ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৬

ভিডিও ফুটেজে জঙ্গি ছাত্রলীগের তাণ্ডব| পাতাল মার্কেটে হামলার নেপথ্যে চাঁদা তিনদিনেও ধরা পড়েনি অস্ত্রবাজরা ফের দোকান সাজিয়েছেন হকাররা

রাজধানীর গুলিস্তানে অবৈধ ফুটপাত দখলমুক্ত করার সময় ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের তা-বের দৃশ্য ধরা আছে সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজে। হকিস্টিক নিয়ে গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু স্কোয়ার পাতাল সড়ক মার্কেটের ভেতরে ভাঙচুর চালিয়ে ত্রাস সৃষ্টি করে তারা। গত বৃহস্পতিবার গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ফুটপাত অবৈধ দখলমুক্তকরণ অভিযানকালে পাতাল মার্কেটের সিসিটিভির ফুটেজে এসব দৃশ্য দেখা যায়। এদিকে উচ্ছেদের পরপরই ফের পাতাল মার্কেটের সামনে দোকান সাজিয়ে বসেছে হকাররা। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে সরেজমিনে এমন চিত্র দেখা যায়।
অন্যদিকে অস্ত্রবাজ সেই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলাও হয়নি।
মার্কেট কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে পাতাল মার্কেট ঘিরে চাঁদাবাজির ছক কষে আসছে। তাদের চাহিদামতো চাঁদা না দেওয়ায় ক্ষোভ থেকেই ওই হামলা হয় বলে মনে করছে মার্কেট কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টিতে রাজনৈতিক রঙ লেগেছে জানিয়ে এ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করতে চায়নি মার্কেট কর্তৃপক্ষ।
পাতাল মার্কেটে ১০৪টি দোকান রয়েছে। এসব দোকান সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে কেনা বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। এদিকে ওই মার্কেটের বাইরে ফুটপাতে রয়েছে বিপুলসংখ্যক দোকান। কাঠের চৌকি-আলনায় এসব দোকান সাজিয়ে বসেন হকাররা। বৃহস্পতিবার অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হলেও হকাররা ফের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
গতকাল দুপুরে এমনই এক হকার সবুজের সঙ্গে কথা হয়। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ভাই আমরাও এখানে বসতে চাই না; কিন্তু কী করব বলেন? পেট তো চালাতে হবে। অন্য কোথাও আমাদের দোকানের জায়গা করে দিলে সবচেয়ে ভালো হয়।
এদিকে অস্ত্রহাতে যে দুই ছাত্রলীগ নেতার ছবি গণমাধ্যমে এসেছে তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। অবৈধ অস্ত্রধারী ওই ছাত্রলীগ নেতারা হলেনÑ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির হোসেন ও ওয়ারী থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের ভারপ্রাপ্ত ডিসি মোহাম্মাদ তারেক বিন রশিদ আমাদের সময়কে বলেন, এখন পর্যন্ত ওই ঘটনায় কেউ মামলা করতে আসেননি। এছাড়া অস্ত্র দুটি বৈধ না অবৈধ তা নিশ্চিত হতে আরও সময় লাগবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, ওইদিন কমপক্ষে ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। ‘হকারদের মধ্য থেকে গুলি ছোড়া হয়’Ñ ছাত্রলীগের এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন ব্যবসায়ী ও হকাররা।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে প্রথমে সাত যুবক রুদ্রমূর্তিতে মার্কেটে প্রবেশ করেন। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন গোলাপি শার্ট পরা এক তরুণ। তার সঙ্গে থাকা কয়েকজনের হাতে হকিস্টিক দেখা যায়। তারা ভাঙচুর করতে-করতে ভেতরে ঢোকেন। এর ঠিক পরপরই সাদা ও ছাই রঙের শার্ট পরা দুই যুবক এবং হলুদ টি-শার্ট পরা আরেক তরুণসহ মোট তিনজন হকিস্টিক হাতে মার্কেটে ঢোকেন। মারমুখী ভঙ্গিতে তারা ভেতরে যেতে থাকেন। এ সময় পাশে এক নিরাপত্তাকর্মী এবং পাঞ্জাবি পরা এক বৃদ্ধকে আতঙ্কিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। পরে আরও ৫ যুবক হকিস্টিক হাতে ভাঙচুর করতে-করতে ভেতরে ঢোকেন। তাদের একজনের গায়ে ছিল পেস্ট কালারের পাঞ্জাবি। সবাই এক জায়গায় জড়ো হয়ে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় একজনকে পেটাতে থাকেন তারা। এর মাত্র ২ মিনিট পর বাইরে থেকে কয়েক তরুণ এসে প্রথমে ঢুকে পড়া গোলাপি রঙের শার্ট পরা তরুণকে পেটাতে থাকে। কালো স্টেপ রঙের টি-শার্ট পরে একজনকে একটা ব্যাগ হাতে বের হতে দেখা যায়। মার্কেট কর্তৃপক্ষের দাবি, হামলাকারীরা সবাই স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছিল একটি গ্রুপ; কিন্তু তদের চাঁদা দেওয়া হয়নি। উচ্ছেদ অভিযানের সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারাই চড়াও হয়েছিল।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পাতাল সড়ক মার্কেট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন আমাদের সময়কে বলেন, এখন বিষয়টি যে পর্যায়ে গড়িয়েছে তাতে এ নিয়ে আমরা আর কথা বলতে চাই না। কে কী করেছে সেটি গণমাধ্যমে এসেছে, সবাই দেখেছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি আমরা।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলিস্তানে ফুটপাতের অবৈধ দোকান উচ্ছেদের সময় হকারদের সঙ্গে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর্মচারী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এ সময় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়। ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির হোসেন ও আশিকুর রহমানের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র দেখা যায়। ঘটনাস্থলের অদূরে র‌্যাব-পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করলেও কোনো অ্যাকশনে যাননি তারা।

দৈনিক নয়া দিগন্ত চট্টগ্রাম ব্যুরোচীফ হেলাল হুমায়ুনের ইন্তেকাল: বিভিন্ন মহলে শোক


চট্টগ্রামের প্রবীণ সাংবাদিক ও দৈনিক নয়াদিগন্তের চট্টগ্রাম ব্যুরোচীফ বাংলাদেশ বার্তা ডেস্হেকঃ লাল হুমায়ুন আর নেই। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসে রোগে আক্রান্ত ছিলেন।
একাধারে কলামিষ্ট ও সামাজিক সংগঠক সাংবাদিক হেলাল হুমায়ুন বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী। তিনি দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম মেট্্েরাপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সহ সভাপতি, চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন সাংবাদিক সমবায় সমিতির সাবেক নির্বাচিত সহ সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক নিবাচিত সদস্য এবং বিভিন্ন সামাজিক-সংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়া দৈনিক সংগ্রাম,দৈনিক দেশ বাংলা,জাতীয় দৈনিক অর্থনীতি,খবরপত্র সহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকের চট্টগ্রাম ব্যুরোচীফ এর দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি দৈনিক নয়াদিগন্ত পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান ছিলেন। হেলাল হুমায়ুন স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। 
১৯৮২ সালে সাংবাদিকতা পেশায় যোগদান করে তিনি। এ বনাঢ্য জীবনে তিনি অসংখ্য প্রবন্ধ এবং বই লিখেছেন। তার মৃত্যুতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, চট্টগ্রাম মেট্্েরাপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএনপি চট্টগ্রাম মহানগর শাখা, জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ফ্্রন্ট, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন চট্টগ্রাম, দারুল ইরফান ট্্রাস্ট, মসজিদ মিশন, আহলুস সুন্নত ওয়াল জামায়াত,বায়তুশ শরফ মাদরাসা, আল্ হেলাল আদর্শ ডিগ্রী কলেজ, চট্টগ্রাম ইউনানী মেডিক্যাল কলেজ ব্যবস্থাপনা কমিঠি, ইসলামী ছাত্রশিবির, বায়তুশ মরফ মজলিসুল ওলামা বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্্রন্ট কেন্দ্রিয় কমিটিসহ বিভিন্ন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। 
মরহুম হেলাল হুমায়ুনের গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চরতি ইউনিয়নে তালগাঁ গ্রামে। তার জন্ম ১৯৫৬ সালে ৬ জুলাই। তার পিতা কবি হাকীম ইসমাঈল হিলালী ছিলেন একজন এলাকার প্রখ্যাত ব্যক্তি ও হেকিমি চিকিৎসক। 
পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, আজ সোমবার সকাল ১০ টায় নগরীর দেওয়ানহাট ধনিয়ালাপাড়াস্থ বায়তুশ শরফ মসজিদে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১১ টার দিকে হেলাল হুমায়ুনের লাশ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জানাজার নামাজের পর তার গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ায় নিয়ে যাওয়া হবে। বাদে আসর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতা-মাতার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হবে। 
এদিকে পত্রিকায় পাঠানো এবং ফোনে দেয়া বিবৃতিতে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন ও নেতৃবৃন্দ বলেছেন, স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃৎ মরহুম হেলাল হুমায়ুনের বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার মহান ব্রতকে সামনে রেখে যেভাবে নিরলস কাজ করেছেন, তা তার সতীর্থ সাংবাদিকরা চিরদিন শ্রদ্ধার সাথেই মনে রাখবেন বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস। তারা বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিকতার ইতিহাসে একজন প্রথিতযশা কলমসৈনিক হিসেবে তার ভূমিকা স্মরনীয়। কীর্তিমান সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার অবদান নিঃসন্দেহে অনস্বীকার্য। একজন প্রথিতযশা সাংবাদিক ও কীর্তিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বকে হারিয়ে আজ চট্টগ্রামবাসী শোকে ম্্িরয়মান। তার শূন্যতা সহজে পূরণ হবার নয়। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতিদাতারা বলেন,তার রূহের মাগফিরত কামনা করে দোয়া করছি-আল্লাহ যেন তার নেক আমলসমূহ কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করেন। তার শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন এবং গুণগ্রাহীদের প্রতি আমি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৬

নয়া দিগন্তের চট্টগ্রাম ব‌্যুরো প্রধান আলহাজ্ব হেলাল হুমায়ুন এর ইন্তেকাল

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আজ সন্ধ্যা ৭টায় চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে দৈনিক নয়া দিগন্তের চট্টগ্রাম ব‌্যুরো প্রধান আলহাজ্ব হেলাল হুমায়ুন  ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহে---- রাজিউন)
মরহুমের নামাজে জানাজা আগামীকাল সকাল ১০টায় ধনিয়ালাপাড়া বায়তুশ শরফ মসজিদ, সকাল ১১টা চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব চত্তর এবং বাদে আসর গ্রামের বাড়ী সাতকানিয়া তালগাঁও এ অনুষ্ঠিত হবে। 
বাংলাদেশ বার্তা এর পক্ষ হতে মরহুমের মাগফিরাত কামনা করছি এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে পপুলার হাসপাতালের বাথরুমে এক নারীর ভিডিও মোবাইলে ধারণ ,ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হাসপাতালের স্টাফ কর্তৃক দুই গণমাধ্যমকর্মী লাঞ্ছিত

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে পপুলার হাসপাতালের বাথরুমে এক নারীর ভিডিও মোবাইলে ধারণ ,এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উল্টো হাসপাতালের স্টাফরা দুই গণমাধ্যমকর্মীকে মারধর করেছে বলে জানা গেছে।
শনিবার খিলক্ষেতের একজন চিকিৎসার জন্য ধানমন্ডির পপুলার হাসপাতোলে যান। হাসপাতালের ডাক্তার তাকে ইউরিন পরীক্ষার কথা বললে তিনি হাসপাতালের প্যাথোলজী বিভাগের টয়লেটে যান ইউরিন সংগ্রহ করতে। পরে ঐ নারী টয়লেট থেকে বেড়িয়ে হাসপাতালের স্টাফদের কাছে অভিযোগ করেন, টয়লেটে একজন লোক নিচ থেকে মোবাইলে  তার ভিডিও ধারণ করেছে। জানা যায় ঐ যুবক হাসপাতালের টেলিফোন অপারেটর। 
এই ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে উল্টো হাসপাতালের স্টাফরা দুই গণমাধ্যমকর্মীকে মারধর করেছে এবং তাদের ক্যামেরা কেড়ে নেয় এমনকি একগণমাধ্যম কর্মীকে একটি রুমে আটকিয়ে রাখে।
ভূক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে টেলিফোন অপারেটর হাসিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ধানমন্ডী থান পুলিশ। 
সূত্রঃ আরটিভি

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৬

বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বের আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সামাজিক ডাইমেনশনের উপর বুদ্ধিবৃত্তিক কাজ হওয়া প্রয়োজনঃ ইন্টারন্যাশনাল কনফরেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রফেসর ড. আজহারুল ইসলাম

বক্তব্য রাখছেন প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২৯ অক্টোবর ২০১৬: আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পদার্থ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান বিশ্বে গুরুত্বের আলোকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সামাজিক ডাইমেনশনের উপর বুদ্ধি বিত্তিক কাজ গওয়া প্রয়োজন।তিনি বলেন, একাডেমিক গবেষণা কুব কমজনের বোধগম্য হয়। সেই বোধগম্য না হওয়াটা প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটা বড় বাধা। এই বোঝা বা উপলব্ধির ক্ষমতা বাড়ানোর জন্যে জ্ঞানের বিনিময় এবং যৌথ উদ্যোগ বাড়ানো প্রয়োজন।
শনিবার বিকালে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম(আইআইইউসি) এর বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের প্রথম এবং আইআইইউসি’র আয়োজনে ১০ম ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম এ কথা বলেন।নগরীর লডর্স ইন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘ইনোভেশন ইন সায়েন্স, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি-২০১৬’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী কনফরেন্সের এই সমাপনী আয়োজনে সভাপতিত্ব করেন আইআইইউসি’র ভারপ্রাপ্ত প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর এবং কমিটি কনভেনার প্রফেসর ড. দেলওয়ার হোসেন।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি সে্ইন্স মালয়েশিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বিল্ট এনভাইরনমেন্ট অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কামারুজ্জামান শিমন এবং আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের সহ-সভাপতি ও রুয়েট এর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল গাফ্ফার খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটি কো-কনভেনার মোহাম্মদ সামসুল আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি প্রফেসর ড. এ. কে. এম আজহারুল ইসলাম বলেন, এই কনফারেন্স বিশ্বের গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের সম্মিলনের এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশলের সর্বক্ষেত্রের নতুন ধারণা, সাম্প্রতিক ফলাফল এবং ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে মতবিনিময়ের দারুন সুযোগ করে দিয়েছে।দেশ-বিদেশের বিজ্ঞানী, প্রেকৌশলী, প্রযুক্তিবিদ, গবেষক, শিক্ষাবিদ ও পন্ডিতদের এই সমাবেশ এবং মেধা ও অভিজ্ঞতার, বিনিময় বিশেষ করে তরুণ গবেষকদেরকে তাদের মেধার স্বাক্ষর রাখার বড় সুযোগ করে দিয়েছে।এই কনফারেন্স ছিল বাস্তব চ্যালেন্সগুলো আলোচনা এবং সমাধানের একটা উপযুক্ত প্লাটফরম।তিনি এই  কনফারেন্সের সাফল্রের অংশীদার এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
এদিকে আজ সকালে আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের আয়োজনে এবং আইআইইউসি’র সহযোগিতায় ইউনিভার্সিটি- ইন্ডাস্ট্রি কলাবরেশন শীর্ষক এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।আই ট্রিপল ই বাংলাদেশ সেকশনের এক্টিভিটি কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ড. মোঃ নুরুন্নবী মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম।এত বিশেষ অতিথি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার্স  ইন্সটিটিউট বাংলাদেশ, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী সাদেক মোহাম্মদ চৌধুরী।স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইআইইউসি’র ট্রিপল ই বিভাগের প্রধান মুহাম্মদ আতাহার উদ্দিন।টেকনিক্যাল টক উপস্থাপন করেন প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শরীফ উদ্দিন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল গাফ্ফার খান, ড. রিদোয়ান হাসান খান এবং প্রফেসর ড. মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, এই ইন্টারন্যাশনাল কনফরেন্সে দেশের প্রায় সবক’টি সরকারী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, সৌদি আরবসহ ১৮টি দেশে প্রসিদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গবেষক- প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।কনফরেন্সে প্রাপ্ত ২৭৯টা প্রবন্ধের মধ্যে ৭৮ টা প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়েছে। এছাড়া ৬টি মূল প্রবন্ধ ও ৪টি আমন্ত্রিত প্রবন্ধ উপস্থাপিত হয়। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইআইইউসি’র ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম    আজহারুল ইসলাম, ইউনিভার্সিটি সে্ইন্স মালয়েশিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বিল্ট এনভাইরনমেন্ট অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. কামারুজ্জামান শিমন, ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এনাড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান, ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক এনাড সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ড. নওশাদ আমিন এবং কানাডার ক্যালগেরি ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এসোসিয়েট হেড ড. আনিস হক।

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১৬

রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর উপলক্ষ্যে চান্দগাঁও জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানা রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা ও ২৮ অক্টোবর শহীদের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল আয়োজন করে। 
জামায়াত নেতা আবু জাওয়াদ এর সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে  সর্ব জনাব  মুহাম্মদ ইবনে হোসাইন, আবু নাহিদ,, মুহাম্মদ  জালাল, সাইফুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা সরকারের সমালোচনা করে বলেন, বর্তমান সরকার রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার বেনিফিসিয়ারী। তাই রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবরের ঘটনার  ন্যায় বিচারের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২৮ অক্টোবরের শহীদদের রক্ত বৃথা যাবেনা। শহীদের রক্তে রঞ্জিত বাংলাদেশের এই মাটিতে কালেমার পতাকা একদিন ঊড়বেই। 

লগি-বৈঠার তাণ্ডবকারীদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে: রিজভী


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২৮ অক্টোবরে লগি-বৈঠার তাণ্ডবকারী ও এর হুকুমদাতাদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত ‘রক্তাক্ত ২৮ অক্টোবর এবং আজকের প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক আলোচনাসভায় তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দেশকে লাশ ছাড়া একটা গোলাপ ফুল দেননি লাশের পর লাশ ফেলে তার উপর আপনি দাড়িয়ে আছেন। আর কতো লাশ ফেলবেন, গুম করবেন।
রিজভী বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অপরাধীরা যাতে ক্ষমতায় না আসতে পারে সে ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি নিশ্চয় বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে এ কথা বলেছেন। তার এ কথায় প্রমাণ করে সরকার গভীর ষড়যন্ত্রের পথে হাঁটছে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- স্বাধীনতা ফোরামের সভাপতি আবু নাসের মো. রহমতউল্লাহ, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমিন, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন প্রমুখ।

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৬

সৌদি প্রবাসীকে মারধর করে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে সন্ত্রাসীরা

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সৌদি প্রবাসী বাবুল দীর্ঘদিন পর আজ বাড়ি ফিরেছেন। কিন্তু বাড়ি ফেরার পথে লক্ষীপুর, চন্দ্রগঞ্জ ৗজদর পুকুর পাড়ে সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে।
বাবুলের স্বজনেরা এ ঘটনার তব্রি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জরুরী ভিত্তিতে ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবী জানিয়েছেন।

শনিবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৬

একসাথে চার সন্তানের জন্ম দিলেন ফেনীর শারমিন আক্তার

রাজধানীর সেন্ট্রাল হাসপাতালে একসাথে চারটি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিলেন এক প্রসূতি। গতকাল রাত ১টার দিকে এই চার সন্তানের জন্ম দেন শারমিন আক্তার নামে ফেনীর ফাজিলপুর নিবাসী এই নারী। 
তার স্বামীর নাম সাইফুল ইসলাম। হাসপাতারটির পরিচালক ড. কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
হাসপাতারটির পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. শাহানারা খানম জানান, গতরাত ১টার দিকে প্রফেসর সংযুক্ত সাহার তত্ত্বাবধানে ওই নারীর সফল অস্ত্রোপচার করা হয়।
সবক'টি শিশুই সুস্থ আছে। এর মধ্যে একটি পুত্র ও তিনটি কন্যাশিশু। প্রসূতি নিজেও সুস্থ আছেন বলে জানান এই চিকিৎসক। নয়া দিগন্তের সৌজন্যে

৪৩ দিন পর পাওয়া জামায়াত নেতার লাশ'টিও গায়েব!

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  আটকের ৪৩ দিন পর মিললো জামায়াত নেতা জহুরুল ইসলামের লাশ।
গত বৃহস্পতিবার গোপালগঞ্জের গওহরডাঙ্গা গ্রামের মধুমতি নদীর ধারে পাওয়া বেওয়ারিশ লাশটি মো. জহুরুল ইসলামের বলে সনাক্ত করেছে পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু পরদিন সেই লাশটিও গায়েব হয়ে যায় বলে জানিয়েছে পরিবার।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রকাশ্যে দিবালোকে পুলিশ জহুরুল ইসলামকে আটক করেছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করেছে।
পরিবারের দাবি, প্রকাশ্যে দিবালোকে পুলিশ জহুরুল ইসলামকে আটক করলেও তা অস্বীকার করছিল।
জানা যায়, জামায়াতে ইসলামী ঝিনাইদহ শহর শাখার আমীর ছিলেন মো. জহুরুল ইসলাম। তিনি ঝিনাইদহ শহরের হামদহস্থ দিশারী প্রি-ক্যাডেট স্কুলে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ঝিনাইদহ পুলিশের এসআই আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সাদা পোশাক পরিহিত পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। তারপর ওই স্থানে লটকানো সি.সি ক্যামেরাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
এরপর তাকে চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে অজানা স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অতঃপর প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা তাকে গ্রেফতারের কথা অস্বীকার করে।
এদিকে, গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার গওহরডাঙ্গা গ্রামের মধুমতি নদীর ধারে ১৯ অক্টোবর যে বেওয়ারিশ লাশটি পাওয়া গেছে তা মো. জহুরুল ইসলামের। লাশের ছবি দেখে তার পরিবারের সদস্যরা তার লাশ বলেই চিহ্নিত করেছে।
জামায়াতের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিস্ময়কর ব্যাপার হলো গত ১৯ অক্টোবর স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে স্বজনদের এসে লাশ চিহ্নিত করতে বলা হলেও গত ২০ অক্টোবর লাশ নাই বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। দাফনের জন্য কী স্বজনরা তার লাশও পাবে না? প্রশ্ন জামায়াতের।
এদিকে, এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০১৬

কোটায় বিপন্ন মেধা


কোটা পদ্ধতির ‘দৌরাত্ম্যে বিপন্ন হতে বসেছে বিপুলসংখ্যক মেধাবীর ভবিষ্যৎ। প্রায় সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিসহ সরকারের বিভিন্ন চাকরিতে যোগ্যতার মানদণ্ডে ওপরের সারিতে থেকেও কোটার মারপ্যাঁচে ছিটকে পড়ছে এসব মেধাবী। আর সেখানে স্থান করে নিচ্ছে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে কোটা পূরণ না হওয়ায় শূন্যই থেকে যাচ্ছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পদ। এখানেও স্থান নেই সংশ্লিষ্ট মেধা তালিকার ওপরের সারিতে থাকা মেধাবীদের। এমন পরিস্থিতি আর কয়েক বছর অব্যাহত থাকলে সর্বস্তরে মেধাশূন্যতা দেখা দিতে পারে বলে আশংকা বিশেষজ্ঞদের।
পাবলিক সার্ভিস কমিশনসহ (পিএসসি) সরকারের বিভিন্ন কমিটি ও কমিশন একাধিকবার বর্তমান কোটা পদ্ধতি সংস্কারে প্রয়োজনীয় সুপারিশ করেছে। পাশাপাশি এ সংস্কার ইস্যুতে রাজপথসহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনও হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বিগত কোনো সরকারই। বর্তমান সরকারও এ ব্যাপারে অদ্যাবধি কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি।


এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, এখন পর্যন্ত আলাদাভাবে কোটা পদ্ধতি যৌক্তিকীকরণ বা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেই। তবে আগামীতে যেসব বিসিএস পরীক্ষা হবে সেখানে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় প্রার্থী না পেলে মেধা কোটা থেকে পূরণ করা হবে। তারপরও সরকারের শীর্ষ মহল চাইলে প্রয়োজনের তাগিদে কোটা পদ্ধতির সংস্কার হতে পারে।

বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনি, নারী, জেলা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (উপজাতি), প্রতিবন্ধী, আনসার ও ভিডিপি, পোষ্য, খেলোয়াড়, এলাকা ও বোনসহ ২৫৭ ধরনের কোটা বিদ্যমান। এসব কোটা বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসসহ (বিসিএস) সরকারি চাকরি এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তিতে প্রয়োগ করা হয় এসব কোটা।

বিসিএসে মেধা তালিকা থেকে ৪৫ শতাংশ নিয়োগ হয়। বাকি ৫৫ শতাংশ আসে কোটা থেকে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধার পোষ্য (ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনি) ৩০, মহিলা ১০, জেলা ১০ ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী (উপজাতি) ৫। এছাড়া এসব কোটা পূরণ না হলে, সেখানে ১ শতাংশ বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রতিবন্ধীর জন্য। আর যদি সংশ্লিষ্ট চাকরির ক্ষেত্রে এসব প্রাধিকার কোটা পূরণ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে মেধা তালিকা থেকে প্রতিবন্ধীর কোটা পূরণ করা হয়। এছাড়া নন-ক্যাডার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও একই কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।

তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে মেধাতালিকা থেকে ৩০ শতাংশ এবং বাকি ৭০ শতাংশ পূরণ করা হয় কোটা থেকে। এই কোটার মধ্যে শতাংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা ৩০, মহিলা ১৫, আনসার ও ভিডিপি ১০, অনাথ ও প্রতিবন্ধী ১০ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫।

এর বাইরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে ৬০ শতাংশ নারী কোটা, ২০ শতাংশ পোষ্যসহ অন্যান্য কোটা রয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে রয়েছে এলাকা কোটা, পোষ্য, বোন, বিশেষ কোটাসহ নানা ধরনের কোটা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট আসনের ৬ শতাংশ ভর্তি হয় কোটায়। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ৩ শতাংশ, প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র মেধাবী ৩ শতাংশ/ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্যদের কোটা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং সংযুক্ত প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান কোটা ২ শতাংশ। ঢাকার স্কুলগুলোতে চালু হয়েছে ৪০ শতাংশ ‘এলাকা কোটা’। এ কোটায় ভর্তি হতে হলে সংশ্লিষ্ট এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিক, সরকারি বাসার বরাদ্দপ্রাপ্ত এবং ভাড়াটিয়া হতে হবে। রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলে অন্যান্য কোটার সঙ্গে রয়েছে বোন কোটা। কোনো শিক্ষার্থীর সহোদর বোন এ কোটায় ভর্তি হতে পারবে। এছাড়া বেসরকারি মেডিকেল কলেজে রয়েছে পরিচালনা পরিষদের ১০ শতাংশ এবং দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে। বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির কারণে

সরকারি চাকরি ও ভর্তিতে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীর কাছে হেরে যাচ্ছেন মেধাবীরা।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. সা’দত হুসাইন যুগান্তরকে বলেন, চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় কোটা পদ্ধতির যৌক্তিকীকরণের জন্য বার্ষিক প্রতিবেদনে একাধিকবার সুপারিশ করেছি। এমনকি ওই সময় কোটা নিয়ে পিএসসি একটি মৌলিক গবেষণা করেছিল। ড. আকবর আলি খান ও কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের (বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার) ওই গবেষণাটি ছিল বিশ্বমানের। সেখানেও তারা মেধা কোটা বাড়ানোর সুপারিশ করেছিলেন। সেটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমাও দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো অগ্রগতি নেই।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ও জেলাগুলো ছোট হওয়ায় আগের মতো প্রকট বৈষম্য নেই। তাই জেলা কোটা তুলে দিয়ে মেধা কোটা আরও ১০ ভাগ বাড়ানো যেতে পারে। এতে মেধাবীরা উপকৃত হবে। সেই সঙ্গে ক্যাটাগরিভিত্তিক কোটার মধ্যে জেলা কোটা ঢুকানো সমতা নীতির পরিপন্থী, তারও সুরাহা হবে। এতে কোনো মহলের আপত্তি থাকবে বলে মনে হয় না।

বিভিন্ন দেশের কোটা পদ্ধতির উদাহরণ দিয়ে সাবেক এই মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই কোটা আছে, তবে তা অন্যভাবে। যুক্তরাষ্ট্রে কোটাধারীদের আগেই একটা নম্বর দেয়া হয়। এরপর ওপেন পরীক্ষায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয় কোটাধারীদের। আর ভারত তো কোটাকে একটা সুন্দর পর্যায়ে নিয়ে গেছে। সেখানে কোটা আছে, তবে তা উপার্জনের ভিত্তিতে। উচ্চ আয়ের মানুষরা কোটা পায় না। এক্ষেত্রে তারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকেও ছাড় দেয় না। একবার যে কোটার সুবিধা পাবে, সে আর কখনও কোটার সুবিধা পাবে না। অর্থাৎ বাবা যদি কোটা সুবিধা পায় তার সন্তানরা কোনো কোটা সুবিধা পাবে না। কেউ যদি কোটা দিয়ে কলেজে ভর্তি হয়, তাহলে সে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটা সুবিধা পাবে না। আর সে বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটায় ভর্তি হয়েছে, সে কখনও চাকরিতে কোটা সুবিধা পাবে না।

কোটার কারণে প্রশাসনে হাজার হাজার পদ খালি থাকছে। ২৮ থেকে ৩২তম ৫টি বিসিএসের ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, যোগ্য প্রার্থী না থাকায় প্রাধিকার কোটার ৪ হাজার ২৮৭টি পদ খালি রাখতে হয়েছে। এর মধ্যে ২৮তম বিসিএসে ৮১৩টি, ২৯তম বিসিএসে ৭৯২টি, ৩০তম বিসিএসে ৭৮৪টি, ৩১তম বিসিএসে ৭৭৩টি পদ শূন্য ছিল। কোটার শূন্যপদগুলো পূরণ করতে মুক্তিযোদ্ধা, আদিবাসী ও মহিলাদের জন্য ৩২তম বিশেষ বিসিএস নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পিএসসি। ওই বিসিএসেও এক হাজার ১২৫টি পদ শূন্য রাখতে হয়। শেষ পর্যন্ত ৩৩তম বিসিএসের মাধ্যমে তা পূরণের সিদ্ধান্ত হয়। অথচ ৩২তম বিসিএসে উত্তীর্ণ ৯১২ জনই চাকরির সুযোগ পাননি। কারণ এক কোটা থেকে আরেক কোটায় নিয়োগ দেয়া যায় না। এর আগে ২০০৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটার ৮৩৩টির মধ্যে ৭৭৮টি, ২০০৫ সালে এক হাজার ৮৫৪টির মধ্যে এক হাজার ৫০৮টি, ২০০৬ সালে ৭৫৪টির মধ্যে ৫৯৮টি এবং ২০০৭ সালে ৭০৯টির মধ্যে ৬৩৭টি পদ খালি রাখতে হয়েছিল এই কোটার কারণেই।

কোটাকে বৈষম্যের হাতিয়ার উল্লেখ করে পিএসসির সাবেক একজন চেয়ারম্যান বলেন, কোনো একজন প্রার্থীর বাড়ি জামালপুরে। তার মেধাক্রম ১৫। কিন্তু ওই জেলা কোটায় নেয়া যাবে তিনজন। ১৫ পর্যন্ত যাওয়ার আগেই যদি জামালপুরের কোটায় তিনজন পাওয়া যায়, তাহলে ১৫তম হয়েও চাকরি পাবেন না। বিপরীতে ১৫০তম হয়েও মেহেরপুরের একজন প্রার্থী কোটা খালি থাকলে চাকরি পেতে পারেন।

মেধা তালিকায় ওপরে থেকেও অনেকে কোটার কারণে পছন্দের ক্যাডার পান না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তথ্য ক্যাডারের এক কর্মকর্তা জানান, তার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের এক বন্ধু বর্তমানে উপসচিব। একাডেমিক পরীক্ষায় সে কখনও ভালো করেনি। বিসিএস পরীক্ষার মেধা তালিকায় ওই উপসচিব তার থেকে ৪৩৬ জনের পরে ছিল। শুধু কোটা সুবিধা পেয়ে সে প্রশাসন ক্যাডার পায়। অথচ ভালো রেজাল্ট করেও তিনি পেয়েছেন তথ্য ক্যাডার।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রেও ঘটে একই ধরনের ঘটনা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ১৭ জনকে পোষ্য কোটায় ভর্তি করা হয়। এদের প্রায় সবাই ভর্তি পরীক্ষায় ১০০-র মধ্যে ৪০ নম্বর পায়। শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তান, ভাই-বোন হওয়ায় তারা এ সুযোগ পান। অথচ তাদের চেয়ে দ্বিগুণ নম্বর পেয়েও ভর্তি হতে পারেনি মেধাবীরা।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদারও মনে করেন, বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থা অবশ্যই সংস্কার হওয়া উচিত। তিনি যুগান্তরকে বলেন, সংবিধান অনুযায়ী, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকা উচিত। তাও সব মিলিয়ে ২০ শতাংশের বেশি নয়।

এ প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় বিদ্যমান কোটা কমানো প্রয়োজন। জেলা কোটা বাতিল হওয়া উচিত। শেখ হাসিনা দেশকে যে পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন, তার সঙ্গে বর্তমান কোটা পদ্ধতি সামঞ্জস্য নয়। যোগ্যতার ভিত্তিতে যারা এগিয়ে আছে, তাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। শিক্ষার হার বাড়লেও আমলাতন্ত্রে ও শিক্ষকতায় দক্ষতা কমছে। এর বড় কারণ কোটা পদ্ধতি। সময় এসেছে পুরো বিষয়টির পুনর্বিবেচনার। এর সঙ্গে অনেকে একমত হবেন না রাজনৈতিক কারণে। মুক্তিযোদ্ধা কোটারও নানারকম অপব্যবহার হচ্ছে। কোটা যদি থাকতেই হয়, তবে নারী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কিছু কোটা থাকতে পারে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য কোটা থাকলেও নাতি-পুতিদের জন্য নয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভর্তিতেও কোটা থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন এই ইতিহাসবিদ।

আওয়ামী লীগ আমলে (১৯৯৬-২০০১) জনপ্রশাসন সংস্কারে এটিএম শামসুল হকের নেতৃত্বে কমিশন গঠন করা হয়। কমিশনের সুপারিশ ছিল- প্রচলিত কোটা পদ্ধতির সংশোধন করে ১ম ও ২য় শ্রেণীর পদগুলো মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া। মেধা কোটা ১০ ভাগ বৃদ্ধি করে ৫৫ ভাগ করা। তাতে আরও বলা হয়, সরকারি চাকরিতে মেধাবী কর্মকর্তাদের প্রবেশকে ব্যাহত করা ছাড়াও নিয়োগের ব্যাপারটিকে জটিল করে তুলছে কোটা পদ্ধতি। পিএসসি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনগুলোতে মেধা নীতির অনুকূলে কোটা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার জন্য বারবার সুপারিশ করছে। কিন্তু তাদের সুপারিশ আমলে নেয়া হয়নি। এ অবস্থায় সিভিল সার্ভিসের দক্ষতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কমিশন মনে করে- ‘শুধু মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর এখন সময় এসেছে।’

এরপর ২০০৮ সালে শামসুল হক কমিশনের অন্যতম সদস্য ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান ও বর্তমান সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে কোটা পদ্ধতির অসঙ্গতি দূর করতে একটি সমীক্ষা চালায় পিএসসি। ‘কোটা সিস্টেম ফর সিভিল সার্ভিস রিক্রুটমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এ সমীক্ষা প্রতিবেদন ওই বছরের ৬ মার্চ তৎকালীন পিএসসির চেয়ারম্যান ড. সা’দত হুসাইনের কাছে জমা দেয়া হয়। এই সমীক্ষা প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মেধা কোটা পাঁচ শতাংশ বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ এবং জেলা কোটার পরিবর্তে বিভাগীয় কোটা প্রবর্তনের সুপারিশ করে পিএসসি। ৬১ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি ২০০৮ সালের ২০ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়। ওই প্রতিবেদনে আকবর আলি খান কোটাব্যবস্থাকে বৈষম্যমূলক আখ্যা দিয়ে বলেন, অধিকাংশ কোটাই অসাংবিধানিক ও ন্যায়নীতির পরিপন্থী। কোনো কোটাই চিরদিন থাকতে পারে না। প্রত্যেক কোটার সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের সংবিধানের ২৯(১) ধারায় বলা আছে-‘প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদলাভের ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা থাকিবে।’ ২ ধারায় বলা আছে- ‘কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিক প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ বা পদলাভের অযোগ্য হইবেন না কিংবা সেই ক্ষেত্রে তাহার প্রতি বৈষম্য প্রদর্শন করা যাইবে না।’

কোটা পদ্ধতি যৌক্তিকীকরণের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে সরকারি কর্মকমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক যুগান্তরকে বলেন-প্রিলিমিনারি, লিখিত ও ভাইভা এই তিনটি পরীক্ষা আমরা নিয়ে থাকি। এসব পরীক্ষায় কোথাও কোটার প্রার্থীদের আলাদাভাবে মূল্যায়ন করা হয় না। তিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ যেসব মেধাবীকে পাই তাদের মধ্য থেকে কোটার প্রার্থীদের আলাদা করা হয়। তিনি বলেন, কোটা সংবিধান ও আইন দ্বারা স্বীকৃত বিষয়। জাতিকে সমতা ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্য এটি অনুসরণ করা হয়। কোটা প্রবর্তন করেছে সরকার, আমরা শুধু এটি বাস্তবায়ন করে থাকি।

এক প্রশ্নের জবাবে পিএসসির চেয়ারম্যান বলেন, এটা ঠিক যে কোটার কারণে অপেক্ষাকৃত কম মেধাবীরা সুযোগ পাচ্ছে। এ কারণে এটা নিয়ে আরও গবেষণা হওয়া উচিত। কিন্তু সার্বিকভাবে চিহ্নিত মেধাবীদের থেকে প্রার্থী বাছাই করার এই রীতি অনগ্রসর গোষ্ঠীকে তুলে আনতে প্রয়োজন।

জানা গেছে, বাংলাদেশে উত্তরাধিকার সূত্রেই কোটা পদ্ধতি চালু হয়। ব্রিটিশ আমলে ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে ব্রিটিশদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পারায় ভারতীয়দের জন্য কোটা সংরক্ষণ করা হয়। পরে সংখ্যালঘু মুসলমানদের জন্যও রাখা হয় কিছু কোটা। পাকিস্তান আমলে পিছিয়ে পড়া পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমানে বাংলাদেশ) দাবির মুখে কেন্দ্রীয় সুপেরিয়র সার্ভিসগুলোর কয়েকটিতে প্রদেশভিত্তিক কিছু কোটা চালু করা হয়। ১৯৭২ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তৎকালীন সংস্থাপন (বর্তমানে জনপ্রশাসন) সচিব এমএম জামানের স্বাক্ষরে এক নির্বাহী আদেশে কোটা পদ্ধতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পায়। ওই আদেশে সরকারি চাকরিতে মাত্র ২০ ভাগ ছিল মেধা কোটা, ৪০ ভাগ জেলা কোটা, ৩০ ভাগ মুক্তিযোদ্ধা কোটা আর ১০ ভাগ ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত নারী কোটা। ১৯৭৬ সালে এই কোটা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে মেধা কোটায় বরাদ্দ হয় ৪০ ভাগ, জেলা কোটায় ২০ ভাগ। মুক্তিযোদ্ধা কোটায় আগের মতোই ৩০ ভাগ রাখা হয়। ১৯৭৭ সালে তৎকালীন পে-সার্ভিস কমিশনের সদস্য এমএম জামান ছাড়া বাকি সবাই সরকারি নিয়োগে কোটা ব্যবস্থার বিরোধিতা করেন। তখন কোটার পক্ষে অবস্থান নেয়া ওই সদস্য প্রচলিত কোটাগুলো প্রথম ১০ বছর বহাল রেখে ১৯৮৭ সাল থেকে পরবর্তী ১০ বছরে ধীরে ধীরে কমিয়ে দশম বছরে তা বিলুপ্ত করার পক্ষে মত দেন। ১৯৮৫ সালে এ ব্যবস্থা আবারও বদলানো হয়। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে মেধার ভিত্তিতে ৪৫ ভাগ, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০ ভাগ, নারীদের জন্য ১০ ভাগ এবং প্রথমবারের মতো উপজাতি ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ ভাগ পদ বরাদ্দের সিদ্ধান্ত হয়। ১৯৯৭ সালে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের এর আওতাভুক্ত করা হয়। ২০১১ সালে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ ভাগ কোটা বরাদ্দ রাখা হয়। যুগান্তর এর সৌজন্যে

বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১৬

মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরুর খবরে দেশবাসী বিস্মিত : জামায়াত

একটি টেলিভিশন চ্যানেল ও একটি অনলাইন পত্রিকার রিপোর্টে জামায়াতে ইসলামীর নবনির্বাচিত আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু হওয়ার খবরে বিস্ময় প্রকাশ করে দলের নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নবনির্বাচিত আমির মকবুল আহমাদ একজন অত্যন্ত সৎ চরিত্রবান ও কোমল স্বভাবের নেতা।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে তার মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না। হত্যা, লুটপাট ও বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের মত কোনো ধরনের সহিংসতার সাথে তার সম্পর্ক নেই। তিনি কোনো অপরাধের সাথে জড়িত ছিলেন না। তিনি যদি কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত থাকতেন তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধের পরে অবশ্যই কেউ না কেউ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উত্থাপন করত। কিন্তু ১৭ অক্টোবরের পূর্ব পর্যন্ত কেউ তার বিরুদ্ধে কোথাও কোনো মামলা করা তো দূরের কথা, থানায় একটি জিডি পর্যন্ত করেনি। আমির হিসেবে শপথ গ্রহণের দু’দিন যেতে না যেতেই তার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত শুরু করার খবরে দেশবাসী বিস্মিত ও মর্মাহত। এ থেকেই বুঝা যায়, এ তদন্তের খবর সম্পূর্ণ হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করার হীন উদ্দেশ্যেই তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে।
এ ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
উৎসঃ   nayadiganta

খাদিজার পর এবার মুন্সীগঞ্জে স্কুলছাত্রীকে কুপিয়ে জখম

বদরুল আলমের চাপাতির কোপে খাদিজার ক্ষত না শুকাতেই আবারও মুন্সিগঞ্জের চরমোদন গ্রামে দশম শ্রেণির ছাত্রী তাহমিনা জাহানকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাহমিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত তাহমিনার চাচাতো ভাই সাগর জানিয়েছেন, মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এই ঘটনাটি ঘটে। ২০ দিন আগে তাহমিনা তার চাচাতো ভাইকে জানিয়েছিল বেশ কয়েকদিন ধরে এক যুবক তাকে উত্ত্যক্ত করছিল। পরিবারের সদস্যদের ধারণা সেই যুবকই এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
তাহমিনা রশুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর একজন ছাত্রী এবং রশুনিয়া ইউনিয়নের চরমোদন গ্রামের তবিজ উদ্দিনের মেয়ে। সিরাজদীখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইয়ারদৌস হাসান জানিয়েছেন, ঘটনার পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাহমিনাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাহমিনার জ্ঞান না ফেরায় ঘটনার সাথে জড়িতদের বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। সূত্রঃ আজকের খবর

সোমবার, ১৭ অক্টোবর, ২০১৬

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর হিসেবে জনাব মকবুল আহমাদের শপথ গ্রহণ


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  আজ ১৭ অক্টোবর সোমবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সম্মুখে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচিত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ শপথ গ্রহণ করেন। তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রধান নির্বাচন কমিশনার মাওলানা এটিএম মাসুম। 

জামায়াতে ইসলামীর রুকনগণ গোপন ভোটের মাধ্যমে ২০১৭-২০১৮-২০১৯ কার্যকালের জন্য জনাব মকবুল আহমাদকেআমীর হিসেবে নির্বাচিত করেন। নির্বাচিত আমীর হিসেবে শপথ নিয়ে তিনি জামায়াতের সর্বস্তরের জনশক্তি ও দেশবাসীর দোয়া কামনা করে নিম্নোক্ত বক্তব্য পেশ করেনঃ- 


“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
প্রিয় দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

আজ দেশের এক কঠিন ক্রান্তিকালে আপনাদের সামনে উপস্থিত হতে পেরে প্রথমেই আমি মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি। সেই সাথে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যে সকল জনগণ ও বীর মুক্তিযুদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ ভুমিকা ও অকৃত্রিম ত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন-স্বার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি তাদের কথা আজ গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করছি। বিশেষভাবে স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাষানী এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি উসমানীসহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সকল অবিসংবাদিত নেতাদের আমি স্বশ্রদ্ধচিত্তে স্বরণ করছি। 
আজকের এই মুহূর্তে গভীর শ্রদ্ধার সাথে আরও স্মরণ করছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর অধ্যাপক গোলাম আযম, সাবেক আমীর ও সাবেক মন্ত্রী মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক নায়েবে আমীর মাওলানা আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফ, সাবেক নায়েবে আমীর অধ্যাপক এ কে এম নাজির আহমাদ, সাবেক সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক মন্ত্রী আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, সাবেক দুই সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান ও আব্দুল কাদের মোল্লা, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাবেক সদস্য মীর কাসেম আলীসহ সেই সকল শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে, যারা আমাদের প্রিয় জন্মভুমি বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির লক্ষ্যে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে একটি ইনসাফপূর্ণ ও কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মাণের জন্য আজীবন গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছেন। আর একারণে বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিহিংসামূলকভাবে তাদের পাঁচজনকে ফাঁসির কাষ্টে ঝুলিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছে। দুইজন কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে জুলুমের শিকার হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। আমি মহান আল্লাহ তাআলার দরবারে তাদের শাহাদাত কবুল করার জন্য একান্তভাবে দোয়া করছি। পাশাপাশি আমাদের যে সমস্ত সহকর্র্মী ভাই ও বোনেরা কর্তৃত্ববাদী সরকারের নজিরবিহীন নির্যাতনের শিকার হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে আমি তাদেরও সকলের শাহাদাত কবুল করার জন্য বিগলিতচিত্তে দোয়া করছি। 

আমি একান্ত শ্রদ্ধার সাথে আরও স্মরণ করছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য জনপ্রিয় জননেতা মাওলানা আব্দুস সোবহান এবং জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও বিশ্ববরেণ্য মোফাসসিরে কোরআন সাবেক এমপি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামসহ সে সকল নেতাকর্মীদের, যাদেরকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগের ভিত্তিতে দীর্ঘদিন অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক রেখে তিলে তিলে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে জামায়াত, ছাত্র শিবির, ছাত্রী সংস্থাসহ বিরোধী দল ও মতের হাজার হাজার নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলায় হয়রানীর শিকার হয়ে বাড়িঘর ও কর্মস্থল ছেড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অসংখ্য নেতাকর্মীকে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিকভাবে পঙ্গু করে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই গুম, খুন ও গুরুতর আহত হয়ে অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, আমি আহতদের সুস্থতা, ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সম্মান ও সমবেদনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারসমূহের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। গুম হওয়া ব্যক্তিদেরকে অবিলম্বে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের সকলের ত্যাগ ও কুরবানীকে কবুল করে তাদেরকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন এই দোয়া করছি। একই সাথে ফিলিস্তিন, মিশর, সিরিয়া, লিবিয়া, ইরাকসহ বিশে^র বিভিন্ন রাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের কবলে পড়ে যে সকল মানুষ হত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন, তাদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। কাশ্মিরের জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে যৌক্তিকভাবে মেনে নিয়ে স্থায়ী শান্তির পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি। মায়ানমারের নিপীড়িত মুসলমানদের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সে দেশের সরকার এবং বিশ^ সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

সহকর্মী ভাই ও বোনেরা,
আপনারা সকলেই জানেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে গণতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত একটি আদর্শবাদী দল। দেশের সর্বত্র বিরাজমান শাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অসীম রহমতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমীরে জামায়াতের নির্বাচন ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। এ নির্বাচনে জামায়াতের সদস্যগণ আমাকে আমীর নির্বাচিত করেছেন। আমি আশা করেছিলাম আমার সহকর্মীবৃন্দ অধিকতর যোগ্যতা স¤পন্ন অন্য কোন ভাইকে এ মহান কাজের জন্য বাছাই করে নেবেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় শেষ পর্যন্ত এ দায়িত্ব আমার উপরেই এসেছে। আপনারা অবগত আছেন যে, বিগত ছয় বছরের অধিক সময় আমার উপর ভারপ্রাপ্ত আমীরের দায়িত্ব ছিল। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অসীম রহমত এবং আপনাদের দোয়া ও আন্তরিক সহযোগীতায় অনেক জুলুম নির্যাতনের মধ্যেও আমি এ দায়িত্ব পালনের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। জামায়াতে ইসলামীর আমীরের এ কঠিন দায়িত্ব হতে আমি নিজেকে মুক্ত রাখতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের ইচ্ছায় সংগঠনের সদস্যদের গোপন ব্যালটের মাধ্যমে আমার উপর আমীরের দায়িত্ব আসায় আমি আজ মহান আল্লাহর রহমত ও সাহায্যের উপর নির্ভর করে আপনাদের সামনে আমীর হিসাবে দায়িত্বের শপথ গ্রহণ করছি। সেই সাথে এই কঠিন জিম্মাদারী পূর্ণ আমানতদারীর সাথে যথাযথভাবে পালনের শক্তি ও সক্ষমতার জন্য মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট দুই হাত তুলে নিবেদন করছি। আমার প্রিয় দেশবাসীসহ জামায়াতের সকল স্তরের দায়িত্বশীল, সদস্য, কর্মী, সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীদের আন্তরিক ও স্বতঃস্ফূর্ত পরামর্শ এবং দোয়া কামনা করছি। 

আজকের এই শপথ অনুষ্ঠানে আমি অকুন্ঠচিত্তে বলতে চাই, অতীতে আমার জীবনে বড় কোন পার্থীব চাওয়া-পাওয়া ছিলনা। এখনও নেই। মহান রব আমাকে যদি তার দ্বীনি আন্দোলনের জন্য কবুল করে থাকেন, তবে এটাই হবে আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া। আমি আপনাদের মধ্যে কোন বিশেষ যোগ্যতার অধিকারী নই, তবুও আপনারা আমার উপর আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করে দায়িত্বের যে মহান আমানত সোপর্দ করেছেন, তা যেন আমি যথাযথ পালন করতে পারি। আমার ব্যক্তিগত পছন্দ ও যাবতীয় চাহিদার উপর সংগঠনের স্বার্থ এবং দেশ ও জাতির প্রয়োজনকে স্থান দিতে পারি, সেই জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের খাস রহমত এবং আপনাদের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি। আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, এ মহান সংগঠনের যেকোন পর্যায়ের দায়িত্বের জন্য পরকালীন জীবনে আল্লাহ পাকের নিকট জবাবদিহি করতে হবে। এ দায়িত্ব আখেরাতে নাজাতের উসিলাও হতে পারে, আবার শাস্তির কারণও হতে পারে। তাই আমি আবারও আপনাদের সকলের নিকট দোয়া চাই যেন এ দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে আল্লাহ তাআলা আমাকে আখেরাতে নাজাত দান করেন, আমীন। 

সংগ্রামী দেশবাসী,
আমি আজ অত্যন্ত উদ্বেগ এর সাথে লক্ষ্য করছি যে, আমাদের প্রিয় জন্মভুমি এক কঠিন সংকটের মুখে নিমজ্জিত। দেশে জনগনের ভোটে নির্বাচিত সরকার না থাকায় গণতন্ত্র অবরোদ্ধ ও মানবাধিকার ভুলুন্ঠিত। জনগনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থাগুলোকে ইসলামী দল সহ রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দমনে নগ্নভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে দেশকে কার্যত একটি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিনত করা হয়েছে। সন্ত্রাস ও চরমপন্থা দমনে সরকার ব্যর্থ হওয়ায় জনগনের মধ্যে হতাশা ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। গনমাধ্যমের কন্ঠরোধ, অপসংস্কৃতির সয়লাব ও নৈতিক অবক্ষয় চরম আকার ধারন করেছে। গুম, খুন, নারী ও শিশু নির্যাতন, মাদক ও চোরাচালান ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। দুর্নীতি , স্বজনপ্রীতি, অনিয়ম, লুটপাট, দলীয়করন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, অনৈক্য, মিথ্যাচার ও দমন পিড়ন ভয়ানক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। সংখ্যালঘু সম্পদায় ও আজ সরকারী দলের দুবৃত্তদের লুটপাট, দখলদারিত্ব ও নির্যাতনের কারনে অনিরাপদ এবং অতিষ্ট। দারিদ্র, বেকারত্ব, মেধার অবমূল্যায়ন, বৈষম্য, নিত্যপন্যের বাজারে অস্থিরতা জনজীবনকে নাবিশ্বাস করে তুলেছে। দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বলয় ভেঙ্গে পড়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্টান ও ব্যবসা বানিজ্যের অঙ্গন গুলো সন্ত্রাসী ও চাদাবাজদের অভয়ারণ্যে পরিনত হয়েছে। এক কথায় মানুষের জীবনের নিরাপত্তা ও দেশের ভবিষ্যত নিয়ে গোটা জাতি আজ উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাঠাচ্ছে। 

এমনি প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর ন্যায় একটি দায়িত্বশীল ও জনগনের প্রতিনিধিত্বকারী দলের আমীর নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব গ্রহনকালে সকলের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, এদেশটি আমাদের সকলেরই। দেশে বিরাজমান সমস্যা ও সংকটের সমাধান আমাদের সবাইকে মিলেই করতে হবে। কোন একটি দলের পক্ষে কিংবা একা সরকাররে পক্ষ্যে এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। দল ও মতের উর্ধ্বে উঠে সকলের সাথে আলাপ আলোচনা করে জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে চলমান সংকট ও সমস্যা সমাধানের উদ্যেগ গ্রহনের জন্য আমি সরকারের প্রতি আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। আর এজন্য সকল দল ও পক্ষের অংশগ্রহনে একটি সফল জাতীয় সংলাপের কোনই বিকল্প নেই। তবে জাতীয় সংলাপকে সফল করতে হলে প্রয়োজন সংলাপের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। সে লক্ষ্যে জামায়াত সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী, আলেম উলামা, দেশপ্রেমিক বিবেকবান সাংবাদিক নের্তৃবৃন্দসহ নাগরিকদের বিরোদ্ধে দায়েরকৃত সকল মিথ্যা মামলা ও হুলিয়া প্রত্যাহার করতে হবে। রাজনৈতিক নেতা-কর্মীসহ সকল নিপিড়ীত বন্দিদেরকে মুক্তি দিতে হবে। সকল ক্ষেত্রে পুলিশি হয়রানী ও দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। দেশের স্থিতিশীল ও গনতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সকলের কাছে গ্রহনযোগ্য ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করে জনগনের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্থান্তর করতে হবে। একই সাথে অতীতের কোন রাজনৈতিক বিষয়কে অজুহাত না বানিয়ে সকল দু:খ, কষ্ট ও বেদনাকে ভ’লে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ার কাজে এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

সম্মানিত দেশবাসী,
আমাদের প্রিয় জন্মভুমি বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ। প্রাকৃতিক, খনিজ ও মৎস্য সম্পদ সহ মানব সম্পদে ভরপুর প্রিয় এ্ই দেশ। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য দরকার সুশাসন ও সুবিচারপুর্ন সমাজ এবং সততা, নৈতিকতা ও মৌলিক মানবীয় যোগ্যতা সম্পন্ন মেধাবী এবং দক্ষ দেশপ্রেমিক নেতৃত্বের। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সেই কাঙ্খিত মানের নেতৃত্ব তৈরির মাধ্যমে স্বাধীনতরা ঘোষনাপত্রে বর্ণিত মূলনীতি ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে সুশাসন ও ন্যায়ভিত্তিক কল্যাণধর্মী সমাজ বিনির্মানের জন্য কাজ করছে। দেশের বিদ্যমান পরিবেশ পরিস্থিতি সহ আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সেই কাঙ্খিত জনকল্যানমূলক সমাজ বিনির্মানের লক্ষ্যে জামায়াত তার রুপকল্প হিসাবে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করছে। ইনশাআল্লাহ যার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্য, গনতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে বলে আমরা গভীরভাবে আশাবাদি। জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মুক্তি অর্জিত হবে। ’সকলের প্রতি বন্ধুত্ব, কারও প্রতি শত্রুতা নয়’, এই নীতির ভিত্তিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলো সহ বিশ্বের শান্তিকামী সকল রাষ্ট্রের সাথে সুসম্পর্ক এবং বাংলাদেশের জাতীয়স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে রাষ্ট্র সমুহের সাথে সমতা ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে পারস্পারিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। সর্বোপরি আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মসহ দেশের জনগনের কাঙ্খিত উন্নত বাংলাদেশ প্রতিষ্টার স্বপ্ন পুরন হবে, ইনশা-আল্লাহ। 

প্রিয় সহকর্মী ভাই ও বোনেরা,
বাংলাদেশের রাজনীতির অনেক উত্থান-পতন ও ইসলামী সমাজ বিনির্মানে কঠিন পথ অনুসরন করে জামায়াতে ইসলামী আজকের অবস্থানে এসে পৌছেছে। সরকারের জুলুম-নির্যাতনের ফলে জামায়াতের প্রতি জনগনের আস্থা ও প্রত্যাশা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। জামায়াত বাংলাদেশের মানুষের সার্বিক মুক্তির জন্য যে সুবিচারপুর্ন কল্যাণমুখী সমাজ বিনির্মান করতে চায়, তার জন্য প্রয়োজন প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার সর্বস্তরের পরিবর্তন সাধন। নিচক সমাজের উপরি কাঠামোতে পরিবর্তন এনে কাঙ্খিত ইসলামী সমাজ বিনির্মান অসম্ভব। এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে সংগঠনের সর্ব পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও সহকর্মীগন যাতে সমাজে যথাযথ প্রতিনিধিত্ব করতে পারেন তার উপযোগী করে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য কুরআন-হাদীসের চর্চা বাড়াতে হবে। ইসলামী ও আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানে সমৃদ্ধ হতে হবে। মজবুত ঈমান, উন্নত আমল ও নৈতিকতার অধিকারী হতে হবে। দ্বীনের প্রকৃত দায়ী হিসাবে সমাজের মানুষের নিকট নিজেদেরকে ইসলামের রোল-মডেল এবং সত্যের স্বাক্ষ্য হিসাবে উপস্থাপন করতে হবে। দরদপূর্ন মন নিয়ে সুখে-দু:খে মানুষের পাশে দাড়াতে হবে। আমাদের মূল পরিচয় দায়ী ইলাল্লাহ। প্রত্যেক জনশক্তিকে স্ব-উদ্যেগে দাওয়াতি কাজ, কর্মী গঠন এবং নিজেদের পরিবার গঠনের প্রতি বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ বৃদ্ধি ও সকল প্রকার সাংগঠনিক কর্মসূচিকে মান সম্মত ও সময়োপযোগী করতে হবে। আমাদের কার্যক্রমের সাথে জনগনকে আরও ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত করে সংগঠনকে জনগনের দলে পরিনত করতে হবে। এজন্য জনশক্তির মাঝে গনমুখী ও ভারসাম্যপূর্ন চরিত্র বিকাশের মাধ্যমে সামাজিক নেতৃত্ব তৈরির প্রতি সবিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। জাতীয় সংহতি ও ভৌগলিক অখন্ডতার চেতনা এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ব হয়ে দেশের স্বাধীনতা ও স্বার্বভোমত্ব রক্ষায় যথাযথ ভুমিকা পালন করতে হবে।

দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে দায়িত্বশীলদের ভুমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন। এসময় যার উপরে যে সাংগঠনিক দায়িত্ব অর্পিত হবে, তা যথাযথভাবে পালনের জন্য সদা সচেতন থেকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্টার পরিচয় দিতে হবে। নেতৃত্বের সামান্য ভ’ল সংগঠনকে বড় ক্ষতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। ইসলামী আন্দোলনের যেকোন দায়িত্ব আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ন আমানত। এ দায়িত্বের জন্য মহান আল্লাহ পাকের কাছে জবাবদিহির তীব্র অনুভুতি অন্তরে লালন করতে হবে। দুনিয়াতেও সর্ব পর্যায়ে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে সংগঠনের অভ্যন্তরে পারস্পারিক পরামর্শ ও গঠনমুলক সমালোচনার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। সাংগঠনিক পরিবেশ সুন্দর ও উন্নত রাখার স্বার্থে মতের কুরবানী ও উদারচিত্তে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে। দায়িত্বশীলদের উত্তম ব্যবহার ও উদার মনের পরিচয় দিতে হবে, যেন সহকর্মীগন গঠনমুলক সমালোচনা, ভুল-ত্রুটি সংশোধন ও সুপরামর্শ দানে উৎসাহ বোধ করে। সংগঠনের সদস্য-কর্মীদের মধ্যে ইনসাফপুর্ন আচরণ নিশ্চিত করতে হবে। নিজেদের মধ্য ছোট-খাটো মতপার্থক্য পরিহার করে ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বাব¯থায় ইস্পাত কঠিন ঐক্য বজায় রাখতে হবে। 

আমাদেরকে একথা সব সময়ই মনে রাখতে হবে যে, আমাদের জীবনে পার্থিব সফলতা কোন বড় বিষয় নয়, আখেরাতের নাযাত ও আল্লাহর সন্তুষ্টিই প্রকৃত সাফল্য। এজন্য দ্বীনের প্রয়োজনকে ব্যক্তিগত কাজ ও দুনিয়াবি স্বার্থের উপরে স্থান দিতে হবে। সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে ইসলামের নামে যেকোন ধরনের চরমপন্থা ও সন্ত্রাসের বিরোদ্ধে জামায়াতে ইসলামী ঘোষিত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কঠোরভাবে অনুসরন করতে হবে। সারা দুনিয়ার সকল ধর্মাবলম্বীদের জামায়াতে ইসলামী সম্মান ও মানবিক দৃষ্টিতে দেখে। তাই আমরা রাজনীতি কিংবা ধর্মের নামে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও নিরীহ মানুষ হত্যা এবং জুলুম নির্যতনের অবসান চাই। একই সাথে উদার দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানবিক আচরন দিয়ে আমরা সকল প্রকার বিরোধীতার মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দল, মত, জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আমরা দেশ-বিদেশের সকল শান্তিকামী মানুষের মঙ্গল কামনা করি।

পরিশেষে আমি একথা বলে আমার বক্তব্যের সমাপ্তি টানতে চাই, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলামী আন্দোলনের প্রকৃত অভিভাবক। তাঁর সাহায্য ছাড়া এ আন্দোলনের সফলতা অর্জন সম্ভব নয়। তাই আমাদেরকে রাব্বুল আলামীনের সাথে গভীর সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। ব্যক্তিগত জীবনে ইসলামের মৌলিক এবাদতের পাশাপাশি নফল এবাদতের প্রতি গভির নজর দিতে হবে। তাহলে অতীতের মত আমাদের উপর আল্লাহ তাআলার করুনা ও সাহায্য আসবে এবং আমরাও আখেরাতের সাফল্য এবং দুনিয়ার বিজয় অর্জনে সক্ষম হবো ইনশাহ্ আল্লাহ।

আসুন আমরা সকলেই নিজেদেরকে আল্লাহর প্রিয় বান্দা হিসাবে গড়ে তুলি এবং ইসলামী আন্দোলনের লক্ষ্য উদ্দেশ্যকে নিজের জীবনের লক্ষ্য- উদ্দেশ্য হিসাবে খালেস ভাবে গ্রহন করি। এপথে যত কঠিন বাধা-বিপত্তি আসুক না কেন মহান আল্লাহ তাআলার উপর পুর্ন ভরসা রেখে ধৈর্য্য, সাহসীকতা ও সর্বোচ্ছ ত্যাগ কুরবানীর বিনিময়ে সফলভাবে মোকাবেলা করি। সংগঠনের পরিকল্পনা ও কর্মসূচী যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় দেশের সকল নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ, সমৃদ্ধ ও সুন্দর আবাসস্থল হিসাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে জোরদার করি। সর্বোপরি নিজেদেরকে ঈমানদার এবং মুত্তাকী রুপে গড়ে তোলে আখেরাতের নাজাত, আল্লাহ পাকের মাগফেরাত ও অফুরন্ত নেয়ামতে ভরা জান্নাতের পথে সর্বাবস্থায় নিয়োজিত রাখি। মহান আল্লাহ তাআলা বলেন, ” দৌড়াও এবং একে অপরের চেয়ে অগ্রগামী হওয়ার চেষ্টা করো তোমার রবের মাগফেরাতের দিকে এবং সেই জান্নাতের দিকে যার বিস্তৃতি আসমান ও যমীনের মতো। তা প্রস্তুত রাখা হয়েছে তাদের জন্য যারা আল্লাহ ও তার রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে। এটা আল্লাহর অনুগ্রহ। যাকে ইচ্ছ তিনি তা দান করেন। আল্লাহ বড়ই অনুগ্রহশীল”( সূরা হাদিদঃ ২১)। আল্লাহ পাক আমাদের সকল দোষ ত্রুটি ক্ষমা করুন, জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত দ্বীনের উপর অবিচল রাখুন, সর্বোপরি মহান আল্লাহপাক আমাদের সহায় হোন, আমীন।

আল্লাহ হাফিজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জিন্দাবাদ ॥”

শনিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৬

নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আর্ত- চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আর্ত- চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে। বিশ্ব নেতহারা কি করছেন?  ফেসবুকের সুবাদে বার্মা বা মায়ানমারের সেনা বাহিনী, পুলিশ ও বৌদ্দ ভিক্ষু কর্তৃক রোহিঙ্গা মুসলমানদের অত্যাচার নির্যাতনের যে চিত্র বছরের পর বছর ধরে চলছে তা কে না জানে? বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্থান থেকে শুরু করে আমেরিকা, রাশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য  এমনকি জাতিসংঘ পর্যন্ত কেউ কি জানার বাকি আছে? আধুনিক সভ্যতার এই যুগে এমন বর্বরতা কি করে চলতে পারে? 
রোহিঙ্গা মুসলমানদের বুকফাটা চিৎকার যদি কারো বিবেক জেগে না উঠে তবে এই বিশ্বকে অবশ্যই মহান আল্লাহর ফায়সালার জন্য অপেক্ষ করতে হবে। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অংসাং সুকি বার্মা বা মায়ানমারের ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত কিন্তু এখানে কোন পরিবর্তনের লক্ষণ নাই। বিশ্বের বিজ্ঞানীরা নতুন নতুন আবিস্কারে ব্যাতিব্যস্ত, বুদ্ধিজীবীরা শান্তি প্রতিষ্ঠার নানা বক্তব্য নিয়ে টকশোতে হাজির হয়। কিন্তু নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের বিষয়ে কারো কোন শক্তিশালী বক্তব্য নেই। 
এ ভাবে কি সুন্দর বিশ্ব চলতে পারে? রোহিঙ্গা সমস্যা যারা আজ এড়িয়ে যাচ্ছেন হয়তো তাদেরও এমন একটি সময় সামনে চলে আসতে পারে? 
নিচের লিংকে ক্লিক করে ভিডিওটি দেখুন আর ভাবুন এবিষয়ে আপনার আপনাদের কিছু করনীয় আছে কিনা?

শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১৬

মিয়ানমারে ফের মুসলিম হত্যাকাণ্ড: শান্তিতে নোবেল জয়ী অং সান সুচি নীরব কেন?

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশে হামলা চালিয়ে অন্তত ১০ মুসলমানকে হত্যা করেছে।
কিছুদিন আগে একদল সশস্ত্র ব্যক্তি মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা চালালে হামলাকারীদের খুঁজে বের করার জন্য ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনী। গত ১ অক্টোবর ওই হামলার ঘটনায় নয় পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিল। এরপরই রাখাইন প্রদেশে নতুন করে সেনা পাঠানো হয়েছে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে পুলিশ সদস্যদেরকে হত্যায় রোহিঙ্গা মুসলমানদের হাত ছিল। 
বিভিন্ন সাক্ষ্য প্রমাণে দেখা গেছে, মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশে নতুন করে সেনাবাহিনীর আগ্রাসন বেড়ে যাওয়ায় সেখানকার একটি বড় অংশের স্কুল, বাজার ঘাট বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের স্থানীয় কর্মকর্তারা সামরিক শাসন জারির কথা জানিয়ে বলেছেন, কোথাও পাঁচ জনের বেশি লোক সমবেত হতে পারবে না।
২০১২ সাল থেকে মিয়ানমারের উগ্র বৌদ্ধরা রাখাইনের মুসলমানদের ওপর হত্যা ও জুলুম নির্যাতন চালিয়ে আসছে। সরকারের সমর্থন নিয়ে উগ্র বৌদ্ধরা এ পর্যন্ত শত শত মুসলমানকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছে হাজার হাজার মুসলমান। এ ছাড়া লাখ লাখ মুসলমান শরণার্থীতে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমার সরকার সেদেশে বসবাসকারী রোহিঙ্গা মুসলমানদেরকে নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না বরং বিদেশি অভিবাসী হিসেবে দাবি করে তাদেরকে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে জোর করে ঠেলে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সরকারের এ অন্যায় ও বর্ণবাদী আচরণের কারণে উগ্র বৌদ্ধরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংস আচরণ করতে আরো উৎসাহিত হচ্ছে।      
বিভিন্ন রিপোর্টে এসেছে মিয়ানমার সরকার এমনকি মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইনের জনসংখ্যার কাঠামোতে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করছে যাতে সেখানে মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে না পারে। মুসলিম জনসংখ্যার কাঠামোতে পরিবর্তন আনার পাশাপাশি স্থানীয় মুসলমানদের ওপর এমন সময় হত্যা নির্যাতন চালানো হচ্ছে যখন ২০১৫ সালের নভেম্বরে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশে গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল।
অং সান সুচির নেতৃত্বে 'ন্যাশনাল লীগ ফর  ডেমোক্রেসি' পার্টি নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসে সরকার গঠন করে। ক্ষমতায় এসেই তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু অং সান সুচি তার প্রতিশ্রুতি পালন তো করেননি বরং মুসলিম বিরোধী সহিংসতা আরো বেড়েছে। অং সান সুচি মিয়ানমার সরকারের সুপ্রিম কাউন্সিলের গুরুত্বপূর্ণ উপদেষ্টা এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকলেও তিনি পার্টির মূল নেতৃত্বে রয়েছেন। এ কারণে তিনি সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের দুঃখ কষ্ট নিরসনে তার প্রতিশ্রুতি পালন করবেন বলে ব্যাপকভাবে আশা করা হয়েছিল। শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অং সান সুচি মিয়ানমারে মুসলমানদের ওপর সরকার ও উগ্র বৌদ্ধদের নৃশংস হামলা ও জুলুম নির্যাতনের ব্যাপারে সম্পূর্ণ নীরব রয়েছে। অথচ তিনি যখন সেনা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিলেন এমনকি গৃহবন্দী থাকা অবস্থায়ও তিনি যে কোনো সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন। এ অবস্থায় অং সান সুচি দেশের ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মুসলমানদের বিরুদ্ধে চলমান সহিংসতারে বিরুদ্ধে কোনো কথা বলছেন না সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।#      
পার্সটুডে/মোঃ রেজওয়ান হোসেন/১৩

বৃহস্পতিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৬

ঐতিহাসিক আশুরা দিবস উপলক্ষ্যে চান্দগাঁও থানা জামায়াতের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ঐতিহাসিক আশুরা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চান্দগাঁও থানার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
১২ অক্টোবর ২০১৬ইং তারিখ ছিল ঐতিহাসিক আশুরা দিবস।চান্দগাঁও থানা জামায়াতের আমীর আবু জাওয়াদের সভাপতিত্বে অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে  সর্ব  জনাব মুহাম্মদ ইবনে হোসাইন, আবু নাহিদ, কে. আলম, এন. হোসাইন, ছাত্রনেতা রায়হান, যুবনেতা সাইফুল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা ঐতিহাসিক আশুরা দিবস এর পটভূমি তুলে ধরে বলেন, অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই করাই এই দিবসের মূল শিক্ষা। 

সোমবার, ১০ অক্টোবর, ২০১৬

স্তন ক্যান্সার ঝুঁকিতে প্রতি ৮ জনে ১ জন নারী অধ্যাপক নইম কাদের

বাংলঅদেশ বার্তা ডেস্কঃ  ‘দেশে প্রতি ৮ জন মহিলার ১ জন স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২২ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে প্রায় ১৭ হাজার মারা যান। মহিলাদের জন্য যেসব রোগ আতঙ্ক হিসেবে চিহ্নিত, স্তন ক্যান্সার অন্যতম। ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলাদের মধ্যে স্তন ক্যান্সারের অবস্থান দ্বিতীয়। শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ স্তন ক্যান্সার রোগী শনাক্ত হয়। ১৫ থেকে ৯০ বছর বয়সের মহিলাদের স্তন ক্যান্সার হতে পারে। এর মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ বছর বছরের মহিলাদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি, প্রায় শতকরা ৩৩ ভাগ।’
গত ৫ অক্টোবর ২০১৬, উত্তরায় আহছানিয়া মিশন ক্যান্সার অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গনে ‘স্তন ক্যান্সার সচেতনতা মাস’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা এ তথ্য জানান। 
অপরদিকে ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ক্যান্সার রিসার্চ অ্যান্ড হসপিটাল এর ২০০৫-২০০৭ এর ক্যান্সার রেজিস্ট্রি রিপোর্ট এর তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে মহিলাদের স্তন ক্যান্সারে মৃত্যুর হার শতকরা ২৫.৬ ভাগ। রিপোর্টে দুঃখের সাথে উল্লেখ করা হয়েছে যে, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের হার প্রতিনিয়তই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্তন ক্যান্সার কী : জীবদেহ অসংখ্য সেল বা কোষদ্বারা গঠিত। কোষগুলো নিয়ন্ত্রিত ও নিয়মিতভাবে বিভাজিত হয়ে নতুন কোষ জন্ম নেয়। জীবদেহে কোষগুলো নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিতভাবে বাড়তে থাকে। যদি কোন করণে কোষগুলো অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হয়, বাড়তে থাকে, ত্বকের নিচে চাকার মত বা দলার ন্যয় ফুলে যায়। স্তনের কোষগুলো যদি অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভাজিত হয়, অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠে, তখন স্তনে চাকার মত বা দলার ন্যয় স্ফীতি দেখা যায়। যদি এই স্ফীতি বিনাইন নাহয়ে ম্যালিগন্যান্ট হয়, তাহলে ক্যান্সারে পরিণত হয়। অর্থাৎ স্তনের কিছু কোষের অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়া ও বেড়ে ওঠাই হল স্তন ক্যান্সার।
স্তন ক্যান্সারে যারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ
স্তন ক্যন্সারে পুরুষ অপেক্ষা মহিলা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।
যে কোন মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। তবে বিভিন্ন গবেষণায় কিছু মহিলা অধিক ঝুঁকিপূর্ণ প্রমাণিত হয়েছে।
অবিবাহিতা ও নিঃসন্তান মহিলা বিবাহিতা ও সন্তানের মা অপেক্ষা স্তন ক্যান্সারে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ।
যে সব মহিলা সন্তানকে বুকের দুধ পান করান নি, তাদের স্তন ক্যন্সারের ঝুঁকি বেশি। একাধারে দীর্ঘদিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি সেবন করলে স্তন ক্যন্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। জীন বা বংশগত কারণ, অর্থাৎ মা বোনসহ বংশে কেউ স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে তারাও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। বেশি মোটা ও মেদবহুল মহিলা। যে সব মহিলা প্রথম সন্তান নিতে দেরি করে বেশি বয়সে প্রথম সন্তান নেয়। বিশেষ করে ৩০ বছর বয়সের পর প্রথম যারা প্রথম মা হয়েছেন।
যে সব মহিলা ধূমপান করে, অ্যালকোহল গ্রহণ করে। ধূমপান ও মাদকাসক্তি স্তন ক্যান্সারে ঝুঁকি বাড়ায়। যদি কারো একটি স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, তার অপরটিও আক্রান্ত হবার ঝুঁকি থাকে।
‘ স্লিম ফিগার’ করতে গিয়ে অনেকে অতিরিক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। প্রতিটি মানুষের একটি স্বাভাবিক ফিগার থাকে। অতিরিক্ত মোটা হওয়া যেমন ক্ষতিকর, তেমনি স্বাভাবিক খাবার বাদ দিয়ে বা আহার একেবারে কমিয়ে দিয়ে অতিরিক্ত স্লিম হওয়ার চেষ্টা করলে স্তনে ক্যান্সার হবার ঝুঁকি থাকে। 
১৫ থেকে ৯০ বছরের যে কোন মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। তবে ৫০ উর্ধ্বে বয়সের নারী অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এক গবেষণায় দেখা গেছে, স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে শতকরা ৮০ভাগেরই বয়স ৫০ এর উপর।
বর্তমানে সারা বিশ্বে দ্রুত বিস্তারলাভকারী একটি জটিল ও মারাত্মক স্বাস্থ্য সমস্যার নাম স্তন ক্যান্সার। স্তন ক্যান্সারে কি শুধু মহিলারা আক্রান্ত হয়? পুরুষকি এক্ষেত্রে নিরাপদ? না, কেউই নিরাপদ নয়। নারী ও পুরুষ উভয়ে স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় মহিলাদের আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, যুক্তরাজ্যে যেখানে প্রতিবছর ৪১ হাজার মহিলা স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, সেখানে পুরুষ আক্রান্ত হয়েছে ৩০০ জন। সুতরাং এখন মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও স্তন ক্যান্সার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে।

১০ টাকা চালের কার্ড পেয়েছেন উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি

স্থানীয় প্রতিনিধি: ১০ টাকা কেজির চালের কার্ড পেয়েছেন ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈল উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সফিকুল আলম।
গত কয়েক দিন আগে ওই কার্ড দিয়ে উত্তোলন করা হয়েছে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি চাল।
নন্দুয়ার ইউনিয়নে বিধি মোতাবেক হতদরিদ্রের তালিকা প্রস্তুত করার কমিটি রয়েছে। সে কমিটির ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের এমপি ইয়াসিন আলীর মনোনীত প্রতিনিধি আ’লীগ নেতা প্রভাষক সফিকুল আলম। এ কমিটি ১৪২০ জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করেছে সে তালিকায় প্রভাষক সফিকুল আলমের নামও রয়েছে।
১ম দফায় ইতোমধ্যে চাল তোলা হয়েছে। রানীশংকৈল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সফিকুল আলমের কার্ড নম্বর-১০০৮। এ নিয়ে  এলাকায় ব্যাপক আলোচনা চলছে।
এ প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান আবু সুলতান বলেন, আমিও শুনেছি প্রভাষক সফিকুল আলমের নাম হতদরিদ্রদের তালিকায় রয়েছে। তবে তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
তালিকা প্রস্তুত কমিটির সচিব ও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সোহেল এ বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, তালিকা ছাড়া সঠিক তথ্য দেওয়া যাচ্ছে না।
হতদরিদ্রদের তালিকায় প্রভাবশালীদের নাম থাকা প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার নাহিদ হাসান বলেন, রবিবার কমিটির মিটিং ডেকে সফিকুল আলমের নাম প্রত্যহার করা হবে।
এ ব্যাপারে প্রভাষক সফিকুল আলম বলেন, কে বা কারা ষড়যন্ত্র করে আমাকে হেও প্রতিপন্ন করার জন্য এ কাজটি করেছে।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের এমপি অধ্যাপক ইয়াসিন আলী বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। কার্ডটি বাতিলের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে।
Dainik Jagoron

বৃহস্পতিবার, ৬ অক্টোবর, ২০১৬

ছাত্রলীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠনঃ কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের আশংকাজনক অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ -ডাঃ শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  ছাত্রলীগের নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে মারাত্মকভাবে আহত সিলেটের সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের আশংকাজনক অবস্থায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান আজ ৬ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সিলেটের সরকারী মহিলা কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বদরুল আলমের কথিত প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় তার হামলায় গুরুতরভাবে আহত হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে। এ ঘটনা গোটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। 

সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের নিরীহ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বদরুল আলম স্পষ্ট দিবালোকে বিপুল সংখ্যক ছাত্র-শিক্ষকের সম্মুখে পশুর মত চাপাতি দিয়ে একের পর এক বেপরোয়াভাবে কুপিয়ে সারা শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছে। মেয়েটির ভাগ্যে কি আছে আল্লাহ তায়ালা ভালো জানেন। তার মা-বাবা ও স্বজনদের চোখের পানি ও বুকের আহজারি আল্লাহর আরশকে প্রকম্পিত করছে। এ নিকৃষ্ট হামলার ঘটনা সারাদেশে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী তান্ডবেরই একটি খন্ডিতাংশ মাত্র। চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, সিট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, হত্যা, গুম, সন্ত্রাস, নারী হত্যা, নারী ধর্ষণ, ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, মাদকদ্রব্য সেবনসহ হেন কোন অপরাধ নেই যা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা করেনা। 

২০১৬ সালের ১৩ জুন পটুয়াখালী জেলার বাউফলে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এক হিন্দু মহিলা ও তার মেয়েকে নদীর মধ্যে নৌকায় ধর্ষণ করেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর টাংগাইল জেলার মির্জাপুরে ছাত্রলীগ নেতা খোকনের ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৩য় শ্রেণীর এক ছাত্রী। ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীদের এ রকম নারী ধর্ষণের বহু উদাহরণ আছে।

ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ২০১২ সালের জুলাই মাসে সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাস পুড়িয়ে দিয়েছিল তা দেখে ১২ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ কেঁদে ছিলেন। তারও আগে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী একই কায়দায় সিলেট সরকারী কলেজের একমাত্র ছাত্রাবাসটি পুঁড়িয়ে দেয়। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলায় ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস নিহত হয়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অত্যন্ত নৃশংস কায়দায় স্পষ্ট দিবালোকে শত শত মানুষ ও মিডিয়ার সামনে পুরান ঢাকার দর্জি বিশ্বজিৎকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে এবং রড দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। 

২০১৪ সালে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জে ছাত্রলীগের হামলায় হেভেন চৌধুরী নিহত হয়। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয় রাজশাহীর রোজানুল ইসলাম চৌধুরী, এমসি কলেজের ছাত্র উদয়েন্দ্র সিংহ পলাশ, পাবনায় মোস্তফা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ রহমান হলের মেধাবী সাধারণ ছাত্র আবুবকরসহ অনেকেই। ২০০৯ সালে ১৩ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারী শরীফুজ্জামান নোমানীকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগের পাঁচশতাধিক অভ্যন্তরীন সংঘর্ষে ছাত্রলীগের প্রায় অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ ছাত্র নিহত হয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্রদের বই, খাতা, কলম হাতে তুলে নেয়ার উপদেশ দিলেও তার দলের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী নেতা-কর্মীদের হাতে দেশবাসী দেখতে পাচ্ছে, রামদা, চাপাতি, ছোড়া, পিস্তল, রিভলবারসহ নানা ধরনের স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালাতে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, শিক্ষক, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সাধারণ জনগণ, সাংবাদিক, পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নিগৃহীত ও লাঞ্ছিত হচ্ছে। আমরা সরকারকে বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীকে ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরার জন্য বার বার আহ্বান জানানো সত্বেও তারা মোটেই কর্ণপাত করেননি। যে কারনে ছাত্রলীগ অবাধে নানা ধরনের ধ্বংসাত্মক অপকর্ম করেই চলেছে। অবিলম্বে ছাত্রলীগের লাগাম টেনে ধরে দেশ ও দেশের মানুষকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে রক্ষা করুন। 

সিলেটের কলেজ ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বদরুল আলমের নৃশংস হামলার ঘটনায় দেশবাসী মর্মাহত। এ ঘটনায় সিলেটসহ সারা দেশের মানুষ গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ও বিক্ষুব্ধ। হামলাকারী ছাত্রলীগের নেতা বদরুল আলমকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং মহান আল্লাহ পাকের দরবারে খাদিজা আক্তার নার্গিসের সুস্থ্যতা কামনা করছি।”

কলেজ ছাত্রী খাদিজার উপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীর বর্বরতা অবৈধ ক্ষমতার অপব্যাবহারের বহিঃপ্রকাশ----সিলেট মহানগর জামায়াত

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বৃহত্তর সিলেটের অনত্যম ঐতিহ্যবাহী শীর্ষ বিদ্যাপীঠ এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য দিবালোকে সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের উপর ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিলেট মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ। অবিলম্বে মানুষরুপী এই হায়েনাকে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্ঠান্তমুলক সর্বোচ্চ শাস্থি নিশ্চিত করার দাবী জানান তারা।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগরীর আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, নায়েবে আমীর হাফিজ আব্দুল হাই হারুন ও মো: ফখরুল ইসলাম এবং সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমদ বলেন- অবৈধ সরকারের আস্ফালন পেয়ে ছাত্রলীগ আজ একটি হিং¯্র সংগঠনে রুপ লাভ করেছে। তাদের নৃশংস হিংস্র থাবা থেকে মায়ের গর্ভের সন্তান পর্যন্ত রক্ষা পায়নি। সিলেটের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রশাসনের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের নিরাপদ অভয়ারন্যে পরিনত করেছে। তাদের হাতে জ্বলে ছাই হয়েছিল এমসি কলেজ, সরকারী কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাস, তারা প্রকাশ্য অস্ত্র হাতে নিয়ে সিলেটে ব্যাংক-দোকান পাটে হামলা-লুটপাট করেছিল, এই তো কয়েক মাস আগে জিন্দাবাজারে ছাত্রলীগ নেতার হাতে খুন হন তরুন ব্যাবসায়ী মামুন বক্স। কিন্তু তাদের কোন অপরাধের বিচার না হওয়ায় ছাত্রলীগ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল তার অবৈধ ক্ষমতার অহংকারে কলেজ ছাত্রী খাদিজার উপর জঘন্য হামলা চালিয়েছে। খাদিজার উপর এমন বর্বর হামলা আইয়্যামে জাহেলিয়াতকেও হার মানিয়েছে। এই অবস্থা চলতে দেয়া যায়না। নরপিশাচ বদরুল এর দৃষ্ঠান্তমুলক কঠোর শাস্থি নিশ্চিত করতে হবে। আর কোন সন্ত্রাসী যাতে এমন বর্বর হামলা চালাতে না পারে। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খাদিজা আক্তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করে সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন তারা।