ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ১৬ আগস্ট, ২০১৭

শহীদ আবদুল মালেক: সংক্ষিপ্ত জীবনী

বাংলাদেশ বার্তাঃ   ১৯৪৭ সালে বগুড়া জন্মগ্রহণ করেন। পিতা: মৌলভী মুন্সী মোহাম্মদ আলী, মাতা: মোছাম্মত ছাবিরুন নেছা। ৫ ভাই ১ বোন। ভাইদের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ।
১৯৬০ সালে জুনিয়র স্কলারশিপ, ১৯৬৩ সালে এসএসসি পরীক্ষায় গণিত ও রসায়নে লেটারসহ রাজশাহী বোর্ডে একাদশ স্থান, ১৯৬৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় দুই বিষয়ে লেটারসহ মেধা তালিকায় চতুর্থ স্থান লাভ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাণ রসায়ন বিভাগে ভর্তি হন।
তিনি ছিলেন অসাধারণ মেধা, সুন্দর চরিত্র, অনুপম কথামালা, অমায়িক ব্যবহার, পরোপকারী মনোভাব, পরিশ্রমী আর আল্লাহভীরু মানসিকতার অধিকারী। বগুড়া, রাজশাহী, ঢাকা যখন যেখানে ছিলেন মানুষকে ইসলামের সুমহান পথের দাওয়াত দিয়েছেন। বাড়ি গেলে পাড়া-প্রতিবেশী সবার সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করতেন, খোঁজ-খবর নিতেন, সালাম বিনিময় করে তাদের পারিবারিক কুশলাদি জানতেন। নামাজে ডাকতেন, আর দরদভরা মন নিয়ে মানুষকে ইসলামের কথা বুঝাতেন।
প্রথমে মুসলিম লীগ করতেন। অনার্স প্রথম বর্ষে থাকা অবস্থায় ইসলামী ছাত্রসংঘে যোগদান করেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শাখার দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করেছেন। সর্বশেষ ১৯৬৮ সালে ইসলামী ছাত্রসংঘের কার্যকরী সদস্য নির্বাচিত হন।
২ আগস্ট ১৯৬৯ সালে ঢাকার নিপায় (ঘওচঅ) শিক্ষানীতির উপর আলোচনার জন্য ছাত্রদের আহ্বান করা হয়। সেদিন শহীদ আবদুল মালেকের ক্ষুরধার যুক্তি ও বলিষ্ঠ বক্তব্য মিলনায়তনের সবাইকে মুগ্ধ করে। শ্রোতারা ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষেই মত প্রকাশ করল। কিন্তু ইসলামবিরোধী চক্র ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষার পক্ষে প্রস্তাব পাস করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে।
১২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেখানেও তিনি ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার পক্ষে বক্তব্য রাখেন। কিন্তু ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতন্ত্রের প্রবক্তাদের এটা সহ্য হলো না। তারা আবদুল মালেকসহ ইসালামপন্থী ছাত্রদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্র নামধারী দুর্বৃত্তরা লাঠি, লোহার রড প্রভৃতি দিয়ে পৈশাচিক আক্রমণ করে। কয়েক দিন মুমূর্ষু অবস্থায় থাকার পর ১৯৬৯ সালের ১৫ই আগস্ট অসংখ্য মানুষের প্রেরণার আলো মালেক ভাই সবাইকে কাঁদিয়ে হাসাপাতালে শাহাদাৎ বরণ করেন।
তাঁকে প্রথমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে, দ্বিতীয়বার কমলাপুর রেল স্টেশনে, তৃতীয়বার গ্রামের বাড়ীতে জানাজা দেওয়া হয়। একটি জানাযায় ইমামতি করেন আওলাদে রাসূল মাওলানা সৈয়দ মাহমুদ মোস্তফা আল মাদানী।
শহীদ আব্দুল মালেক এর শাহাদাৎ বরণের ১৫ই আগষ্টকে সে থেকে ইসলামী শিক্ষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
'সংশয়ের আবর্তে আমাদের জীবন', 'আধুনিক বিশ্ব', 'প্রত্যয়ের আলোকে আমাদের জীবন', 'ধর্ম ও আধুনিক চিন্তাধারা' তার লিখিত প্রবন্ধ। এছাড়াও তৎকালীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিনি অসংখ্য প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখেছেন।
আল্লাহ ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থা আন্দোলনের এই পথিকৃৎ শহীহ আব্দুল মালেক ভাইকে যেন জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন