ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সুন্দর সমাজব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন কুরআনি সমাজ প্রতিষ্ঠা, __ ড. মোবারক হোসাইন ৷ ৷ প্রথম পর্ব

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ মহাগ্রন্থ আল কুরআন। স্রষ্টার মহাদান, রাসূল (সা)-এর শ্রেষ্ঠ মোজেজা, বান্দার জন্য রহমতের ভান্ডার। সর্বোপরি বিশ্বমানবতার মুক্তির মহাসনদ। কুরআন এমন একটি কিতাব যা তিলাওয়াত করলেও সওয়াব, শুনলেও সওয়াব, শিখলেও সওয়াব, শেখালেও সওয়াব, আমল করলেও সওয়াব, কাউকে আমল করতে উৎসাহিত করলেও সওয়াব। কুরআনি সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে শহীদ হলেও সওয়াব, গাজী হলেও সওয়াব। পৃথিবীতে কুরআন ছাড়া এমন কোনো গ্রন্থ নেই যা তার অনুসারীদেরকে এভাবে উজ্জীবিত করে।
কুরআন নাজিলের মূল উদ্দেশ্যঃ
১. সঠিক পথনির্দেশনা-
কুরআন বিশ্ববাসীর জন্য হেদায়েত, রহমত ও সুসংবাদের ঘোষণা এবং দিশেহারা মানুষকে সঠিক পথের সন্ধান দানের নিমিত্তে আল্লাহ তায়ালা আল কুরআন অবতীর্ণ করেন।

২. সমস্যার সমাধান-
বিশ্বমানবতা যখন চরম সমস্যায় জর্জরিত হয়ে অন্ধকারে নিমজ্জিত, যখন বিশ্বমানবতা আশা করছিল ওপরের ফয়সালা, ঠিক তখনিই আল্লাহ তায়ালা সব সমস্যার সমাধানকল্পে আলোকবর্তিকা রূপে কুরআনুল কারিম অবতীর্ণ করেন।

৩. সতর্কবার্তা প্রদান-
কুরআন আল্লাহপ্রদত্ত সব নেয়ামতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার পাশাপাশি অতীতের হটকারী জাতিগুলোর ভুলের শোচনীয় পরিণামসমূহ উল্লেখের মাধ্যমের মানবসমাজকে সতর্কতা প্রদানের নিমিত্তে আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়।
৪. ভ্রান্ত বিশ্বাসের অপনোদন-
ইসলাম-পূর্ব আরব সমাজের লোকেরা বিভিন্ন ভ্রান্ত আকিদা পোষণ করত। নিজেদের মনমতো বিধান তৈরি করে জীবন অতিবাহিত করত। তারা ছিল চরম কুসংস্কারে আচ্ছন্ন। তাদের সে ভ্রান্ত ধ্যান-ধারণা খন্ডনের নিমিত্তে কুরআন অবতীর্ণ হয়।

৫. ইসলামী সমাজের রূপরেখা প্রণয়ন- মানবরচিত সব মতাদর্শ উৎখাত করে ইসলামী সমাজের বাস্তব রূপরেখা প্রণয়ন তথা কুরআনের বিধান কায়েম করা। বস্তুত এটাই ছিল কুরআন নাজিলের মূল উদ্দেশ্য।
৬. শিরকমুক্ত সমাজ গঠন-
আল-কুরআন নাজিলের পূর্বে মানবতা ছিল জাহেলিয়াতের ঘোর অন্ধকারে আচ্ছন্ন। শিরক, কুফর আর নিফাকিতে সয়লাব ছিল মানবসমাজ। কুরআন এসেই বিশ্ববাসীকে এসব মুনকার কাজ থেকে মুক্ত করে ইহকালীন শান্তি ও পরকালীন মুক্তির পথনির্দেশ প্রদান করে।

৭. ইনসাফ প্রতিষ্ঠা-
অন্যায়, জুলম-অত্যাচার, মানবাধিকার লঙ্ঘনে বিশ্বমানবতা অস্থির। আর এ জন্য দরকার ন্যায় ও ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠিত হওয়া। কুরআন নাজিলের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হলো ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

৮. রবের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নয়ন-
প্রতিটি মুমিনেরই একান্ত কামনা থাকে তার মনিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ লাভ। কুরআন এ কামনা পূরণে পথনির্দেশ হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছে।

৯. সত্যায়নকারী-
সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ আসমানি কিতাব হলো আল-কুরআন। এর আগে অনেক আসমানি কিতাব ও অগণিত নবী-রাসূল পৃথিবীতে আগমন করেছেন। কুরআন এসে পূর্ববর্তী নবী-রাসূলসহ আল্লাহপ্রদত্ত আসমানি কিতাবের সত্যতা প্রমাণ করেছে।

১০. তাজকিয়ায়ে নফস-
সর্বোপরি দুনিয়ার সব কর্মকান্ডে বান্দার আত্মপরিশুদ্ধি লাভে কুরআন এক কার্যকর টনিক হিসেবে অবতীর্ণ হয়।
কুরআনি সমাজ কেন দরকার?
কুরআনি সমাজ মানে আল্লাহর অহির দিকনির্দেশনার আলোকে সমাজ পরিচালিত হবে। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহর হেদায়েতের অনুসরণের বিকল্প নেই। আল্লাহর রাসূল হিলফুল ফুজুুল করেও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। হেরাগুহায় ধ্যান করেছিলেন। অহি দিয়ে ২৩ বছরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করেন। সুন্দরী রমণী ঘর থেকে একাকী বের হতে পারতো। জাকাত নেয়ার মতো লোক ছিল না। হযরত আবদুল আজিজ ছেলেকে রাষ্ট্রীয় তহবিলের একটি খেজুর দেননি আল্লাহর ভয়ে। ব্যক্তিগত কথা বলার সময় রাষ্ট্রেীয় অর্থের বাতি নিভিয়ে রাখতেন। কুরআনি সমাজ ছাড়া এমন সুখ পাওয়া যায় না।
পুরো লিখাটা ধারাবাহিকভাবে পর্ব আকারে চলবে ইনশাআল্লাহ ৷
 লেখক: সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন