ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৯

চট্টগ্রাম মহানগরী আমীরসহ ১২ জন নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবীতে নেতৃবৃন্দের বিবৃতি


চট্টগ্রাম, ৩০ আগষ্ট-২০১৯ইং বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর জননেতা মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলামসহ নগর জামায়াতের ১২ জন নেতাকে ঘরোয়া বৈঠক থেকে পুলিশ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক, কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি মাওলানা আ.ন.ম.শামসুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারী অধ্যাপক আহছানুল্লাহ্, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আমিরুজ্জামান, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমীর জনাব মুহাম্মদ জাফর সাদেক, কক্সবাজার জেলা আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, রাঙ্গামাটি জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল আলিম, খাগড়াছড়ি জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল মোমেন ও বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুস সালাম আজাদ এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন। 
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি বৈধ গণতান্ত্রিক দল। সকল প্রকার সভা,সমাবেশ ও ঘরোয়া মিটিং করার অধিকার জামায়াতের রয়েছে। এ অধিকার বাংলাদেশের সংবিধানই জামায়াতসহ সকল রাজনৈতিক দলকে দিয়েছে। অতএব ঘরোয়া বৈঠককে গোপন বৈঠক আখ্যা দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দকে গ্রেফতার করা শুধু অনৈতিকই নয় বরং সংবিধানের চরম লঙ্গন, সম্পুর্ণ অন্যায়,অনভিপ্রেত ও মহাজুলুমের শামিল। আমরা এহেন অন্যায় ও ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতারের তীব্র নিন্দ ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং গ্রেফতারকৃত নেতৃবৃন্দের অবিলম্বে নি:শর্ত মুক্তির দাবী করছি। সাথে সাথে সরকার ও প্রশাসনের এহেন জঘন্যতম জুলুম ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে স্বচ্ছার হওয়া ও ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলার জন্য দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।

মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট, ২০১৯

১৯৭২সাল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন রাষ্ট্রপতি।হারামজাদাদেরকে তো ইসলামি কোন পত্রিকা বন্ধ করতে বলিনি! -------------------বঙ্গবন্ধু।


অনেক পত্রিকার সাথে মাসিক মদীনার ডিকলারেশন তথ্য মন্ত্রণালয় বন্ধ করে দিয়েছে।
এই সময়ে হঠাৎ মাসিক মদীনার সম্পাদক মুহিউদ্দীন খানের কাছে একটি চিঠি এলো টুঙ্গিপাড়া থেকে।
লিখেছেন বঙ্গবন্ধুর সম্মানিত পিতা শেখ লুৎফুর রহমান।
শ্রদ্ধেয় সম্পাদক সাহেব!
সালাম নিবেন। আশাকরি কুশলেই আছেন। পর কথা হল, আমি মাসিক মদীনার একজন নিয়মিত গ্রাহক। গত দু’মাস ধরে মদীনা পত্রিকা আমার নামে আসছে না। তিন মাসের বকেয়া বাকি ছিল। তাই হয়তো আপনি পত্রিকা পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন। আমি মুজিবকে চিঠি লিখে বলে দিব, সে যেন আপনার টাকা পরিশোধ করে দেয়। আমি বৃদ্ধ মানুষ। প্রিয় মদীনা পত্রিকা ছাড়া সময় কাটানো অনেক কষ্টকর। আশাকরি আগামী মাস থেকে মদীনা পড়তে পারব। আমার জন্য দোয়া করবেন। আমিও আপনার জন্য দোয়া করি।
ইতি
শেখ লুৎফুর রহমান
টুঙ্গিপাড়া, ফরিদপুর।
মুহিউদ্দীন খান চিঠি পাওয়া মাত্রই পকেটে ভরে বঙ্গভবনে চলে গেলেন। বঙ্গবন্ধু তাকে দেখে বললেন, তুই এতোদিন পর আমাকে দেখতে এলি। এখানে বসার পর সবাই যেন দূরে চলে গেছে। পর হয়ে গেছে। মুহিদ্দীন খান বললেন, আমার পত্রিকার ডিকলারেশন তো তথ্য মন্ত্রনালয় বাতিল করে দিয়েছিল।
বঙ্গবন্ধু বললেন ‘তুই তো রাজাকার ছিলি না, তাহলে তর পত্রিকা ওরা বন্ধ করবে কেন?
পিএসকে বললেন, তথ্য সচীবকে কল লাগাও।’
(বিস্তারিত দেখুন, আলেম মুক্তিযোদ্ধার খোঁজে, শাকের হুসেন শিবলী)
তখন মুহিদ্দীন খান শেরওয়ানীর পকেট থেকে চিঠিটা বের করে বঙ্গবন্ধুর হাতে দিলেন। বাবার হাতের পরিচিত লেখা দেখেই তিনি একশ্বাসে পড়ে ফেললেন। পড়া শেষ করার আগেই চোখ পানিতে ভড়ে গেল। দাড়িয়ে মুহিউদ্দীন খানকে জড়িয়ে ধরে হাউমাউ করে কাঁদতে থাকলেন। বললেন, তুই আমার কাছে আরো আগে কেন আসলি না? হারামজাদাদেরকে তো ইসলামি কোন পত্রিকা বন্ধ করতে বলিনি। আজ আমার বাবা দুনিয়াতে নেই। গত কয়েকদিন আগে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
বঙ্গবন্ধু পরে তথ্য সচীবকে ফোন করে বকাঝকা করলেন। এখন মদীনার ডিকলারেশন চালু করে দিতে হুকুম দিলেন।
বঙ্গবন্ধু হাত ধরে তার স্নেহভাজন খানকে গাড়িতে তুলে বাসায় নিয়ে গেলেন। সাথে বসিয়ে দুপুরের খাবার খাইয়ে বিদায় দিলেন।
(সাপ্তাহিক মুসলিম জাহান মার্চ ২০০৯, আস সিরাজ, মুহিউদ্দীন খান সংখ্যা)
আরো আগের ঘটনা। বঙ্গবন্ধুর ১৯৫১ সালের কথা।
মুহিউদ্দীন খান প্রথম ঢাকাতে এলেন। উঠেছেন বাবার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব মাওলানা শামছুল হক ফরিদপুরীর লালবাগ মাদরাসায়। ফরিদপুরীর কাছেই থাকতেন।
সেখানে নিয়মিত আসা যাওয়া করতেন তরুন ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান। পরিচয় থেকে ঘনিষ্ঠতা। তারপর থেকে বঙ্গবন্ধু খানকে তুই তুকার করে ডাকতেন ছোট ভাইর মতো।
৫২ ভাষা আন্দোলনের সময় উভয় কারাগারে বন্দি হন। দেড় মাস জেল খাটেন মুহিউদ্দীন খান সাহেব।
এখন শোকাবহ আগষ্ট মাস। বঙ্গবন্ধু নেই। নেই মুহিউদ্দীন খান। কিন্তু তাদের স্মৃতি রবে চির অম্লান।
(সংগৃহীত)
Mukhlesur Rahman ভাই থেকে।

সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০১৯

মিনিকেট চালের নামে প্রতারণা

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ মিনিকেট বা মিনিকিট নামে কোনো ধান বা চাল নেই, অথচ এই চালে বাজার ছয়লাপ। (মিনিকেট নামের যে ধান/চাল টা পাওয়া যায় তার আসল নাম #IEP_4786.) কেনাবেচার শীর্ষে থাকা এই চালের উৎস খুঁজতে গিয়ে জানা গেছে যে মোটা চাল ইচ্ছেমত ছাঁটাই ও পালিশ করে মিনিকেট নামকরণ করে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। পুষ্টিহীন এই ধরনের চালের ভাতে অভ্যস্ত হলে কোলেন ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মত মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে বলে সতর্ক করেছেন কৃষিবিজ্ঞানীরা। রাইসমিলে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত্য ছাঁটাইয়ের অনুমোদন থাকলেও , ছাঁটাই হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ চাল । পালিশ করতে প্রয়োগ হচ্ছে নানাবিধ ক্ষতিকর কেমিক্যালস । ফলস্বরূপ চাল হচ্ছে সদা ,ঝকঝকে ও চিকন সুন্দর । তৈরী হচ্ছে দেখতে সুন্দর ও আকর্ষনীয় একপ্রকার সরু চাল, যার নাম মিনিকেট । আসলে এটি মোটা নিম্ন মানের চালের ভিতরের অংশ । এভাবে তৈরী হচ্ছে নাজির শাল ও পাজাম নামের চালও । অত্যধিক ছাঁটাইয়ের ফলে এই চালের খাদ্যগুণ অর্থাৎ মিনারেল, ভিটামিন, ফাইবার , প্রোটিন, এন্টিঅক্সিডেন্ট কিছুই আর অবশিষ্ট থাকে না । থাকে শুধু কার্বোহাইড্রেট। এই চালের ভাতের অভ্যস্তদের লাইফস্টাইল ডিসিস হবার ঝুঁকি প্রবল । ডায়াবেটিস , ক্যান্সার , রক্তচাপ , অতিরিক্ত মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদির সম্ভাবনা বহুগুনে বেড়ে যায় । বার্ধক্য আসে দ্রুত । তবে রোগের এই সম্ভাবনা স্বত্তেও নেই কোনো সচেতনতা । এই চাল দ্রুত রান্না হয় ও ভাত দেখতে হয় সাদা ধপধপে এবং সুন্দর । তাই এই চালের জনপ্রিয়তা বাড়ছে প্রতিদিন । জনস্বাস্থ্য ঠিক রাখতে মিনিকেট চাল পরিহার করতে নাগরিকদের আহ্বান করেছেন কৃষি বিজ্ঞানীরা। পাশাপাশি চালকলগুলিতে সরকারী নজরদারি বাড়াতে সুপারিশ করছেন তাঁরা।
□ মিনিকেট চালের আসল সত্য
****************************
১৯৯৫ সালের দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের কৃষকদের মাঝে দেশের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন জাতের চিকন শতাব্দী ধান বীজ বিতরণ করে। মাঠপর্যায়ে চাষের জন্য কৃষকদেরকে এ ধান বীজের সঙ্গে আরো কিছু কৃষি উপকরণসহ একটি মিনিপ্যাকেট প্রদান করে ভারতীয় সরকার।যে প্যাকেটটাকে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বলতো ‘মিনি কিটস’ সেখান থেকেই সেই ধানের নাম হয়ে যায় ‘মিনিকেট’। আবার অনেকে বলেন ‘মিনিপ্যাকেটে করে দেয়ায় ভারতীয় কৃষকদের কাছে এ ধান শেষমেষ মিনিকিট বলে পরিচিতি লাভ করে। কৃষকরা মিনিপ্যাকেট শব্দটির মধ্য থেকে ‘প্যা’ অক্ষরটি বাদ দিয়ে মিনিকেট বলে পরিচয় দিতে শুরু করে’। তবে ঘটনা যাই হোক মিনিকেট নামে কোনো চাল বাজারে নেই এটাই সত্য কথা।

□ মিনিকেট চাল প্রস্তুত প্রণালী
***************************
মোটা চালকে পলিশ করে মিনিকেট চাল বলে বিক্রি করা হচ্ছে। অটোরাইস মিলে রয়েছে একটি অতি বেগুনি রশ্মির ডিজিটাল সেন্সর প্ল্যান্ট। এর মধ্য দিয়ে যেকোনো ধান বা চাল পার হলে সেটি থেকে প্রথমে কালো, ময়লা ও পাথর সরিয়ে ফেলা হয়। এরপর মোটা ধান চলে যায় অটোমিলের বয়লার ইউনিটে। সেখানে পর্যায়ক্রমে ৫টি ধাপ পার হবার পর লাল কিংবা মোটা চাল সাদা রংয়ের আকার ধারণ করে। এরপর আসে পলিশিং মেশিনে। অতি সূক্ষ্ম এই মেশিনে মোটা চালের চারপাশ কেটে চালটিকে চিকন আকার দেওয়া হয়। এরপর সেটি আবারও পলিশ ও স্টিম দিয়ে চকচকে শক্ত আকার দেওয়া হয়। শেষে সেটি হয়ে যায় সেই কথিত এবং আকর্ষণীয় মিনিকেট চাল।
(সংগৃহীত)
মিনিকেট নামের ধান আছে এবং সেটা আমরা চাষ করু। obviously সেই ধান থেকে চালও হয়। কিন্তু সেই ধান টির অফিসিয়াল নাম IET 4786 (ডাকনাম- শতাব্দী). IET stands for initial evaluation trial. বাস্তব হল কোনো একসময় IET-4786 নামের ধানটি মিনিকেট হিসাবে কৃষকদের বিলি করা হয়েছিল। সেই ধানটা জনপ্রিয় হয়ে যায়। কৃষকরা ঐ নাম মনে রাখতে পারেন নাই। মিনিকেট পেয়েছেন, তাই ধানের নাম মিনিকেট হয়ে যায়। ( Jaydeep Mukhopadhyay এর কাছ থেকে পাওয়া তথ্য।)
Towfique Ahmed Chowdhury.

ডাঃ জাকির নায়েক ইস্যু:মালয়েশিয়া রাজনীতি উত্তপ্ত! : মাওলানা মামুন হোসাইন হাবিবীর ওয়াল থেকে ।


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ডা. জাকির নায়েক ইস্যুতে মালয়েশিয়ান রাজনীতি বেশ টালমাটাল। নানান কথা আলোচনার টেবিলে। পক্ষ-বিপক্ষের তর্কাতর্কি তুঙ্গে। ড. জাকির নায়েক পুলিশের নজরদারিতে। মালয় পুলিশ প্রধান বলেছেন, "আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ইনভেস্টিগেশন করছি।” শেষ পর্যন্ত ঘটনাটি যে আদালত পাড়ায় যাচ্ছে তা মোটামুটি নিশ্চিত। ফাইলবন্দি হয়ে জজের টেবিলে ঠাঁই নিবে পুরো ঘটনা। 

মন্ত্রীপরিষদ দু ভাগে বিভক্ত। অধিকাংশরা ডা. জাকির নায়েকের মন্তব্যকে খুব সাধারণ কথা মনে করলেও বাকিরা তার মন্তব্যকে ধর্মীয় বিদ্বেষ হিসাবে আমলে নিয়েছেন। তিনজন মন্ত্রী আদাজল খেয়ে লেগেছেন ড. নায়েকের বিরুদ্ধে। একজন হিন্দু, একজন শিখ অন্যজন বৌদ্ধ। এই তিনে মিলে হয়েছেন এক। তারা ইন্ডিয়া এবং ভারতের ডিপ্লোম্যাটিক সাপোর্ট এবং কু পরামর্শ খুব ভালো করেই পাচ্ছেন। ভারত সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে শিকার ধরার চেষ্টায় আছে মোদী সরকার। সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ড. জাকির নায়েককে ভারতে ফেরত আনতে।

তবে মালয়েশিয়ান প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদ বলেছেন, "আমরা তাঁকে ভারত পাঠালে তিনি নিহত হতে পারেন। একাজ করতে চাইনা। অন্যকোন দেশ তাঁকে নিতে চাইলে অবশ্যই সাধুবাদ জানাবো।”

যে মন্তবের জেরে তিনি বিরোধীদের চক্ষুশূল।

গত ৮ আগস্টে একটি সেমিনারে তাঁর কিছু মন্তব্য কাটছাঁট করে সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়। আর তাতেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে ইসলাম বিদ্বেষীরা। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ডা. জাকির নায়েককে আইনের আওতায় আনতে মালয় সরকারের উপর চাপ বাড়াতে থাকে। এই চাপাচাপি বাড়ছে বৈ কমছে না।

মন্তব্য ১।

তাঁকে বেশ কিছুদিন যাবৎ কট্টর ইসলাম বিদ্বেষীরা 'নতুন গেস্ট' (বাংলায় যাকে নতুন পাগল বলা হয়) বলে তিরস্কার করা হচ্ছিল। নতুন অতিথিকে তার দেশে ফেরত পাঠাতে সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছিল। তাদের এমন অযৌক্তিক কথাবার্তার জবাবে বলেন,

"আমাকে নতুন অতিথি বলে ফেরত পাঠিয়ে দেয়ার আগে চাইনিজদেরকে আগে পাঠানো উচিত। কারণ, চাইনিজরা এ দেশে অতিথি হয়েই এসেছিল। তারপর তারা নাগরিক হয়। সুতরাং নতুন অতিথিকে ফেরত পাঠানোর আগে পুরনো অতিথিকে ফেরত পাঠানো যৌক্তিক।"

মন্তব্য ২।

দ্বিতীয় মন্তব্যটি করেন ইসলামের মহানুভবতা নিয়ে। বিষয়টি পরিষ্কার করতে একটি উদাহরণ টানেন।
তিনি বলেন,

"মালয়েশিয়াতে মাত্র ৬.৫ ভাগ মানুষ হিন্দু। তবুও তারা ইন্ডিয়ান মুসলিমদের থেকে ১০০ গুণ বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করে। এতো বিশাল সুবিধা নিয়েও সাপোর্ট করার সময় তারা মাহাথির মুহাম্মদের চেয়ে নরেন্দ্র মোদীকেই প্রেফার করে। আমি বলছিনা যে, এটা বন্ধ করতে হবে। বুঝাতে চাচ্ছি, ইসলাম যথেষ্ট সহনশীল। অন্যায়ভাবে কাউকে আঘাত করে না।”

তাঁর এই দুই মন্তব্যকেই লুফে নেয় বিরোধীরা। তারা মনে করছে, এসব কথার মাধ্যমে সম্প্রীতির মালয়েশিয়াতে জঙ্গিবাদের সূচনা হবে। আর তারা সেই কাটছাঁট মন্তব্যের ক্লিপ হাওয়ার বেগে ছড়িয়ে দেয় নেট দুনিয়ায়। মুহূর্তেই হৈচৈ পড়ে যায় সর্বত্র। সুযোগকে কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে উঠে অনেকেই। ড. জাকির নায়েক যে নতুন করে কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হচ্ছে তা মোটামুটি নিশ্চিত।

ডা. জাকির নায়েকের মাসলাক ভিন্ন হতে পারে। তাঁর মতাদর্শের সাথে পূর্ণ একমত নাও হতে পারি। তদুপরি তিনি আমাদের। তিনি আমাদের ভাই। তিনি আজ চূড়ান্ত মজলুম। একের পর এক শত্রুর তালিকা লম্বা হচ্ছে। তাঁর সাথে যারা শত্রুতা করছে তারা কেউ ব্যক্তিগত আক্রোশে করছে না। সম্পদের জেরে শত্রুতা তৈরি হচ্ছে না। বৈরিতা সৃষ্টি হচ্ছে শুধু ইসলামের কারণে। তাঁর লেকচারের এফেক্ট দেখেই বিরোধীরা রক্তচোষা শত্রুতে পরিণত হচ্ছে।

আমরা বাংলাদেশ থেকে তেমন কিছু করতে পারবো না। আমাদের সেই সক্ষমতা নেই। লজিস্টিক সাপোর্ট দেয়াও অসম্ভব। আশ্রয়ও দিতে পারবো না। আমরা পারবো শুধু দুয়া করতে। আর আমাদের জন্য আপাতত দুয়াই প্রধান অস্ত্র। মজলুম এই দা'ঈ-এর জন্য রবের দরবারে কায়মনোবাক্যে দুয়া করি। আল্লাহ যেন তাঁকে সব ধরনের মুশকিলাত থেকে মুক্তি দেন।

সব ধরনের সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে আপাতত তাঁর জন্য দুয়া করি। কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নন। সুতরাং তাঁকেও ভুলের ঊর্ধ্বে ভাবি না। ভাবাটা ঠিক নয়।

তবে এখন সেই ভুলগুলো প্রচার করা তাঁর প্রতি আরেক ধরনের জুলুম। এখন ইহসানের সময়; সমালোচনার নয়।

শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯

ডেঙ্গুজ্বর থেকে পরিত্রাণ লাভের জন্য ২ আগস্ট শুক্রবার থেকে আগামী ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধের জন্য ২ আগস্ট শুক্রবার থেকে আগামী ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করে এবং মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের রহমত ও সাহায্য কামনা করে দোয়া করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান। 

১ আগস্ট’১৯ প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে এডিস মশার কামড়ে সৃষ্ট ডেঙ্গুজ্বর ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ডেঙ্গুজ্বরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য আমাদের সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে সতর্ক হতে হবে এবং জনগণকে সচেতন করতে হবে ও এডিস মশা ধ্বংস এবং ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে।

এ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৫০ জনের অধিক সংখ্যক লোক ইন্তেকাল করেছেন। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫ হাজারের অধিক সংখ্যক লোক ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।

প্রতি মিনিটে ১জন করে লোক ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। দেশের জনগণের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে।

এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ লাভ করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২ আগস্ট শুক্রবার থেকে আগামী ৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করছিঃ-

১) এডিস মশাসহ সকল মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে হবে; 
২) বাড়ির আশ-পাশে অবস্থিত খাল, পুকুর, ডোবা, নালা-নর্দমা ইত্যাদি থেকে কচুরিপানাসহ সকল আগাছা ও ময়লা আবর্জনা তুলে ফেলতে হবে এবং ঝোঁপ-ঝাড় কেটে পরিস্কার করতে হবে;
৩) বাড়ী-ঘরে সকাল-সন্ধ্যা দু’বেলা ধূপ জ্বালাতে হবে; 
৪) বাড়ি-ঘর, বাগান, উঠান এবং এর চার পাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে; 
৫) ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, ভাঙ্গা হাড়ি-পাতিল, বালতি- কনটেইনার ইত্যাদিতে যাতে পানি জমে না থাকে সেদিকে নজর দিতে হবে। ঐ সব পাত্রে তিন দিনের বেশি যেন পানি জমে না থাকে সে দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে;
৬) এসি ও ফ্রিজের পানি নিয়মিত অপসারণ করতে হবে;
৭) যে সমস্ত ডোবা ও নালা-নর্দমায় মাছ বা পানিতে বসবাসকারী কোন প্রাণী নেই সেখানে নিয়মিত ঔষধ ছিটিয়ে মশার লার্ভা ধ্বংস করতে হবে; 
৮) দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে; 
৯) সামাজিক দায়িত্ববোধ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা নিয়ে ডেঙ্গু জ¦রে আক্রান্ত রোগীর পাশে দাঁড়াতে হবে। সর্বোপরি জ্বরে আক্রান্ত হলেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে;
১০) ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের সর্বাত্মকভাবে সাহায্য ও সহযোগিতা করার জন্য জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে;
১১) ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী এবং তাদের পরিবার-পরিজনদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের আতংকিত না হওয়ার জন্য পরামর্শ ও শান্ত্বনা দিতে হবে।

ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ঘোষিত উপরোক্ত সপ্তাহ ব্যাপী কর্মসূচি সফল করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল সাংগঠনিক শাখার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি এবং দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রাহমাত ও সাহায্য কামনা করে বিগলিত চিত্তে কায়মনো বাক্যে দোয়া করার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”