ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৭ নভেম্বর, ২০১৫

বগুড়ায় জামায়াত সমর্থিত ৩ উপজেলা চেয়ারম্যান কারাগারে


বগুড়ায় উপজেলা নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের স্বাদ ভোগ করতে পারছেনা জামায়াতে ইসলামী। দল সমর্থিত ৫ জন উপজেলা চেয়ারম্যানের তিনজন বর্তমানে রয়েছেন কারাগারে। বাকি ২ জন ফেরারী জীবন যাপন করছেন। পাশাপাশি ৮ জন ভাইস চেয়ারম্যানের মধ্যে একজন রয়েছেন পুলিশের হাতে বন্দী। পুলিশের গ্রেফতার অভিযানের কারণে বাকিরা কেউই তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না।
জানা গেছে, বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলার ১২টি উপজেলা মধ্যে ৬টিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করে ৫টিতে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয় জামায়াত। এর মধ্যে ৪টিতে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা সরাসরি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদেরকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেন। সেই সাথে ৮টিতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল বিজয় অর্জন করে জামায়াত। কিন্তু এই বিপুল বিজয় এবং জনগণের অভূতপূর্ব সমর্থন কোনই কাজে আসছেনা। সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মোটেও শান্তিতে নেই জামায়াত সমর্থিত চেয়ারম্যান এবং উপজেলা চেয়ারম্যানরা। এরই মধ্যে প্রতিটি চেয়ারম্যান এবং ভাইস চেয়ারম্যান কারাভোগ করেছেন। বর্তমানে শিবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আলমগীর হুসাইন, শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব দবিবুর রহমান এবং কাহালু উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মাওলানা তায়েব আলী কারাগারে রয়েছেন। নন্দীগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম মন্ডল এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল গণি মন্ডল কিছু দিন পূর্বে জেল থেকে জামিনে মুক্ত হলেও বর্তমানে তারা ফেরারী জীবন কাটাচ্ছেন। ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে আদমদীঘি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ডা: ইউনুছ আলীকে ঢাকায় পুলিশ অফিসার খুনের ঘটনায় আটক করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। 
এছাড়া পুলিশের দায়ের করা নাশকতার মামলার অজুহাতে জামায়াত সমর্থিত শেরপুর, শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রাম এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরবর্তীতে হাইকোর্টে রিট করে তারা পুনরায় দায়িত্ব ফিরে পেয়েছেন। ভাইস চেয়ারম্যানদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে। এসব কারনে জামায়াত সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা কেউই পরিষদে গিয়ে তাদের দায়িত্ব পালন করতে পারছেন না। ফলে জনগণের বিপুল সমর্থন পেয়েও জনসেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৩ মার্চ মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে চাঁদে দেখার গুজবকে কেন্দ্র বগুড়ায় যে গণবিস্ফোরণ ঘটেছিল তার দায়ভার জামায়াত-শিবিরের ওপর চাপিয়ে প্রশাসন ব্যাপক ধরপাকড় এবং মামলার জালে আটকে ফেলে জামায়াত-শিবিরকে। প্রায় দুই শতাধিক মামলায় জামায়াত-শিবিরের আড়াই লক্ষাধিক নেতাকর্মিকে আসামী করা হয়। গ্রেফতার করায় দুই হাজারেরও বেশি নেতাকর্মিকে।
জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেছেন, তাদের প্রায় দুই লক্ষাধিক নেতাকর্মী এখনো ঘরছাড়া। জামায়াত সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরাও বাদ যাননি সরকারের জুলুম-নিপীড়ন আর মিথ্যা মামলার বেড়াজাল থেকে। ফলে জনগণ তাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। ঢাকার নিউজ এর সৌজন্যে

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন