা জুুগিয়েছে। সাহস জুুগিয়েছে। জামায়াতের কেন্দ্রীয় ইফতার পার্টিতে, কূটনীতিকদের ইফতার পার্টিতে দেয়া আপনার বক্তব্যের ভাষা, প্রতিটি শব্দ ছিল বলিষ্ঠ, দরদপূর্ণ, প্রজ্ঞা ও পান্ডিত্যে ভরপুর। সংক্ষিপ্ত ও হৃদয় নিংড়ানো। চুম্বকের চেয়েও আকর্ষণীয়।

বড় বড় জন সমাবেশেও আপনাকে মঞ্চে দেখেছি। যে পরিবেশ ছিল আপনার জন্য নতুন ও অচেনা। মঞ্চে বসে ইসলামী আন্দোলনের নেতা-কর্মীদেরকে দেখেছেন, তাদের জীবন উৎসর্গ করার আকুতি অনুভব করেছেন, শুনেছেন বজ্রকণ্ঠে উচ্চারিত আল্লাহু আকবর ধ্বনি। দেখেছেন আবাল বৃদ্ধ, তরুণ, যুবক, ছাত্র জনতার লক্ষ শ্লোগান। অনুভব করেছেন, উপলব্ধি করেছেন তাদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ। জালেমের পৈশাচিক অত্যাচারের মোকাবিলায় জীবন উৎসর্গ করার দৃপ্ত শপথ। আর মঞ্চে দাঁড়িয়ে আপনার সংক্ষিপ্ত অর্থপূর্ণ বক্তব্য শ্রোতাদের করেছে অনুপ্রাণিত। শাহাদাতের জজবায় শত সহস্রগুণ উজ্জীবিত হয়েছে তারা।

সর্বশেষ, আপনি বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন জামায়াতের প্রতিনিধি হিসেবে। আপনি সেখানে বক্তব্য রেখেছিলেন সংক্ষিপ্ত তবে সঠিক ও প্রতিনিধিত্বমূলক। আপনার ঐ বক্তব্য উপস্থিত সকল শ্রোতাদের বিবেককে নাড়া দিয়েছিল।

অধ্যাপক এ, কে এম নাজির আহমেদ ছিলেন একজন অদম্য সাহসী নেতা। নির্ভেজাল এবং নি:স্বার্থ অভিভাবক। বিশ্বস্ত বড়ো ভাই, বন্ধু, সাথী।
নাজির ভাই ছিলেন সহজ সরল সাদা মাটা জীবনযাপনকারী একজন সফল নেতা। আল্লাহর গোলাম ও রাসূল (সাঃ) এর নিষ্ঠাবান অনুসারী। ‘শুনলাম ও মানলাম’ কুরআন হাদীস অনুসরণে এই ছিল তার নীতি। কখনও হারাম খাননি। কবীরা গুনাহ তাকে স্পর্শ করতে পারতো না। শিরকের গন্ধ পর্যন্ত তার জীবন প্রবাহে প্রবেশ করতে পারেনি। টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করতেন না। কখনও বাম হাতে খাননি। সৌন্দর্য পিপাসু ছিলেন। মানানসই কমদামী সাদামাটা জামা কাপড় পরতেন। চমৎকার পরিচ্ছন্ন ছিলেন। রুচিশীল তবে খুবই সাধারণ খাবার খেতেন। যা খেতেন তৃপ্তির সাথে খেতেন। অল্পে তুষ্ট ছিলেন। পরিতৃপ্তির সাথে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করতেন।

আমরা যারা ইসলামী আন্দোলন করার সুযোগ আল্লাহর রহমতে পেয়েছি তাদের গড়ে উঠার ব্যাপারে নাজির ভাইয়ের অবদান অপরিসীম। তিনি আমাদের প্রাণভরে স্নেহ করতেন। তার স্নেহের গভীরতা ভাষায় ব্যক্ত করা সম্ভব নয়। নিজামী ভাই থেকে শুরু করে আমরা সবাই তার ছাত্র। শহীদ আব্দুল কাদের মোল্লাও তার অন্যতম প্রিয় ছাত্র। তার প্রিয়তম ছাত্র সত্যের জন্য, ইসলামের জন্য, দেশ ও জনগণের জন্য এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের তীব্র আকাঙ্ক্ষায় যেভাবে বীরের মত, নির্ভীক চিত্তে মাথা উঁচু করে ফাঁসির মঞ্চে গিয়েছেন তাতে নিশ্চয়ই আলোড়িত হয়েছেন নাজির ভাই।
অপর দিকে জালেমরা যেভাবে এক শতভাগ নিরপরাধ আব্দুল কাদের মোল্লাকে হত্যা করেছে তা তিনি অবশ্যই মেনে নিতে পারেন নি। ক্ষত বিক্ষত হয়েছে তার হৃদয়। হৃদয়ের এ রক্তক্ষরণ চোখে দেখা যায়নি। কিন্তু তিনি অনুভব করেছেন চরম বেদনা দিয়ে। আরও আঘাত পেয়েছেন লাশ দেখার সুযোগ না পাওয়ায়। জানাযা পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হওয়ায়।

অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমদ ইসলামী সাহিত্যের সমুদ্র সাদৃশ্য ভান্ডার গড়ে তুলেছেন। হাদীস গ্রন্থ বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, আবু দাউদ, নাসাই, রিয়াদুস সালিহীনসহ বিভিন্ন উৎস গ্রন্থ বিশুদ্ধ বাংলায় প্রকাশ করেছেন। অনুবাদ সাহিত্যকে করেছেন ধনী। কুরআন হাদীসের ভিত্তিতে রচিত ইসলামের মৌলিক সাহিত্য প্রকাশ করেছেন অর্ধশতাধিক। গড়ে তুলেছেন গবেষণা সেল। উচ্চ শিক্ষিত খ্যাতিমান গবেষকদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন সৃষ্টিশীল গবেষণাবলয়। ‘মাসিক পৃথিবী’ তার নিজস্ব সম্পাদনায় বাংলাদেশের সর্বাধিক প্রচারিত গবেষণা পত্রিকা। ত্রৈমাসিক সাহিত্য পত্রিকা ‘কলম’ তার অবদানের স্বাক্ষর হয়ে আছে। বছরে তিন থেকে চারটা গবেষণা সংকলন প্রকাশ করতেন। আধুুনিক যুগ জিজ্ঞাসার আলোকে ইসলামের সঠিক জবাব ও সামাধান এতে সন্নিবেশিত হয়ে আসছে। নাজির ভাই আরও কয়েকটি ইসলামী গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অবদান রেখে গেছেন। তিনি নিজের শতাধিক মৌলিক বই পুস্তিকা লিখেছেন ও প্রকাশ করেছেন।

ইসলামী সাহিত্যের মাধ্যমে ইসলাম, জনতা, মুসলিম উম্মাহ, ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের মাঝে অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমদ উজ্জ্বল তারকা হয়ে থাকবেন। সাদকায়ে জারিয়া হিসেবে সাওয়াব পেতে থাকবেন। পুরস্কার হিসেবে মহান আল্লাহ তার কবরকে জান্নাতের টুকরা হিসেবে সৌরভে ভরে দেবেন বলে আশা করি। আর এখানেই মানব জীবনের সাফল্য। এখানেই তার শেষ ঠিকানা- চিরন্তন ঠিকানা। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিই তার চরম ও পরম পাওয়া। দুনিয়াতে স্যালুট পেলেন কি পেলেন না তাতে কিছু যায় আসে না।

খুব সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পারিবারিক জীবন ছিল নাজির ভাইয়ের। অল্পে তুষ্ট পরিবার। সবাই ইসলামী নীতিমালা বিধি-বিধান মেনে চলায় অভ্যস্ত। বিনয়ী ও বিনম্র পরিবারের সদস্যগণ। বলা যায় প্রতিবেশী বান্ধব ও সমাজ বান্ধব একটি সুখী পরিবার ছিল তার।

নাজির ভাইকে আর এ দুনিয়ায় দেখতে পাবোনা। নির্বাহী পরিষদ, কর্ম পরিষদ, মজলিসে শূরার বৈঠকে তাকে আর দেখা যাবে না। নায়েবে আমীর হিসেবে মঞ্চে আর পাওয়া যাবে না। দারসে কুরআনে, বক্তব্যে সেই অল্পভাষী কন্ঠ আর শোনা যাবে না।

শেষ দেখা দেখতে পাইনি। জানাযাও পড়তে পারিনি। সে বেদনা অব্যক্ত বেদনা। প্রাণ ভরে দোয়া আমাদের নেতার জন্য। আমাদের অভিভাবকের জন্য। চোখ দিয়ে অবিরাম পানি গড়িয়ে পড়ে। দাড়ি ভিজে যায়। নাক দিয়েও পানি ঝরে। জায়নামাজও ভিজে যায়। ভিজে জায়নামাজে হাত দিয়ে বারবার নাজির ভাইকে অনুভব করি।

আল্লাহ তাকে তুমি কবুল কর। আর আমাদেরকে এ জমীনে তোমার দ্বীনকে বিজয়ী করার শক্তি ও সুযোগ দাও। আমিন।

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২১

সূচনালগ্নেই জামায়াত ছেড়ে যারা চলে গেলেন

 বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বন্ধুরা, গত পরশু দিন একটি পোষ্ট করেছিলাম যে, জামায়াতের আকিদা খারাপ এমন ডকুমেন্টারি দালিলিক তথ্য প্রমাণ কেউই দেখাতে পারবে না।

এক ভাই কমেন্ট করেছে জামায়াতে ইসলামীর আকিদা যদি সহীহ হতো, তাহলে মানজুরে নূমানী ও আবুল হাসান নদভী'র মতো বিশ্ব মানের মহান ব্যক্তিরা কেন জামায়াত ছেড়ে চলে গেলেন?

তার জবাবে আমরা বলতে চাই সংগঠন করা না করা ব্যক্তির স্বাধীন ইচ্ছা। জামায়াত কাউকে সংগঠন করতে বাধ্য করে না। জামায়াত কেবল জাতির মধ্যে এতটুকুন সেন্টিমেন্ট গ্রুরো বা জাগ্রত করতে চায় যে দ্বীন কায়েমে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করা ফরজ।

কেউ যদি নিজেকে খাঁটি মুমিন হিসেবে আল্লাহর কাছে স্বীকৃতি পেতে চায়, তাহলে তার উপর ওয়াজিব যে নিজেকে সাংগঠনিক আওতায় নিয়ে আসা।

যারা চলে গেছেন, তারা কিন্তু জামায়াতের মৌলিক কোন ত্রুটির কারণে জামায়াত ত্যাগ করতে পারেননি বরং কতগুলো ইখতিলাফী ফুরুয়ী কারণে তারা জামায়াত ছেড়ে চলে গেছেন।

তা ছাড়া ক্বওমী জগতে একটি হাদীস চালু রয়েছে সেটি হল, আল ইখতিলাফু রহমাতুন অর্থাৎ ইখতিলাফ করা রহমত। আমি জানি না উল্লেখিত হাদীসটি তাদের উপর কোত্থেকে নাযিল হয়েছে। অথচ আল্লাহর অনবদ্য নির্দেশ হলো, দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে ইখতিলাফ না করা ফরজ।

উল্লেখিত হাদীসের উপর আমল করতে গিয়েই হাফেজ্জী হুজুরের খেলাফত আন্দোলন চার টুকরো রয়েছে। আমাদের ক্বওমী জগতে যে কতটা ভাগ আমি নিজে ক্বওমী ডিগ্রিধারী হওয়া সত্ত্বেও গোনে শেষ করতে পারেনি।


আসল কথা হলো, আমার বাপ দাদারা একসাথে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না আলাদা থাকাটাই তারা রহমত মনে করেন।

যারা জামায়াত ছেড়ে চলে গেছেন, তারা যদি জামায়াতের চেয়ে কোন শক্তিশালী দল গঠন করতে পারতেন, তাহলে বুঝতাম জামায়াত ত্যাগ করাটা জাতির জন্য মঙ্গলজনক হয়েছে। দল ত্যাগ করার পর তারা তো জাতিকে কোন শক্তিশালী মেসেজ উপহার দিতে পারেননি।

আল্লাহর অশেষ রহমত তারা নিজ ইচ্ছেই জামায়াত ত্যাগ করেছেন,না হয় এ সব রহমত ওয়ালা লোক থাকলে জামায়াতে ইসলামী অন্ততঃ দশ বারো টুকরো হতো।

তার চেয়ে একটু বাড়িয়ে লিখলে আমার জ্ঞাতি গোষ্ঠীর ভাইয়েরা হজম করতে পারবে না। আজ এই পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।

(মাওলানা মাসউদুর রহমান)
208

সোমবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২১

দুনিয়া ঈমানদারের বন্দিশালা এবং কাফিরের জান্নাত

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ হজরত আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করিম (সা) ইরশাদ করেছেন : দুনিয়া ঈমানদারের বন্দিশালা এবং কাফিরের জান্নাত (সহীহ আল মুসলিম)

✨

বর্ণনাকারীর পরিচয়

হজরত আবু হুরাইরা (রা) হলেন সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী। আবু হুরাইরা তার উপাধি। ইসলাম গ্রহণের আগে তার নাম ছিল ‘আবদে শামস’ বা আবদে ওমর। রাসূলে আকরাম (সা) সে নাম পরিবর্তন করে ‘আব্দুর রহমান’ রাখেন। ইসলাম গ্রহণের পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মতো তিনি নবী (সা) এর সান্নিধ্য লাভের সৌভাগ্য অর্জন করেন। সর্বদা মসজিদে নববিতে পড়ে থাকতেন। তিনি ছিলেন আসহাবে সুফফাদের অন্যতম একজন। তিনি সর্বাধিক হাদিস বর্ণনাকারী হওয়ায় অনেকে তাকে সন্দেহের চোখে দেখতেন। তাই তিনি বলেন, ‘তোমরা হয়তো মনে করছো আমি খুব বেশি হাদিস বর্ণনা করি। আমি ছিলাম হতদরিদ্র। পেটে পাথর বেঁধে সর্বদা রাসূলে আকরাম (সা) এর সাহচর্যে কাটাতাম। আর মুহাজিররা ব্যস্ত থাকতো ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আর আনসারগণ ব্যস্ত থাকতো ধনসম্পদ রক্ষণাবেক্ষণে।’
হজরত আবু হুরাইরা (রা) ছিলেন জ্ঞানের সাগর। মহানবী (সা) নিজেই বলেছেন : ‘আবু হুরাইরা জ্ঞানের আধার।’ (বুখারী) হাদিসের এই জীবন্ত উজ্জ্বল নক্ষত্র হিজরি ৫৯ সনে ৭৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন। তাঁর বর্ণিত হাদিসের সংখ্যা মোট ৫ হাজার ৩৭৪টি।
✨

হাদিসটির গুরুত্ব

মানুষ পৃথিবীতে আল্লাহর খলিফা। দুনিয়া মানুষের কর্মক্ষেত্র। এখানে আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক জীবন পরিচলনা করতে হবে। যাদের জীবন আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক হবে, তারাই মুমিনের মর্যাদা লাভ করবেন। আর যারা ইচ্ছেমতো আল্লাহর নির্দেশের সীমা অতিক্রম করে জীবন পরিচালনা করবে তারাই কাফির। সে জীবনদর্শনের দিকে ইঙ্গিত করেই এ হাদিসের বক্তব্য। প্রকৃতপক্ষে একজন মুমিন ও কাফিরের জীবনের স্বরূপ উন্মোচন করা হয়েছে উল্লিখিত হাদিসটিতে।
ব্যাখ্যা
বন্দিশালায় কোন কয়েদি পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে না। বন্দিজীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কর্তৃপক্ষের আইনের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এ আইন লঙ্ঘন করার অধিকার কোন বন্দীর নেই। যখন যে আদেশ তাকে দেয়া হয় সে আদেশ মানতে সে বাধ্য। বন্দী কখনো এ কথা বলতে পারে না যে, আমি এ আদেশ মানবো, অমুক আদেশ মানবো না। দুনিয়ার জীবনও মুমিনের জন্য বন্দিশালার মতো। কারণ এখানে সে পূর্ণ স্বাধীন নয়। মন যা চায় তা সে করতে পারে না। দুনিয়ার প্রেমে প্রেমাসক্ত হয়ে মুমিন আল্লাহর হুকুমের বিপরীত কোন হুকুম পালন করতে পারে না।
অপর দিকে জান্নাতের বৈশিষ্ট্য হলো সেখানে কোন কাজ ও তৎপরতা নিয়ন্ত্রিত নয়। ইচ্ছেমতো জীবন যাপন করতে পারবে। জান্নাতিদের কোন ইচ্ছে অপূর্ণ থাকবে না। সর্বত্র সুখ আর সুখ। জান্নাতের আরাম আয়েশ ছেড়ে জান্নাতিগণ কখনো বাইরে যেতে চাইবে না। কোটি কোটি বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও কোন জান্নাতবাসী হাঁফিয়ে উঠবে না।
যদিও পৃথিবী কখনো জান্নাতের সাথে তুলনীয় হতে পারে না। তবুও পৃথিবীকে কাফিরদের জান্নাত বলার অর্থ হচ্ছে কাফিররা দুনিয়াকে জান্নাত মনে করে। তারা তাদের জীবনকে আল্লাহপ্রদত্ত সীমার বাইরে থেকে ভোগ করতে চায়। তারা দুনিয়ার জীবনকে উপভোগ করার জন্য সম্ভাব্য সকল পথ অবলম্বন করে থাকে। প্রবৃত্তির হুকুম ও চাহিদা অনুযায়ী জীবন যাপন করে। তারা আখিরাতে বিশ্বাসী না হওয়ার কারণে দুনিয়ার জীবনকে সুন্দর ও উপভোগ্য করার জন্য জীবনপাত করে। অথচ একদিন তাকে এ সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে খালি হাতে মুসাফিরের মতো বিদায় নিয়ে চলে যেতে হবে। বন্দীগণ যেমন বন্দিশালাকে নিজের গৃহ মনে করে না, নিজ গৃহে ফেরার জন্য সর্বদা ব্যাকুল থাকে। তেমনি মুমিনগণ পৃথিবীকে আবাসস্থল মনে করে না। তাই দুনিয়ার জীবনে আরাম আয়েশ ও ভোগ বিলাসের মোহ তার থাকে না। বরং তার মন চির সুখের জান্নাতে যেতে ব্যাকুল থাকে। এ জন্য সে তা লাভ করার জন্য কঠিন প্রচেষ্টায় নিয়োজিত থাকে এবং সকল বিপদ আপদ দুঃখ-কষ্টকে হাসিমুখে বরণ করে নেয়। আল্লাহ বলেন, ‘‘বস্তুত আমরা মানুষকে কঠোর কষ্ট ও শ্রমের মধ্যে সৃষ্টি করেছি।” (সুরা বালাদ : ৮)
সুতরাং এ দুনিয়া মানুষের জন্য আরাম আয়েশের জায়গা নয় বরং কঠোর শ্রম ও কষ্টের জায়গা। পৃথিবীর সকল সুখ, আরাম আয়েশ একত্র করলেও আখিরাতের তুলনায় খুবই নগণ্য। রাসূলে আকরাম (সা) বলেন :
আল্লাহর কসম! আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার দৃষ্টান্ত হলো তোমাদের কোন ব্যক্তি সমুদ্রের মধ্যে তার আঙুল ডুবিয়ে দেখল যে, তাতে কত পানি লেগে এসেছে। (মুসলিম)
অন্য হাদিসে আছে যে, গোটা পৃথিবীর মূল্যও আল্লাহর নিকট মাছির পালকের তুল্য নয়। তাই এই নগণ্য বস্তুর পেছনে যারা ব্যস্ত থাকে তারা বোকা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর যদি পরকালের অনন্ত সুখ-সম্ভার চির-বসন্ত বিরাজিত জান্নাত কেউ পেতে চায় তবে তাকে কঠোর পরিশ্রমের পথই বেছে নিতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই।
✨শিক্ষাবলি
১. দুনিয়ার সুখ আসল ও চিরস্থায়ী নয়।
২. পৃথিবী মানুষের স্থায়ী নিবাস নয় সাময়িক পরীক্ষাকেন্দ্র মাত্র।
৩. পরকালের বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের কারণেই মানুষের কৃতকর্মে দুটো ধারার সৃষ্টি হয়। ইতিবাচক ও অপরটি নেতিবাচক।
৪. ইতিবাচক পথের শেষ মানজিল জান্নাত এবং নেতিবাচক পথের শেষ মানজিল জাহান্নাম।
✨তথ্যসূত্র :
১. সহীহ আল মুসলিম।
২. মিশকাতুল মাসাবিহ।
৩. মা’আরিফুল কুরআন : মুফতি মুহাম্মাদ শফী।