বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার বলেছেন, ৩০ ডিসেম্বরে ভোটের দিন ব্যাপক সহিংসতার আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার বিকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
আর্ল রবার্ট মিলার আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে। শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল-সমাবেশে সবার অধিকার থাকবে।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ থাকবে। সবার জন্য সমান অধিকার থাকবে। সভা-সমাবেশ, মিছিল, মিটিংয়ে সবার অধিকার থাকবে।
রবার্ট মিলার বলেন, এখন পর্যন্ত যে সহিংসতা হয়েছে তাতে তারা উদ্বিগ্ন। ভোটের দিন অধিক মাত্রায় সহিংসতার আশঙ্কা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ জন্য ব্যবস্থা নিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রবার্ট মিলার বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আমরা বলেছি যুক্তরাষ্ট্র গত দুই সপ্তাহের নির্বাচনী সংহিসতা নিয়ে অবগত আছে। বড় বড় নেতারাসহ সংখ্যালঘুরা সহিংসতায় আক্রান্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, অধিকাংশ বড় নেতারাই বিরোধী দলের। পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য সহিংসতা প্রতিরোধে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা কী জানতে এসেছিলাম। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের মানুষের কাছে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক দেখতে চায়।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, জাতিসংঘের (ইউএন) মহাসচিব একটা বিবৃতি দিয়েছেন। সেই দাবি আমাদেরও। তিনি বলেছেন- নির্বাচনের আগে ও পরে সকল অংশীজনের কাছে তিনি সহিংসতামুক্ত শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক পরিবেশ নিশ্চিত করতে বলেছেন। যেন সংখ্যালঘুসহ সকল বাংলাদেশি ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। সুশীল সমাজ, পর্যবেক্ষকরা যেন সম্পূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে।
এরআগে বিকাল ৪টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এ বৈঠক শুরু হয়।
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মাহবুব তালুকদার, মো. রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন ও কবিতা খানম, নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদসহ আটজন উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতসহ চারজন ছিলেন বৈঠকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন