বাংলাদেশ বার্তঃ নাঙ্গলকোটে গ্রামের বাড়িতে ঈদের নামাজ আদায়ের প্রবল ইচ্ছা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। আমি গ্রামে পৌঁছার আগেই আওয়ামী পুলিশ বাহিনী কয়েকদিন গ্রামে গিয়ে আমার খোঁজ খবর নেয়া শুরু করে। ঈদের আগের দিন গভীর রাত পর্যান্ত পুলিশ সদস্যরা গ্রামেই অবস্থান নেয়!
ঈদের চাঁদ দেখে নতুন ভোরে আনন্দ উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়ে সবাই যখন ঘুমাতে যায় আমার মা বাবা আর পরিবারের সদস্যদের তখন নির্ঘুম রাত কাটে! ঈদের সকালের বৃষ্টি আর আমার মায়ের চোখের পানি যেন মিলেমিশে একাকার হয়েছে। ঈদগাহে যাওয়ার আগে মাথায় হাত বুলানো মায়ের স্নেহমাখা আদর থেকে হয়েছি আমি বঞ্চিত।
আমার মত ঈদের প্রকৃত আনন্দ থেকে বঞ্চিত দেশের হাজার হাজার পরিবার। যারা আওয়ামী জুলুমশাহীর গুম, খুন, মামলা, হামলা আর বর্বরতার শিকার। যাদের ঘরে আওয়ামী আমলে কখনো ঈদই উদযাপন হয় না! তার তুলনায় আমারটাতো মামুলি ব্যাপার মাত্র।
বাড়িতে যেতে না পারলেও এলাকাবাসী ও দ্বীনি ভাইদের কিয়দংশের সাথে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় ও অকৃত্রিম ভালবাসা নেয়ার সুযোগ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ। এ সকল ভাইদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে মায়ের আদর আর বাবার স্নেহ না পাওয়ার ব্যাথা ভুলে গিয়েছি।
বাংলাদেশের প্রতিটি জনপদে ঈদের সত্যিকার আনন্দ তখনই আসবে যখন এদেশে ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ হবে। প্রতিনিয়ত হৃদয়ে সেই স্বপ্নবুনেই কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস আমরা ব্যার্থ হবো না, অবশ্যই সফল হবোই, ইনশা-আল্লাহ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়-
"যতদিন না কায়েম হবে খোদার ধরায় তারই দ্বীন কিসের আবার ঈদের খুশি এ সবই অর্থহীন"
"যতদিন না কায়েম হবে খোদার ধরায় তারই দ্বীন কিসের আবার ঈদের খুশি এ সবই অর্থহীন"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন