নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর জামায়াতের আমীর প্রবীণ রাজনীতিবিদ মাওলানা মাইনুদ্দীন আহমেদ। আদালতের নির্দেশের পরও তাকে কারা হাসপাতালে না রেখে সারাধার জেলে রাখা হয়েছে। এতে তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
গত ১১ মে ভোর রাত সিদ্ধিরগঞ্জের পাঠানটুলি এলাকায় তার শশুরবাড়ী ডা: মনিরের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে ৭দিনের রিমান্ড নেয়ার আবেদন করলে আদালত পরবর্তীতে শুনানী শেষ রিমান্ড না মঞ্জুর করেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশেক ইমাম মানবিক বিবেচনায় অসুস্থ মাওলানা মাঈনুদ্দীনকে কারাগার হাসপাতালে পূর্ণ চিকিৎসা দেয়ার নির্দেশ দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করেন। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ কারাগারে মাওলানা মাইনুদ্দীনকে কারা হাসাপাতালে ভর্তি না করে সাধারণ কয়দীদের সাথে রাখার অভিযোগ করেন তার আইনজীবী। এনিয়ে আদালতেও তিনি একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাওলানা মাঈনুদ্দীন আহমাদের চক্ষু অপারেশন হয় গত ১৬ এপ্রিল। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়া তার দুই বার বাইপাস সার্জারী হয়েছে। ডায়বেটিকসের কারণে তাকে নিয়মিত ইনসুলিন নিতে হয়। তার একটি কিডনীও বিকল। এছাড়া বিভিন্ন রোগে তিনি আক্রান্ত রয়েছেন । এমন একজন বয়োবৃদ্ধ ব্যক্তি বিনা চিকিৎসায় কারাগারা মৃত্যুর ঝুঁকিতে দিন কাটছে।
সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মো: বিল্লাল হোসেন জানান, ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ ও হরতালে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় মঈনুদ্দিন ও তার কর্মীরা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষে নাশকতার অভিযোগে মামলা হওয়ার পর দীর্ঘদিন সে পলাতক ছিল। ১১মে রাত সাড়ে ৩টায় সিদ্ধিরগঞ্জ পাঠানটুলি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
তবে মাওলানা মাঈনুদ্দীনের আইনজীবী এডভোকেট মাইন উদ্দিন মিয়া জানান, মাওলানা মাঈনুদ্দীন আহমাদের বিরুদ্ধে ৫টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে তিনি ৪ টি মামলাই জামিনে ছিলেন। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর আদলতের মাধ্যম্যে জেলে পাঠায়। তবে আদালত তাকে কারা হাসাপাতালে ভর্তি করে পূর্ন চিকিৎসা সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দিলেও তা মানা হচ্ছে।
তিনি জানান, মাওলানা মাঈনুদ্দীন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তাকে সাধারণ কয়েদীর সাথে রাখায় তিনি আরো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ অমান্য করার আমাদের আশংকা হয় বিনা চিকিৎসায় মাওলানা মাঈনুদ্দীন জীবন মৃত্যু ঝুকিতে রয়েছে। নাসির উদ্দিন পিন্টুর মতো আমরা একই রকম আশংকা করছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন