ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১৭

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম: সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সম্পন্ন হলো আন্তর্জাাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান।
আন্তর্জাাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশন আয়োজন করে সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০১৭। ২৩- জানুয়ারী থেকে শুরু হয়ে ৩০ জানুয়ারী ২০১৭ইং তারিখ সোমবার পর্যন্ত চলে এই  সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।    সমাপণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার সফল সমাপ্তি ঘটে।
৩০ জানুয়ারী ২০১৭ইং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের ডা্ইরেক্টর জনাব আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সপ্তাহব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপণী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আন্তর্জাাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম এর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে  বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়াহ ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল হক নদভী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্নেল (অবঃ) মোঃ কাসেম পিএসসি। অন্যানের মধ্যে ডিপার্টমেন্টের হেডবৃন্দ, বিভাগীয় পরিচালকবৃন্দসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৩ জানুয়ারী‘১৭ তারিখে শুরু হওয়া সপ্তাহব্যাপী এই ড়্রীড়া প্রতিযোগতায় মোট ১১টি ইভেন্ট ছিল। এর মধ্যে ছাত্রদের জন্য ৭টি ইভেন্ট, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য ২টি ইভেন্ট, কর্মচারীদের জন্য ২টি ইভেন্ট এবং সকলের অংশগ্রহণে ফানি ইভেন্ট রশিটানাটানি।
সমাপনী দিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠকে অত্যন্ত আকর্ষণীয় করে সাজানো হয়। সকাল ৯টার পর হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদচারণায় সরগরম হয়ে উঠে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। প্রধান অতিথি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম, বিশেষ অতিথিবৃন্দ  বিশ্ববিদ্যালয়ের শরীয়াহ ও ইসলামী শিক্ষা অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল হক নদভী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কর্নেল (অবঃ) মোঃ কাসেম পিএসসি, ডিপার্টমেন্টের হেডবৃন্দ, বিভাগীয় পরিচালকবৃন্দসহ শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত হয়ে আসন গ্রহণ করেন।
অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে  আন্তর্জাাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম কুমিরাস্থ কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ছাত্রদের ইভেন্ট দিয়ে শুরু হয় সমাপনী দিনের ক্রীড়া কার্যক্রম। এরপর একের পর এক চলতে থাকে নানা ইভেন্ট। কোন ঝামেলা ছাড়াই সবগলো ইভেন্ট সুসম্পন্ন হয়। সব শেষে অনুষ্ঠিত হয় ফানি ইভেন্ট রশি টানাটানি। এই রশি টানাটানি ইভেন্টে একদিকে নেতৃত্বদান করেন ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম এবং অপর দিকে নেতৃত্বে ছিলেন রেজিস্ট্রার কর্নেল (অবঃ) মোঃ কাসেম পিএসসি।
সবশেষে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান: স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের ডা্ইরেক্টর জনাব আবু জাফর মুহাম্মদ ওবায়দুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ. কে. এম. আজহারুল ইসলাম ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলেদেন।
সমগ্র অনুষ্ঠান উপস্থপনা ও ক্রীড়া ধারাভাষ্য বর্ণনায় ছিলেন স্টুডেন্ট এ্যাফেয়ার্স ডিভিশনের এডিশনাল  ডা্ইরেক্টর জনাব মামুনুর রশিদ।

সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১৭

হযরত মুয়াজ (রাঃ) কে দেওয়া রাসুল (সাঃ) এর ১০টি উপদেশ


❖ যদি কখনো তোমাকে হত্যা কিংবা পুড়িয়ে ফেলাও হয়, তবুও তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না।

❖ তোমার পিতামাতা ,পরিবার- পরিজন ধনসম্পদ হতে তাড়িয়ে দিলেও তাদের অবাধ্য হবে না।
❖ ইচ্ছাকৃতভাবে কখনোই ফরয নামাজ ত্যাগ করবেনা । স্বেচ্ছায় ত্যাগ করলে তার ব্যাপারে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কোন দায়িত্ত্ব থাকবে না।
❖ কিছুতেই শরাব (হারাম পানীয়) পান করবে না। যা সমস্ত অশ্লীল কাজের মূল।
❖ সব রকমের পাপকার্য হতে নিজেকে দূরে রাখবে। তা না হলে আল্লাহর গজব অবতীর্ণ হবে।
❖ চরম কঠিন মুহূর্তেও জিহাদের ময়দান পরিত্যাগ করবে না।
❖ যেখানে তোমার অবস্থান, সেখানে মহামারী দেখা দিলেও সেখানেই অবস্থান করবে।
❖ সাধ্যমত পরিবার পরিজনের প্রয়োজনে অর্থ ব্যয় করবে।
❖ সন্তানদের আদব শেখাতে তাদের উপর শাসনের লাঠি সরাবেনা । এবং
❖ পরিবার-পরিজনকে সর্বদা আল্লাহর ভীতি প্রদর্শন করবে।

(মুসনাদে আহমদ)

রবিবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৭

তিনটি গুণের অধিকারী ৭০ হাজার ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবেন

কিয়ামতের মাঠে মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিটি মানুষের ইহকালের হিসাব নিকাশ করে মুমিন বান্দাদের জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং পাপি বান্দাদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।
তবে আল্লাহ পাক কিছু ব্যক্তিদের কোন হিসাব নিকাশ ছাড়াই জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। এ প্রসঙ্গে একটি হাদিসে বিস্তারীত উল্লেখ রয়েছে।
হযরত ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত প্রিয় নবী হজরত মুহম্মদ (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে সত্তর হাজার লোক হিসাব-নিকাশ ব্যতিরেকেই বেহেশতে প্রবেশ করবে।
তারা হলো, মন্ত্রতন্ত্র দ্বারা ঝাড়-ফুঁক করায় না, অশুভ লক্ষণাদিতে বিশ্বাস করে না এবং তারা শুধু তাদের প্রতিপালকের ওপর নির্ভর করে। (বোখারি ও মুসলিম)।
এই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়, যারা সুখে-দুঃখে সর্বাবস্থায় একমাত্র আল্লাহর ওপর আস্থা রাখে, অবিচল বিশ্বাস স্থাপন করে তারাই আল্লাহর প্রিয় বান্দা।
এর দ্বারা আরও প্রমাণিত হয়, আমাদের সমাজে প্রচলিত জাদুবিদ্যা, মন্ত্রতন্ত্র, ঝাড়ফুঁক, কবিরাজি ইসলাম সমর্থন করে না। কারণ এতে নাজায়েজ অনেক কাজও হয়। আল্লাহর ওপর কোনো আস্থা থাকে না।
থাকে কবিরাজের কারিশমা ও জাদুমন্ত্রের ওপর। তবে চিকিৎসা করা সুন্নত। কারণ, নবী করিম (সা.) নিজেও অসুস্থ হয়ে চিকিৎসা করেছিলেন।
জান্নাত সম্পর্কে বিশ্ব নবীর চল্লিশ কথা-

১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- এর উম্মতের মধ্য মধ্য থেকে ৭০ হাজার ব্যক্তি বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে।- [আহমদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- আবু ওমামা (রা.)]
২) যারা রাতে আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পার্শ্বদেশকে দূরে রেখেছিল, এমন অল্প সংখ্যক লোক বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। অবশিষ্ট সকল মানুষ হতে হিসেব নেয়ার নির্দেশ করা হবে। [বায়হাকি- আসমা (রা.)]
৩) জান্নাতে জান্নাতবাসীরা প্রতি জুমাবারে বাজারে মিলিত হবে এবং জান্নাতে জান্নাতবাসীদের রূপ-সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে। [মুসলিম- আনাস রা.)]
৪) জান্নাতের স্তর হবে ১০০টি এবং জান্নাতের সর্বোচ্চ স্তর জান্নাতুল ফেরদাউস। যখন তোমরা আল্লাহর কাছে জান্নাত চাইবে তখন জান্নাতুল ফেরদাউস চাইবে। [তিরমিজী ওবাই ইবনে সামেত (রা.)]
৫) জান্নাত সমস্ত পৃথিবী থেকে উত্তম। (মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.)
৬) জান্নাতবাসীনী কোন নারী (হুর) যদি পৃথিবীর দিকে উঁকি দেয়, তবে গোটা জগত আলোকিত হয়ে যাবে এবং আসমান জমীনের
মধ্যবর্তী স্থান সুগন্ধিতে মোহিত হয়ে যাবে। তাদের মাথার উরনাও গোটা দুনিয়া ও তার সম্পদরাশি থেকে উত্তম। [বুখারী- আনাস (রা.)]
৭) জান্নাতে একটি চাবুক রাখার পরিমাণ জায়গা গোটা দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে তা থেকে উত্তম। [মুয়াত্তা- আবু হুরাইরা (রা.)]
৮) জান্নাতের একটি গাছের নিচের ছায়ায় কোন সাওয়ারী যদি ১০০ বছরও সাওয়ার করে তবুও তার শেষ প্রান্ত পর্যন্ত পৌঁছতে পারবে না। [বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]
৯) জান্নাতে মুক্তা দিয়ে তৈরী ৬০ মাইল লম্বা একটি তাঁবু থাকবে। জান্নাতের পাত্র ও সামগ্রী হবে সোনা ও রুপার। [বুখারী, মুসলিম আবু মুসা (রা.)]
১০) পূর্ণিমা চাঁদের মতো রূপ ধারণ করে তারা জান্নাতে প্রবেশ করবে। (ক) তাদের অন্তরে কোন্দল ও হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না।
(খ) তারা কখনো রোগাক্রান্ত হবে না।
(গ) তাদের পেশাব পায়খানা হবে না।
(ঘ) তারা থুথু ফেলবে না।
(ঙ) তাদের নাক দিয়ে ময়লা ঝরবে না।
(চ) তাদের চিরুনী হবে সোনার চিরুনী।
(ছ) তাদের ধুনীর জ্বালানী হবে আগরের।
(জ) তাদের গায়ের গন্ধ হবে কস্তুরির মতো সুগন্ধি।
(ঝ) তাদের স্বভাব হবে এক ব্যক্তির ন্যায়।
(ঞ) তাদের শাররীক গঠন হবে (আদী পিতা) আদম (আ:) এর ন্যয়। [বুখারী, মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]
১১) জান্নাতীদের খাবারগুলো ঢেকুর এবং মিশকঘ্রাণযুক্ত ঘর্ম দ্বারা নি:শেষ হয়ে যাবে। [বুখারী, মুসলিমযাবির (রা.)]
১২) জান্নাতীরা সুখে শান্তিতে স্বাচ্ছন্দ্যে ডুবে থাকবে। হতাসা দুশ্চিন্তা ও দুর্ভাবনা থাকবে না। পোশাক পরিচ্ছেদ ময়লা হবে না, পুরাতন হবে না। তাদের যৌবনও নিঃশেষ হবে না। [মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]
১৩) জান্নাতবাসীরা সব সময় জীবিত থাকবে। কখনো মৃত্যুবরণ করবে না। সব সময় যুবক থাকবে বৃদ্ধ হবে না। [মুসলিম আবু সাঈদ (রা.)]
১৪) জান্নাতে (এমন) এক দল প্রবেশ করবে, যাদের অন্তর হবে পাখিদের অন্তরের মতো। [মুসলিম আবু হুরায়রা (রা.)]
১৫) জান্নাতবাসীদের প্রতি আল্লাহ বলবেন, আমি তোমাদের উপর সন্তুষ্টি দান করেছি, তোমাদের উপর আর কখনো অসন্তুষ্ট হবো না। [বুখারী, মুসলিমআবু সাঈদ (রা.)]
১৬) জান্নাতের নহরে পরিণত হবে- সায়হান, জায়হান, ফোরাত ও নীল নদী। [মুসলিম – আবু হুরায়রা (রা.)]
১৭) জান্নাতে বান্দার আশা আকাঙ্খার দ্বিগুণ দেয়া হবে। [মুসলিম – আবু হুরায়রা (রা.)]
১৮) জান্নাতের দরওয়াজা ৪০ বছরের দুরত্বে সমান, এমন এক দিন আসবে যে তাও ভরপুর হয়ে যাবে। [মুসলিম-উতবা ইবনে খাজওয়ান (রা.)]
১৯) জান্নাতের ইট স্বর্ণ ও রোপ্য দ্বারা তৈরী। কঙ্কর হলো মনি মুক্তা, আর মসল্লা হলো সুগন্ধীময় কস্তুরী। [তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]
২০) জান্নাতের সকল গাছের কা- হবে সোনার। [তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]
২১) জান্নাতের ১০০ টি স্তর আছে, দু’স্তরের মধ্যে ব্যবধান শত বছরের। [(তিরমিজী – আবু হুরায়রা (রা.)]
২২) জান্নাতের ১০০ স্তরের যে কো এক স্তরে সারা বিশ্বের সকল লোক একত্রিত হলেও তা যথেষ্ট হবে। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)]
২৩) জান্নাতের উচ্চ বিছানা (সুরুরুম মারফুআ) আসমান জমীনর মধ্যবর্তী ব্যবধানের পরিমাণ- ৫০০ শত বছরের পথ। [তিরমিজী আবু সাঈদ (রা.)]
২৪) জান্নাত প্রত্যেক ব্যক্তিকে ১০০ পুরুষের শক্তি দান করা হবে। [(তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)]
২৫) জান্নাতবাসীগণ কেশবিহীন দাড়িবিহীন হবে। তাদের চোক সুরমায়িত হবে। [তিরমিজ – আবু হুরায়রা (রা.)]
২৬) জান্নাতবাসীগণ ৩০ বা ৩৩ বছর বয়সীর মতো জান্নাতে প্রবেশ করবে। [তিরমিজী, ময়াজ ইবনে জাবাল (রা.)]
২৭) জান্নাতে অবস্থিত কাওসার এর পানি দুধ অপেক্ষা অধিক সাদা এবং মধুর চেয়েও মিষ্টি হবে। [তিরমিজীআসান (রা.)]
২৮) জান্নাতবাসী উট ও ঘোড়া চাইলে দুটোই পাবে এবং তা ইচ্ছেমতো দ্রুত উড়িয়ে নিয়ে যাবে। তাতে তুমি সে সব জিনিস পাবে যা কিছু তোমার মন চাইবে এবং তোমার নয়ন জুড়াবে। [তিরমিজী-আবু বুরাইদা (রা.)]
২৯) জান্নাতবাসীদের ১২০ কাতার হবে। তার মধ্যে ৮০ কাতার হবে এ উম্মতের। অবশিষ্ট ৪০ কাতার হবে অন্যান্য উম্মতের। [তিরমিজী- বুরাইদা (রা.)]
৩০) জান্নাতে একটি বাজার আছে সেখানে ক্রয়-বিক্রয় নেই। সেখানে নারী-পুরুষের আকৃতিসমূহ থাকবে। সুতরাং যখনই কেউ কোন আকৃতিকে পছন্দ করবে তখন সে সেই আকৃেিত রূপান্তরিত হবে। [(তিরমিজী- আলী (রা.)]
৩১) জান্নাতবাসীদের উপর এক খণ্ড মেঘ আচ্ছন্ন করে ফেলবে। তাদের উপর এমন সুগন্ধি বর্ষণ করবে যে, অনুরূপ সুগন্ধি তারা আর কখনো পায়নি।
জান্নাতের বাজারে একজন আরেকজনের সাথে সাক্ষাত করবে এবং তার পোশাক পরিচ্ছদ দেখে আশ্চার্যান্নিত হবে।
কিন্তু তার কথা শেষ হতে না হতেই সে অনুভব করবে যে, তার পোশাক তার চেয়ে আরো উত্তম হয়ে গেছে। এটা এ জন্য যে, জান্নাতে দুশ্চিন্তার কোন স্থান নেই।
তাদের স্ত্রীদের কাছে ফিরে আসলে তারা বলবে তুমি আগের চেয়ে সুন্দর হয়ে ফিরে এসেছ। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ- সাইধ ইবনে মুসায়েব (রা.)]
৩২) নিম্নমানের জান্নাতবাসীর জন্যে ৮০ হাজার খাদেম ও ৭২ জন স্ত্রী হবে। ছোট্ট বয়সী বা বৃদ্ধ বয়সী লোক মারা গেলে জান্নাতে
প্রবেশের সময় ৩০ বছর বয়সী হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে। এ বয়স কখনো বৃদ্ধি হবে না। জান্নাতবাসীগণ যখন সন্তান কামনা করবে,
তখন গর্ভ, প্রসব ও তার বয়স চাহিদা অনুযায়ী মুহূর্তের মধ্যে সংঘটিত হয়ে যাবে। [তিরমিজী, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ- আবু সাঈদ (রা.)]
৩৩) জান্নাতে হুরদের সমবেত সংগীত শুনা যাবে। এমন সুরে যা আগে কখনো শুনা যায় নি। তারা বলবে-
আমরা চিরদিন থাকবো, কখনো ধ্বংস হবো না।
আমরা সুখে আনন্দে থাকবো, কখনো দুঃখ দুশ্চিন্তা হবে না।
আমরা সব সময় সন্তুষ্ট থাকবো, কখনো নাখোশ হবো না।
সুতরাং তাকে ধন্যবাদ যার জন্যে আমরা এবং আমাদের জন্য যিনি। [তিরমিজী- আলী (রা.]
৩৪) জান্নাতে রয়েছে, ১. পানির সমূদ্র ২. মধুর সমুদ্র ৩. দুধের সমুদ্র ৪. শরাবের সমুদ্র। তার পর তা থেকে আরো বহু নদী প্রবাহিত
হবে।- [তিরমিজী- হাকিম ইবনে মুয়াবিয়া (রা.)]
৩৫) জান্নাতে একজন কৃষি কাজ করতে চাইবে। তার পর সে বীজ বপণ করবে এবং চোখের পলকে অংকুরিত হবে, পোক্ত হবে এবং ফসল কাটা হবে।
এমন কি পাহাড় পরিমাণ স্তুপ হয়ে যাবে। আল্লাহ বলবেন, হে আদম সন্তান! নিয়ে যাও, কোন কিছুতেই তোমার তৃপ্তি হয়না। [বুখারী – আবু হুরায়রা (রা.)]
৩৬) জান্নাতে এক ব্যক্তি ৭০টি তাকিয়ায় হেলান দিয়ে বসবে। এ শুধু তারই স্থান নির্ধারিত থাকবে। একজন মহিলা এসে সালাম দিয়ে
বলবে, “আমি অতিরিক্তের অন্তর্ভুক্ত” তার পরনে রং বেরং এর ৭০ খানা শাড়ী পরিহিত থাকবে এবং তার ভিতর দিয়েই তার পায়ের নলার মজা দেখা যাবে। তার মাথার মুকুটের আলো পূর্ব থেকে পশ্চিম প্রান্তের মধ্যবর্তী স্থান রৌশনী করে দিবে। [আহমদ- আবু সাঈদ (রা.)]
৩৭) জান্নাতবাসীগণ নিদ্রা যাবে না। নিদ্রাতো মৃত্যুর সহোদর আর জান্নাতবাসী মরবে না। [বায়হাকী- যাবের (রা.)]
৩৮) আল্লাহ তায়ালা হিজাব বা পর্দা তোলে ফেলবেন, তখন জান্নাতবাসীরা আল্লাহর দিদার বা দর্শন লাভ করবে। আল্লাহর দর্শন লাভ ও
তার দিকে তাকিয়ে থাকার চেয়ে অধিকতর প্রিয় কোন বস্তুই এযাবত তাদেরকে প্রদান করা হয়নি। [মুসলিম- সুহায়ব (রা.)]
৩৯) বারা বিন আযেব (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন: কবরে মুমিন বান্দার কাছে দু‘জন ফেরেশতা আসে তাকে উঠিয়ে বসাবেন। তার পর তাকে জিজ্ঞেস করবেন: তোমার রব কে?
সে উত্তর দেয় আমার রব ‘আল্লাহ’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমার দ্বীন কি? সে উত্তর দেয়, আমার দ্বীন ‘ইসলাম’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তোমাদের মাঝে যিনি প্রেরিত হয়েছিলেন তিনি কে?
সে উত্তর দেয়, তারা উত্তর দেয়, তিনি হলেন ‘আল্লাহর রাসূল’। তারা জিজ্ঞেস করবেন, তুমি এসব কিভাবে জানলে? সে উত্তর দেয়,
আমি আল্লাহর কিতাব পড়েছি, তাঁর উপর ঈমান এনেছি ও তাঁকে সমর্থন করেছি। তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষণাকারী ঘোষণা
করবেন- আমার বান্দা সত্য বলেছে, আমার বান্দার জন্য জান্নাতের একটি বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জান্নাাতের পোশাক পরিয়ে দাও এবং তার জন্য জান্নাতের একটি দরজা খুলে দাও।
তখন তা খুলে দেওয়া হয়। রাসূল (সা.) বলেন: ফলে তার দিকে জান্নাতের স্নিগ্ধ বাতাস এবং সুগন্ধি আসতে থাকে। তার জন্য কবরের
স্থানকে দৃষ্টিসীমা পর্যন্ত বিস্তৃত করা হয়। (আহমদ আবু দাউদ)
৪০) যে ব্যক্তি কুরআন পড়েছে, তাকে (সমাজে কুরআনের বিধান) প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে, কুরআনে বর্ণিত হালালসমূহকে হালাল
জেনে মেনেছে, হারামগুলোকে হারাম মনে করেছে। আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের জাহান্নামযোগ্য ১০
জনে বিষয়ে সুপারিশ করতে পারবেন। (তিরমিযী হযরত আলী হতে)
Advice BD.com

শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০১৭

কাফরুল থানার রুকন হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে মহানগরী উত্তর আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন এর শোক প্রকাশ করেন

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের কাফরুল থানার রুকন হাবিবুর রহমান তালুকদার আজ সকাল ৮ টায় রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে ইন্তিকাল করেছেন-ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি দীর্ঘদিন বার্ধক্যজনিত অসুস্থ্যতা সহ নানাবিধ শারিরীক জটিলতায় ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে সহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তিনি ১টি ইউনিটের সভপতি ও থানা বায়তুল মাল সেক্রেটারি হিসাবে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছিলেন। মরহুম হাবিবুর রহমান জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান শহীদ মীর কাসেম আলীর ‘ভায়রা ভাই’। 

আজ বাদ আছর মরহুমের নামাজে জানাজা শেওড়া পাড়া মসজিদে অনুষ্ঠিত হয় এবং পরে তাকে ইব্রাহিমপুর বাজার মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হয়। নামাজে জানাজায় জামায়াত-শিবির নেতাকর্মী বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। 

শোকবাণী
হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দীন। 

এক শোকবাণীতে মহানগরী উত্তর আমীর হাবিবুর রহমানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি তার রূহের মাগফিরাত ও নেক আমলগুলোকে কবুল করে নিয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করার জন্য মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে দোয়া করেন, শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং তাদের ধৈর্য্য ধারণের তাওফিক কামনা করেন।

শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০১৭

'‌মিছা কথা কমু না, রং দিছি '

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ   দূরপাল্লার বাস ছুটছে রাজধানীর সায়দাবাদ থেকে কুমিল্লার দিকে। গত মাসের শেষ দিককার ঘটনা। কাঁচপুর ব্রিজের কাছে ২৫/৩০ প্যাকেট খিরা নিয়ে বাসে উঠলো হকার। তৃৃষ্ণার্ত মুখে আকর্ষণ তৈরির মতো কচি, সবুজ' কয়েক প্যাকেট খিরা হাতে তার। কয়েকজন যাত্রী কয়েক প্যাকেট শসা নিয়ে নিলেন। হকারের কাছ এক প্যাকেট চাইতেই সহযাত্রী উন্নয়নকর্মী সৈয়দ সাইফুল আলম শোভন পাশের সিট থেকে বলে উঠলেন, আরে এসব খিরা খাইয়েন না, এগুলোতে রং দেওয়া।' শোভনের কথা শেষ হতে না হতেই হকারও কোনো রাখঢাক না করে বলল, জ্বী স্যার রং দিসি, মিছা কথা কমু না।'
হকার রশিদ। দীর্ঘদিন কাঁচপুর এলাকায় মেৌসুমি ফল বিক্রি করেন যানবাহনে। বাসের পেছন অংশ থেকে শসা বিক্রি করে রশিদ যখন সামনের অংশে আবার আসে তখন ছবি তুলতে চাইলেই স্যার এইট্যা কইরেন না, এইটা কইরেন না' বলতে বলতে তাড়াহুড়া করে বাস থেকে ছুটে নেমে চলে গেল।
খাদ্যে নানান রকম ভেজালের কথা এতদিন শোনা গেলেও এভাবে তৃণমূল ব্যবসাতে খিরা-শসা-আমড়ায় রং মেশানোর কারণ অনুসন্ধানে চলে আসে অনেক না জানা কাহিনী। টানা প্রায় ১৫ দিন থেকে থেকে রাজধানীর সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত বাসপথ, ঢাকা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত বাস পথ, মহাখালী, ফার্মগেইট, মগবাজারসহ বিভিন্ন জায়গায় অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে পুরো নগরী এবং এর আশপাশে বিষাক্ত ডাইংয়ের রং মিশিয়ে মানুষের হাতে শসা, খিরা, আমড়া তুলে দিচ্ছে হকাররা।

যাত্রাবাড়িতে কথা হয় হকার জামসেদের সাথে। জামসেদ অকপটে জানায় শসায় রং মাখানোর আদ্যোপান্ত কাহিনী।
জামসেদ জানায়, রাজধানীর যাত্রাবাড়ি, সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রং মাখানো খিরা, শসা, আমড়া বিক্রির বেশ কয়েকটি আড়ত গড়ে উঠেছে। সেসব আড়তে সারা দিনে কয়েক মন শসা, খিরা, আমড়া দিনে কাটা হয়। এরপর বড় কোনো পাত্রে তাদের ভাষায় Èমিষ্টি রং' মিশিয়ে রাখা হয়। হকাররা সেসব আড়ত থেকে প্রতি প্যাকেট ৫ টাকা দরে এসব শসা-খিরা-আমড়া কেনেন। তারপর যাত্রীদের কাছ থেকে বিক্রি করেন ৮ থেকে ১০ টাকা দরে প্রতিটি প্যাকেট।
জামসেদ কাছাকাছি একটি আড়তের দিকে নিয়ে গেল। বেশ অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে বলেন, Èভেতরে যাবেন না, ছবি তুলবেন না। এইখানে কারও মাস্তানি খাটে না। জানে মাইরা ফেলবো টের পাইলে।'
অনুসন্ধানের পথ ধরে পরিবর্তন অনুসন্ধানী দল পিছু নেয় হকার এরশাদের। টানা দুই দিন নানাভাবে কথা বলার পর রাজি হয় শসা-খিরা-আমড়াতে রং মিশিয়ে তাজা রাখার প্রণালী বিস্তারিত হাতেনাতে দেখাতে।
এরশাদের পিছু ধরে কাঁচপুর ব্রিজ থেকে উত্তরের জনবসতিপূর্ণ বাজার মহল্লা পেরিয়ে কিছু দূর গিয়ে এরশাদ একশত টাকা চায়। একটু অপেক্ষা করতে বলে ছুটে গিয়ে খানিক পরই হাতে কাগজে মোড়া ছোট একটি পুটলি নিয়ে আসে। জানায় রং কেনা হয়েছে। এরশাদ জানান, এই এলাকার অনেক দোকানেই এই রং পাওয়া যায়।
এরশাদ নিয়ে যায় তার ছোট মেস বাড়িতে। সেখানে কয়েকটি শসা নিয়ে বসে সে। ছোট এক বালতিতে আধা বালতি পানি নেয়। কাগজের পুটলি থেকে রং বের করে। কমলা রং এর গুঁড়া। এক চিমটি রং নিয়ে বালতির পানিতে ছাড়ার সাথে সাথে পানির রং গাঢ় সবুজ আকার ধারণ করে। তাতে কাটা কয়েকটি শসা দিয়ে আবার সাথে সাথে তুলে নেয়। এরশাদ জানায়, কাজ হয়ে গেছে। এভাবেই কয়েক সেকেন্ড রং পানিতে চুবিয়ে নিলে ৪/৫ ঘণ্টা এই শসা তাজা সতেজ সবুজ থাকবে।
এরশাদের রং মাখানো খিরা আর রং ছাড়া কয়েক টুকরো হাতে নিয়ে বোঝা যায় যে রং মাখানো খিরা তুলনামূলক একটু শক্ত। কিনÈ খুব ভাল করে খেয়াল না করলে বিষয়টি বোঝা যায় না।
এরশাদ কয়েকবার তার এই রং মাখানোর কেৌশল দেখাতে দেথাতে জানান, শুধু কাঁচপুর ব্রিজ এলাকাতেই তারা একশ' হকার আছেন। প্রত্যেকে রং মেশানো ফল সবজি বিক্রি করে। এরশাদ আরও বলেন, প্রত্যেকে দিনে ৮০ থেকে ১২০/৩০ প্যাকেট শসা, খিরা, আমড়া বিক্রি করেন। প্রায় সবাই সব সময় রং মাখায়। এসবে যে রং মাখানো তা ক্রেতারাও অনেকে জানেন, জেনেও খান। কারণ রং না মাখালে কাটা খিরা, শসা, আমড়া কিছুক্ষণ পরই চুপসে ফ্যাকাসে হয়ে যায়। তা ক্রেতারা পছন্দ করে না।
পুলিশ কিছু বলে না?-জানতে চাইলে এরশাদ দম্ভের সাথে বলেন, পুলিশ তাদের ভয় পায়। Èপুলিশ আাটকাইলে মাইরা সব হকার মিইলা ভর্তা বানাইয়া দিবো'- বলেন এরশাদ।
তিনি জানান, এই এলাকায় কেন সব জায়গাতেই হকারদের কেউ কিছু বলেতে পারবে না। কারণ আওয়ামী লীগ বা বিএনপির যে কোনো সমাবেশ শত শত হকার দরকার হয়। তারা সব দলের সমাবেশেই ভাড়ায় খাটেন। সব এলাকায় হকারের একজন সর্দার থাকেন। সর্দারই সব ম্যানেজ করেন। পুলিশ টাকা চাওয়ারও সাহস পায় না।
অবলীলায় এরশাদ স্বীকার করে যান, তিনিও জানেন এই রং মাখানো শসা খেলে বেশি ক্ষতি হয় শিশুদের। এমনকি শিশুদের কিডনিও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
মাঠের এই অনুসন্ধান ধরে কথা হয় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন পবা'র সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুস সোবহানের সাথে। এই সংগঠনটি (পবা) দীর্ঘ দিন ধরে মাঠ পর্যায়ে খাদ্যে ভেজাল, ফরমালিন ও রাসয়নিক ব্যাবহার নিয়ে গবেষণা ও চিহ্নিতকরণের কাজ করছে।
আবদুস সোবহান বলেন, তারা খোঁজ নিয়ে দেখেছেন, শসা খিরা বা আমড়ায় ব্যবহূত রংটি শরীরে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিকারী রাসায়নিক রং। যা ডাইং এবং সুতা কারখানায় কাপড় রং করার কাজে ব্যবহার হয়। এটি খাবারকেও ভিন্ন রং ধারণ করাতে পারে।
আবদুস সোবহান মনে করেন, এ ধরনের রং আমাদানি, বাজারজাতকরণ এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের হাতের নাগালে যাওয়া এখনই ঠেকাতে না পারলে সামনে ভয়াবহ বিপর্যয় অপেক্ষা করছে।
পবা সূত্র জানায়, অনেকটা কাপড় সাদাকরণ রাসায়নিক হাইডঙ্রে কাছাকাছি রসায়নিক ফল-সবজিতে ব্যবহার করা হয়।
রাজধানীর নামীদামিসহ অনেক রেস্টুরেন্টেও সালাদ করার জন্য যে শসা- খিরা ব্যবহার করা হয় তাও তাজা, কচি বোঝাতে বিষাক্ত ডায়িং কালার ব্যবহার করার অভিযোগ আছে পবা'র কাছে।
মানুষের শরীরে এইসব রং কি ধরনের ক্ষতি করতে পারে জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও খাত্যিমান চিকিতসক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, এ ধরনের রং থেকে লিভারের জটিল রোগ, কিডনির সমস্যাসহ শরীরের নানান রকম মৃত্যুঘাতী রোগ হতে পারে। এই রং শরীরে ঢুকে ক্যান্সারের মতো ভয়াবহ রোগের জন্ম দিতে পারে। তাছাড়া জন্ডিস, টায়ফয়েডের মতো রোগ হওয়া খুবই স্বাভাবিক।
ডা. স্বপ্নীল বলেন, স্বল্প সময়ে এই রংয়ের প্রভাব টের পাওয়া না গেলেও দীর্ঘ মেয়াদে এর বিরূপ প্রভাব পরবেই।
খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধ এবং রাসায়নিক বন্ধে মূল দায়িত্ব পালন করার কথা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউটের (বিএসটিআই)। এই বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মো. সাইফুল হাসিব কোনো আশার কথা তো শোনাতে পারেননি।
কৃতজ্ঞতা : পরিবর্তন ডটকম Collected.

বৃহস্পতিবার, ১৯ জানুয়ারী, ২০১৭

পৃথিবীতে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করেছে ‘ইসলাম’


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ   রাসূল (সঃ) উমরাহ শেষে মদীনায় ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এমন সময় একটি বাচ্চা মেয়ে চাচা, চাচা বলে আল্লাহর রাসূলের দিকে দৌড়ে এল। বাচ্চা মেয়েটি ছিল রাসূল (সঃ) এর চাচা হামযা (রাঃ) এর মেয়ে। হযরত আলী বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নিলেন।
সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন হযরত জাফর, যায়েদ এবং ফাতিমা (রাঃ)। এতিম বাচ্চাটিকে নিজের হাওলায় নেওয়ার জন্য তারা পরস্পর ঝগড়া শুরু করে দিল। হযরত আলী বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! বাচ্চাটিকে আমি প্রথম কোলে তুলে নিয়েছি। অতএব বাচ্চাটি আমারই প্রাপ্য।
হযরত জাফর বললেন, বাচ্চাটির বেশি হকদার আমি জাফর। কারণ তার বাবা আমার চাচা। তাছাড়া, ওর খালাকেও আমি বিবাহ করেছি। হে আল্লাহর রাসূল! বাচ্চাটিকে আমার হাওলায় দিন। হযরত যায়েদ বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! বাচ্চাটির বাবা আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিল। সেই বন্ধুত্বের খাতিরে বাচ্চাটিকে আমার নিকট দিন। তাদের পরস্পরের ঝগড়া দেখে রাসূল (সঃ) স্বভাবসুলভ মুচকি হাসি দিলেন। তারপর বাচ্চাটিকে জাফর (রাঃ)কে দিলেন। কারণ, জাফরের ঘরে ছিল বাচ্চাটির খালা। মায়ের পরে খালাই হয় সবচেয়ে আপন। সুবহান আল্লাহ।
যে আরবরা পূর্বে মেয়ে বাচ্চাদের সহ্যই করতে পারতো না! তাদেরকে জীবন্ত কবর দিত তারাই কিনা আজ মেয়ে বাচ্চা লালন পালনের জন্য ঝগড়া করছে। আর ঝগড়া করার কারণ কি জানেন? তাহলে আল্লাহর রাসূলের (সঃ) ওয়াদাটুকু স্মরণ রাখুন। “যে ব্যক্তি দু’কন্যা প্রতিপালন করল। এমনকি তারা উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক এবং যুবতী হয়ে গেল। কেয়ামতের দিন সেই পিতা এমনভাবে অবস্থান করবে যে, সে এবং আমি এ দু’আঙ্গুলের মতো একসাথে হবো। রাসূল (সঃ) নিজের আঙ্গুলগুলোকে মিলিয়ে দেখালেন”। (সহীহ মুসলিম)
সুবহান আল্লাহ! ইসলাম নারীদেরকে এত্তো সম্মানিত করেছে যা অভাবনীয়। অথচ আজকের তথাকথিত আধুনিকরা বলছে, ইসলাম নারীদেরকে বেইজ্জতি করেছে। তাদের পায়ে শিকল পরিয়ে দিয়েছে। আর ইসলাম সেই কাজটি করেছে পর্দার বিধানের মাধ্যমে। পর্দা যে শিকল নয় নারীর অধিকার সে কথা ধর্মবিশ্লেষকরা নির্দিধায় স্বীকার করে নিবেন। এমনকি প্রধান সব ধর্মেই পর্দার বিধান ছিল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখায় পাবেন হিন্দুদের পর্দার ব্যবস্থার বর্ণনা। একসময় হিন্দুরা এত্তো কঠোর পর্দা পালন করত , যে পালকীতে বাড়ির বউকে নিয়ে যাওয় হতো সেই পালকীটাকেও মোটা কাপড় অধবা কাঁধা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হতো। খৃষ্টান ধর্মেও পর্দার বিধান রয়েছে। এসব হাটু বের করা ইস্কার্ট খৃষ্টান ধর্মেও হারাম। কিন্তু নারী লোভী এক শ্রেণীর মানুষদের কারণে সেইসব ধর্ম থেকে পর্দার চ্যাপ্টার গায়েব করে দেওয়া হয়েছে।
যেকোন বুদ্ধিসম্পন্ন এবং বিবেকবান নারীই বুঝতে পারবেন,পর্দা কোন শিকল নয় বরঞ্জ অধিকার। পর্দা সম্মান হানিকর নয়,বরঞ্জ নিজেকে অধিক সম্মানিতা করবার উত্তম পন্থা। ইসলাম নারীকে বন্দি করেনি। বরঞ্জ এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে নারীকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদান করেছে ‘ইসলাম’। 

মাসুদ পাভেজ

ফেসবুকের উন্মুক্ত বিশাল মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে সুযোগসন্ধানী মহল


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  আমিন লিখলেই মুসলমান হওয়া যায় না...ফেসবুকে ধর্ম প্রচারের নামে প্রতারণা শিক্ষণীয় পোস্ট পড়বেন প্লিজ কালের আবর্তনে ফেসবুক একটি বড় যোগাযোগমাধ্যম হয়ে গেছে। দেশ- বিদেশের লাখো মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে ফেসবুক। বিশ্বের ১৬০ কোটি (প্রায়) মানুষ সক্রিয়ভাবে ফেসবুক ব্যবহার করে। ২০১৫ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা পাঁচ কোটি সাত লাখেরও বেশি। ফেসবুক ব্যবহারকারীর পরিমাণ এক কোটি ৭০ লাখ। (দৈনিক যুগান্তর : ১১-১১-২০১৫) এ তো এক বছর আগের হিসাব। এক বছরে আরো অনেক বেড়েছে ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা। ফেসবুকের উন্মুক্ত এই বিশাল মাধ্যমকে বেছে নিয়েছে সুযোগসন্ধানী মহল। অপরাধকারীরা যেমন তাদের অপরাধ বাস্তবায়নে জাল বিস্তার করছে, তেমনি বিভিন্ন ভ্রান্ত মতাবলম্বীও তাদের মতাদর্শ ছড়িয়ে দিতে ব্যবহার করছে ফেসবুককে। অশ্লীলতা ছড়িয়ে দিতেও ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুক। সরলপ্রাণ মানুষকে বোকা বানিয়ে মিথ্যা প্রচার করার জন্য গুজব এবং ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে নিয়েছে তারা। কখনো দেখা যায় যে ‘ইসলাম প্রচারের’ দোহাই দিয়ে করা হচ্ছে এসব কাজ। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়া আইডি কিংবা পেজ ব্যবহার করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে ফেসবুক উন্মাদনা এখন চরমে।

‘আমিন না লিখে যাবেন না’; ‘মুসলমান হলে আমিন না লিখে যাবেন না’ ‘ছুবহানাল্লাহ, আল্লাহর কী কুদরত!’ ‘এটা নবীজির পাত্র, আমিন না লিখে যাবেন না’—এমন লেখার সঙ্গে আল্লাহ কিংবা রাসুল (সা.)-এর নাম কিংবা কালিমা খচিত ছবি হয়তো ফেসবুক ইউজারমাত্রই দেখেছেন। এসব ভুয়া পোস্ট দিয়েই অনেকে ফেসবুকে ‘ইসলাম প্রচার’ করছেন। অনেকেই সরলপ্রাণে লাইক-কমেন্টও করেছেন। অসুস্থ বা রুগ্ণ শিশুর ছবি দিয়ে লিখে দেয়, ‘আমিন না লিখে যাবেন না। ’ ভাবখানা এমন যে, এখানে লাইক দিলেই জান্নাত। প্রশ্ন হলো, এখানে রুগ্ণ ব্যক্তির সঙ্গে আমিন বলার কী সম্পর্ক? নবীজি (সা.)-এর পাত্রের সঙ্গে আমিন বলার কী সম্পর্ক?
পাশাপাশি কয়েকটি ধর্মীয় গ্রন্থের ছবি দিয়ে বলা হয়, ‘আপনি কোনটির সাপোর্টার?’ কখনো দেখা যায় এমসিকিউয়ের মতো প্রশ্ন। আপনার রব কে? এক. আল্লাহ। দুই. ভগবান। তিন. গড। মাঝেমধ্যে দেখা যায়, হৃদয়ে ঝাঁকুনি দেওয়ার মতো প্রশ্ন, ‘আপনি কি মুসলমান?’ মুসলমান হলে লাইক না দিয়ে যাবেন না। আবেগী ফেসবুকাররা এখানে ধুমছে লাইক দিচ্ছেন। এগুলো ইসলাম নিয়ে ইসলামের পরিভাষা ‘আমিনকে’ নিয়ে উপহাস করা ছাড়া কিছুই নয়। কখনো দেখা যায়, অশুদ্ধ বা জাল হাদিস তুলে ধরে বলা হয়, ‘লাইক দিন, যদি জান্নাতে যেতে চান। ’ অথচ মিথ্যা হাদিস বর্ণনা করা যেন জাহান্নামে নিজের ঠিকানা বানিয়ে নেওয়া। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার ওপর মিথ্যা আরোপ করে, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়। ’ (সহিহ বুখারি)
পোস্টটি শেয়ার করলে, ‘আমিন লিখলে অমঙ্গল থেকে বাঁচা যাবে; মনোবাসনা পূর্ণ হবে, শেয়ার না করলে, আমিন না লিখলে ব্যবসায় লোকসান হবে, সন্তান মারা যাবে’—এমন শিরকপূর্ণ কথাবার্তাও থাকে কথিত ইসলাম প্রচারে। আমিন লিখলেই মনোবাসনা পূর্ণ হবে, না লিখলে ক্ষতি—এটা কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। কেননা পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন, ‘আর যদি আল্লাহ তোমাকে কোনো কষ্ট দেন, তবে তিনি ছাড়া তা অপসারণকারী কেউ নেই। পক্ষান্তরে যদি তোমার মঙ্গল করেন, তবুও তিনি সব কিছুর ওপর ক্ষমতাবান। ’ (সুরা : আনআম, আয়াত : ১৭) 


মূলত এসব পোস্টের মাধ্যমে মানুষকে শিরকে লিপ্ত করা হচ্ছে। একটি আমিন বলা বা শেয়ারই মানুষকে অমঙ্গল থেকে বাঁচাতে পারে—এমন ধারণা তো সম্পূর্ণ শিরক। অনেকেই সরল মনে অযাচিতভাবেই লিপ্ত হচ্ছে শিরকের মতো ক্ষমার অযোগ্য মারাত্মক অন্যায়ে। শিরককারীর জন্য জান্নাত হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করে, আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেন। তার ঠিকানা হবে জাহান্নাম। (শিরকের মতো) অত্যাচারকারীদের জন্য কোনো সাহায্যকারী নেই। ’ (সুরা  মায়েদা, আয়াত : ৭২)

ভুয়া সংবাদের অন্যতম উৎস হয়ে গেছে ফেসবুক।এখানে সবাই যেন সাংবাদিক। ফেসবুকের উন্মুক্ত মাধ্যমে যা ইচ্ছা তা-ই পোস্ট করা যায় বলে একে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ভুয়া সংবাদ পোস্ট করেন।
প্রায়ই দেখা যায়, ‘মক্কা শরিফের খাদেম স্বপ্নে দেখেছেন... শেয়ার করলে এই পুরস্কার। ’ কয়েক দিন আগে দেখা গেল অং সান সু চির হিজাব পরা ছবি। নিচে লেখা—‘ইসলাম গ্রহণ করেছেন অংসান সু চি। ’ সারা পৃথিবীর কেউ জানে না। কোনো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পেল না সেই খবর, কিন্তু বাঙালির ফেসবুক দখল করে নিল সু চির হিজাবি ছবি! একজন কমেন্টে প্রশ্ন করলেন, ‘এই খবর পৃথিবীর কোনো মিডিয়া পেল না, আপনি কোত্থেকে পেলেন?’ জবাব দেওয়া হলো, ইহুদি-নাসারারা কি ইসলাম গ্রহণের খবর প্রচার করবে?

কথায় কিন্তু যুক্তি আছে।
.
আরেকবার দেখা গেল, ‘এবার সনাতন ধর্ম গ্রহণ করলেন নওয়াজ শরিফের ভাতিজি। সবাই আশীর্বাদ করুন। ’ ‘যজ্ঞ করে ইসলাম ছেড়ে রফিক এখন হিন্দু রাজু। দেখামাত্রই পোস্টটি শেয়ার ও দাদাকে আশীর্বাদ করুন। ’ এসব ছবি নিছক ফটোশপের কারসাজি। ছবিটি ভালোভাবে দেখলে বোঝা যাবে যে কাজটা এত নিপুণভাবে করা যে তা কোনো আনাড়ি ধর্মপ্রিয় ফেসবুকারের কাজ নয়। বরং খুব ঝানু কেউ মুসলমানদের হাসির পাত্র বানানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজটা করেছে। প্রথমত, যাঁরা এ ধরনের পোস্ট দিয়ে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে খেলা করছেন, তাঁরা মারাত্মক অন্যায় করছেন।

মিথ্যা বলা, লেখা, প্রচার করা ইসলামের দৃষ্টিতে ভয়াবহ কবিরা গুনাহ। একটি কবিরা গুনাহই একজন মানুষকে জাহান্নামে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। নবীজি (সা.) বলেন, ‘আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় কবিরা গুনাহর কথা বলব না? সাহাবায়ে কেরাম বললেন, আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা, মাতা-পিতার অবাধ্যতা, এরপর তিনি ঠেস দিয়ে বসে বললেন এবং শোনো! মিথ্যা কথা। তিনি (মিথ্যা কথা) বারবার বলতে লাগলেন। ’ (সহিহ বুখারি ও মুসলিম)। 

অনেক সময় লাইক বা কমেন্ট পাওয়ার জন্য এ ধরনের মিথ্যা বা গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হয়। লাইক- কমেন্ট পাওয়ার লোভ এক ধরনের মানসিক অসুস্থতার পর্যায়ে পৌঁছেছে। তারা যেন লাইক-কমেন্টের কাঙাল। ফলে বেশি লাইক পেতে ধর্মীয় অনুভূতি আর গুজবকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রশ্ন হলো, লাইক বা কমেন্ট কী মহামূল্যবান জিনিস যে মিথ্যা প্রচার করে লাইক বা কমেন্ট পেতেই হবে! কী উপকার হবে এতে? মিথ্যা কথা বলা বা মিথ্যা প্রচারের মধ্য দিয়ে অতি সাময়িক ফায়দা লাভ হলেও মূলত এর দীর্ঘকালীন ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন। কারণ মিথ্যা ফাঁস হয়ে গেলে মিথ্যাবাদীর জন্য বয়ে আনে মারাত্মক লাঞ্ছনা ও দুর্ভোগ। পবিত্র
কোরআনুল কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘দুর্ভোগ প্রত্যেক মিথ্যাবাদী পাপীর জন্য। ’ (সুরা : জাসিয়া, আয়াত : ৭)

কখনো দেখা য়ায়, মিথ্যা দিয়ে কেউ কাউকে হাসাতে চায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কঠিন দুর্ভোগ তার জন্য, যে মিথ্যা ও অলীক কথা বলে লোককে হাসাতে চায়। তার জন্য কঠিন দুর্ভোগ, তার জন্য কঠিন দুর্ভোগ। ’ (তিরমিজি, আবু দাউদ)
এ ধরনের মিথ্যাচার মুনাফেকির আলামত। যিনি এ ধরনের মিথ্যা পোস্ট দেবেন, তিনি যতই ইসলামের দরদি সেজে নিজেকে একজন
একনিষ্ঠ মুসলমান হিসেবে প্রমাণ করতে চেষ্টা করুন না কেন, তার কাজটি প্রমাণ করছে যে তিনি একজন মুনাফিক। রাসুলে কারিম (সা.) বলেন, ‘মুনাফিকের আলামত তিনটি (অর্থাৎ কোনো মুমিনের দ্বারা এ কাজগুলো সংঘটিত হবে না। যদি কেউ এ কাজগুলো করে সে আর মুমিন নয়, বরং সে হলো মুনাফিক) ১. কথা বললে মিথ্যা বলে। ২.ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। ৩. তার কাছে আমানত
রাখা হলে সে এর খিয়ানত করে। ’ (বুখারি ও মুসলিম)

যুগে যুগে মিথ্যা বলে, মিথ্যা প্রচার করে মুনাফিকরাই ইসলামের বেশি ক্ষতি করেছে। ইসলামকে হাসির পাত্র বানিয়েছে। মহানবী (সা.)-কেও তারাই বেশি কষ্ট দিয়েছে।
এ বিষয়ে আমাদের করণীয় হলো, কোনো সংবাদভিত্তিক পোস্টে লাইক বা কমেন্ট করার আগে সংবাদটির উৎস জানতে হবে যে তা কোনো সঠিক উৎস থেকে এসেছে কি না। অনেক আবেগপ্রবণ ফেসবুকারই লাইক বা কমেন্ট শেষে এসব মিথ্যা পোস্ট শেয়ারও করে চ্ছেন। অথচ একজন মুসলমানের জন্য কারো নিয়ে আসা এ ধরনের কোনো খবর যাচাই না করে বিশ্বাস করার কোনো সুযোগ নেই। মুমিন তো কোনো গুজবে কান দিতে পারে না। পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ বলেন, ‘মুমিনগণ! কোনো পাপাচারী ব্যক্তি যদি তোমাদের কাছে কোনো খবর নিয়ে আসে, তাহলে তোমরা তা পরীক্ষা করে দেখবে। যাতে অজ্ঞতাবশত তোমরা কোনো ক্ষতিসাধনে প্রবৃত্ত না হও এবং পরে নিজেদের কৃতকর্মের জন্য অনুতপ্ত না হও। ’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৬)
একটি মেয়ের ছবি দিয়ে লিখে দেওয়া হলো, ‘এই হিজাবি বোনটির জন্য কত লাইক? সবাই লিখুন মাশাআল্লাহ। সেই ছবিতে মাশাআল্লাহ’ লেখা কমেন্টের ধুম পড়ে গেল। শেয়ারের ঝড়ে ছবিটি ছড়িয়ে পড়েছে ফেসবুক কমিউনিটিজুড়ে। এ নিয়ে ধর্মবিরাগী অনলাইন এক্টিভিস্টরা হাসাহাসি করে মজাও নিচ্ছেন বেশ। উপহাসের পাত্র বানিয়ে দেওয়া হলো হিজাবকে। এ জন্য যারা এসব কথার

সত্যতা না জেনেই প্রচার করবেন, তাঁরাও নবীজি (সা.)-এর ভাষায় মিথ্যাবাদী বলে প্রতীয়মান হবেন। মহানবী (সা.) বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে সে যা-ই শুনবে (সত্যতা যাচাই না করে) তা-ই বর্ণনা করবে। ’ (সহিহ মুসলিম)
সত্যতা যাচাই না করেই ‘ইসলাম প্রচার’ করতে গিয়ে কত বড় গুনাহর ভাগী হয়ে যাচ্ছেন—ফেসবুক ব্যবহারকারীরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন। রিদওয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ
ধন্যবাদ।

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৭

'এজলাসে বসে উনি আমাদের কাউকেই চিনতেন না' - ড. তুহিন মালিক


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ   সাবেক প্রধান বিচারপতি এম এম রুহুল আমিন স্যার আজ ভোরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

২০০৯ সালে তখন তিনি দেশের প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের ৮-১০ জন মাননীয় বিচারপতিসহ দ্বীনের একটি জামাত নিয়ে আমাদের মসজিদে আসেন। তিনদিনের জামাতে মাননীয় বিচারপতিগণ ভাগ ভাগ করে সময় দিলেন।

প্রতিদিন আসরের পর আমাকেই রাহবারের দায়িত্ব নিতে হতো। কোর্টের এজলাসে যে বিচারপতিদের ভয়ে আমরা আইনজীবীরা সর্বদা সন্ত্রস্ত থাকি, সেই বিচারপতিকেই একজন সাধারণ মুসল্লি হিসাবে এলাকার মানুষের দুয়ারে গিয়ে দ্বীনের দাওয়াতের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে অপেক্ষা করতে দেখেছি। নামাজের পর কিতাবের তালিম করতে দেখেছি একজন সাধারণ সাথী ভাইয়ের মতই।

দ্বীনের দা'ঈ সাবেক এই প্রধান বিচারপতি একজন ন্যায়বিচারক ছিলেন। এজলাসে বসে উনি আমাদের কাউকেই চিনতেন না, অথচ এজলাসের বাইরে ছিলেন সম্পুর্ণ ভিন্ন এক মানুষ।

অবসরের পর দীর্ঘদিন উনার সাথে দেখা হয়নি। একের পর এক প্রিয় মানুষগুলো এভাবে হারিয়ে যাচ্ছেন !

নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদেরকে সর্বৎকৃষ্ট প্রতিদান দিবেন।

বিচারপতি এমএম রুহুল আমিন স্যার মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকতেন। আর আল্লাহ নিজেই বলেছেন-
“ঐ ব্যক্তির কথা হতে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে এবং নিজে নেক আমল করে ও বলে যে, নিশ্চয়ই আমি মুসলমানদের মধ্য হতে একজন। ” (সূরা হা-মিম সিজদাহ, আয়াত-৩৩)

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসিব করুন।

লেখকের ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত

আবদুল মজিদ শেখের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চর ব্রাহ্মণগাতী গ্রাম নিবাসী আবদুল মজিদ শেখ ৬৩ বছর বয়সে প্যারালাইসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ১৫ জানুয়ারী সকাল ১০টায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ......... রাজিউন)। তিনি স্ত্রী, ৪ পুত্র ও ১ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন। গত ১৫ জানুয়ারী বাদ এশা নামাজে জানাজা শেষে মরহুমকে সিরাজগঞ্জের রহমতগঞ্জ কবর স্থানে দাফন করা হয়েছে। 

শোকবাণী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রুকন সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চর ব্রাহ্মণগাতী গ্রাম নিবাসী আবদুল মজিদ শেখের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর জনাব মকবুল আহমাদ ১৬ জানুয়ারী ২০১৭ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন। 

শোকবাণীতে তিনি মরহুমের জীবনের সকল নেক আমল কবুল করে তাকে জান্নাতবাসী করার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করেন এবং মরহুমের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের এ শোক সহ্য করার তাওফিক দান করুন।

অসহায় সুবিধাবঞ্চিত শীতার্ত মানুষকে উপেক্ষা করে জাতীয় ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়: শীতবস্ত্র বিতরন অনুষ্ঠানে ---এডভোকেট জুবায়ের


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ   বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর আমীর এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন- সমাজের হত দরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো আমাদের আত্মার আত্মীয়। তাদেরকে উপেক্ষা করে জাতীয় ও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই প্রচন্ড শীতে সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। গণ মানুষের প্রিয় কাফেলা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আর্ত-মানবতার কল্যানে সব সময় সক্রিয় ছিল, এখনও আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। ইনশাআল্লাহ।

তিনি আজ মঙ্গলবার সিলেট মহানগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার ২৫নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যোগে স্থানীয় কায়েস্থরাইল এলাকায় অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। ওয়ার্ড সভাপতি এ.এসএম মুছা’র সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারী সালাউদ্দিন মিরাজের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত শীতবস্ত্র বিতরন প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ সুরমা থানা আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান, সেক্রেটারী ইঞ্জিনিয়ার শাহজাহান কবির রিপন, অফিস সম্পাদক এডভোকেট মহসিন আহমদ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াত নেতা বিলাল আহমদ, আবুল কালাম, জাবেদ আহমদ, সোহেল আহমদ, বীরবল আহমদ, সাদিক খান, লায়েক আহমদ, হাসানুর রহমান শিমুল, মুহিন আহমদ প্রমুখ।

রবিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৭

জামায়াতের বিরুদ্ধে বাম বুদ্ধিজীবীদের ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ


Bangladesh Barta Desk:   ১৪ জানুয়ারী রাজধানীর একটি হোটেলে রিজিওনাল এ্যান্টিটেররিস্ট রিসার্স ইনস্টিটিউট নামক একটি সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বাম বুদ্ধিজীবীদের ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান আজ ১৫ জানুয়ারী প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “গোলটেবিল বৈঠকের নামে পরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে মিথ্যাচার করা হয়েছে। 

আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, কোন জঙ্গি সংগঠনের সাথে জামায়াতে ইসলামীর কোন ধরনের সম্পর্ক নেই। অথচ এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী জামায়াত সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির উদ্দেশ্যেই এ মিথ্যাচার চালিয়ে যাচ্ছে। একটি ব্যাংকের সাথে জামায়াতে ইসলামীকে জড়িয়ে যে মিথ্যা কল্পকাহিনী প্রচার করা হয়েছে সে ব্যাপারে আমি স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, জামায়াতে ইসলামী কখনো কোন ব্যাংক থেকে কোন ধরনের অবৈধ আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেনি এবং গ্রহণ করার প্রশ্নই আসে না। ইসলাম জঙ্গিবাদকে আদৌ সমর্থন করে না। তাই জামায়াতে ইসলামীর জঙ্গিবাদকে সমর্থন করার প্রশ্ন অবান্তর। 

জামায়াত নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন করে যাচ্ছে। আদর্শিকভাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে বাম বুদ্ধিজীবীরা হতাশ হয়ে জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। তারা জামায়াতের বিরুদ্ধে জঙ্গিদেরকে অর্থায়নের যে অভিযোগ করেছেন, তা ডাহা মিথ্যা। আমি বাম বুদ্ধিজীবীদের এহেন মিথ্যাচারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে দেশবাসীকে এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি।”

শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট জেলা দক্ষিণ শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন সম্পন্ন: ফখরুল ইসলাম খান সভাপতি ও রায়হান সেক্রেটারি

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সিলেট বিভাগীয় সভাপতি জনাব মু. ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠিত না থাকায় আজ শ্রমিকরা নির্যাতিত হচ্ছে, তাদের মজুরি, বেতন ও বোনাসের জন্য আন্দোলন করতে হয়। তাই শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও তাদের ন্যায্য দাবি আপনা-আপনিই পূরণ হয়ে যাবে যদি ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। তাই ইসলামী শ্রমনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কাজ করে করছে। তাই সমাজের সকল শ্রম সেক্টরে ফেডারেশনকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলা আজ সময়ের অপরিহার্য দাবি।
তিনি গতকাল শনিবার সিলেট জেলা দক্ষিণ শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উক্ত কথাগুলো বলেন। শাখা সভাপতি ফখরুল ইসলাম খাঁনের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি রেহান উদ্দিন রায়হানের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা অধ্যাপক আব্দুল হান্নান, বাংলাদেশ পরিবহন ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও সংগঠনের উপদেষ্টা মাওলানা লোকমান আহমদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট বিভাগীয় সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল মতিন ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সিলেট মহানগর শাখার সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মুনিম। 

সভায় ২০১৭-১৮ সেশনের জন্য ফখরুল ইসলাম খাঁনকে সভাপতি ও মু. রেহান উদ্দিন রায়হানকে সেক্রেটারী করে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটি গঠন করা হয়।

Ataur Rahman protests the unjust arrest of Rangpur and Khulna city Jamaat leaders

Bangladesh Barta Desk:   Nayeb-e-Ameer of Bangladesh Jamaat-e-Islami, Ataur Rahman has issued the following statement on 14th January, 2017 protesting the unjustifiable arrest of Rangpur district Jamaat’s Secretary Obaidullah Salafi and Khulna city Jamaat’s Assistant Secretary and 31 ward councilor Advocate Sheikh Jahangir Hossen Helal.
“Police has unlawfully arrested Rangpur district Jamaat’s Secretary Obaidullah Salafi and Khulna city Jamaat’s Assistant Secretary and 31 ward councilor Advocate Sheikh Jahangir Hossen Helal in order to harass them politically.
The government is continuously arresting the leaders and activists of Jamaat-e-Islami and Chhatrashibir nationwide in a bid to make Jamaat a leaderless party. This anti-people government has been imprisoning the opposition men just to linger its tyrannical tenure. The torture and repression of this government has exceeded all the levels of tolerance. I am urging the countrymen to protest against the ongoing torture and repression of the government.
I am calling upon the authorities concerned to stop its ongoing arrest drive and to release all the detained leaders and activists of Jamaat-e-Islami and Chhatrashibir including Rangpur district Jamaat’s Secretary Obaidullah Salafi and Khulna city Jamaat’s Assistant Secretary and 31 ward councilor Advocate Sheikh Jahangir Hossen Helal immediately.”

শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৭

নিখোঁজ ছাব্বির আহমেদের মা রেবেকা বেগমের বিবৃতি


এমপি লিটন হত্যার সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগে রাজধানী থেকে ২ ছাত্রের গ্রেফতার নিয়ে তাদের পরিবার বিবৃতি প্রদান করেছেন। নিখোঁজ ছাব্বির আহমেদের মা রেবেকা বেগমের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গত ৪ জানুয়ারী দিবাগত রাত ২টায় ঢাকার বাড্ডা স্বাধীনতা স্মারণীর এক বাসা থেকে পুলিশ ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বিবিএ ৩য় বর্ষের ছাত্র আশরাফুল ইসলাম, সাবেক জনপ্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম ও ছাব্বির আহমেদকে আটক করে। গ্রেপ্তারের পর আমরা বার বার তাদের সন্ধান চেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তুু তারা গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।’

বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, ‘৭ দিন গুম রাখার পর বৃহস্পতিবার তাদের মধ্যে দুইজনকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করে র‌্যাব। একই সাথে আশরাফুল ইসলামকে হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যা সুস্পষ্ট মিথ্যাচার ছাড়া কিছু নয়। অপরদিকে এখন পর্যন্ত ছাব্বির আহমেদকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করা হয়নি। আমাদের পরিবারের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে শুধুমাত্র রাজনৈতিক অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এমপি হত্যার তাদের সম্পৃক্ততার প্রশ্নই আসেনা। বরং এ হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই এমপি লিটনের সার্বক্ষণিক রাজনৈতিক সহচর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলামকে র‌্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাছাড়া সেচ্ছা সেবকলীগ নেতা আহসান হাবিব ও আওয়ামীলীগ নেতা আহসান হাবিব মাসুদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ যাদেরকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পুলিশ স্পষ্ট করে গণমাধ্যমের কাছে বলেছেন যে তারা এ হত্যার ব্যপারে এখন পরিবার ও রাজনৈতিক সহচরদের দিকেই নজর দিচ্ছেন। এমন অবস্থায় নিরপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তারের পর বেআইনী ভাবে গুম রাখা, ৭ দিন পর হাজির ও একজনকে হাজির না করায় বিষয়টি ষড়যন্ত্রমূলক বলে মনে করি। আমরা আশঙ্কা করছি, আমাদের সন্তানরা অপরাজনীতির বলি হতে পারে।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের ব্যপারে মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার, তাদের মুক্তি এবং গ্রেপ্তারকৃত ছাব্বির আহমেদের সন্ধান দিতে পুলিশ ও প্রশাসনের প্রতি জোড় দাবী জানাচ্ছি। একই সাথে আমরা জাতীয় মানবাধিকার সংস্থাসহ দেশি বিদেশি বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের কাছে আমাদের সন্তানদের ন্যায় বিচার পাবার অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশেষ ভাবে অনুরোধ করছি। আমাদের সন্তানদের জান মালের কোন ক্ষতি হলে তার দায়ভার সরকার ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেই নিতে হবে। আমি আমার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সাংবাদিকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।’ বিজ্ঞপ্তি।