ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৭

থার্টি ফার্স্টনাইট অর্থাৎ উলঙ্গাপনা নষ্টমির ভয়াবহ অভিশপ্ত একটি রাত আজকে

বাংলাদেশ বার্তাঃ  অধীর আগ্রহে সেচ্ছায় ধর্ষিত হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছে হাজার হাজার উচ্ছৃঙ্খল তরুণী। আর এই মোক্ষম সুযোগ কাজে লাগাতে অপেক্ষায় আছে প্রেমিক নামধারী কিছু নষ্ট প্লেবয়।😖
এরপর প্রভাত শেষে সন্ধ্যার আগমন তাদের হৃদয় আকাশে উচ্ছাসের মাত্রা বাড়াবে প্রোজ্জ্বল শশির মত। অতি আধুনিক তরুণীরা নানা বাহানায় বয়ফ্রেন্ডের আবদার রাখতে রাতে বাসা থেকে বের হয়ে আসবে আর হোস্টেল বা মেসে থাকা স্বাধীন রমনীদের কোন ধরনের সমস্যা নেই। 😒
এরপর ফুল হাতে দাঁড়িয়ে থাকবে দেহলোভী বয়ফ্রেডরা একসময় মদ খেয়ে মাতাল হয়ে পড়বে দুজনেই। অতঃপর রাতের অন্ধকারে হোটেল কিংবা বিভিন্ন স্থানে দেহের সাময়িক সুখের উন্মাদনায় নিজের পবিত্র দেহ সঁপে দেবে বিছানায় কিছু নারী আর তাকে ভালবাসার দোহাই দিয়ে ভোগ করবে, মাংসলোভী পুরুষ নামধারী কিছু পশু।😖
রাত শেষ ভালবাসাও শেষ, ভদ্র পোশাকের আড়ালে লুকিয়ে রাখবে নিজের পশুত্ব মনোভাব এই মানুষ গুলো। কেউ কেউ ছুটে যাবে ডাক্তারের চেম্বারে জন্মনিরোধ পিল খেয়ে নষ্ট করতে তাদের সাময়িক সুখের ফসল হিসেবে সৃষ্ট ভ্রূণ। 😭
আর ডাক্তার বলবে এরকম ভুল হতেই পারে সমস্যা নাই অতঃপর উচ্ছাসিত হৃদয়ে বের হয়ে আসবে তথাকথিত প্রেমিক যুগল ডাক্তারের কাছ থেকে পারমানেন্ট সেক্স করার অনুমতি পেয়ে এটাকে অভ্যাসে পরিনত করবে। কিছুদিন পর সঙ্গি পাল্টিয়ে আবার শুরু হবে এই নষ্টামির খেলা। অনেকে ২৫ ডিসেম্বর থেকে এটা সেলিব্রেট করা শুরু করে দিয়েছে কারন একাধিক বয়ফ্রেড বা গার্লফ্রেন্ডকে একদিনে সময় দেয়া যায়না।🐓
তাই আগে থেকেই তারা সেলিব্রেট শুরু করে আজ ও কাল আরেকজন এভাবে। অবশ্য এসব ছেলেমেয়ের অভিভাবকদের অপরাধ কম নয় অতিরিক্ত স্বাধীনতা দিতে গিয়ে আধুনিক হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের ঠেলে দিচ্ছে নাইট ক্লাব সহ নানা প্রকার অপকর্মের অন্ধকার গুহায়। 😈
একসময় ইয়াবা মদ খেয়ে লিভ টুগেদারে ব্যস্ত হয়ে পড়বে আর হত্যা করবে পিতামাতাকেও তার
প্রমাণ ঐশী । একদিন তাদের মৃত্যু হবে, জগতের আদালত থেকে বেঁচে গেলেও স্রষ্টার আদালত থেকে মুক্তি পাবেনা। 💀

ভালবাসা একটা পবিত্র বন্ধন স্রষ্টা প্রদত্ত স্বর্গীয় যেখানে, একজনের প্রতি অন্যজনের দৈহিক নয় মানসিক আকর্ষণ থাকবে। একজনকে অন্যজন বিশ্বাস করবে শ্রদ্ধা করবে, না দেখেও সবসময় হৃদয়ের গভীর থেকে প্রিয় মানুষটিকে অনুভব করবে। কিন্তু ভালবাসার নামে সেচ্ছায়।
কপি: মঞ্জুর মোরশেদ আলম।💘

দাড়ি নিয়ে এনসিসি ট্রেনিংয়ে যাওয়ায় মুসলিম ছাত্রদের শাস্তি!

বাংলাদেশ বার্তাঃ দাড়ি কেটে ফেলতে অস্বীকৃতি জানানোয় নয়াদিল্লির জামেয়া মিল্লিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ ছাত্রকে ন্যাশনাল ক্যাডেট ট্রেনিং (এনসিসি) ক্যাম্প থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। এমনকি ছাত্রদেরকে শাস্তি হিসেবে একদিন একরাত ক্যাম্পের বাইরে খোলা আকাশের নিচে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। 
খবর: ডেইলি জং।

কাশ্মীর মিডিয়া সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী দিল্লি থেকে প্রকাশিত একটি ইংরেজি পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিম ছাত্ররা শাস্তির পর ক্যাম্পে এসে অনশন পালন করেন। তারা হিন্দু কর্মকর্তা রাজনেশ কুমার ও অভিজিৎ কুমারের পদত্যাগও দাবি করেন।

ভুক্তভোগী এক ছাত্র বলেন, জামেয়া মিল্লিয়ার ছাত্ররা এক যুগ ধরে দাড়িসহ এনসিসি ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশ নিয়ে আসছে। এবারই প্রথম দাড়ি রাখায় তাদের শাস্তি দেওয়া হলো।

ছাত্ররা জানায়, তারা আগেই ক্যাম্প পরিচালনা কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে আবেদনে জানিয়েছেন- দাড়ি তাদের ধর্মীয় অনুসঙ্গ যা তারা কেটে ফেলতে পারেন না। অথচ ট্রেনিংয়ের ষষ্ঠ দিন হঠাৎ তাদের বলা হলো- হয় দাড়ি কেটে ফেল, না হয় ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে যাও।

ছাত্ররা আরও জানায়, হিন্দু অফিসাররা তাদের এও বলেছেন- ভারতে এখন নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতা চলছে। তাই এখানে দাড়ি চলবে না।

অবশ্য খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও দাড়ি রাখেন। এছাড়া দেশটির শিখ সম্প্রদায়ের প্রায় সবাই দাড়ি নিয়েই সামরিক বাহিনী এবং সরকারি চাকরি করে আসছেন।

-poriborton

কবে যে হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলে আবার রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করার দিন আসবে!


বাংলাদেশ বার্তাঃ  যারা বিসিএস পরীক্ষা দিয়েছে এবং যারা দেয় নাই-- প্রত্যেক তরুণ তরুণীর কর্মসংস্থানের অধিকারের বাস্তবায়ন রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এই সত্যটি আমাদের তরুণ-তরুণীদের কম সংখ্যকই এখন আর বিশ্বাস করে। 

কর্মসংস্থানের ন্যায্য অধিকার ভুলিয়ে দিয়ে কোটি কোটি তরুণ-তরুণীকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক, অমানবিক, কদর্য ও নৃশংস এক প্রতিযোগিতায় ঢুকিয়ে দিতে পারা রাষ্ট্র ও প্রচার মাধ্যমের বড় এক সফলতা। 

মাত্র ২ হাজার আসনের জন্য তিন লাখ প্রার্থীকে প্রতিযোগিতার নামে এক নিষ্ঠুর মনস্তাত্ত্বিক খেলায় নামানো হয়েছে।

বিসিএস পরীক্ষার ফলাফলের পরই লাখ লাখ তরুণ-তরুণী ভাববে সে অযোগ্য। অদক্ষ। অনিবার্য এক হীনমন্যতা গ্রাস করবে অনেককে। অথচ অসীম সম্ভাবনা নিয়ে জন্মানো এরূপ প্রত্যেকটি প্রাণকে প্রস্ফূটিত হতে দেয়া হবে বলেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়েছিল।

 কবে যে হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলে আবার রাষ্ট্রকে প্রশ্ন করার দিন আসবে!

কাকে অনুসরন করবেন? একমাত্র নবী মুহাম্মদ সাঃ ছাড়া দুনিয়ার কোন পীর, ঊস্তাদ,মুরব্বী কাউকে জীবনের সর্বকাজে অনুসরন করা যাবেনা

বাংলাদেশ বার্তাঃ একটু কিছু লিখবো বলে বসেছি মাগরিব পড়ে,একজন এফবি বন্ধু আমার সম্পর্কে খুব খারাপ একটি ধারনা থেকে আলোচনা শুরু করছি তিনি বলেছেন..."
আপনি মানে আমি ইসলামের ক্ষেত্রে পথ হারা,কিয়ামতের দিন মুসিবতের সময় আমি কাকে দুনিয়াতে অনুসরন করেছি তাকে খোঁজে পাবোনা"
অনুসরন করবো কাকে?
পবিত্র কোরআনে তার দিগনির্দেশনা আছে...
তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের আনুগত্য কর এবং অাল্লাহ ও রাসুলের পথের অনুসারীদের আনুগত্য কর

বিষয়টা খুব সোজা আল্লাহ ও রাসুল সাঃ এর প্রতি আনুগত্য প্রশ্নাতীত নু কন্ডিশনাল বাট আমিরের বা যুগের পথ প্রদর্শকদের আনুগত্যটা কন্ডিশনাল, তারা যতক্ষন আল্লাহ ও রাসুলের পথে ঠিকে থাকবেন ততক্ষন এদের অনুসরন করা যাবে।যুগে যুগে যত পথ প্রদর্শক বা দায়ী ইলাল্লাহ এসেছেন তারা কখনও বলেনি আমাকে সর্বকাজে অনুসরন করো যেমন হযরত ইমাম আবু হানিফা রাহঃ যিনি আমাদের মাযহাবের ইমাম তিনি কোথাও বলেননি তাকে সব কাজে অনুসরন করার জন্য একই ক্ষেত্রে অন্যান্য মাযহাবের ইমামদের ক্ষেত্রেও তাই।আমরা ধারাবাহিক ভাবে কেউ বাবার কাছ থেকে কেউ মা আবার কেউ উস্তাদদের মাধ্যমে ইসলাম পেয়েছি, তাদের কাউকে পুরোপুরিভাবে অনুসরন করা যায় কি?আপনারাই বলুন....উত্তর পাবেন ভিন্ন ভিন্ন,
এই ফেৎনার যুগে এক শ্রেনীর ভন্ডদের উৎপাত বেড়ে গেছে তারা প্রকাশ্যে ঘোষনা করছে কেবল তাদের অনুসরন করলে কিয়ামতের মাঠে তাদের পীরের উসিলায় কেল্লা পথে,আপনারা কি বলবেন? এটা কি কখনও সম্ভব।বর্তমান পীরদের জীবনের সব ক্ষেত্রে অনুসরন করা যায়?আমি বলি যে কোন ভাল লোকের সুহবতে থাকা ভালো কেবল তাদের ভাল দিক অনুসরন করবো.. অন্য সব না....
ডাঃ জাকির হিন্দুস্থানে অনেক চ্যালেঞ্জিং ভাবে একজন দায়ীর ভুমিকা পালন করে যাচ্ছেন; তিনি একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, আরবী জানেননা তারপরেও তিনি অন্যান্য ধর্ম গুরুদের সাথে ইসলামের শ্রেষ্টত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করছেন,তার মত এই যুগে দ্বীতিয় কাউকে দেখিনা,তার ভূল থাকতে পারে মানুষ হিসেবে, তিনি এই যাবৎ কোথাও বলতে শুনিনি তাকে জীবনের সব জায়গায় অনুসরন করতে।তিনি যতক্ষন আল্লাহ ও রাসুলের পথে থাকবেন ততক্ষণ তাকে অনুসরন করা যায়,এর বাইরে কিছু না।ভন্ড পীরের অনুসারীদের তার লেকচার গুলো গা জালাতন করে কারন তিনি তার আলোচনায় ধর্ম ব্যাবসায়ীদের কুঠারাঘাত করেন।
আহলে হাদীস বর্তমান যুগে আরেকটি ফেৎনা...
তারা সহীহ হাদিস বলে জিকির করে.. অন্যদের সব ভুল, কেবল নিজেরাই শুদ্ধ,তাদের বক্তব্য হলো যুগের কাউকে অনুসরন না মানে মাযহাব অনুসরন না করে কেবল সহীহ হাদিস গুলো অনুসরন করতে হবে, তাদের কিছু কর্মকাণ্ড ইদানিং মুসলীম সমাজে বিভেদ সৃষ্টি করে চলেছে,আমাদের হুশিয়ারী হয়ে তাদের কাজ তাদের করতে দিন আমরা আমাদের কাজ করি,
যুগের ইমামকে কেন মানবেন?
বোখারী শরীফের প্রথম হাদীস... "ইন্নামা আমালু বিন্নিয়ত "যে সমস্ত আহলে হাদীসের ভাইয়েরা সহীহ হাদিসের কথা বলে থাকেন তারা কেবল এই হাদিসটার সঠিক ব্যাখ্যা করুন তাহলে উত্তর পেতে পারেন কেন মানবেন মাযহাবের ইমামকে।শুধু 'আমল' এর ব্যাখ্যা করুন তাহলে জবাব পেয়ে যাবেন।আমি যেহেতু আরবী গ্রামারে পারদর্শী না সেদিকে যাবোনা।আপনি আমি সবাই যেই আমলটি নিয়ে আমাদের পথ চলা সেই আমলটি কাউকে না কাউকে অনুসরনের মাধ্যমে পরিচালিত,সুতরাং এইবার বুঝেন মাযহাব কেন মানবেন না?
দুনিয়াতে পথ চলতে কাউকে না কাউকে পথ নির্দেশক মেনে চলতে হবে কারন বিশাল সমুদ্রে আমরা যদি কোন নৌকার মাঝি ছাড়া যাত্রী হয় তাহলে বিপদের সম্ভাবনা থেকে যাবে।
উপসংহারে বলতে চাই একমাত্র নবী মুহাম্মদ সাঃ ছাড়া দুনিয়ার কোন পীর, ঊস্তাদ,মুরব্বী কাউকে জীবনের সর্বকাজে অনুসরন করা যাবেনা।একমাত্র সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদ সাঃ এর আদর্শ।
অধ্যাপক সৈয়দ শাহাদাত হোসাইন

শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৭

আসামে মুসলিম নাগরিকদের ভাগ্য নির্ধারণ ৩১ ডিসেম্বর:আসামে চলছে জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন


২৮ ডিসেম্বর, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস : বিশ্ব যখন ৩১ ডিসেম্বর মধ্য রাতে নতুন বছর বরণ করতে থাকবে, তখন রিকশা চালক শামসুল হক, টাটা ইনস্টিটিউট অব সোস্যাল স্টাডিজের আবদুল কালাম আজাদ এবং সেইসাথে আরো লাখ লাখ লোক, যারা আসামের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় গ্রুপ সৃষ্টি করেছেন, তারা তাদের ভাগ্য কোন দিকে নিয়ে যাবে, তা নিয়ে ভাবতে থাকবেন।

ওই সময় ‘ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন্স (এনআরসি)-এর প্রথম খসড়া প্রকাশিত হবে। ১৯৫১ সালের পর এ ধরনের প্রকাশনা এটিই প্রথম। আসামে ভারতীয়দের নাম-সংবলিত এই প্রকাশনার জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল অব ইন্ডিয়া সাত বছর ব্যয় করেছে। যারা তাদের পূর্বপুরুষদের সাথে নিজেদের সম্পর্কিত করতে পারবে, তাদের নাম সুপ্রিম কোর্টের তদারকিতে তৈরি এই তালিকায় স্থান পাবে।

১৯৮৫ সালের আসাম চুক্তি অনুযায়ী, যারা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চ মধ্য রাত পর্যন্ত রাজ্যটিতে প্রবেশ করেছে, তারাই ভারতীয় নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হবে। দশকের পর দশক ধরে আসামে অবৈধ অভিবাসী ইস্যুতে যে গোলযোগ চলছে, এনআরসি তা অবসানে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রাজ্যটির মুসলিম সম্প্রদায়ের (তারা রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ) ৯০ ভাগ বাংলা ভাষাভাষী। তাদেরকে এখন বাংলাদেশি বা ‘মিয়া’ হিসেবে যে গাল দেয়া হয়, এর অবসানও ঘটাতে পারে এনআরসি।

জাতিগত সঙ্ঘাতের কারণ নিয়ে কর্মরত আজাদ বলেন, আমাদের চিত্রই আমাদের কাছে পাল্টে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্ট মুসলিম নারীদের জন্য পঞ্চায়েতের সনদপত্র গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এর ফলে পারিবারিক বন্ধন রক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েরা স্কুলে যায় না, তাদের জন্ম হাসপাতালে হয় না, তাদের তাড়াতাড়ি বিয়ে হয়ে যায়। ফলে তাদের আইনগত সম্পর্ক দেখানোর জন্য স্কুল বা জন্ম নিবন্ধন দেখানোর সুযোগ থাকে না।’

তবে শামসুলের অবস্থা ভালো নয়। যে ৪৭ লাখ লোক পূর্বপুরুষদের সাথে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি, তিনি তাদের একজন। তিনি এই অবস্থায় পড়েছেন নথিপত্র না থাকার কারণে। তিনি বলেন, এনআরসি কর্মকর্তারা সত্যায়ন যাচাই করার জন্য আমার বাড়ি এসেছিল। আমি কাগজপত্রে আমার বাবার সাথে কোনো সম্পর্ক দেখাতে পারিনি।

বিজেপি-নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ইতোমধ্যেই নাগরিকত্ব আইন ১৯৫৫ সংশোধনী চেয়েছে, যাতে ১৯৭১ সালের পর আগতদের নাগরিকত্বের বৈধতার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া যায়।

তবে ১৯৭৯-৮৫ সময়কালে বিদেশিবিরোধী আন্দোলনকারী অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এএএসইউ) মনে করছে না, বাংলাদেশ থেকে আসা ’৭১-পূর্ব অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে।

এএএসইউ সভাপতি দীপঙ্ক কুমার নাথ বলেন, আসাম চুক্তি অনুযায়ী, আমরা তাদের ভারতীয় নাগরিক হিসেবে গ্রহণ করে নিচ্ছি। তবে কেন্দ্রের সাথে আমাদের একটি চুক্তি আছে। তা হলো আসামের আদিবাসী লোকজনের জন্য সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করা। আমরা চাচ্ছি, যেসব বাংলাদেশি অভিবাসীর নাম ১৯৫১ সালের এনআরসির সাথে সম্পর্কিত থাকবে, কেবল তাদের বংশধরদেরই আদিবাসী আসামি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হবে।

“বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা-ইসলামের ভূমিক “ শীর্ষক ২দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন

বাংলাদশ বার্তাঃ চট্টগ্রাম ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ইং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র শরী’য়াহ ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের উদ্যোগে “বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা-ইসলামের ভূমিক “ শীর্ষক ৩০-৩১ ডিসেম্বর ২দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। 
আজ সকাল ১০টায়  “বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা-ইসলামের ভূমিক “ শীর্ষক ২দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। 
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম. গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র সম্মানিত চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রিন্সিপাল সেক্রেটারী জনাব মোঃ আবদুল করিম। অন্যান্যের মধ্যে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আযহারুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ দেলওয়ার হোসাইন, ICWPSRI 2017 as Key Note Speaker  Prof. Dr. Djemai Chebiki, Vice-Rector, Amir Abdul Qader University & Dr. Mohd. Sanaullah Nadwi, Prof. Aligarh Muslim University as Key Note Speaker, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র শরী’য়াহ ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল হক নদভী প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ, ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসানুল্লাহ, বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য মাওলানা মমিনুল হক চৌধুরী, মোহাম্মদ নুর উল্লাহ আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র সকল অনুষদের ডীনবৃন্দ, ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যানবৃন্দ, জনাব আ.জ.ম. ওবায়দুল্লাহসহ সকল ডিভিশনের ডাইরেক্টরবৃন্দ, চীফ ইঞ্জিনিয়ার (চলতি দায়িত্ব) ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহেদ হোসাইনসহ বিশ্ববিদ্যালয় এর গুরুত্বপূর্ন  ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র শরী’য়াহ ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের উদ্যোগে “বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা-ইসলামের ভূমিক “ শীর্ষক ৩০-৩১ ডিসেম্বর ২দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বাংলাদেশ ছাড়াও আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া, মিশন, হংকং, ইন্ডিয়া, ইরাক, জর্ডান, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মরক্ক, পাকিস্থান, ফিলিস্থিন, কাতার, সৌদি আরব, সোমালিয়া, সুদান, থাইল্যান্ড, তুরস্ক, ইউনাটেড আরব আমিরাত, ইউ.কেসহ ২০দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেছেন।
আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র কুমিরা ক্যাম্পাসকে আকর্ষণীয় ভাবে সাজানো হয়েছে।

আজ ২দিন ব্যাপী “বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা-ইসলামের ভূমিক “ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান


বাংলাদশ বার্তাঃ চট্টগ্রাম ৩০ ডিসেম্বর ২০১৭ইং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র শরী’য়াহ ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে  ৩০-৩১ ডিসেম্বর ২দিন ব্যাপী “বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা-ইসলামের ভূমিক “ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন।
আজ সকাল ১০টায় ২দিন ব্যাপী “বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা-ইসলামের ভূমিক “ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম. গোলাম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠতব্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ইউজিসি’র সম্মানিত চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক প্রিন্সিপাল সেক্রেটারী জনাব মোঃ আবদুল করিম। অন্যান্যের মধ্যে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আযহারুল ইসলাম, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ দেলওয়ার হোসাইন, ICWPSRI 2017 as Key Note Speaker  Prof. Dr. Djemai Chebiki, Vice-Rector, Amir Abdul Qader University & Dr. Mohd. Sanaullah Nadwi, Prof. Aligarh Muslim University as Key Note Speaker, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র শরী’য়াহ ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল হক নদভীসহ বিশ্ববিদ্যালয় এর গুরুত্বপূর্ন  ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত থাকবে। 
আন্তর্জাতিক এই সম্মেলন উপলক্ষে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র কুমিরা ক্যাম্পাসকে আকর্ষণীয় ভাবে সাজানো হয়েছে।

11th International Conference on World Peace and Security - Role of Islam.

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম - বাংলাদেশের সুপ্রতিষ্ঠিত একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রায় ২৩ বছর হতে চলল এর বয়স। ইতিমধ্যে অর্জিত হয়েছে অনেক সুনাম। এই ২৩ বছরে বহু চরাই উৎরাই পার করে বিশ্ব উচ্চ-শিক্ষার আসরে IIUC এখন একটি প্রমিন্যান্ট ব্র্যান্ড। মালয়েশিয়ার IIUM, USIM, UniMAP, কানাডার CBU, ACADIA, WINDSOR সহ বিশ্বের বহু বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে IIUC এর রয়েছে সমঝোতা ও সৌহার্দ্য। শত শত ছাত্র ছাত্রী সে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রেডিট ট্রান্সফার সহ উচ্চ শিক্ষা লাভ করছে। জাপান, কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইউ কে থেকে পিএইচডি করে শিক্ষকেরা আবার এখানেই এসে পাঠদান করছেন। এটি IIUC এর সবচেয়ে বড় সফলতা। শুধু তাই নয়, এখানে ইসলামী শারীয়াহ এর উপর অধ্যয়ন করার জন্য চায়না থেকেও বহু ছাত্র ছাত্রী আসছে।
IIUC এর প্রতিটি ফ্যাকাল্টি নিয়মিত আয়োজন করে থাকে বিভিন্ন ধরনের সভা, সেমিনার, বা সিম্পোজিয়াম। এইতো গতকালই হয়ে গেলো বিজিনেস ফ্যাকাল্টি'র উদ্যোগে #gpdigitalcarnival. নিয়মিতভাবে এখানে আয়োজন করা হয় আন্তর্জাতিক কনফারেন্স। এরই ধারাবাহিকতায় আগামি ৩০-৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ ইং হতে শুরু হতে যাচ্ছে দু'দিনব্যাপী 11th International Conference on World Peace and Security - Role of Islam.
ফ্যাকাল্টি অব শারিয়াহ এর উদ্যোগে শুরু হতে যাওয়া এই ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন University Grants Commission (UGC) এর সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয় প্রফেসর আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথি ও কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের বিখ্যাত সব স্কলারগণ। বাংলাদেশ সহ ২০টির বেশি দেশের গবেষকগণ তাদের গবেষণাপত্র উপস্থাপন করবেন।Paper Presentation Session এর বেশিরভাগ গবেষণাপত্রগুলো আরবীতে উপস্থাপন করা হবে। তবে বেশ কিছু পেপার ইংরেজীতেও উপস্থাপিত হবে।
এই শনিবার অর্থাৎ ৩০ ডিসেম্বরে শুরু হওয়া কনফারেন্সকে সুষমামণ্ডিত করতে ইতিমধ্যেই ক্যম্পাসকে সাজানো হয়েছে নানা বর্নিল রঙ্গে।সেই রঙ্গে আমরাও আলোকিত বোধ করছি। Inauguration সেশনটি সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে।
এর পরের বার ফ্যাকাল্টি অব সোস্যাল সাইন্সেস কিছু একটা করবে ইন শা আল্লাহ আর এবারের অনুষ্ঠানটির সার্বিক সফলতা কামনা করছি। কস্ট করে লিখাটি পড়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

শুক্রবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৭

বিসিএসের ছড়া: গাজী কাইছার বিপ্লব

বিসিএসে মাথাখানি বইয়ের সাথে মিশে?
নাকি বইয়ের সমাহারে ঘুম চলে যায় পিশে?

জিকে পড়ি, বাংলা পড়ি, ইংরেজি তে কিছু
গণিতে হাত পাকাতে হয়, সব বিষয়ে যে শিশু।

রাত চলে যায়, দিন চলে যায় শেষ হয় না পড়া
বিসিএসে পাশ না হলে বৃথা জীবন গড়া।

লক্ষ তিনেক বেকার আছে, বেকার বিসিএসে
ক্যাডার হওয়ার স্বপ্ন দেখে বেকার বাড়ছে দেশে

কৃষক, তাঁতী,জেলে, বণিক চায়না কেউ হতে
বিসিএসের জন্য জীবন করছে কঠিন ব্রতে

কেন মিথ্যা স্বপ্ন নিয়ে মাথাকে করি হ্যাং?
সাজাও একটা প্রভাবশালী গুন্ডার মত গ্যাং

নয়তো নামো মাঠে, প্রান্তে মিছিল শুরু করে
চাকুরি দাও, তো গদি ছাড়ো, নইলে দিব ভরে।

ফল পরিচিতিঃ তেঁতুল

বাংলাদেশ বার্তাঃ তেঁতুল খেলে নাকি বুদ্ধি কমে যায়?
আমার বাবা তো তেঁতুল খেলে মাইর দেয়। ওনার ববা মুরুব্বীদের বিশ্বাস তেতুঁল খেলে নাকি সেক্স শক্তি কমে যায়।!!!!

আমরা কম বেশি সবাই ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি, আবার অনেকেরই ধারণা, তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং রক্ত পানি হয়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুণ। তেঁতুলের পুষ্টি গুণ দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। রক্তে কোলস্টেরল কমানোর কাজে তেঁতুলের আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে।

পরিচিতিঃ আঞ্চলিক নাম তেঁতুল , ইংরেজি নাম ট্যামারিন্ড এবং বৈজ্ঞানিক নাম ট্যামারিন্ডাস ইনাইডকা ।।

জাতঃ দেশের সর্বত্র কম বেশি তেতুল চাষ হয় । এর কোন অনুমোদিত জাত নাই।

পুষ্টিগুণঃ তেঁতুলের খাদ্যশক্তি আসে মূলত শর্করা থেকে। প্রতি ১-২ কাপ তেঁতুল থেকে ১৪০ কিলোক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়, যার মধ্যে থাকে ৩৪ গ্রাম শর্করা, ৩ গ্রাম খাদ্যআঁশ ও ২ গ্রাম আমিষ। তেঁতুলে ফ্যাট নেই একেবারেই। এ ছাড়া এটি ভিটামিন সি এবং আয়রনের ভালো উৎস। ভিটামিন-বি না থাকলেও তেঁতুল বি-ভিটামিন্স, থায়ামিন ও নিয়াসিনে বেশ সমৃদ্ধ। এতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের উপস্থিতিও আছে প্রচুর পরিমাণে।

ঔষধিগুণঃ

*তেতুল একটি জনপ্রিয় ভেষজ ফল। পেটের বায়ু নাশক এবং হাত-পা জ্বালাপোড়া উপশমে তেতুলের শরবত উপকারী।

* তেতুলের কচি পাতা সিদ্ধ করে পানি সেবন করলে সর্দি-কাশি ভাল হয়।

* তেতুলে টারটারিক এসিড থাকে যা হজম শক্তি বৃদ্ধি করে।

* মাথাব্যাথা, কচু, ধুতরা ও এ্যালকোহলের বিষাক্ততা তেতুলের শরবত পানে নিরাময় হয়।

*উচ্চ রক্তচাপ নিরাময়ে তেতুলের শরবত কাজ করে এবং প্যারালাইসিস অঙ্গের অনুভূতি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে।

* গাছের ছালের গুড়ো দাঁত ব্যাথা, হাপানি, ও চোখ জ্বালাপোড়া উপশমে কাজ করে।

* * আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় তেঁতুলকে গ্যাস্ট্রিক ও হৃদরোগের নিরাময়ে এবং তেঁতুল ফুলের জুস পাইলস নিরাময়ে ব্যবহার করা হয়।

*তেঁতুল রক্তের কোলেস্টেরল কমায়। মেদ-ভুঁড়ি কমায়। পেটে গ্যাস হলে তেঁতুলের শরবত খেলে ভালো হয়।

* পাকা তেঁতুল কফ ও বায়ুনাশক, খিদে বাড়ায় ও উষ্ণবীর্য হয়। তেঁতুল গাছের বাঁকল, ফুল, পাতা, বীজ ও ফল সবই ওষুধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়!

*তেঁতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায়। মুখে ঘাঁ বা ক্ষত হলে পাকা তেঁতুল জলে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়। বুক ধড়ফড় করা, মাথা ঘোরানো ও রক্তের প্রকোপে তেঁতুল উপকারী |

নিষেধাজ্ঞাঃ 

পটাশিয়াম ও অক্সালিক এসিডের আধিক্যের জন্য কিডনি রোগীদের তেঁতুল খাওয়া নিষেধ। জন্ডিসের ক্ষেত্রেও তেঁতুল নিষিদ্ধের তালিকায় রয়েছে।

প্রতি ১০০ গ্রাম তেঁতুলে পুষ্টি উপাদানঃ
উপাদান পরিমাণ দৈনিক চাহিদারপূরণকৃত অংশ
খাদ্যআঁশ ৫.১ গ্রাম- ১৩%
থায়ামিন ০.৪৩ মিলিগ্রাম ৩৬%
নিয়াসিন ১.৯৪ মিলিগ্রাম ১২%
ভিটামিন সি ৩.৫ মিলিগ্রাম ৬%
পটাশিয়াম ৬২৮ মিলিগ্রাম ১৩%
আয়রন ২.৮০ মিলিগ্রাম ৩৫%
ম্যাগনেসিয়াম ৯২ মিলিগ্রাম ২৩%
কপার .৮৬ মিলিগ্রাম ৯.৫%
ক্যালসিয়াম ৭৪ মিলিগ্রাম ৭%

#সংগৃহীত

কারাগারে থেকেও জামায়াত নেতার বিজয়!


বাংলাদেশ বার্তাঃ উল্লাপাড়া উপজেলার ৭নং পুর্নিমাগাঁতি ইউনিয়ন পরিষদ উপ নির্বাচনে কারাগারে বন্দি থেকে জামায়াত নেতা আলাউদ্দীন আল আজাদ বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন।উল্লেখ্য গত ১৮ ডিসেম্বর সোমবার সন্ধারাতে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাউদ্দিন আল আজাদ কে নির্বাচন প্রচারণা কালে তাকে গ্রেফতার করে উল্লাপাড়া মডেল থানা পুলিশ।

উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কওশিক আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেফতারকৃত আলাউদ্দিন আল আজাদের বিরুদ্ধে নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাঁধাদানের অভিযোগে দায়ের করা ১৭ টি মামলায় গ্রেফতারী পরোয়ানা রয়েছে।এসব মামলায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।

সোমবার সন্ধ্যার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধামাইকান্দি বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাচন কমিশন উজ্জ্বল রায় জানান নির্বাচনী প্রার্থীর নামে যদি কোন মামলা থাকে তাকে গ্রেফতার করা যাবে। সে ক্ষেত্রে নির্বাচনী কোন সমস্যা নাই সে নির্বাচন করতে পারবে। তথ্যসূত্রঃ বাংলা মেইল71

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামঃ সিকিউরিটিজ অভ্যর্থনা কেন্দ্র উদ্বোধন

বাংলাদেশ বার্তা: চট্টগ্রাম ২৯ ডিসেম্বর ২০১৭ইং আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কুমিরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ মুখে নবনির্মিত সিকিউরিটিজ অভ্যর্থনা কেন্দ্র উদ্বোধন করেছে।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম  সিকিউরিটি বিভাগ কুমিরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ মুখে নবনির্মিত সিকিউরিটিজ অভ্যর্থনা কেন্দ্র উদ্বোধনের আয়োজন করে। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র বোর্ড ট্রাস্টিজের সদস্য ও সিকিউরিটি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ নুর উল্লাহ। 
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কুমিরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ মুখে নবনির্মিত সিকিউরিটিজ অভ্যর্থনা কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অভ্যর্থনা কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও বোর্ড ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জনাব আ. ন. ম. শামসুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ দেলওয়ার হোসাইন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, প্রক্টর ও ই.এল.এল. ডিপার্টমেন্টের সহযোগি অধ্যাপক ড.কাওসার আহমেদ, চীফ ইঞ্জিনিয়ার (চলতি দায়িত্ব) ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহেদ হোসাইন, সিনিয়র এ্যাসিষ্ট্যান্ট লাইব্রেরীয়ান মোঃ শহীদুল ইসলাম, সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর মোঃ মাইনুল ইসলাম, এ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর (স্টোর) শেখ মোঃ রফিকুল ইসালাম, এ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর মোঃ এরশাদুল হক, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম জাহাঙ্গীর প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। 
অভ্যর্থনা কেন্দ্রটি উদ্বোধন করার পর প্রধান অতিথি বোর্ড ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান জনাব আ. ন. ম. শামসুল ইসলামএর নেতৃত্বে সিকিউরিটি বিভাগের চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ নুর উল্লাহসহ 
প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ, প্রক্টর সহযোগি অধ্যাপক ড.কাওসার আহমেদ, চীফ ইঞ্জিনিয়ার (চলতি দায়িত্ব) ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহেদ হোসাইন সকলেই অভ্যর্থনা কেন্দ্রে ভিতরে কিছু সময় অবস্থান করেন এবং নবনির্মিত সিকিউরিটিজ অভ্যর্থনা কেন্দ্র সম্পর্কে আলোচনা করেন। আলোচনা কালে নেতৃবৃন্দ নবনির্মিত সিকিউরিটিজ অভ্যর্থনা কেন্দ্রটির নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, নবনির্মিত সিকিউরিটিজ অভ্যর্থনা কেন্দ্র -ভবন প্রকল্পটি বাসতবায়ন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন। ভবনটি নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন চীফ ইঞ্জিনিয়ার (চলতি দায়িত্ব) ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহেদ হোসাইন ও ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন মজুমদার।

১৮ সালে সরকারকে উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে: আমীর খসরু

বাংলাদেশ বার্তাঃ ২০১৮ সালে সরকারকে অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে বলে ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার(২৮ ডিসেম্বর)দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত এক গণ বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
'রাজনীতি-স্বার্থ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা: প্রতিবেশির ভূমিকা'শীর্ষক গণবৈঠকের আয়োজন করা হয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনার বছর। আর আপনারা (সরকার) যদি মানুষের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যান তাহলে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে এবং অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা সাথে খালেদা জিয়ার কোন সম্পৃক্তা নেই। এটা জেনে শুনেও সরকার সেই পথেই যাচ্ছে। কারণ তাদের আর কোন পথ নেই। আমি বলতে চাই, সে পথে সরকার না গেছেই তাদের জন্য ভালো হবে। কারণ এই সরকার ও দল বিগত দিনে এ পথেই চলেছে। আমি তাদের বলতে চাই, সেই পিচ্ছিল পথে আর যাবেন না। সেই পিচ্ছিল পথে দয়া করে আর চলবেন না। সেই পথে চলতে গিয়ে অনেক মূল্য দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বেশী বড় মূল্য দিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে খসরু বলেন, এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রজেক্টের একটি অংশ। এই প্রজেক্টের কাজ হলো, বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের একটি প্রক্রিয়া। এই প্রজেক্টের আওতায় তারা অনেকগুলো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এর মধ্যে, গুম, ক্রসফায়ার, মিথ্যা মামলা, জেল, মানুষকে পঙ্গু করা, এলাকা ভিত্তিক সন্ত্রাসী সৃষ্টি, সম্পদ ও ব্যবসা দখল করা এবং সব চেয়ে বড় প্রজেক্ট হচ্ছে, বেগম জিয়াকে আগামী নির্বাচনের বাইরে রাখা। আর এই প্রজেক্টকে সফল করার জন্যই খালেদা জিয়া বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলা।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ৬০ শতাংশ ভোট কমেছে, আর বিএনপির ৪০ শতাংশ ভোট বেড়েছে। এই অনুপাতটা সারাদেশে চিন্তা করেন। আমি আওয়ামী লীগের একটি আসনও জেতার কারণ দেখতে পাচ্ছি না।
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের একটি আসন পাওয়ারও আর সম্ভবনা নাই মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি শুধু জয়ী হবে না, বিশালভাবে জয়ী হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে গণ বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দিলারা চৌধুরী,সাবেক রাষ্ট্র দূত সিরাজুল ইসলাম পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জাকির হোসেন ,অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া জিনাফের সভাপতি মিয়া মো:আনোয়ার, আলতাফ হোসেন সরদার, রমিজউদ্দিন রমি, কাদের সিদ্দিকী,মোস্তফা কামাল, সংগঠনের নেতা এডঃরহিম, রাসেল খান, আনোয়ার হোসেন,সোহেল প্রমুখ।

বুধবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

স্যান্ডুইচ প্যানেল নির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন: আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম

 একাঃ ভবন উদ্বোধন করছেন বিওটি’র চেয়ারম্যান ও ভিসি 
বাংলাদেশ বার্তা: চট্টগ্রাম ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ইং স্যান্ডুইচ প্যানেল নির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেছে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কুমিরাস্থ ক্যাম্পাসে। 
ক্রমাগত চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কুমিরাস্থ ক্যাম্পাসে আধুনিক প্রযুক্তি- স্যান্ডুইচ প্যানেল ব্যবহার করে নতুন একাডেমিক ভবন তৈরি করেছে। 
আজ সকাল ১০:৩০ মিনিটে ইঞ্জিনিয়ার ও কষ্ট্রাকশন কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ স্যান্ডুইচ প্যানেল নির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন অনু্ঠান আয়োজন করেন। আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম ও আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম. গোলাম মহিউদ্দিন ফিতা কেটে নবনির্মিত এই একাডেমিক ভবন উদ্বোধন করেন।
এই সময় অন্যান্যের মধ্যে বোড অব ট্রাস্টিজ’র সদস্য মোহাম্মদ নুর উল্লাহ, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. দেলওয়ার হোসাইন, আইআইইউসি’র রেজিট্রার কর্নেল মোঃ কাশেম, পিএসসি (অবঃ), প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের চীফ ইঞ্জিনিয়ার (চলতি দায়িত্ব) ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহেদ হোসাইন, পিপিডি’র ডেপুটি ডাইরেক্টর মাহমুদুল আলম, পিএস টু ভিসি-এডিশনাল ডাইরেক্টর সিরাজুল আরেফিন, প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন মজুমদার, ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদ আলম, ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম জাহাঙ্গীর, সিনিয়র এ্যাসিস্ট্যান্ট ডাইরেক্টর মাইনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

৭,০০০ বর্গফুট বিশিষ্ট স্যান্ডুইচ প্যানেল নির্মিত একাডেমিক ভবনটিতে রয়েছে:

(২০'-২৬')=৫২০ বর্গফুট বিশিষ্ট ক্লাস রুম ৮টি।
(১০'-১০')=১০০ বর্গফুট বিশিষ্ট টিচার্স রুম ৪টি।
(২৬'-১০') = ২৬০ বর্গফুট বিশিষ্ট স্টুডেন্ট ওয়াশ ব্লক  ১টি; যাতে রয়েছে: ৪টি ওয়াশ রুম ও ৪টি বেসিন।
(২৭'-০৬')= ১৬২ বর্গফুট বিশিষ্ট টিচার্স ওয়াশ ব্লক।
রয়েছে সাড়ে ৬ফুট প্রস্থ ও ২০০ফুট লম্বা বারান্দা।
উদ্বোধনের পর সার্বিক কল্যাণ ও উত্তোত্তর উন্নতি কামনা করে দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। দোয়ার অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম। 
বোর্ড অব ট্রাস্টিজ’র চেয়ারম্যান আ.ন.ম. শামসুল ইসলাম ও  সম্মানিত ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর কে. এম. গোলাম মহিউদ্দিন স্যারের নেতৃত্বে ভবনটি ঘুরে ঘুরে দেখেন। সব কিছু দেখে সম্মানিত ভিসিমহদয় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

স্যান্ডুইচ প্যানেল নির্মিত একাডেমিক ভবনটি নির্মাণ করেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশন। নির্মাণের দায়িত্বে ছিলেন প্রধান প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) ইঞ্জিনিয়ার মোঃ জাহেদ হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদ বাহার, ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার আবদুর রহমান।

মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

আমীনুল হকের ডাবল পি এইচ ডি

বাংলাদেশ বার্তাঃ  ও আমার ছাত্র ছিলো ভাবতেই ভালো লাগে। ওকে আমি কায়েদ সাহেব বলে ডাকতাম। কারণ ও ছিলো আমার মানার জগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী শায়খ আজিজুর রহমান নেসারাবাদী বা "কায়েদ সাহেব হুজুরের" নাতি। কায়েদ মানে নেতা, ওর কাজে কামে নেতা নেতা ভাব ছিলো। 

আমি যখন ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি চিটাগাং এ ওর শিক্ষক, তখন আমার মাঝে তারুণ্য ছিলো। আমার ক্লাশে একটা হৃদ কম্পের আবহ তৈরি করতাম। বলতাম, আমার কাছে যারা "এ প্লাস" পাবে তারা সারা দুনিয়াতেই এই রেজাল্ট করবে। আমি চেষ্টা করতাম এসেসমেন্টে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখতে। এই ভয়ের প্রকোপে অনেকেই ঝরে পড়ত, পালাতো। যে কয়জন ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র বাকি থাকতো সেখানে এই ছেলেটা একটু মাথা উঁচু করেই থাকতো। বলতো, উস্তায চ্যালেঞ্জ নিলাম, আপনি পথ দেখায়েন। আমার মনে হয় সব সাব্জেক্টেই সে "এ+" পেয়েছে আমার কাছে। 

একবার ও এলো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িকের জন্য একটা লেখা তৈরি করে। তাতে সে তার আরবী শেখার গল্প লিখেছে। ডঃ আবুল কালাম আজাদ স্যার নাকি ওকে বলেছেন, আমীন তুমি ঘুমের মাঝে স্বপ্নে যখন আরবী ভাষায় কথা বলবে, বুঝবে আরবী ভাষা তোমার আয়ত্বে চলে আসতেছে। ঐ গল্পে সে লিখেছিলো, স্বপ্নে নাকি সে আরবী ভাষা ব্যবহার করেছে। আমি হেসেছিলাম। স্বপ্নের কথা শুনে না, ডঃ কালাম আজাদের ভাষা শেখায় "অবচেতন" দর্শন নিয়েও না, হেসেছিলাম এই ছেলের ডিটারমিনেশান দেখে। এই ধরণের আত্মপ্রত্যয় সম্পন্ন ছেলেরা জীবনে অনেক দূর যায়। 

একদিন হঠাৎ টেলিফোন পাই তদকালীন ডীন স্যারের কাছ থেকে। আমার অগ্রজ ও বন্ধু তিনি। জিজ্ঞেস করলেনঃ সালাম ভাই, আমীনুল হক ডিপার্টমেন্টে টিচার হওয়ার জন্য দরখাস্ত করেছেন। শিক্ষক হিসেবে আপনার মূল্যায়ন কি তার ব্যাপারে। আমি বললামঃ ভাইজান, অসম্ভব কর্মঠ একটা ছেলে সে। আমি ভিসি হলে এবং পরীক্ষায় ভালো করলে তাকে নিতাম। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েছে, নাম কিনেছে, ভালো লেখে এবং মিডিয়া জগতে তাকে চিনতে সময় লাগেনা। 

আগে একটা ডক্টরেট ডিগ্রী নিয়েও তার তৃপ্তি মিটেনি, জেদ্দার কিং আব্দুল আযীয ইউনিভার্সিটি থেকেও খুব সুন্দর ভাবে আরেকটা ডক্টরেট নিলো। আলহামদুলিল্লাহ। 

তার জন্য দুয়া করি ও দুয়া চাই, উম্মাতের গর্ব হয়ে সে ফুটে উঠুক। 
আমার চোখের শীতলতা তার জীবন পথের পাথেয় হোক। আমীন।=====
আবদুস সালাম আজাদী

সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম: ৩দিন ব্যাপী ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ বার্তা চট্টগ্রাম ২৫ডিসেম্বর ২০১৭ইং  আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কর্তৃক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য  আয়োজিত ২৩-২৫ ডিসেম্বর ৩দিন ব্যাপী  ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আজ ছিলো সমাপনী দিবস।
আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. দেলওয়ার হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসানুল্লাহ।
অন্যান্যের মধ্যে আমন্ত্রিত আলোচক আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র  সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আযহারুল ইসলাম, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ার  প্রফেসর ড. এ. এস. এম. তরিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আবুল কালাম আজাদ (ইউ.কে), আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র বিজনেস ফ্যাকাল্টির ডীন প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র ফিমেল একাডেমিক জোনের ইনচার্জ প্রফেসর ড. মাহবুর রহমান, ত্রিপল-ই ডিপার্টমেন্টে’র চেয়ারম্যান প্রফেসর আতহার উদ্দিন, প্রফেসর ড. বি. এম. মফিজুর রহমান  প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
অতিথিবৃন্দের আসন গ্রহণ ও কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাপনী অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শুরুতে সাংস্কৃতিক ও কুইজ প্রতিযোগিতা বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ ও অনুষ্ঠানের সভাপতি।
প্রধান অতিথি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী দ্বীন মোহাম্মদ ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র মূল লক্ষ্য হলো ছাত্রদের নৈতিক ও গুনগতমানের সমন্বয়ে আধুনিক বিশ্বের চ্যালেন্স মোকাবিলায় যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা। আর এই লক্ষ্য সম্পাদনে এই তিনদিনের শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের যার যার অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।
 বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আহসানুল্লাহ ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করার জন্য শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সকলকে ধন্যবাদ জানান এবং ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র  মিশন ও ভিষণ বাস্তবায়নে সকলকে এক যোগে কাজ করার আহবান জানান। তিনি ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম প্রতিবছর অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. দেলওয়ার হোসাইন ৩দিন ব্যাপী  ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম বাস্তবায়নে সহযোগিতা করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
৩দিন ব্যাপী  ওরিয়েন্টেশন ও ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের সমাপনী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স  ডিভিশনের ডাইরেক্টর জনাব আ. জ. ম. ওবায়দুল্লাহ।

রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭

ভারত কেন পারছে? লিখেছেন: Rauful Alam

বাংলাদেশ বার্তাঃ  ভারতে দারিদ্রতা আমাদের চেয়ে কম নয়। সন্ত্রাস, দুর্নীতি, রাহাজানি, মারামারি এগুলোও আমাদের চেয়ে কম নয়। ভারতে নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, কুসংস্কার, ধর্মীয় উগ্রতা আমাদের চেয়েও অধিক! তাহলে ভারত কী করে মহাকাশে যান পাঠায়? ভারত কী করে গবেষণায় স্বতন্ত্র হয় উঠছে? কী করে সেখানে এতো এতো গবেষণাকেন্দ্র গড়ে উঠছে? কী করে তারা নিজের পণ‍্য ও আভ‍্যন্তরীণ উৎপাদনে স্বনির্ভরশীল হচ্ছে? কী করে তারা উদ্ভাবনে স্বনির্ভর হচ্ছে? —এগুলোর গভীরে একটাই কারণ। সেটা হলো, শিক্ষা ক্ষেত্রে ভারতের অবকাঠামো আমাদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হচ্ছে।
ভারতের বিশ্ববিদ‍্যালয়গুলোতে নিয়োগ প্রক্রিয়া কতো কঠিন, সেটা যদি আপনি জানেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন তাদের উন্নয়নের মূলমন্ত্র। তাদের গবেষণাগারে নিত‍্যদিন কী চর্চা হয় সেটা জানুন। ভারতের অসংখ‍্য ছেলে-মেয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় গবেষণা করছে। তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার জন‍্য ভারত নানান ব‍্যবস্থা করে রেখেছে। তাদের শুধু পিএইচডি-পোস্টডক থাকলেই হয় না। খুব ভালো ভালো গবেষণা আর্টিকেল থাকতে হয়। তারা কোথায় এবং কোন গবেষকের অধীন কাজ করেছে, সেটা দেখা হয়। তারা কী গবেষণা করবে সে বিষয়ে বিস্তর আইডিয়া (রিসার্চ প্রপোজাল) লিখে জমা দিতে হয়। একজন প্রতিযোগী বিজেপি কিংবা কংগ্রেস করলেই শিক্ষক বা গবেষক হতে পারে না। একজন শিক্ষক পদপ্রার্থীকে বিশ্ববিদ‍্যালয়ের ভিসির কক্ষে গিয়ে ভাইভা দিতে হয় না। বিশ্ববিদ‍্যালয়ের একজন ভিসি হয়তো অর্থনীতি পড়েছেন। তাহলে, মহাকাশ বিজ্ঞানের একজন শিক্ষক নিয়োগে তার কী কাজ? —তিনি বড়ো জোর নিয়মমাফিক সে নিয়োগের অনুমোদনে স্বাক্ষর করবেন। তবে তার আগেই আবেদন যাচাই-বাছাই করার এবং প্রার্থী নির্বাচিত করার জন‍্য প্রত‍্যেক ক্ষেত্রে এক্সপার্ট টিম থাকবে। সে টিম যোগ‍্য প্রার্থীদের আবেদন বাছাই করবেন। এক্সপার্ট টিমের পরিচয় গোপন থাকবে।
ভারত তার দেশের গবেষণার জন‍্য যেমন দিনে দিনে বাজেট বৃদ্ধি করছে, তেমনি সে টাকাটা খরচ করার মতো মাথা নিয়োগ দিচ্ছে। সে মাথা যাচাইয়ের মাপকাঠি হলো একমাত্র মেধা! তারা বিদেশের টেন্ডার কোম্পানিকে না এনে, বিদেশ থেকে লোন না এনে, বিদেশের এক্সপার্ট এনে নিজ দেশের তরুণদের যোগ‍্য করার চেষ্টা করছে। আমরা হাজার কোটি টাকার অস্ত্র কিনতে পারি, তবে শত কোটি টাকা খরচ করে বিদেশের বিজ্ঞানী এনে নিজের দেশের ছেলে-মেয়েদের মেধাবী করার সুযোগ তৈরি করতে চাই না! এই হলো আমাদের দুরদর্শিতা!
ভারতের বিশ্ববিদ‍্যালয়গুলো রাজনীতি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত নয়। বিশেষ করে, আইআইটিগুলোর গবেষণার মান যে কতো উন্নত, সেটা আপনার ধারণাতীত। আইআইটিতে কাজ করে এমন কয়েকজন তরুণ শিক্ষককে আমি চিনি। তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পর্কে তাদের কাছ থেকে জেনেছি। আর অবাক হয়েছি—কেন আমার দেশে এমন নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হয় না! ভারতের বিশ্ববিদ‍্যালয়ে বসে গবেষণা করে তাদের ছেল-মেয়েরা ইউরোপ-আমেরিকার সেরা সেরা স্কুলে সরাসরি পোস্টডক করতে চলে আসে। বাংলাদেশের একটা প্রতিষ্ঠান দেখান, যেখান থেকে গবেষণা করে প্রতিবছর মাত্র কুড়িজন গবেষক উন্নতবিশ্বে সরাসরি পোস্টডক করতে যায়! বুয়েট কিংবা ঢাকা বিশ্ববিদ‍্যালয় থেকে পিএইচডি করেও এটা প্রায় অসম্ভব! পঞ্চাশ বছরে কী এই সামান‍্য উন্নয়নটুকু হওয়ার কথা ছিলো না?
ভারতে ফি বছর প্রশ্ন ফাঁস হয় না। তাদের দেশের শিক্ষা-গবেষণা, নিয়োগ এগুলো রাজনৈতিক নেতারা ঠিক করে দেন না। তাদের গবেষণাগার নিয়ন্ত্রনের জন‍্য সচিব বসিয়ে রাখা হয় না। রাজনীতির প্রভাবমুক্ত শিক্ষা গড়ে তুলতে পারছে ওরা। শিক্ষাকে তুলে দিয়েছে প্রকৃত শিক্ষিত ও মেধাবীদের হাতে। একটা দেশের হাজারো সমস‍্যা থাকার পরও দেশটাকে দাঁড় করাতে হলে যেটা ঠিক রাখতে হয়, ভারত সেটাই ঠিক রাখার চেষ্টা করছে। আমরা কী তেমনটা করতে পারি না? 
……..
ফিলাডেলফিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।

বোনদের প্রতি একটি আহবান !

বাংলাদেশ বার্তাঃ শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু। 
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ ।

আসুন আমরা আমাদের ভাইদের জান্নাতের পথে যেতে সহযোগিতা করি। 

যখন কোন প্রকৃত মুসলিম ছেলে আপনার দিকে তাকায় না তখন ভাববেন না যে আপনাকে সুন্দর দেখাচ্ছে না বলে তাকাচ্ছে না, সে তাকাচ্ছে না কারন সে আল্লাহকে ভয় পায়।

হয়ত কখনও আপনার দিকে চোখ পড়ে যায়, সে চেষ্টা করে নিজেকে বিরত রাখতে, চোখকে ফিরিয়ে নিতে। কারণ সে আল্লাহ কে ভয় পায়।

কিন্তু আপনি হয়ত জানেনা না যে একজন সুন্দরী মেয়ের দিক থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেয়াটা তার জন্য কতটা কষ্টসাধ্য। সে তো ফেরেশতা নয় যে শুধু ভাল কাজই করতে পারবে।

বোন আমার,

একজন মুসলিম ছেলে যদি নিজের ও তার বোনের কল্যানের জন্য পর্দার কথা বলে তার বোনকে কষ্ট দিয়ে থাকে তবে সেই সকল ভাইদের পক্ষ থেকে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। 

অথচ এই ছেলেদেরকেই আপনার প্রয়োজনের সময় দেখবেন আপনার সম্মান রেখে কথা বলবে।

এই ছেলেটিকেই আপনার নিরাপত্তার জন্য সবার আগে স্বর উচ্চৈ: করতে দেখবেন।

বোন আমার,

ফেসবুকে বসে অবৈধ কথোপকথন, আড্ডায় বসে অপ্রয়োজনীয় হাসাহাসি, প্রেমের নামে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন থেকে বিরত থাকতে এই সব যুবকেরা আমাদের সহযোগিতা কামনা করছে। 

আমাদের সুন্দর সৌষ্ঠব নয়, আপনাদের ব্যাক্তিত্বকে সাথে নিয়ে তারা আল্লাহর সন্তুষ্টির দিকে মার্চ করতে চাইছে।

আমরা কি পারবো না আমাদের এই বিশ্বাসী বন্ধুদের কে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে সহযোগিতা করতে?

“বিশ্বাসী পুরুষ ও বিশ্বাসী নারী একে অপরের বন্ধু। তারা ভাল কাজের নির্দেশ দেয় এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে, তারা সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আনুগত্য করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের। এদেরই উপর আল্লাহ রহমত বর্ষণ করবেন।” (আত-তওবা ৯:৭১)

চেষ্টা উপায় খোঁজে সবাই মিলে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃস্টি করা অনেক বেশি সহজ কাজ বলে আমি মনে করি।
সংগৃহীত

ট্রান্সফরমার কি এবং কিভাবে কাজ করে.....!!!


বাংলাদেশ বার্তাঃ ট্রান্সফরমার একটি ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্র যা পরিবর্তনশীল বিদ্যুতকে (Alternating current) এক ভোল্টেজ থেকে অন্য ভোল্টেজে রূপান্তরিত করে। ট্রান্সফরমার ‘উচ্চ-ধাপী’ (স্টেপ আপ) অথবা ‘নিম্ন-ধাপী’(স্টেপ ডাউন) দুই ধরনের হয়ে থাকে এবং এটি ম্যাগনেটিক ইণ্ডাকশন (Magnetic induction) নীতি অনুসারে কাজ করে। ট্রান্সফরমারে কোন চলমান/ঘূর্ণায়মান অংশ থাকে না, এটি সম্পূর্ণ স্থির ডিভাইস। এটির গঠন খুবই সাধারন, দুই বা ততোধিক অন্তরীত তামার তার একটি অন্তরীত ইস্পাতের অথবা লোহার কোরের (laminated steel/Iron core) গায়ে প্যাঁচানো থাকে। ট্রান্সফরমারে দুটি উইন্ডিং থাকে, প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি উইন্ডিং । প্রাইমারি উইন্ডিয়ে ভোল্টেজ প্রদান করলে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয় এবং ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স আইরন কোরের মধ্য দিয়ে সেকেন্ডারি উইন্ডিয়ে যায় এবং সেখানে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। যার ফলশ্রুতিতে সেকেন্ডারি কয়েলে ভোল্টেজ পাওয়া যায়। ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ পরিবর্তনের হার প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কয়েলের প্যাঁচ সংখ্যার হারের উপর নির্ভর করে। 

২. ট্যাপ (Tap) কি এবং কখন ব্যাবহার করা হয়? 


উচ্চ বা নিম্ন ভোল্টেজ অবস্থার সংশোধন করতে এবং সেকেন্ডারি টার্মিনালে নির্ধারিত ভোল্টেজ আউটপুট দিতে, উচ্চ ভোল্টেজের কিছু ট্রান্সফরমারে ট্যাপ(Tap) প্রদান করা হয়। উচ্চ অথবা নিম্ন ভোল্টেজ, উভয় অবস্থায় সাধারণত দুই এবং একের অর্ধেক এবং নির্ধারিত প্রাইমারি ভোল্টেজ থেকে পাঁচ শতাংশ উপরে অথবা নিচে বিবেচনা করে ট্যাপ সেট করা হয়। উদাহরণস্বরূপঃ যদি কোন ট্রান্সফরমারের প্রাইমারিতে নির্ধারিত ভোল্টেজ ৪৮০ভোল্ট হয় এবং এটি লাইন ভোল্টেজ ৫০৪ ভোল্টে চলে তাহলে প্রাইমারিতে ট্যাপ স্বাভাবিকের থেকে ৫% উপরে দিতে হবে যাতে করে সেকেন্ডারিতে সঠিক ভোল্টেজ রেটিং বজায় রাখা যায়।

৩. Insulating, Isolating এবং Shielded Winding ট্রান্সফরমারের মধ্যে পার্থক্য কি?


ইনস্যুলেটিং (Insulating) এবং আইসোলেটিং (Isolating) ট্রান্সফরমার একই। মূলত ট্রান্সফরমারের প্রাইমারী এবং সেকেন্ডারি উইন্ডিয়ের বিচ্ছিন্নতার (Isolation) অথবা দুটির অন্তরকের (Insulating) বর্ণনার উদ্দেশ্যে এই শব্দ দুটি ব্যবহার করা হয়। Shielded Winding ট্রান্সফরমার ডিজাইন করা হয় প্রাইমারী এবং সেকেন্ডারি উইন্ডিং-এর মাঝে metallic shield (ধাতব ঢাল) দেয়া থাকে, যাতে করে এর নয়েজ হ্রাস পায়। সব দুই, তিন এবং চার উইন্ডিং বিশিষ্ট ট্রান্সফরমার ইনস্যুলেটিং বা আইসোলেটিং ধরনের হয়ে থাকে। শুধু অটো-ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি উইন্ডিং একে অপরের সাথে ইলেক্ট্রিক্যালি যুক্ত থাকে, এতে কোন ইনস্যুলেটর বা আইসোলেটর থাকে না। 

৪. একটি ট্রান্সফরমারের নেমপ্লেটে প্রদত্ত ভোল্টেজ ব্যতীত অন্য কোন ভোল্টেজে কি ট্রান্সফরমার চালানো যেতে পারে?


কিছু কিছু ক্ষেত্রে ট্রান্সফরমার নেমপ্লেটে প্রদত্ত ভোল্টেজ অপেক্ষা কম ভোল্টেজে চালান যেতে পারে। যদি ট্যাপ প্রদান করা না হয়ে থাকে তাহলে ট্রান্সফরমার নেমপ্লেটে প্রদত্ত ভোল্টেজ অপেক্ষা বেশি ভোল্টেজে চালান উচিত নয়। যদি নির্ধারিত ভোল্টেজ অপেক্ষা কম ভোল্টেজে ট্রান্সফরমার চালান হয়, তাহলে এর KVA রেটিংও ক্রমান্বয়ে কমে যাবে। উদাহরণস্বরূপঃ যদি কোন ট্রান্সফরমারের প্রাইমারি ভোল্টেজ ৪৮০ ভোল্ট ও সেকেন্ডারি ভোল্টেজ ২৪০ ভোল্ট হয়ে থাকে এবং এটি যদি ২৪০ ভোল্টে অপারেট করা হয় তাহলে সেকেন্ডারি ভোল্টেজ হ্রাস পেয়ে হবে ১২০ ভোল্ট। যদি ট্রান্সফরমারটির রেটিং ১০KVA হয়ে থাকে তাহলে সেটি হয়ে যাবে ৫ KVA অথবা প্রদত্ত ভোল্টেজের সমানুপাতিক হবে। 

৫. ট্রান্সফরমারের কর্মদক্ষতা বেশি হয়ে থাকে কেন? 


ট্রান্সফরমার একটি স্ট্যাটিক ডিভাইস অর্থাৎ স্থির যন্ত্র। এতে কোন ঘূর্ণায়মান অংশ নেই, ফলে ঘর্ষণজনিত কোন ক্ষয় এতে নেই। অন্যান্য ঘূর্ণায়মান যন্ত্রের তুলনায় ট্রান্সফরমারে লস অনেক কম। তাই ট্রান্সফরমারের কর্মদক্ষতা সবচাইতে বেশি। ট্রান্সফরমারের কর্মদক্ষতা ৯৫%-৯৮% পর্যন্ত হয়ে থাকে।

৬. ট্রান্সফরমার কি সমান্তরালে(parallel) সংযোগ দেয়া যেতে পারে? 


সিঙ্গেল ফেজ ট্রান্সফরমার সমান্তরালে ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে তাদের ইম্পিড্যান্স এবং ভোল্টেজ সমান হতে হবে। যদি দুটি ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ সমান না হয়, তাহলে দুটি ট্রান্সফরমারের ক্লোজ নেটওয়ার্কে থাকা সার্কুলেটিং কারেন্টের কারনে মাত্রাতিরিক্ত তাপ উৎপন্ন হবে এবং ট্রান্সফরমারের জীবদ্দশা হ্রাস পাবে। এছাড়াও প্রত্যেক ট্রান্সফরমারের ইম্পিড্যান্স অবশ্যই ৭.৫% এর মধ্যে থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপঃ যদি ট্রান্সফরমার ‘A’-এর ইম্পিড্যান্স ৪% হয়ে থাকে এবং ট্রান্সফরমার ‘B’-কে সমান্তরালে সংযোগ দিতে B-এর ইম্পিড্যান্স ৩.৫% অথবা ৪% এর মধ্যে থাকতে হবে। থ্রি ফেজ ট্রান্সফরমার সমান্তরাল সংযোগের ক্ষেত্রে একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। সেই সাথে দুটি ট্রান্সফরমারের ফেজ এবং ফেজ এঙ্গেলও সমান থাকতে হবে।
আরিফুর রহমানের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে

জীবনে কিছু করতে চাইলে নাইটকোচের বাসের ড্রাইভারদের মত হওয়া প্রয়োজন


বাংলাদেশ বার্তাঃ  হানিফ কোম্পানীর একটি বাস রংপুর শহরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করল। বাসটির ৪২ টি সিট যাত্রীতে পূর্ণ। বাসের হেলপার,কন্টাকটার এবং ড্রাইভার সাহেব বেশ খুশি মনে ‘বিসমিল্লাহ...’ পড়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করলেন। 

ড্রাইভারের পিছনের সিটে দু’জন মাঝবয়সী লোক বসেছেন। তাদের একজন আজকের ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকা পড়তে শুরু করলেন। পত্রিকার পাতাগুলো উদ্দেশ্যহীনভাবে উল্টানোর এক পর্যায়ে তার চোখ দু’টো বিনোদন পাতায় আটকে গেল। হালের উঠতি এক নায়িকা স্বল্প বসন পরিহিত ছবিতে তার নয়ন দু’টি থমকে গেছে। তার নয়নের এরূপ কড়া দৃষ্টি দেখে তার পাশের জনও পত্রিকার পাতার দিকে তাকালেন। তিনিও মোহগ্রস্থ হলেন। তিনি একবার সামনের দিকে তাকান আর একবার আড়চোঁখে পত্রিকায় দৃশ্যমান স্বল্প বসনের সেই নায়িকার দিকে তাকান। 

এভাবেই এক সময় বাসটি গাজীপুর অতিক্রম করল। মাঝের দিকে বসেছেন দুই তরুন-তরুনী। তারা সম্ভবত নববিবাহিত দম্পতি। যাত্রী ভর্তি এই বাসেও তাদের ভালোবাসাময় দুষ্টামী থেমে থাকে না। এরই ফাঁকে মেয়েটি লজ্জা,শঙ্কা আর খানিকটা ভয়ার্ত দৃষ্টি নিয়ে চারদিকে তাকায়,এই বুঝি কেউ দেখে ফেললো...

বাসটি যমুনা সেতুতে এসে পড়ল। যমুনা সেতুতে বাসটি আসা মাত্রই বাসের যাত্রীদের মধ্যে হঠাৎ চাঞ্জল্য লক্ষ্য করা গেল। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন যুবক জানালায় তার দুই হাত এলিয়ে তার উপর থুঁতনি রেখে, এক দৃষ্টিতে যমুনার কালো জলের যৌবনের জোঁয়ার দেখতে লাগল। দূর নদীতে দেখা যায়, হারিকিনের টিমটিম আলো। হয়তো নৌকার মাঝি, মাছভর্তি নৌকা নিয়ে খুশির চোটে প্রিয়ার আলিঙ্গন পাবার দূর্নিবার ইচ্ছা নিয়ে পাড়ের দিকে ছুটছে। ঠিক তখনই যুবকটির মনে আপনা থেকেই বেজে উঠল আব্বাস উদ্দিনের সেই গান, ‘মাঝি বাইয়া যাও রে...’

এভাবে আরো খানিকটা পথ চলে বগুড়া পার হবার পর পিছনের দিক থেকে এক বাচ্চার কান্নার শব্দ ভেসে এলো। কান্নার শব্দে বাচ্চাটির মায়েরও ঘুম ভেঙ্গে যায়। পিঠে মৃদু থাপ্পড় দিতে দিতে মা বলে, 
‘ওরে আমার বাবাটা! স্বপ্ন দেখছো, ভয় পাইছো। এইতো আম্মু তোমার পাশে আছি। ঐ যে দেখ চাঁদ। জানালা দিয়ে চাঁদ দেখ।’
আড়াই বছরের বাচ্চাটি আচমকা কান্না থামিয়ে অবাক হয়ে আকাশের চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকে। তার কান্না থেমে যাওয়ায় আশ্বস্ত হন মা। কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই বাচ্চাটি বলে, ‘দেখছো আম্মু, চাঁদটাও আমাদের সঙ্গে যাচ্ছে। চাঁদটা আমাদের সঙ্গে যাচ্ছে কেন?’

এই ‘কেন’ এর কোনো উত্তর হয় না। একটি বাসে এতোকিছু হচ্ছে কিন্তু তার কোনো কিছুই বাসের ড্রাইভারটিকে স্পর্শ করে না। সে যেমন স্বল্প বসনার সেই মডেলকে দেখতে যেমন নিজ আসন ত্যাগ করে না। ঠিক তেমনি যমুনার কালো জলও তাকে আকৃষ্ট করতে পারে না। আর ঠিক সেকারণেই গভীর রাত পেরিয়ে সবার যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন সবাই নিজেকে বাসসমেত রংপুর বাসষ্ট্যান্ডে আবিষ্কার করতে পারে। 

আর সবার মত ড্রাইভার সাহেবও যদি সেই নববিবাহিত দম্পতির দুষ্টামো দেখার জন্য মুখিয়ে উঠতেন, তবে সেই বাসটি আর কখনোই রংপুরে পৌঁছাতো না। হয়তো তা যমুনার অতল খাঁদে হারিয়ে যেত... 

জীবন একটি চলন্ত বাসের মত। জীবনে চলতে গিয়ে অনেক মানুষের সাথেই পরিচয় হয়। নানা জন, নানান কথা বলে। কেউবা পিঠ চাপড়ে উৎসাহ দেয়। আর কেউবা ঠোঁটের কোনায় বাঁকা হাসি দিয়ে উপহাস করে। পিঠ চাপড়ানোর মুহুর্তটা যতোটানা অনুপ্রেরণা দেয় , বাঁকা হাসিটা তার চেয়ে সহস্রাধিক গুন বেশি জ্বালা দেয়। সেই জ্বালা স্মরণ রাখলে মুশকিল। আর কখনো জীবনের গন্তব্যে স্থলে পৌঁছানো হবে না। জীবন নামক বাসটি কোন এক খাঁদের কিনারাতেই থমকে থাকবে।

জীবনে কিছু করতে চাইলে নাইটকোচের বাসের ড্রাইভারদের মত হওয়া প্রয়োজন। বাসের ভিতরে যাই ঘটুক ড্রাইভারের যেমন তাতে কোন-ই যায় আসে না। তেমনি আমাদের আশে-পাশের মানুষ যাই বলুক না কেন, সেগুলো গায়ে মাখানো যাবে না। তবেই একদিন দেখবেন, আপনার ‘বাস’ নামক জীবনখানি সঠিক লক্ষ্যে পৌঁছে গেছে।

কার্টেসীঃ
লেখক, ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক স্যার।

ইরানে মদের পার্টিতে ধর্মীয় পুলিশের হানা: ১৪০ জন গ্রেপ্তার



বাংলাদেশ বার্তাঃ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭, রবিবার, ১:০৪ ইরানের ধর্মীয় পুলিশ তেহরানের দুটি পার্টি থেকে মদ পান এবং নাচ-গান করার সময় ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।
উইন্টার সলস্টিস, অর্থাৎ শীতকালের সবচেয়ে ছোট দিনটিতে এই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল। ইরানে এই উৎসব 'ইয়াল্ডা' নামে পরিচিত।
তেহরানের 'নৈতিক পুলিশ বাহিনীর' প্রধান কর্ণেল জুলফিকার বার্ফার জানিয়েছেন, এই পার্টিতে যাওয়া লোকজন মদ খেয়ে ফুর্তি করছিল।
ইরানে মদপানের জন্য শাস্তি হিসেবে আশি ঘা পর্যন্ত দোররা মারার বিধান আছে।
তবে সাম্প্রতিক সময়ে দোররা মারার পরিবর্তে জরিমানাই বেশি করা হয়।
ইরানে নৈতিক পুলিশের ফার্সি নাম হচ্ছে এরশাদ, অর্থাৎ পথনির্দেশ। মহিলারা পর্দা মেনে চলছে কিনা সেটা দেখাও এই পুলিশের কাজ।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে আছে দুজন সংগীতশিল্পীও। সেখান থেকে কিছু মদের বোতল এবং মাদকও আটক করা হয়েছে।
কর্ণেল বার্ফার জানিয়েছেন, এই পার্টির অনেক ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছিল।

সূত্রঃ বিবিসি