ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১ জুন, ২০২১

টুপি ও পাঞ্জাবিকে বিভক্তির উপলক্ষ্য বানাবেন না, প্লিজ :

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ পোশাকের ব্যাপারে ইসলাম উদার। নির্দিষ্ট কোন পোশাককে ইসলাম ড্রেস কোড করে নি। বরং পোশাকের ব্যাপারে কিছু ক্রাইটেরিয়া প্রদান করেছে। রাসূল সা, নিজেও সব সময় এক ধরনের পোশাক পরিধান করতেন না। নির্দিষ্ট কোন পোশাক পরিধান করতেও বলেন নি। সাহাবাগণও রা, একরকম পোশাক পরিধান করতেন না। সুতরাং নির্দিষ্ট কোন পোশাক কে সুন্নাত বলার কোন সুযোগ ইসলামে নেই। তবে তাঁরা লম্বা জামাও পরতেন।

লম্বা জামা আমিও পরিধান করি, কিন্তু সুন্নাত মনে করি না। ভালো লাগে তাই পরি। লম্বা ও ঢিলেঢালা জামা পরিধান করা পর্দার জন্য বেশি উপযোগী ও পরিধানে বেশি আরাম বোধ হয়। তাই অনেক আলেমও এ পোশাক পছন্দ করেন। কিন্তু এটাকে কোন ইসলামী স্কলার সুন্নাত বলেন নি। এটি আদতের তথা অভ্যাসের অন্তর্ভুক্ত।
পোশাকের ব্যাপারে ইসলাম বলেছে- সতর আবৃত করতে হবে, থিনথিনে পাতলা হবেনা, পুরুষ টাখনু গিরা ঢাকবে না, পুরুষ রেশমী কাপড় পরবে না, অঙ্গ স্পষ্ট হয় এমন টাইটফিট হবে না, নারী পুরুষের পোশাক ও পুরুষ নারীর পোশাক পরবে না ইত্যাদি।
এর আলোকেই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের আলেমগণও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পোশাক পরিধান করেন। কারো জামা টাখনু পর্যন্ত লম্বা। আবার কারো পায়ের নলার মাঝ পর্যন্ত প্রলম্বিত। কারো হাঁটু পর্যন্ত। কারো মাজা পর্যন্ত। কারো কোণা কাটা। কারো জোড়া লাগানো। কারো কলার বিশিষ্ট। কারো কলার বিহীন। পাকিস্তান, সৌদি আরব, বাংলাদেশ ও ইউরোপের আলেমগণ ভিন্ন ভিন্ন পোশাক পরিধান করেন। এটা ইসলামের উদারতার কারণেই। যারা এ উদারতাকে সংকীর্ণ করবে, তারাই সীমালঙ্ঘনকারী। আল্লাহ সীমালঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।
ঠিক টুপিও তাই। রাসূল সা, টুপি পরতেন, তবে নির্দিষ্ট কোন টুপি পরিধান করেন নি। তিনি মাঝে মাঝে এক খন্ড কাপড় মাথার উপরে এমন ভাবে রাখতেন, যা মাথার তৈলের কারণ মাথার সাথে লেপটে যেতো। তিনি মাথা ঢেকে চলা পছন্দ করতেন। টুপির উদ্দেশ্যও মাথা ঢেকে রাখা। তাই তো সৌদি আরব, ওমান, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের আলেমগণ ভিন্ন ভিন্ন টুপি পরিধান করেন। এটাও ইসলামের উদারতার কারণেই। নির্দিষ্ট কোন ডিজাইনের টুপিকে সুন্নাত মনে করা— ইসলামের উদারতাকে সংকীর্ণ করার নামান্তর। যারা এক কল্লি, তিন কল্লি, পাঁচ কল্লি, লম্বা, গোল, উঁচু, নীচু ইত্যাদির কোনটিকে সুন্নাত বানাবে— তারা সীমালঙ্ঘনকারী।
আমি উঁচু টুপি পরিধান করি। এটা আমার ভালো লাগে। কিন্তু যারা ভিন্ন টুপি পরে তাদের ব্যাপারে কখনো মনে সামান্য বিরুপ চিন্তা তৈরি হয় না। হবেই বা কেন? এটা তো তার এখতিয়ার। এ টুপি মাথায় দিয়ে চরমোনাই গিয়েছি, আহমদ শফী র, এর জানাজায় হাটহাজারী গিয়েছি। কোন অসৌজন্যতা পাইনি। বরং পীর সাহেব হুজুরদ্বয়ের মেহমানদারী ও হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্রদের ভালোবাসায় দারুণভাবে সিক্ত হয়েছি।
আজ বাংলাদেশে এ সীমালঙ্ঘন কর্মটা হয়ে গেছে ইসলাম বা হক্ক চেনার আলামত! টুপি আর জামার সাইজ দেখে হক্ক তালাশ করছে। মন মত টুপি বা জামা না হলে মাদ্রাসা বা দরবারে বাঁকা চোখে দেখা হচ্ছে। তবে কোন প্রতিষ্ঠানে ড্রেস কোড থাকলে সেটা ভিন্ন কথা।
আচ্ছা, মক্তবেও কি ড্রেস কোড আছে? এটা জীবনে গতকাল প্রথম শুনেছি! ভিন্ন টুপির কারণে ওস্তাজ ছাত্রকে মক্তব থেকে বের করে দিয়েছেন। আসলে ড্রেস কোড নয়, আমরা কেউ কেউ বিভক্তির চাষ করছি। যে বিভক্তি ইসলামে হারাম, সেটাকে ইনিয়ে-বিনিয়ে আমরা ইবাদত বানাচ্ছি!
হে রব! আমাদের সঠিক বুঝ দাও।
আমাদের মাঝে ঐক্য ও ভালোবাসা দাও।
লিখেছেন: ড. আবুল কালাম আজাদ (বাশার) হাফি.

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন