ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৫ মার্চ, ২০১৫

বিআরটিসি’ও সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে ১০ কোটি টাকা!


এবার ‘বিআরটিসি’ সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়েছে! ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। পুরোপুরি সরকারি মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ২০১৩ ও চলতি ২০১৫ সালে রাজনৈতিক সহিংসতায় তাদের বাসগুলো ‘মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। এগুলো মেরামতের জন্য জরুরি ভিত্তি ১০ কোটি টাকা প্রয়োজন। এই অর্থ যেন প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দেয়া হয়। বিআরটিসির এ অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) যুগ্মসচিব মো: জামাল উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত চলতি মার্চ মাসের ২ তারিখের এক পত্রে বলা হয়েছে, ‘২০১৩ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে সংগঠিত নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের ফলে বিআরটিসির ১২১টি বাস ভাঙচুর হয় এবং ৪৬টি বাস আগুনে পুড়ে যায়। এতে বিআরটিসির মোট ৯ কোটি ৮৮ লাখ ৭৭ হাজার ৬০০ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়।’
বিঅরটিসির চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, ‘চলতি ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া চলমান সহিংসতা ও নাশকতায় বিআরটিসির ২৮টি বাস ভাঙচুর এবং ১০টি বাস আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৮০ লাখ টাকা। ফলে ২০১৩ ও ২০১৫ সালের চলমান সহিংসতায় ও নাশকতায় বিআরটিসির সর্বমোট ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
চিঠিতে বিআরটিসিকে সরকারি মালিকানাধীন একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি চলাকালে কিংবা যেকোনো প্রতিকূল অবস্থায় নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ অুণœ রাখতে বিআরটিসির গাড়ি সড়কে চলমান থাকে। এর ফলে বিআরটিসি এক দিকে রাজস্ব ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে, অন্যদিকে বিপুল পরিমান সম্পদহানির সম্মুখিন হচ্ছে। সহিংসতা ও নাশকতার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনের মালিকদের সরকার কর্তৃক ক্ষতিপূরণ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত বেসরকারি যানবাহনের মালিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু ক্ষয়ক্ষতির বিপরীতে সরকার কর্তৃক বিআরটিসি কোনো রূপ আর্থিক সহায়তা পায়নি।’
সর্বশেষে চিঠিতে বলা হয়, ‘এমতাবস্থায় ২০১৩ ও ২০১৫ সালের সহিংসতা ও নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিআরটিসির বাসসমূহ মেরামতের আর্থিক সহায়তা হিসেবে ১০ কোটি টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। ’
সংশ্লিষ্ট এক সূত্র বিআরটিসির এ দাবির প্রেক্ষাপটে বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটি যে আর্থিক ক্ষতি কথা উল্লেখ করেছে তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ রয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর আগে সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে যে, অবরোধ ও হরতালে বেসরকারি মালিকানাধীন বাস কোম্পানিগুলো কিছু গাড়ি চলাচল করলেও এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বিআরটিসি। বেশির ভাগ সময় দেখা গেছে, বিআরটিসি বাস অবরোধ-হরতালের সময় তেমন একটি চলাচল করেনি। তা হলে কিভাবে বলা হচ্ছে রাজনৈতিক সহিংসতায় ও নাশকতায় বিআরটিসি ১০ কোটি টাকারও বেশি আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর আগে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বিআরটিসিকে একটি ‘দুনীতিগ্রস্ত’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে অভিহিত করেছেন। তাই কোনো ধরনের আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার আগে তাদের দেয়া ক্ষতির বিষয়টি মূল্যায়ন করে দেখার প্রয়োজন রয়েছে।
Facebook

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন