ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১

জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী ও মোহাম্মদ উল্লাহ’র মায়ের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ

 

বাংলাদেশ বার্তা: জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী ও মোহাম্মদ উল্লাহ’র মায়ের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ও সাতকানিয়া-লোহাগাড়া আসনের সাবেক সাংসদ  জনাব শাহজাহান চৌধুরী এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী জনাব মোহাম্মদ উল্লাহর মাতৃদ্বয় আজ ২৮ জুন ২০২১ তারিখ বার্ধ্যক জনিত কারণে ইন্তকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন। জামায়াত নেতৃদ্বয়ের মায়ের ইন্তেকালে চান্দগাঁও থানা জামায়াত শোক প্রকাশ করে এক বিবৃতি প্রদান করেছেন। 

চান্দগাঁও থানা জামায়াতের কর্মপরিষদ প্রদত্ত উক্ত শোক বানীতে নেতৃবৃন্দ মরহুমাদ্বয়ের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং মরহুমাদ্বয়ের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞপন করেন।

শুক্রবার, ২৫ জুন, ২০২১

তুরস্ক থেকে শুরু হয়ে ইউরোপের দেশে দেশে। বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক শুরু করা যায়।

 

বাংলাদেশ বার্তা : তুরস্ক থেকে শুরু হয়ে ইউরোপের দেশে দেশে। বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক শুরু করা যায়। বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ তুরস্ক থেকে শুরু হয়ে ইউরোপের দেশে দেশে। বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক শুরু করা যায়।

ইউরোপের একটি দেশ যেখানে এই দৃশ্য অহরহ দেখতে পাবেন -

একটি রেস্তোরা। ঐ রেস্তোরার ক্যাশ কাউন্টারে এক ভদ্রমহিলা এসে বললেন ৫ টা কফি আর একটা সাসপেনশন। তারপর উনি পাঁচটি কফির বিল মেটালেন আর চার কাপ কফি নিয়ে চলে গেলেন।
কিছুক্ষণ পরে এক ভদ্রলোক এলেন আর অর্ডার করলেন দুটো লাঞ্চ প্যাক করুন এবং দুটো সাসপেনশন রাখুন। উনি চারটে লাঞ্চের বিল মেটালেন আর দুটো লাঞ্চ প্যাকেট নিয়ে চলে গেলেন।
তার কিছুক্ষণ পর আরো একজন এলেন। অর্ডার করলেন দশটা কফি ছটা সাসপেনশন। উনি দশটা কফির পেমেন্ট করলেন আর চারটে কফি নিয়ে গেলেন। এভাবেই একের পর এক চলতে লাগলো।

বেশ কিছুক্ষণ পরে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি জড়সড় অবস্থায় কাউন্টারে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন কোনো সাসপেনশন কফি আছে ?
কাউন্টার থেকে জানানো হলো অবশ্যই আছে এবং এক কাপ গরম কফি ওনাকে দেওয়া হলো।
তারও অল্প কিছুক্ষণ পরে এক বয়স্ক ভদ্রলোক ভিতরে এসে জিজ্ঞাসা করলেন আজ কি কোনো লাঞ্চ সাসপেনশনে রাখা আছে ? কাউন্টার থেকে যথারীতি সম্মতি জানিয়ে তাকে গরম খাবারের একটি পার্সেল আর এক বোতল পানি দেওয়া হলো।

 এই ব্যাপারটা সারাদিন চলছে তো চলছেই। 
কিছু মানুষ নিজেদের পকেট থেকে নিজেদের অর্জিত রোজগার থেকে কিছু অজানা মানুষের খাওয়ার জন্যে পেমেন্ট করছেন আর কিছু গরীব দুস্থ মানুষ বিনা পেমেন্টে নিশ্চিন্তে খাওয়া দাওয়া করছেন। দিনভর চলছে এই কান্ড।

অথচ কেউ জানেনা কারোরই পরিচয়। না দাতা জানে গ্রহীতার পরিচয়, না গ্রহীতা জানে দাতার পরিচয়। প্রয়োজন নেই পরিচয় জানার, প্রয়োজন নেই নিজের নাম জাহির করার।

কিন্ত প্রয়োজন আছে কিছু অভুক্ত মানুষের মুখে অন্ন তুলে দেবার এবং সেটা একেবারেই গোপনে।
মানবিকতার এই চরম শিখরে পৌঁছনো দেশটির নাম "নরওয়ে" এবং নরওয়ের দেখাদেখি এই পরম্পরা ছড়িয়ে পড়ছে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও।

(সংগৃহিত)

আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম র প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মাদ আলী’র ইন্তেকালে শোক প্রকাশ

 

বাংলাদেশ বার্তা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আলী’র ইন্তেকালে শোক প্রকাশ বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২৫জুন ২০২১: আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র প্রথম ভাইস চ্যান্সেলর, ইউজিসির সাবেক সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-এর সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর মোহাম্মাদ আলী মারা গেছেন। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিটে নগরের সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

দেশবরেণ্য এ অধ্যাপকের মৃত্যুতে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী’র ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম’র বোর্ড অব ট্রাস্টিজ।

শোক বার্তায় বোর্ড অব ট্রাস্টিজ মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন।

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুন, ২০২১

রূপগঞ্জ: চনপাড়ার স্থানীয় প্রবীন রাজনীতিবিদ লাতু মিয়া চৌধুরী’র ইন্তেকাল

 

বাংলাদেশ বার্তা: রূপগঞ্জ: চনপাড়ার স্থানীয় প্রবীন রাজনীতিবিদ লাতু মিয়া চৌধুরী’র ইন্তেকাল বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তাঃ রূপগঞ্জ: চনপাড়ার স্থানীয় একজন প্রবীণ রাজনীতিবিদ লাতুমিয়া চৌধুরী ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

তিনি দীর্ঘদিন যাব জটিল রোগে ভুগছিলেন। আজ ২৪ জুন আনুমানিক সন্ধ্যা ৬:৩০ টায় ইন্তেকাল করেন।

মরহুমের নামাজে জানাজা আজ রাত ১০:০০টায় স্থানীয় জনকল্যাণ জামে মসজিদের মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।

মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাংখীদের মরহুমের নামাজে জানাজায় যোগদানের আহবান জানানো হয়েছে।

তার মৃত্যুতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার মাগফিরা কামনা করেছেন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।

প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ইন্তেকাল করেছেন

 

বাংলাদেশ বার্তা: প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী ইন্তেকাল করেছেন বার্তা বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২৪জুন ২০২১: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সাবেক উপাচার্য ও ইংরেজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মাদ আলী মারা গেছেন। 

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সন্ধ্যা ৬টা ১০মিনিটে নগরের সিএসসিআর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর।

বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া। 

২৫ জুন জুমার নামাজের পর চান্দগাঁও বি-ব্লক জামে মসজিদে জানাজা শেষে সেখানে দাফন করার কথা রয়েছে।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলী ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করেন। বেসরকারি অান্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম, নর্দান বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা ও সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক সদস্য, বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত অভিধানের অন্যতম সম্পাদক ছিলেন। তিনি চবির কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। 

দেশবরেণ্য এ অধ্যাপকের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।

সোমবার, ৭ জুন, ২০২১

জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট সালামতুল্লাহর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

 

বাংলাদেশ বার্তা: জামায়াত নেতা অ্যাডভোকেট সালামতুল্লাহর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার সাবেক সদস্য, কক্সবাজার জেলার সাবেক আমীর প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক অ্যাডভোকেট সালামতুল্লাহর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (৭ জুন) বাদে জোহর কক্সবাজার কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে জানাজাপূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জামায়াত ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগর আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য লুৎফুর রহমান কাজল, জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা নুর আহমদ আনোয়ারী, বান্দরবান জেলা আমীর মাওলানা আবদুস সালাম আযাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের জেলা সভাপতি হাফেজ সালামতুল্লাহ, জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমীর ও চেয়ারম্যান মাওলানা আবদুল গফুর, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম ছিদ্দিকী, কক্সবাজার প্রেস ক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও রাজনীতিবিদ জাহাঙ্গীর কাসেম।
পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন মরহুমের দ্বিতীয় ছেলে সোহেল সাইফুল্লাহ জাজি ও ছোট ছেলে রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিল।
উপস্থিত ছিলেন- জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক আবু তাহের চৌধুরী, সাংগঠনিক সেক্রেটারি শামসুল আলম বাহাদুর, জাহেদুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা সম্পাদক সাইদুল আলম, যুব ও ক্রীড়া বিভাগীয় সম্পাদক হেদায়াত উল্লাহ, সাবেক পৌর মেয়র সরওয়ার কামাল, শহর জামায়াতের আমীর ফজলুল কাদের, কক্সবাজার শহর ছাত্রশিবির সভাপতি রকিবুল ইসলাম জেলা সভাপতি কামাল উদ্দিন।
এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও আইনঙ্গনের সহকর্মীবৃন্দ জানাযায় অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরিদ উদ্দিন ফারুকী।
নামাজে জানাযায় ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে রিয়াজ মুহাম্মদ শাকিল।
উল্লেখ্য, এ্যাডভোকেট সালামতুল্লাহ (৮৫) ৬ জুন রাত ৮:১০ মিনিটে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। এড. সালামতুল্লাহ কক্সবাজার প্রেসক্লাবের অন্যতম প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য।
তিনি কক্সবাজার ইসলামিয়া বালিকা কামিল মাদ্রাসা, কক্সবাজার আইন কলেজ, কক্সবাজার মহিলা কলেজ, কক্সবাজার সিটি কলেজ, আলির জাঁহাল বালিকা মাদরাসা, কক্সবাজার আলহেরা একাডেমী এবং কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজসহ অনেকগুলো শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।

কর্মহীন মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রিক্সা ও সেলাই মেশিন বিতরণ করছেন জামায়াত ঢাকা মহানগরী

 

বাংলাদেশ বার্তা:  কর্মহীন মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে রিক্সা ও সেলাই মেশিন বিতরণ করছেন জামায়াত ঢাকা মহানগরী
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের রামপুরা থানার উদ্যোগে কর্মহীন মানুষদের মাঝে রিক্সা, সেলাই মেশিন ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। কর্মহীন মানুষদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সেলাই মেশিন, রিক্সা এবং নগদ অর্থ বিতরণ করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমীর জনাব মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব সেলিম উদ্দিন বলেন, “কভিডসহ নানা অব্যবস্থাপনার কারণে আজ সারা দেশের অসংখ্য মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। এসকল কর্মহীন মানুষদের কর্মসংস্থানের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এ বছর মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য বড় ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা মহানগরী উত্তর শাখা। আজকের এই আয়োজন এরই একটি অংশ মাত্র।“ এছাড়াও ইসলামী সমাজ বিনির্মাণে সত্য ও সুন্দরের পথে থেকে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান মহানগরী আমীর।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রামপুরা এলাকার বিশিষ্ট সমাজসেবক থানা আমীর জনাব ফজলে আহমেদ ফজলু। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও মহানগরী উত্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জনাব নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ থানা সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১

টুপি ও পাঞ্জাবিকে বিভক্তির উপলক্ষ্য বানাবেন না, প্লিজ :

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ পোশাকের ব্যাপারে ইসলাম উদার। নির্দিষ্ট কোন পোশাককে ইসলাম ড্রেস কোড করে নি। বরং পোশাকের ব্যাপারে কিছু ক্রাইটেরিয়া প্রদান করেছে। রাসূল সা, নিজেও সব সময় এক ধরনের পোশাক পরিধান করতেন না। নির্দিষ্ট কোন পোশাক পরিধান করতেও বলেন নি। সাহাবাগণও রা, একরকম পোশাক পরিধান করতেন না। সুতরাং নির্দিষ্ট কোন পোশাক কে সুন্নাত বলার কোন সুযোগ ইসলামে নেই। তবে তাঁরা লম্বা জামাও পরতেন।

লম্বা জামা আমিও পরিধান করি, কিন্তু সুন্নাত মনে করি না। ভালো লাগে তাই পরি। লম্বা ও ঢিলেঢালা জামা পরিধান করা পর্দার জন্য বেশি উপযোগী ও পরিধানে বেশি আরাম বোধ হয়। তাই অনেক আলেমও এ পোশাক পছন্দ করেন। কিন্তু এটাকে কোন ইসলামী স্কলার সুন্নাত বলেন নি। এটি আদতের তথা অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত।
পোশাকের ব্যাপারে ইসলাম বলেছে- সতর আবৃত করতে হবে, থিনথিনে পাতলা হবেনা, পুরুষ টাখনু গিরা ঢাকবে না, পুরুষ রেশমী কাপড় পরবে না, অঙ্গ স্পষ্ট হয় এমন টাইটফিট হবে না, নারী পুরুষের পোশাক ও পুরুষ নারীর পোশাক পরবে না ইত্যাদি।
এর আলোকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আলেমগণও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোশাক পরিধান করেন। কারো জামা টাখনু পর্যন্ত লম্বা। আবার কারো পায়ের নলার মাঝ পর্যন্ত প্রলম্বিত। কারো হাঁটু পর্যন্ত। কারো মাজা পর্যন্ত। কারো কোণা কাটা। কারো জোড়া লাগানো। কারো কলার বিশিষ্ট। কারো কলার বিহীন। পাকিস্তান, সৌদি আরব, বাংলাদেশ ও ইউরোপের আলেমগণ ভিন্ন ভিন্ন পোশাক পরিধান করেন। এটা ইসলামের উদারতার কারণেই। যারা এ উদারতাকে সংকীর্ণ করবে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।
ঠিক টুপিও তাই। রাসূল সা, টুপি পরতেন, তবে নির্দিষ্ট কোন টুপি পরিধান করেন নি। তিনি মাঝে মাঝে এক খন্ড কাপড় মাথার উপরে এমন ভাবে রাখতেন, যা মাথার তৈলের কারণ মাথার সাথে লেপটে যেতো। তিনি মাথা ঢেকে চলা পছন্দ করতেন। টুপির উদ্দেশ্যও মাথা ঢেকে রাখা। তাই তো সৌদি আরব, ওমান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের আলেমগণ ভিন্ন ভিন্ন টুপি পরিধান করেন। এটাও ইসলামের উদারতার কারণেই। নির্দিষ্ট কোন ডিজাইনের টুপিকে সুন্নাত মনে করা— ইসলামের উদারতাকে সংকীর্ণ করার নামান্তর। যারা এক কল্লি, তিন কল্লি, পাঁচ কল্লি, লম্বা, গোল, উঁচু, নীচু ইত্যাদির কোনটিকে সুন্নাত বানাবে— তারা সীমালঙ্ঘনকারী।
আমি উঁচু টুপি পরিধান করি। এটা আমার ভালো লাগে। কিন্তু যারা ভিন্ন টুপি পরে তাদের ব্যাপারে কখনো মনে সামান্য বিরুপ চিন্তা তৈরি হয় না। হবেই বা কেন? এটা তো তার এখতিয়ার। এ টুপি মাথায় দিয়ে চরমোনাই গিয়েছি, আহমদ শফী র, এর জানাজায় হাটহাজারী গিয়েছি। কোন অসৌজন্যতা পাইনি। বরং পীর সাহেব হুজুরদ্বয়ের মেহমানদারী ও হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রদের ভালোবাসায় দারুণভাবে সিক্ত হয়েছি।
আজ বাংলাদেশে এ সীমালঙ্ঘন কর্মটা হয়ে গেছে ইসলাম বা হক্ক চেনার আলামত! টুপি আর জামার সাইজ দেখে হক্ক তালাশ করছে। মন মত টুপি বা জামা না হলে মাদ্রাসা বা দরবারে বাঁকা চোখে দেখা হচ্ছে। তবে কোন প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।
আচ্ছা, মক্তবেও কি ড্রেস কোড আছে? এটা জীবনে গতকাল প্রথম শুনেছি! ভিন্ন টুপির কারণে ওস্তাজ ছাত্রকে মক্তব থেকে বের করে দিয়েছেন। আসলে ড্রেস কোড নয়, আমরা কেউ কেউ বিভক্তির চাষ করছি। যে বিভক্তি ইসলামে হারাম, সেটাকে ইনিয়ে-বিনিয়ে আমরা ইবাদত বানাচ্ছি!
হে রব! আমাদের সঠিক বুঝ দাও।
আমাদের মাঝে ঐক্য ও ভালোবাসা দাও।
লিখেছেন: ড. আবুল কালাম আজাদ (বাশার) হাফি.