ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

সরকারের অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার, 
অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধি করে জনদুর্ভোগ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করেছেন।
ব্যবসায়ী, সাধারণ ভোক্তা ও রাজনীতিবিদদের আপত্তি অগ্রাহ্য করে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। এবার গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে ৫ দশমিক ৩ ভাগ। বিদ্যুতের গণশুনানির সময় সব শ্রেণীর গ্রাহকের বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল তেলভিত্তিক উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো সংস্কার করলে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে না। এমনিতেই নানা কারণে ব্যবসা- ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। উৎপাদন সেক্টরগুলোতে ভয়াবহ বিপর্যয় চলছে। এর ওপর বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হলো। বিদ্যুতের অপচয়, চুরি, দুর্নীতি বন্ধ করা হলে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর কোন প্রয়োজন হতোনা। বরং বিদ্যুতের মূল্য কমানো যেতো। এর পরেও গ্রাহকের কথা বিবেচনা না করে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
কয়েকটি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কিনতে প্রচুর টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে। উচ্চ মূল্যের তেলভিত্তিক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে বন্ধ না করে বছরের পর বছর চালু রেখে এর দায় জনগণের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। এসব ব্যয়-বহুল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ না করে ঘন ঘন বিদ্যুতের দাম বাড়ানো সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।
বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম কমতে শুরু করেছে। এটা অব্যাহত থাকলে সামনে তেলভিত্তিক বিদ্যুতের উৎপাদন ব্যয় কমে যাবে। এমনি পরিস্থিতিতে তড়িঘড়ি করে বিইআরসি বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর ঘোষণার কোন যুক্তি থাকতে পারেনা।
সরকারের মন্ত্রী, এমপিগণ দেশের উন্নয়নের কথা বলছেন। অথচঃ উন্নয়নের নামে দুর্নীতি করে অর্থনীতিতে যে বিপর্যয় ডেকে এনেছেন তার বোঝা চাপানো হচ্ছে সাধারণ জনগণের উপর।
অন্যায় ও অযৌক্তিকভাবে বিদ্যুৎ ও পানির মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাহারের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

অধ্যাপক গোলাম আযম একজন অবহেলিত ভাষাসৈনিক..

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কমিউনিস্ট পার্টির প্রয়াত নেতা মোহাম্মাদ তোয়াহা তাঁর একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন-রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বপক্ষে ইশতেহার বিলি করতে গিয়ে ছাত্ররা একদিন চকবাজারে জনতা কর্তৃক ঘেরাও হয়, তখন পরিস্থিতি খুবই প্রতিকূল ছিল। ছাত্ররা উত্তেজিত জনতার সামনে অসহায় হয়ে পরে, এসময় গোলাম আযম সবার সামনে সাহস করে এগিয়ে যান এবং তিনি চিৎকার করে জনতাদের লক্ষ করে বলেন, "আরে ভাই আমরা কি বলতে চাই, তা একবার শুনবেন তো"। এই বলেই তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলা হলে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কি উপকার হবে, তার উপর ছোট-খাটো বক্তৃতা দিয়ে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করার ফলে পরিস্থিতি শান্ত হয়, সেদিন আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি"।
মোহাম্মাদ তোয়াহাকে প্রশ্ন করা হলো- আপনি কোন গোলাম আযমের কথা বলছেন?
তিনি উত্তর দিলেন-অধ্যাপক গোলাম আযম। এখন যিনি জামায়াতে ইসলামী করেন" তিনি আরো বলেন, "গোলাম আযম ছাত্র হিসেবে ছিলেন মেধাবী এবং স্বভাবগত ভাবে তিনি ছিলেন অমায়িক ও ভদ্র"। ভাষা আন্দোলনে যার ভূমিকা এতটাই দৃশ্যমান, অথচ সেই গোলাম আযমকে আজ কালকের ২১ ফেব্রুয়ারীতে স্মরণ করা হয় না!

রাষ্ট্র বা তথাকথিত প্রগতিশীলদের কাছে গোলাম আযম উপেক্ষিত থাকলেও, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস চর্চায়, প্রকৃত ইতিহাস অনুসন্ধানীদের কাছে গোলাম আযম বার বার ফিরে আসে এবং আসবেন। আজকের এই দিনে অধ্যাপক গোলাম সহ সকল ভাষা শহীদদের মাগফেরাত কামনা করছি।
(তথ্যসূত্রঃ ভাষা আন্দোলনঃ সাতচল্লিশ থেকে বায়ান্ন, লেখক- মোস্তফা কামাল। মোহাম্মাদ তোয়াহার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে, ঢাকা ডাইজেস্ট নামক পত্রিকায়।)

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ভোটাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে চসিক নির্বাচনে অংশ নেবে না মহানগরী জামায়াত


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহাজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক কর্মপরিষদ বৈঠকে আসন্ন সিটি নির্বাচন বিষয়ে এক প্রস্তাব গৃহীত হয়। গৃহীত প্রস্তাবে অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনেও বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারসহ আরেকটি প্রহসনের নাটক মঞ্চায়নের তোড়জোড় চলছে।
ইতোমধ্যে ঘোষিত নৌকা মার্কা প্রার্থীকে যে কোনো মূল্যে নির্বাচিত করার নির্লজ্জ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। জামায়াত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বৈধ জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়, বর্তমান অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ ও জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন নামের প্রহসনের সাক্ষী হতে চায় না জামায়াত। তাই ভোটাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রহসনের সিটি নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত অংশ গ্রহণ করবে না।
উক্ত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী নায়েবে আমীর,সেক্রেটারী,এসিসটেন্ট সেক্রেটারী, সাংগঠনিক সেক্রেটারীসহ কর্মপরিষদের সদস্যগণ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রস্তাবে বলা হয়, এটি ছিলো জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও একটি নজিরবিহীন প্রসহনের সর্বশেষ সংযোজন যেখানে স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, এ ধরনের নির্বাচন দেখতে চাইনি। ভোটাররা ধরেই নিয়েছিলেন দেশে আরো একটি প্রহসনের একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই তারা ব্যাপকভাবে ভোট প্রদানে বিরত থাকে। মূলত দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে বর্তমান সরকার এবং তার আজ্ঞাাবহ নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। ভোট কেন্দ্র দখল,সরকার বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেয়া,ব্যাপক জাল ভোট প্রদান, বেশ কিছু জায়গায় ভোটারদেরকে ভোট প্রদানের বাধা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলো যে দৃশ্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তাতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে,জনগণ ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিগত তের জানুয়ারী চট্টগ্রাম- আট (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনেও উপনির্বাচন নামের একই প্রহসন করা হয়েছে। বিরোধী পক্ষের প্রার্থী ও ভোট কর্মীদেরকে হামলা মামলা, গ্রেফতার, এজেন্টদের বের করে দেয়া, ইভিএম ম্যানুপুলেশান ও ভোট ডাকাতি করে নৌকা মার্কা প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণাই ছিলো প্রহসনের মূল টার্গেট।
উক্ত প্রস্তাবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কারণ ব্যাখ্য করে আরো অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, নির্বাচন ব্যবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম ও নির্বাচন কমিশনের ন্যক্কারজনক ভূমিকায় জনগণ ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পর ১৯৯১,১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনটি অর্থবহ নির্বাচনের ধারাবাহিকতা ধ্বংস করতে লগি-বৈঠার তান্ডব সৃষ্টির ফসলই দু‘বছরের অসাংবিধানিক সরকার এবং তাদের সেফ এক্সিটের লক্ষ্যেই অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ডিজিটাল কারচুপির নির্বাচন। ধারাবাহিকভাবে ভোট ডাকাতির স্থানীয় নির্বাচন, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারী ভোটার বিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর আগের রাতে সীল মেরে ফলাফল তৈরীর নির্বাচনসহ বিগত দশ বছর যাবত নির্বাচন নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন জনগণের সাথে যে খেলা খেলে যাচ্ছে তা এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনামলকেও হার মানিয়েছে। এখন জনগণের মাঝে নির্বাচনের বিষয়ে আর কোন আগ্রহ নেই এবং এ ধরণের পরিস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।
প্রস্তাবে আরো বলা হয় যে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার পরিবেশ রক্ষার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরাবরই আহবান জানিয়ে এসেছে। দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই নিরপেক্ষ হবে না আশষ্কা করেই কেন্দ্রীয় জামায়াত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল যার যথার্থতা প্রতিটি প্রহসনের নির্বাচনেই প্রমাণিত হচ্ছে। কোন কোন মহল “বর্তমান সরকারের অধীনে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় জনগণ ভোট দেয়ার প্রয়োজনবোধ করছে না“ ধরণের উক্তি করে মূলত সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার হাস্যকর কৌশল নিয়েছে।
সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ ও অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে এনে ভোটাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়। সেই সাথে ভোটাধিকার পুনরূদ্ধার করার লক্ষ্যে জনগণ এবং সকল বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলারও আহবান জানানো হয়।

শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

১২ ফেব্রুয়ারী ইখওয়ানুল মুসলিমুনের প্রতিষ্ঠাতা শায়খ হাসান আল বান্নার শাহাদাত দিবস

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ মিসরের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল আল ইখওয়ানুল মুসলিমুন ( মুসলিম ব্রাদারহুড) এর প্রতিষ্ঠাতা শায়খ হাসান আল বান্না ১৯৪৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আজকের এই দিনে ইন্তেকাল করেন। একজন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কারক হিসেবে বিশ্বের অদ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম সুখ্যাতি ছড়িয়ে আছে আজও।
গোটা মুসলিম উম্মাহকে একক জাতি-সম্প্রদায়ে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি আমৃত্যু যে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন- ইতিহাসে তা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। সত্যধর্ম ইসলামকে বাস্তব জীবনের জীবন ব্যবস্থা ও কুরআনে কারিমকে এই ব্যবস্থার একমাত্র সংবিধান বলে প্রচার করতেন তিনি।
পাশ্চাত্যের বস্তুবাদ, ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যবাদ এবং মিশরের প্রথাগত আলেমদের কঠোর সমালোচক ছিলেন মিসরীয় মুসলমানদের আধ্যাত্মিক এই নেতা। ‘আত্মার জিহাদ’ তার মতাদর্শের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন ইসলামী সমাজের অবস্থার উন্নতি সাধনে ‘আত্মার জিহাদ’ এর বিকল্প নেই। তিনি বলতেন,তলোয়ারের জিহাদের তুলনায় আত্মার জিহাদ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্য তার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের ভূমিকা সবসময়ই প্রশংসনীয় ছিল। আর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ অংশ নিবে- এটা তার আকাঙ্খা ছিল।
মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ১৯৪৯ সালের আজকের এই দিনে শাসকশ্রেণীর লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডার গুলিতে হাসান আল বান্না শাহাদাত বরণ করেন। তার জন্ম হয় ১৯০৬ সালের ১৪ অক্টোবর। মৃত্যুদিনে আমরা মহান এই মানুষটির জান্নাতে উঁচু মর্যাদার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করি।
সূত্র: আল জাজিরা ও উইকিপিডিয়া

শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

জামায়াতি : রাকিবুল এহসান মিনার



>জামায়াতিরা আস্ত বলদ
গলদ প্রতি কাজে,
আদর্শকে ধারন করে
দাড়ায় সবার মাঝে।
আকিদা তো আস্ত খারাপ
সবাই সেটি জানে,
অন্যায়ে সব রুখে দাঁড়ায়
কোরআন হাদিস মানে।
মওদূদীকে নেতা মানে
আস্ত তারা কাফের,
মাথা তারা নোয়ায় নাতো
ভয়ে কারো বাপের।
মগজ ধোলাই করে তারা
কর্মী টানে দলে,
কলেজ পড়া ছেলেটাও
আয়াত হাদিস বলে।
নেতারা সব রাজাকার আর
কর্মীরা সব জঙ্গী,
নইলে কি আর হকের পথে
বিপদ হতো সঙ্গী?
জামায়াতিরা এতই বেকুব
দেখলে তাদের হাসি,
আঁতাত করার বিপরীতে
নেতাদের হয় ফাঁসি।
জামায়াতিরা পাগল বড়ই
স্বার্থ ছাড়াই চলে,
নিজের খেয়ে লড়াই করে
ন্যায়ের কথা বলে।
জামায়াতিরা শত্রু দেশের
জানেনা তা কেবা?
মন্ত্রী তাদের দূর্নীতিহীন
দেশের করে সেবা।
জামায়াতিরা ক্ষমতা চায়
আদর্শ নাই কচু,
তবু তারা নিত্য মরে
মাথা রেখে উঁচু।
জামায়াতিদের এতো আছে
কিনতে পারে ঢাকা,
দলের জন্য পকেট থেকে
কর্মীরা দেয় টাকা।
জামায়াতিদের মুখোশ খুলে
দিলাম সবার কাছে,
ভেবে দেখুন এদের থেকে
খারাপ কে আর আছে।
ফাঁসির রশি নেতার গলায়
কর্মীরা সব জেলে,
তবু জামায়াত ময়দানে ভাই
গড়ে সোনার ছেলে।
আদর্শকে বুকে ধরে
ঈমান রাখে তাজা,
ভয় করেনা জেল-জুলুমের
ভয় করেনা সাঁজা।
ন্যায় নীতি আর আদর্শকে
তারাই করে লালন,
ধর্মীয় আর দেশের আইন
তারাই করে পালন।
তারাই দেশের সুনাগরিক
তারাই গর্ব দেশের,
তারাই চির বিপ্লবী আর
তারাই আশা শেষের।

শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

আমার জীবনের সোনালী সময় হচ্ছে ছাত্রশিবিরের সাথে সংযুক্ত থেকে কাটিয়ে আসা সংগ্রাম মুখর দিনগুলো-মতিউর রহমান আকন্দ


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।এ কাফেলা থেকে বিদায় নিয়েছি ২০ বছর হলো। আমার জীবনের সোনালী সময় হচ্ছে ছাত্রশিবিরের সাথে সংযুক্ত থেকে কাটিয়ে আসা সংগ্রাম মুখর দিনগুলো। যেদিন শিবিরে যোগদান করি সেদিন কখনো ভাবিনি একদিন একাফেলার কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে হবে। যোগদানের সময় ইসলামী আন্দোলনকে জান্নাতে যাবার পথ হিসেবে মনে করেছি।আর শিবির সে কাজটি করছে বলেই শিবিরে যোগদান।আমার মতো লাখ লাখ তরুনের একই মনোভাব ছিল একাফেলায় যোগদানের সময়।
অনুপম চরিত্র গঠন , জীবন বদলে দেবার শিক্ষা আমরা পেয়েছি এ কাফেলা থেকে।দিশেহারা, বিভ্রান্ত , পথহারা মানুষকে শিবির দিয়ে যাচ্ছে আলোর দিশা।
জেল-জুলুম, শাহাদতের রক্ত পিচ্ছিল পথ বেয়ে শিবির এগিয়ে যাচ্ছে।এ অগ্রযাত্রা রুদ্ধ করার সাধ্য কারো নেই।
প্রতি বছর ৬ ফেব্রুয়ারী আসলে আমি হারিয়ে যাই অসংখ্য স্মৃতিবাহী রক্তাক্ত ঘটনার মাঝে।
মনে পড়ে ১৯৯৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারীর কথা। মতিহার সবুজ চত্বর সেদিন অসংখ্য শিবির কর্মীর রক্তে লালে লাল হয়ে গিয়েছিল।ঐদিনই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অর্থনীতি শেষ বর্ষে ভর্তি হতে এসেছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান।
সকাল থেকেই শিবিরের উপর হামলা চলছিল। শহীদ রবিউল ভাইয়ের শাহাদাত ও দু’শতাধিক শিবিরের নেতা-কর্মীর রক্তের বিনিময়ে ক্যাম্পাসের পরিস্হিতি আমাদের অনুকূল আসে।
আমি শহীদ হবিবুর রহমান হলের সম্মুখস্থ মাঠের একপ্রান্তে দাড়িয়ে বিধ্বস্ত ক্যাম্পাসের মর্মান্তিক দৃশ্যগুলো অবলোকন করছিলাম। একজন আমাকে এসে বললো মাঠের অপরপ্রান্তে একজন আহত অবস্হায় কাতরাচ্ছে । দৌড়িয়ে সেখানে উপস্হিত হলাম।তিনি যশোর থেকে এসেছেন - অর্থনীতিতে অনার্স পাস করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে ভর্তি হতে ।আজই ভর্তির শেষ দিন। তিনি ভর্তিও হয়েছেন। এরপরই ক্যাম্পাসে মারামারি শুরু হয়।তিনি যাচ্ছিলেন জোহা হলে আমার সাথে দেখা করতে। ঐ সময় আমি হল সংসদের ভিপি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি। যাত্রাপথে তিনি আহত হন। তার বুকে ব্রাশ ফায়ার করা হয়েছে। তার বুক ঝাঁঝড়া হয়ে গিয়েছে।রক্তে তার জামা ভিজে গিয়েছে।তার শেষ বাক্যছিল “বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতির সাথে আমার সাক্ষাত হলোনা।আমি এসেছিলাম মাষ্টার্সে ভর্তি হতে। আল্লাহ আমাকে ভর্তি হবার সুযোগ দিয়েছেন। তেমনি শহীদ হিসেবে আমাকে কবুল করেছেন।হে আমার রব! তুমি আমার প্রতি সন্তুষ্ট থাকো। আমার বাবা-মাকে ধৈর্য ধরার তৌফিক দাও।”
তার রক্তাক্ত শরীরে স্পর্শ করার সাথে সাথে তিনি একবার চোখ মেলে তাকালেন। তার রক্তে আমার জামা কাপড় লাল হয়ে গেলো ।তার রক্ত মাখা হাত স্পর্শ করতেই বললেন “ আমার আব্বাকে আমার সালাম পৌছে দিয়ে বলবেন আমি জান্নাতের সিড়িতে তার জন্য অপেক্ষা করবো।আশহাদুআল্লা.......,”
সেই ৬ ফেব্রুয়ারী আমাকে ডাক দিয়ে যায় শহীদের রক্ত ঝরা পথে তীব্র গতিতে ছুটে চলতে। এ দিনটিতে আমি সীমাহীন প্রেরনায় উজ্জীবিত হই। নির্বাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকি অতীতের ঘটনাবহুল জিন্দেগীর দিকে।অপরিসীম চেতনা আর স্বস্তিতে হৃদয়টা ভড়ে উঠে। শহীদের রক্তে ভেজা বংলায় দ্বীনের বিজয়ের সম্ভাবনা দেখে আপ্লুত হই।
৬ই ফেব্রুয়ারিতে আমার অন্তরের অন্তস্হল থেকে কামনা !লক্ষ তরুনের হে প্রিয় কাফেলা!এগিয়ে চলো!জাতি তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের চলার পথকে সহজ করে দিন । আমীন।। 

মতিউর রহমান আকন্দ
সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী ছাএশিবির,
সিনিয়র এ্যাড়ভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টCopy post

ইসরাইলি বোমায় ফুল ফোটান ফিলিস্তিনি নারী


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্ক: প্রতিবাদের কত রকম ভাষা জানে মানুষ! আছে করুণার কত বিচিত্র প্রকাশ। বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘর্ষে যখন ইসরাইলি সেনাবাহিনীর ছুড়ে দেওয়া বোমার আঘাতে নিত্য অকাতরে প্রাণ হারায় ফিলিস্তিনি নর-নারী-শিশু, তখন করুণার অবতার হয়ে সেইসব বোমার খোলসসংগ্রহ করে তাতে ফুল চাষ করছেন পশ্চিম তীরে বসবাসরত ফিলিস্তিনি এক দয়াময়ী নারী।
অভূতপূর্ব প্রতিবাদ ও করুণার এই ভাষা বুঝবে কি
ইসরায়েলি শাসকরা?
কাঁটাতারের ওপার থেকে ছুড়ে দেওয়া বোমার
খোলসে এপারে রোপিত হয়েছে ফুলের চারা।
প্রতিটি ফুলের চারা যেন কোমলমতি এক একটি
শিশু।
সন্তানতুল্য ভালোবাসায় পরম যত্নে ফুলের ‘বোমা-
টবে’ করুণার জল ঢালছেন ওই ফিলিস্তিনি জননী।
ভালোবেসে না কি পাথরে ফুল ফোটানো যায়। তাই
বলে বোমায়ও!
শত্রুর ছোড়া বোমার খোলস-টবে ফুলের
চারাগাছটির জন্য পুষ্টি যোগাচ্ছেন করুণাময়ী।

মিথ্যাবাদীদের খোলসেও সত্যের বীজ বৃক্ষ জন্ম হবে।
হতাশা নয় আলোর ঝলকানী।
(From beloved brother Tareque Hossain)
সত্য প্রচারের ও গ্রহণের অনুপম আদর্শ ইসলাম।

পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে, এখানেই এবছরের তাফসির প্রোগ্রামের ইতি টানতে হচ্ছে - মিজানুর রহমান আজহারী

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  আস্সালামু ‘আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ..
প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা
.
পারিপার্শ্বিক কিছু কারণে, এখানেই এবছরের তাফসির প্রোগ্রামের ইতি টানতে হচ্ছে। তাই, মার্চ পর্যন্ত আমার বাকী প্রোগ্রামগুলো স্থগিত করা হল। রিসার্চের কাজে আবারো মালয়েশিয়া ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সুযোগ করে দিলে, আবারও দেখা হবে ও কথা হবে কুরআনের মাহফিলে ইনশাআল্লাহ।

.
এবছর বেশীর ভাগ প্রোগ্রামগুলোতেই পারিবারিক ও সামাজিক ক্রাইসিস নিয়ে কথা বলেছি, পাশাপাশি কয়েকটি সূরার তাফসিরও করেছি। আশাকরি, আলোচনা গুলো থেকে আপনারা উপকৃত হবেন। পরিবারের সবাই মিলে আলোচনাগুলো শুনুন এবং কথাগুলো বাস্তব জীবনে মেনে চলার চেষ্টা করুন। তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে, আমাদের পরিবার ও সমাজ সুখময় এবং শান্তিময় হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ।

.
আমি একজন নগন্য মানুষ। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের ছাত্র। কুরআনের ছাত্র হয়েই বেঁচে থাকতে চাই ও নিরলস কাজ করে যেতে চাই। তাই সুপ্রিয় শ্রোতাদেরকে বলব, প্লিজ আমাকে নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করবেন না। আমাকে জড়িয়ে কোন ব্যাপারে কাউকে গালাগালি করবেন না, অন্য কোন মতাদর্শের আলেমদেরকে হেয় বা ছোট করে কিছু বলতে যাবেন না। যদিও তাদের কেউ কখনো আমাকে ছোট করে কথা বলে। অনুরুপ ভাবে, কোথাও আমাকে ডিফেন্ড করে তর্ক বা কমেন্ট করতে চাইলে, ভদ্রতা বজায় রেখে, যৌক্তিক ভাবে এবং বিনয়ের সাথে সেটা করুন। সত্য একদিন উন্মোচিত হবেই হবে ইনশাআল্লাহ।

.
আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানিতে, দেশের আপামর জনতার যে ভালোবাসা পেয়েছি, জানিনা সিজদায় পড়ে কতটুকু অশ্রু ঝড়ালে এবং কোন ভাষায় শোকরগোজার হলে এর যথাযথ শুকরিয়া আদায় হবে। মালিকের দরবারে আলীশানে লাখো কোটি শুকর এবং সুজুদ। ওয়ালহামদু লিল্লাহি ‘আলান্নি’আম।

.
প্রোগ্রামগুলো বাস্তবায়নে যারা সার্বিক সহযোগিতা করেছেন, তাদের সবার জন্য রইল আন্তরিক ভালোবাসা ও দোয়া। বিশেষ করে পুলিশ, প্রশাসন এবং স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় প্রোগ্রামগুলো সুন্দরভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা উত্তম প্রতিদান দান করুক।

.
আমার এ জীবনের ছোট্ট অভিজ্ঞতায় যা দেখলাম, সেটা হল: আমরা আমাদের জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়ে দেই অন্যকে হিংসা করতে করতে। নিজেরা কাজ না করে অন্যের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে আমরা মহা ব্যস্ত। আসলে, অপপ্রচার করে তেমন কোন লাভ নেই। অপপ্রচারে আমি কখনো মন:ক্ষুন্ন হইনা। আমার বিশ্বাস আপনারাও হবেন না। কারন অপপ্রচারগুলোই আমাদের প্রচারণার দায়িত্ব পালন করেছে আলহামদুলিল্লাহ। হক্বের পথে বাঁধা, বিপত্তি আসবেই। এটাই স্বাভাবিক। যে পথে কাঁটা নেই সেটা পথ নয়, সেটা কার্পেট। আর কার্পেটে হেটে মজলিশে পৌঁছানো যায়, মনজিলে নয়।

মন্তব্য কখনো গন্তব্য ঠেকাতে পারেনা।
তাওয়াক্কালতু ‘আলাল্লাহ,
#Mizanur Rahaman Azhari
 

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবদুল মালেক চৌধুরীর ইন্তেকালে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত নেতৃবৃন্দের শোক প্রকাশ


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ পটিয়া উপজেলার হরিণখাইন ইউনিয়ন নিবাসী, চট্টগ্রাম শহরস্থ আসাদগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক এবং এডভোকেট নুরুর রশিদ চৌধুরী হারুনের পিতা আবদুল মালেক চৌধুরীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহাজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এক শোক বাণী প্রদান করেন।

শোক বাণীতে নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকাহত পরিবার বর্গের প্রতি সমবেদনা জানান।

কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতা অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহেরের সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের থানা ভিত্তিক দোয়া মাহফিল


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল, চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের সাবেক আমীর ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের দীর্ঘদিন বার্ধ্যক্য ও জটিল রোগে ভুগছেন। তাঁর আশু সুস্থতা ও রোগ মুক্তি কামনা করে দেশবাসী ও সংগঠনের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের নিকট দোয়া কামনা করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহাজাহান, কেন্দ্রীয় মসজিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এক বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহেরের আশু রোগ মুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে দেশবাসী ও সকল নেতা-কর্মীদের নিকট দোয়া কামনা করেন।
চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের থানায় থানায় দোয়া মাহফিল :
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় এসিসটেন্ট সেক্রেটারী জেনারেল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর সাবেক আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহেরের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনা করে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের থানায় থানায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জামায়াতে ইসলামী কোতোয়ালী, চকবাজার, বাকলিয়া, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, হালিশহর, ডবলমুরিং, পতেঙ্গা, বন্দর, সদরঘাট, পাহাড়তলী, বায়েজিদ, আকবরশাহ ও খুলশী থানার উদ্যোগে থানা আমীর যথাক্রমে এম. এ. হোসেন,এ.কে.ফরিদ,এ.কে.আনোয়ার,এম.এ.আলম,আবু জাওয়াদ,আবু ইসমাম,অধ্যক্ষ এস.জে হালালী, আবু গালিব,এফ.কে আজম, মাওলানা আবুল হাসনাত,জোবায়ের আহমদ, এম.এ. গফুর, নাছির উদ্দিন, এম.জে হোসেন, অধ্যক্ষ এম.এ.হান্নান ও আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে থানায় থানায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত দোয়া মাহফিলে প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহেরের সুস্থতা কামনায় মোনাজাত করা হয়।