ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

উনি এখনও লিখছেন।

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সারা রাত থানায় বসিয়ে রাখা হয়েছে । এই চেয়ারটাতেই বসে আছেন সারা রাত। তবুও উনি লিখছেন।
আজকে সকালে হাতিরঝিল থানায় দেখা করতে যাওয়া একজন এই ছবিটা আমাকে পাঠিয়েছে। খেয়াল করে দেখলাম, উনি এখনও লিখছেন।
৭৮ বছর বয়স। শ্বাস কষ্টে ভুগছেন। শরীরে হিমগ্লবিনের পরিমাণ অস্বাভাবিক কমে যাওয়ায় ডাক্তার চিকিৎসার সাথে সাথে বিশ্রামে থাকতে বলেছেন। কিন্তু উনি এখনও লিখছেন।
ঠাণ্ডায় শ্বাস কষ্টটা বেড়ে গেছে। বেশ কিছুদিন ধরে আম্মা অফিসে আসতে নিষেধ করছিলেন। কিন্তু উনি সপ্তাহে সাত দিনই অফিস করছেন এবং উনি লিখছেন।
গতকাল সন্ধ্যায় বিশাল ঝড় বয়ে গেছে উনার উপর দিয়ে। একদল চরমপন্থি আওয়ামী জঙ্গি উনার অফিস তছনছ করেছে। আবরার, বিশ্বজিতদের খুনিদের আক্রমণের স্বীকার হয়েছেন উনি। তবুও উনি লিখছেন।
তার ৭৮ বছর জীবনে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি। এরশাদের স্বৈরশাসন আমলেও উনার অফিসের নিচে পুলিশ-আর্মি ভ্যান নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল বেশ কয়েকদিন। কিন্তু ভেতরে ঢুকে তাকে গ্রেফতার বা হেনস্তা করেনি। দেশে তখনও প্রতিটা সংবাদপত্রের একটা সম্মান ছিল, সাংবাদিকদের সম্মান ছিল। সেই সম্মানের কারণেই এরশাদের পুলিস বাহিনী সেদিন অফিসের ভেতরে ঢোকেনি । কিন্তু আজ দেশ জঙ্গিদের হাতে, মাফিয়াদের হাতে । সম্মান, শ্রদ্ধা এগুলো তো জঙ্গি – মাফিয়াদের কাছে হাঁসি- ঠাট্টার বিষয় । এই ৭৮ বছর বয়সের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটে গেল উনার জীবনে। কিন্তু উনি এখনও লিখছেন।
অভিজ্ঞ সাংবাদিক হিশেবে দল মত নির্বিশেষে সবার কাছে শ্রদ্ধা পেয়ে এসেছেন সবসময়। ১৯৯৩/৯৪ সালের দিকের ঘটনা, আওয়ামী ঘরানার ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতা, কাজল ভাই আমাকে বলছিলেন, “যে যেই দলেরই হই না কেন ভাই, উনাকে আমরা সবাই খুব শ্রদ্ধা করি”। কিন্তু দেশটা তো এখন আর আগের মত নেই । প্রবল ঘৃণা চাষের ফলে সাংবাদিকরাও বিভক্ত। অঞ্জন রায়দের মত শিব-সেনা, আরএসএসের দখলে এখন সবকিছু। উনার মত প্রবীণ সাংবাদিকরা আজ অঞ্জন রায়দের ঘৃণা চাষের স্বীকার । কিন্তু উনি লিখছেন।
লিখেই চলেছেন।
Sibley sohail

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন