বাংলাদেশ বার্তাঃ ২০১৮ সালে সরকারকে অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে বলে ক্ষমতাসীনদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার(২৮ ডিসেম্বর)দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির স্বাধীনতা হলে দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন আয়োজিত এক গণ বৈঠকে তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
'রাজনীতি-স্বার্থ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা: প্রতিবেশির ভূমিকা'শীর্ষক গণবৈঠকের আয়োজন করা হয়।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ২০১৮ সাল হবে গণতন্ত্র, বাক-স্বাধীনতা, আইনের শাসন, নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে আনার বছর। আর আপনারা (সরকার) যদি মানুষের সিদ্ধান্তের বিপক্ষে যান তাহলে তার দায়-দায়িত্ব আপনাদের নিতে এবং অনেক উচ্চ মূল্য দিয়ে বিদায় নিতে হবে।
তিনি বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলা সাথে খালেদা জিয়ার কোন সম্পৃক্তা নেই। এটা জেনে শুনেও সরকার সেই পথেই যাচ্ছে। কারণ তাদের আর কোন পথ নেই। আমি বলতে চাই, সে পথে সরকার না গেছেই তাদের জন্য ভালো হবে। কারণ এই সরকার ও দল বিগত দিনে এ পথেই চলেছে। আমি তাদের বলতে চাই, সেই পিচ্ছিল পথে আর যাবেন না। সেই পিচ্ছিল পথে দয়া করে আর চলবেন না। সেই পথে চলতে গিয়ে অনেক মূল্য দিয়েছেন। আগামী দিনে আরও বেশী বড় মূল্য দিতে হবে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা প্রসঙ্গে খসরু বলেন, এটা আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রজেক্টের একটি অংশ। এই প্রজেক্টের কাজ হলো, বাংলাদেশের জনগণকে নির্বাচনের বাইরে রেখে ক্ষমতা দখলের একটি প্রক্রিয়া। এই প্রজেক্টের আওতায় তারা অনেকগুলো ঘটনা ঘটাচ্ছে। এর মধ্যে, গুম, ক্রসফায়ার, মিথ্যা মামলা, জেল, মানুষকে পঙ্গু করা, এলাকা ভিত্তিক সন্ত্রাসী সৃষ্টি, সম্পদ ও ব্যবসা দখল করা এবং সব চেয়ে বড় প্রজেক্ট হচ্ছে, বেগম জিয়াকে আগামী নির্বাচনের বাইরে রাখা। আর এই প্রজেক্টকে সফল করার জন্যই খালেদা জিয়া বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলা।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, রংপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের ৬০ শতাংশ ভোট কমেছে, আর বিএনপির ৪০ শতাংশ ভোট বেড়েছে। এই অনুপাতটা সারাদেশে চিন্তা করেন। আমি আওয়ামী লীগের একটি আসনও জেতার কারণ দেখতে পাচ্ছি না।
নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগের একটি আসন পাওয়ারও আর সম্ভবনা নাই মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে। সুতরাং আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি শুধু জয়ী হবে না, বিশালভাবে জয়ী হবে।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে গণ বৈঠকে আরও বক্তব্য দেন-বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম,বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ দিলারা চৌধুরী,সাবেক রাষ্ট্র দূত সিরাজুল ইসলাম পিরোজপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, জাকির হোসেন ,অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া জিনাফের সভাপতি মিয়া মো:আনোয়ার, আলতাফ হোসেন সরদার, রমিজউদ্দিন রমি, কাদের সিদ্দিকী,মোস্তফা কামাল, সংগঠনের নেতা এডঃরহিম, রাসেল খান, আনোয়ার হোসেন,সোহেল প্রমুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন