বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আমাদের দেশ থেকে মেধা পাচার নিয়ে অনেক কথা হয়েছে এবং হচ্ছে। হোক অর্থনৈতিক, সামাজিক কিংবা রাজনৈতিক এ দেশ থেকে প্রচুর মেধাবী মানুষ বাইরে চলে যাচ্ছেন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায় অনেক বাংলাদেশী বিজ্ঞানী গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত আছেন। আধুনিক বিশ্বে বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের সাথে বাংলাদেশীর নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ হচ্ছে। অথচ দেশে এদের অনেকই ছিলেন অবহেলিত ও উপেক্ষিত।
এক মেধাবী তরুণের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল কয়েক বছর আগে। ফটিকছড়ি বখতপুর হিরাগাজি বাড়ির ছেলে হাফেজ নাঈম। পরিচয়ের সূত্র আমার লেখালেখি। বিভিন্ন দৈনিক ও সাময়িকীতে আমার লেখা পড়ে সেই আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেছিলে। একদিন সে আমার সাথে কথা বলার জন্য কলেজে চলে আসে। প্রথম দিনেই তার মেধা এবং জ্ঞানের গভীরতা আমাকে মুগ্ধ করে। কিতাবি জ্ঞানের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির উপর তার দখল আমাকে বিষ্মিত করে। হাফেজ নাঈম মাঝে মধ্যে আমার সাথে কথা বলত। একদিন শুনলাম সে মধ্যপ্রাচ্যের কাতার চলে গেছে এবং কাতারের রাজধানী দোহায় একটি মসজিদে খতিবের দায়িত্বে আছে।
গত ২ মার্চ চট্টগ্রাম শহরের একটি অভিজাত হোটেলে আহলে বাইত এর মর্যাদা বিষয়ে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। আহলে বাইত বা নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পরিবার ও বংশের মর্যাদা ইসলামি আকিদার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে অন্যানের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও আন্তর্জাতিক ইসলামি বিশ্বদ্যালয় চট্টগ্রাম থেকে অধ্যাপকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আমার সৌভাগ্য যে, আলোচকদের মধ্যে প্রধান অতিথি এবং প্রধান বক্তার পরই ছিল আমার অবস্থান।
সেমিনার শুরুর কয়েক ঘন্টা আগে আহলে বাইত এর উপর হাফেজ নাঈম এর একটি লেখা আমার হাতে আসে। সময় ছিল না, তাই একবার চোখ বুলিয়েই আমি লেখাটি রেখে দিয়েছিলাম। আলোচনা শেষে রাতে লেখাটি গভীর মনোযোগসহকারে পড়লাম। খুবই তথ্যসমৃদ্ধ লেখা। প্রতিটি কথার সাথে রেফারেন্স। আফসোস! যদি লেখাটি একদিন আগে আমার হাতে আসত, সেমিনারে আমার আলোচনা আরো বেশি প্রাণবন্ত ও আকষর্ণীয় হত।
হাফেজ নাঈমের মত মেধাবী তরুণকে আমরা ধরে রাখতে পারি নি। দেশে এজাতীয় মেধাবী লোকদের গবেষণায় কাজে লাগাতে পারলে আমরা অনেক বেশি উপকৃত হতাম।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন