ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ২০ জুলাই, ২০২১

মহানগরী জামায়াতের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা

 

বাংলাদেশ বার্তা: মহানগরী জামায়াতের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামবাসীকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরীর আমীর জনাব মুহাম্মদ শাহজাহান এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষ্যে চট্টগ্রামবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আজ ১৯ জুলাই নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন-

“আল্লাহর জন্য নিজের জান-মাল ও প্রিয়তম জিনিস সন্তুষ্টচিত্তে বিলিয়ে দেয়ার এক সুমহান শিক্ষা নিয়ে প্রতি বছর ঈদুল আযহা আমাদের মাঝে ফিরে আসে। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী কুরবানী করা ওয়াজিব। আল কুরআনের সূরা কাউসারে বলা হয়েছে, ‘‘অতএব তোমার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কুরবানী কর।’’ সূরা হজ্বে বলা হয়েছে, ‘‘কুরবানী পশু মানুষের জন্য কল্যাণের নির্দেশনা।’’
কুরবানীর মহান আদর্শ নিয়ে পবিত্র ঈদুল আযহা আমাদের দ্বারে সমাগত। ঈদুল আযহা আমাদের সার্বিক ত্যাগের শিক্ষা দেয়। মুসলমানদের নিকট ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা- এ দু’টি ঈদই আনন্দের দিন। এ দু’ঈদে মানুষ সকল ভেদাভেদ, হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে পরস্পর পরস্পরের নিকটবর্তী হয় এবং ঈদগাহে গিয়ে নামাজ আদায় করে। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা আমাদেরকে শুধু আনন্দই দেয় না, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ও অনৈক্য ভুলে গিয়ে পরস্পরকে ভ্রাতৃত্ব, সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের বন্ধনে আবদ্ধ করে সামাজিক বন্ধনকে সুদৃঢ় করে। ঈদ আমাদের ব্যক্তিগত, সামাজিক ও জাতীয়ভাবে ঐক্যের বন্ধন শক্তিশালী করে।
ঈদুল আযহা মানুষকে ত্যাগ ও কুরবাণীর আদর্শে উজ্জীবিত করে সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও শোষণ দূর করে একটি শোষণমুক্ত ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য ত্যাগ স্বীকারে অনুপ্রেরণা দেয়। আমরা যদি ত্যাগের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলেই বাস্তবজীবনে ইসলামী আদর্শ অনুসরণ করে সমাজে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েম করতে পারি তাহলেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব হবে।
হযরত ইব্রাহিম (আঃ) ও তাঁর স্ত্রী বিবি হাজেরা ত্যাগের যে মহান আদর্শ স্থাপন করে গিয়েছেন সেইভাবে আমরাও যদি আল্লাহর দ্বীনের জন্য নিজেদের প্রিয়বস্তু, ধন-সম্পদ কুরবানী করার জন্য প্রস্তুত হতে পারি তাহলেই আমাদের কুরবানী স্বার্থক হবে।
জাতি এমন এক সময় পবিত্র ঈদুল আযহা উদযাপন করতে যাচ্ছে যখন গোটা দেশে করোনা মহামারী ক্রমবর্ধমান হারে সংক্রমন চলছে। বর্তমানে দেশে এক নৈরাজ্য ও শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার মাঝে মানুষ আজ দিনাতিপাত করছেন। কারাগারে আজ বিরোধী দলের অনেক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে বন্দী করে রাখা হয়েছে। এ ধরনের অমানবিক ও নিষ্ঠুর আচরণের প্রতিবাদের ভাষা আমাদের নেই।
পরিশেষে ঈদুল আয্হা উপলক্ষ্যে আমরা নগরবাসীর সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি তিনি আমাদের সবাইকে সুন্দর পরিবেশে ঈদুল আযহা উদযাপন করার ও ঈদুল আযহার শিক্ষা বাস্তব জীবনে ধারণ করার তাওফিক দান করুন। সেই সাথে জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর নায়েবে আমীর ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ জহিরুল ইসলামসহ গ্রেফতারকৃত সকল কেন্দ্রীয় ও স্হানীয় নেতা-কর্মীকে ঈদুল আযহার পূর্বেই মুক্তি দেয়ার জন্য নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।”

শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১

যিলহজ্জের দশদিনের ফযিলত

বাংলা;দেশ বার্তা  যিলহজ্জের দশদিনের ফযিলত বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ  যিলহজ্জের দশদিনের ফযিলত: যিলহজ্জের প্রথম দশদিন ইবাদতের মহান মৌসুম। আল্লাহ তাআলা বছরের অন্যসব দিনের উপর এ দিনগুলোকে মর্যাদা দিয়েছেন। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: “অন্য যে কোন সময়ের নেক আমলের চেয়ে আল্লাহর কাছে এ দিনগুলোর নেক আমল অধিক প্রিয়। তারা (সাহাবীরা) বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়!! তিনি বলেন: আল্লাহর পথে জিহাদও নয়; তবে কোন লোক যদি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এবং কোন কিছু নিয়ে ফেরত না আসে সেটা ভিন্ন কথা।”[সহিহ বুখারী (২/৪৫৭)]

তাঁর থেকে আরও বর্ণিত আছে যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: “আল্লাহর কাছে ঈদুল আযহার দশদিনে পালনকৃত নেক আমলের চেয়ে অধিক পবিত্র ও অধিক সওয়াবের অন্য কোন আমল নেই। জিজ্ঞেস করা হল- আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়? তিনি বললেন: না; আল্লাহর রাস্তায় জিহাদও নয়। তবে কোন লোক যদি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে এবং কোন কিছু ছাড়া ফেরত আসে।”।[সুনানে দারেমী (১/৩৫৭); হাদিসটির সনদ সহিহ, যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে ‘ইরওয়াউল গালিল’ গ্রন্থে (৩/৩৯৮)]
এ সকল দলিল ও অন্যান্য দলিল প্রমাণ করে যে, এ দশটি দিন বছরের অন্য দিনগুলোর চেয়ে উত্তম; এমনকি রমযানের শেষ দশ দিবসের চেয়েও উত্তম। তবে, রমযানের শেষ দশরাত্রি যিলহজ্জের দশরাত্রির চেয়ে উত্তম; যেহেতু ঐ রাতগুলোতে লাইলাতুল ক্বদর আছে, যে রাতটি হাজার রাতের চেয়ে উত্তম।[দেখুন: তাফসীরে ইবনে কাছীর (৫/৪১২)]
তাই একজন মুসলমানের কর্তব্য হচ্ছে- খাঁটি তওবা করার মাধ্যমে এ দিনগুলো শুরু করা। এরপর এ দিনগুলোতে অধিক হারে সাধারণ সকল নেক কাজ করা এবং নিম্নোক্ত আমলগুলোর উপর গুরুত্ব দেয়া:
১. রোযা রাখা: ৯ ই যিলহজ্জ রোযা রাখা। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দশদিনে নেক কাজ করার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। রোযা রাখা নেক কাজের অন্তর্ভুক্ত। রোযাকে আল্লাহ তাআলা নিজের জন্য নির্বাচন করেছেন। হাদিসে কুদসীতে এসেছে- “বনী আদমের সকল আমল তার নিজের জন্য শুধু রোযা ছাড়া। রোযা আমারই জন্য। তাই আমি এর প্রতিদান দিব।”[সহিহ বুখারী (১৮০৫)]
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যিলহজ্জের ৯ তারিখে রোযা রাখতেন। হুনাইদা বিন খালিদ থেকে তাঁর স্ত্রীর মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জনৈক স্ত্রী থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ৯ই যিলহজ্জ, আশুরার দিন ও প্রতিমাসে তিনদিন রোযা রাখতেন। মাসের প্রথম সোমবার ও প্রথম দুই বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন।[সুনানে নাসাঈ (৪/২০৫) ও সুনানে আবু দাউদ, আলবানী সহিহ সুনানে আবু দাউদ গ্রন্থে (২/৪৬২) হাদিসটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]
২. বেশি বেশি আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও আল্লাহু আকবার পড়া: কেননা এ দশদিনে তাকবীর দেয়া, আলহামদুলিল্লাহ পড়া, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ ও সুবহানাল্লাহ পড়া সুন্নত। মসজিদে ও বাড়ীঘরে ও সর্বস্থানে উচ্চস্বরে এগুলো পড়া। এর মাধ্যমে প্রকাশ্যে আল্লাহর ইবাদত পালন করা হয় ও আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়।
এগুলো পুরুষেরা প্রকাশ্যে পড়বে; আর নারীরা গোপনে পড়বে। আল্লাহ তাআলা বলেন:“যাতে তারা তাদের কল্যাণের স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে। এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা রিযিক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলোতে আল্লাহ্‌র নাম উচ্চারণ করতে পারে”[সূরা হজ্জ, আয়াত: ২৮] জমহুর আলেমের মতে, ‘নির্দিষ্ট দিনগুলো’ হচ্ছে- যিলহজ্জের দশদিন। দলিল হচ্ছে ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত উক্তি: “নির্দিষ্ট দিনগুলো হচ্ছে- যিলহজ্জের দশদিন।” ইবনে উমর (রাঃ) থেকে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আল্লাহর কাছে এ দশদিনের চেয়ে অধিক মহান ও আমল করার জন্য অধিক প্রিয় আর কোন দিন নেই। সুতরাং তোমরা এ দিনগুলোতে বেশি বেশি লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার ও আলহামদুলিল্লাহ পড়” [মুসনাদে আহমাদ (৭/২২৪), আহমাদ শাকের এ সনদটিকে সহিহ আখ্যায়িত করেছেন]
তাকবীর বলার পদ্ধতি হচ্ছে- ‘আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ’; এ ছাড়াও আরও কিছু পদ্ধতি বর্ণিত আছে।
বর্তমানে মানুষ এ দিনগুলোতে তাকবীর দেয়ার সুন্নত পালন করে না। বিশেষত যিলহজ্জ মাসের প্রথম দিকে আপনি খুবই কম সংখ্যক লোককে তাকবীর দিতে শুনবেন। অতএব, এ সুন্নতকে পুনরুজ্জীবিত করতে ও গাফেলদেরকে স্মরণ করিয়ে দিতে উচ্চস্বরে তাকবীর দেয়া বাঞ্ছনীয়। ইবনে উমর (রাঃ) ও আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে সাব্যস্ত আছে যে, যিলহজ্জের দশদিনে তাঁরা দুইজন বাজারে গিয়ে তাকবীর দিতেন এবং তাঁদের তাকবীর শুনে লোকেরাও তাকবীর দিত। অর্থাৎ লোকদের তাকবীরের কথা স্মরণ হত; তখন প্রত্যেকে নিজে নিজে তাকবীর দিত। এর দ্বারা দলবদ্ধভাবে একই সুরে তাকবীর দেয়া উদ্দেশ্য নয়; কেননা সেটা শরিয়তসম্মত নয়।
কোন বিস্মৃত সুন্নতকে পুনরুজ্জীবিত করা ও এতে প্রভূত সওয়াব থাকার দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যে ব্যক্তি আমার মৃত্যুর পর মৃতপ্রায় কোন সুন্নতকে পুনরুজ্জীবিত করবে সে ব্যক্তি ঐ সুন্নতটির উপর আমলকারীদের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে; কিন্তু, আমলকারীর সওয়াব থেকে কোন কিছু কমানো হবে না।”।[সুনানে তিরমিযি (৭/৪৪৩); অন্যান্য হাদিসের কারণে এটি ‘হাসান’ হাদিস]
৩. এ দিনগুলোতে হজ্জ ও উমরা পালন করা: এ দিনগুলোতে সবচেয়ে উত্তম আমল হচ্ছে- বায়তুল্লাহ- হারামের হজ্জ আদায় করা। আল্লাহ তাআলা যে ব্যক্তিকে তাঁর ঘরের হজ্জ আদায় করার তাওফিক দিয়েছেন সে ব্যক্তি যদি যথাযথভাবে সে হজ্জ আদায় করে তাহলে সে ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণীতে বর্ণিত প্রতিদানের অংশীদার হবে: “মাবরুর হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়”।
৪. কোরবানী করা: এ দশদিনের নেক আমলের মধ্যে রয়েছে- কোরবানীর পশুকে মোটাতাজা করা, হৃষ্টপুষ্ট করা ও জবাই করা এবং আল্লাহর রাস্তায় মাল খরচ করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য হাসিল করা।
অতএব, আসুন যেই দিন অবহেলাকারী আফসোস করবে সেই দিনের পূর্বে এবং যেই দিন সে দুনিয়ায় ফিরে আসার প্রার্থনা করবে; কিন্তু প্রার্থনা কবুল করা হবে না সেইদিনের পূর্বে আমরা এ মর্যাদাপূর্ণ দিনগুলোকে কাজে লাগাই।
সূত্র: ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব

বুধবার, ১৪ জুলাই, ২০২১

সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর

 

বাংলাদেশ বার্তা: সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সাহাবাদের ২৫ টি প্রশ্ন এবং রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর উত্তর।

আসুন নিচের উওর গুলোর সংগে নিজের জীবনের তুলনা করি!আমি আছি তো?
১. প্রশ্নঃ আমি ধনী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অল্পতুষ্টি অবলম্বন কর; ধনী হয়ে যাবে।
২. প্রশ্নঃ আমি সবচেয়ে বড় আলেম (ইসলামী জ্ঞানের অধিকারী) হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, তাক্বওয়া (আল্লাহ্ ভীরুতা) অবলম্বন কর, আলেম হয়ে যাবে।
৩. প্রশ্নঃ সম্মানী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সৃষ্টির কাছে চাওয়া বন্ধ কর; সম্মানী হয়ে যাবে।
৪. প্রশ্নঃ ভাল মানুষ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপকার কর।
৫. প্রশ্নঃ ন্যায়পরায়ণ হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা নিজের জন্য পছন্দ কর; তা অন্যের জন্যেও পছন্দ কর।
৬. প্রশ্নঃ শক্তিশালী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর উপর ভরসা কর।
৭. প্রশ্নঃ আল্লাহর দরবারে বিশেষ মর্যাদার অধিকরী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী আল্লাহকে স্মরণ (জিকির) কর।
৮. প্রশ্নঃ রিযিকের প্রশস্ততা চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সর্বদা অযু অবস্থায় থাকো।
৯. প্রশ্নঃ আল্লাহর কাছে সমস্ত দোয়া কবুলের আশা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, হারাম খাবার হতে বিরত থাকো।
১০. প্রশ্নঃ ঈমানে পূর্ণতা কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, চরিত্রবান হও ৷
১১. প্রশ্নঃ কেয়ামতের দিন আল্লাহর সাথে গুনামুক্ত হয়ে সাক্ষাৎ করতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জানাবত তথা গোসল ফরজ হওয়ার সাথে সাথে গোসল করে নাও।
১২. প্রশ্নঃ গুনাহ্ কিভাবে কমে যাবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, বেশী বেশী ইস্তেগফার (আল্লাহর নিকট কৃত গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা) কর।
১৩. প্রশ্নঃ কেয়ামত দিবসে আলোতে থাকতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, জুলুম করা ছেড়ে দাও।
১৪. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ তা’য়ালার অনুগ্রহ কামনা করি!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, আল্লাহর বান্দাদের উপর দয়া-অনুগ্রহ কর।
১৫. প্রশ্নঃ আমি চাই আল্লাহ্ তা’য়ালা আমার দোষ-ত্রুটি গোপন রাখবেন!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, অন্যের দোষ-ত্রুটি গোপন রাখ।
১৬. প্রশ্নঃ অপমানিত হওয়া থেকে রক্ষা পেতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যিনা (ব্যভিচার) থেকে বেঁচে থাকো।
১৭. প্রশ্নঃ আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর নিকট প্রিয় হতে চাই ?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, যা আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসূলের (সাঃ) এর নিকট পছন্দনীয় তা নিজের জন্য প্রিয় বানিয়ে নাও।
১৮. প্রশ্নঃ আল্লাহর একান্ত অনুগত হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, ফরজ সমূহকে গুরুত্বের সহিত আদায় কর।
১৯. প্রশ্নঃ ইহ্সান সম্পাদনকারী হতে চাই!
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, এমন ভাবে আল্লাহর এবাদত কর যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ অথবা তিনি তোমাকে দেখছেন।
২০. প্রশ্নঃ ইয়া রাসূলুল্লাহ! (সাঃ) কোন বস্তু গুনাহ্ মাফে সহায়তা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন,
ক) কান্না। (আল্লাহর নিকট, কৃত গুনাহের জন্য)
খ) বিনয়।
গ) অসুস্থতা।
২১. প্রশ্নঃ কোন জিনিষ দোযখের ভয়াবহ আগুনকে শীতল করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুনিয়ার মুছিবত সমূহ।
২২. প্রশ্নঃ কোন কাজ আল্লাহর ক্রোধ ঠান্ডা করবে?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, গোপন দান এবং আত্মীয়তার সম্পর্ক রক্ষা।
২৩. প্রশ্নঃ সবচাইতে নিকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, দুশ্চরিত্র এবং কৃপণতা।
২৪. প্রশ্নঃ সবচাইতে উৎকৃষ্ট কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, সচ্চরিত্র, বিনয় এবং ধৈর্য্য।
২৫. প্রশ্নঃ আল্লাহর ক্রোধ থেকে বাঁচার উপায় কি?
উঃ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করলেন, মানুষের উপর রাগান্বিত হওয়া পরিহার কর।
আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের সবাইকে আমল করার তৌফিক দান করুন।আমীন

চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ এবং মহানগর জামায়াতের তিন মহীরুহ মাওলানা শামসুদ্দিন রহঃ, মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী রহঃ এবং অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের রহঃ।

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ এবং মহানগর জামায়াতের তিন মহীরুহ মাওলানা শামসুদ্দিন রহঃ, মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী রহঃ এবং অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের রহঃ। বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ এবং মহানগর জামায়াতের তিন মহীরুহ মাওলানা শামসুদ্দিন রহঃ, মাওলানা মুমিনুল হক চৌধুরী রহঃ এবং অধ্যক্ষ মাওলানা আবু তাহের রহঃ।

বলতে গেলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জামায়াতে ইসলামীকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন এই তিন কিংবদন্তি মহাপুরুষ। একে অপরের হাত ধরে টানা ৫০ বছরের‌ও অধিক সময় তিনজনে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় জামায়াতের নেতৃত্ব তো দিয়েছেন‌। পাশাপাশি বৃহত্তর চট্টগ্রাম‌ থেকে চৌকস নেতৃত্ব, বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রেণী, শিক্ষা, মিডিয়া এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান তৈরিতে ব্যাপক একচ্ছত্র ভুমিকা রাখেন ।

একমাত্র এই তিনজনের হাত ধরেই বৃহত্তর চট্টগ্রামের জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্র শিবির তৈরি করে হামিদ হোসাইন আজাদের মতো ক্যাম্পাস কাঁপানো ছাত্র নেতা, অধ্যাপক মফিজুর রহমানের মতো ইসলামী চিন্তাবিদ, অধ্যাপক আহসান উল্লাহর মতো শিক্ষাবিদ রাজনীতিক, শাহজাহান চৌধুরীর মতো জননেতা, এ বি এম ছিদ্দিকুল্লার মত প্রাজ্ঞ আলেম রাজনীতিবিদ, এম এ তাহেরের মতো শ্রমিক নেতা।

এভাবে ডঃ আবু বকর রফিক, আফসার উদ্দিন চৌধুরী, ডাঃ রফিক, এডভোকেট বদিউল আলম, এডভোকেট শামসুদ্দিন মির্জা, এডভোকেট জিয়া, অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সহ অসংখ্য রতি-মহরথিদের এরকম লিস্টের পরিধি বাড়তেই থাকবে ।

ইতিহাসের এই তিন মহিয়ানের মেধাবী নেতৃত্বের বিকাশের জন্য নিজের জায়গা পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার এই প্রভাব চট্টগ্রাম ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলায় গিয়েও আছড়ে পড়ে, ফলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে উঠে আসে মীর কাসেম আলী, মাওলানা আবু তাহের, হামিদ হোসাইন আজাদ, মাওলানা শামসুল ইসলাম, আ,জ,ম, ওবায়দুল্লা, জসিম উদ্দিন সরকার, হামিদুর রহমান আজাদ, এনামুল হক মঞ্জু, মোহাম্মদ শাহজাহানের মতো কেন্দ্রীয় সভাপতিগন। এডোভোকেট শাহজালালের মতো আইনজীবী নেতা ।

চট্টগ্রাম ইসলামী আন্দোলনের এই তিন কিংবদন্তি মহানায়কের সময়েই চট্টগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার মিলে ছাত্র শিবিরকে দশ জন কেন্দ্রীয় সভাপতি উপহার দেন। মোদ্দা কথা হচ্ছে চট্টগ্রাম জামায়াতের মেধাবী নেতৃত্বের চূড়ান্ত বিকাশের জন্য এই তিনজন মহামানব চট্টগ্রামের উর্বর ময়দানকে তার জমির সমস্ত মেধাগুলোকে বের করে দেওয়ার জন্য পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। প্রতিহিংসা বা লোভের বশবর্তী হয়ে কারো অগ্রগতি।

ইয়া আমাদের প্রিয় তিন রাহবার কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন।

সোমবার, ১২ জুলাই, ২০২১

একজন দা’য়ী!

 

বাংলাদেশ বার্তা: একজন দা;য়ী বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ প্রত্যন্ত গ্রামে, পাহাড়ি অঞ্চলে ইসলাম এখনো টিকে থাকার অন্যতম কারণ এই ভাইটি। কত অমুসলিম যে তার হাতে মুসলিম হয়েছে, খৃষ্টান এনজিওদের খপ্পরে ঈমান হারিয়ে ফের ঈমান ফিরে পেয়েছে উনার কারণে!

এক কাপড়ে মাসও কাটিয়ে দিতেন পাহাড়ে ও অচীন পল্লীতে ঘুরে ঘুরে! সুদের জালে আটকা পড়া মানুষদের সাহায্য করতেন ঢাকা থেকে কালেকশন করে। মাঝেমধ্যে রাহমানিয়া আসতেন৷ শোনাতেন সেসব কাহিনী।

এরপর রাত যতই হোক, দেখতাম দাঁড়িয়ে যেতেন তাহাজ্জুদে। খুব কাঁদতেন। শিশুদের মতো। যাস্ট উম্মাহর দরদে!

আল্লাহর কসম! আমার এই দুই চোখ উনার মতো সাহসী ও উম্মাহ দরদী খুব কমই দেখেছে।
আজ ভাইটি নিখোঁজ। উনি যদি 'অপরাধ' করে থাকেন, তো গ্রেফতার দেখানো হোক! অন্তত উনার ছোট ছোট সন্তানগুলো 'বাবা বেঁচে আছে' বলে প্রবোধ নিক!
আপনাদের কাছে করজোড় মিনতি। আল্লাহর দোহাই লাগে ভাই। উনাকে নিয়ে পোস্ট করুন৷ দু'আ করুন।উনার সন্ধানে ভূমিকা রাখুন। প্লিজ।
সংগৃহীত

রবিবার, ১১ জুলাই, ২০২১

হাজ্বী আব্দুল হক এর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ

 

বাংলাদেশ বার্তা: হাজ্বী আব্দুল হক এর ইন্তেকালে শোক প্রকাশ বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম মহানগরীর ২৭নং দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড ছোটপোল, আব্দুল মজিদ সারাং এর বাড়ির নিবাসী হাজ্বী আব্দুল হক গতকাল রাত ১১.৩০ ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।

মরহুমের জানাজার নামায ১০/০৭/২১ ইং রোজ শনিবার সকাল ১০:০০ ঘটিকায় আগ্রাবাদ ছোটপোল বায়তুল জান্নাত জামে মসজিদে সম্পন্ন হয়েছে।

তাঁর ইন্তেকালে জনাব মাসুদ পারভেজসহ শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করেছেন। 

বিবৃতিতে মরহুমের রূহের মাগফিরাত কামনা করেছেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি এবং মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করছি তিনি যেন তার পরিবার-পরিজনদের সবর জামিল দান করেন। আমীন।।

বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই, ২০২১

শোক সংবাদ

 

বাংলাদেশ বার্তা: শোক সংবাদ বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মেহেরপুর জেলার সম্মানিত আমীর মাও: তাজউদ্দীন খানের বড়বোন সেলিনা বেগম (৫৮বছর) স্ট্রোক করে গত রাত ১২:০০ টার সময় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন ।

 মরহুমাকে আজ( ০৮ জুলাই) সকাল ৮ :০০ টার সময় আশরাফপুর গ্রামের সামাজিক কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হয়েছে। 

তিনি মৃত্যু কালে স্বামী , ছেলে -মেয়ে সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তার মৃত্যুতে মেহেরপুর জেলা জামায়াতের পক্ষ থেকে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি প্রদান করা হয়েছে। বিবৃতিতে, মরহুমার রূহের মাগফিরাত কামনা করা হয়েছে এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়েছে।

শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

নগরীর জলাবদ্ধতায় জামায়াতের উদ্বেগ এবং সমাধানে কতিপয় সুপারিশ পেশ করে বিবৃতি

বাংলাদেশ বার্তা: নগরীর জলাবদ্ধতায় জামায়াতের উদ্বেগ এবং সমাধানে কতিপয় সুপারিশ পেশ করে বিবৃতি বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা: নগরীর জলাবদ্ধতায় জামায়াতের উদ্বেগ এবং সমাধানে কতিপয় সুপারিশ পেশ করে বিবৃতি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন আজ এক বিবৃতিতে বলেন,"পৃথিবীর বুকে এরকম খুব কম শহরই আছে, যেখানে পাহাড়, সমুদ্র আর নদী একসাথে দেখতে পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম শহর সেরকমই একটি শহর, যেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অনুপম আঁধার। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনা আর খামখেয়ালির দরুণ এই শহর আজ বিপর্যস্ত। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা।"

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, "চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ২২টিতেই বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কম-বেশি জলাবদ্ধতা হয়। নগরীর ৬০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৬১৩ জন এসব ওয়ার্ডে বসবাস করছে। সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হয় চান্দগাঁও, পূর্ব ষোলশহর, শুলকবহর, চকবাজার, পশ্চিম বাকলিয়া, পূর্ব বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়া, উত্তর আগ্রাবাদ, দক্ষিণ আগ্রাবাদ, পাঠানটুলী, বকসিরহাট, গোসাইলডাঙা, উত্তর মধ্যম হালিশহর এলাকার মানুষদের। এই ১৩টি ওয়ার্ডে মোট বাসিন্দা ১৮ লাখ ২৮৫ জন। এ ছাড়া পাঁচলাইশ, মোহরা, পশ্চিম ষোলশহর, উত্তর কাট্টলী, রামপুর, উত্তর হালিশহর, পাথরঘাটা, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও দক্ষিণ হালিশহরের বাসিন্দাদেরও জলাবদ্ধতায় ভুগতে হচ্ছে। এ ৯টি ওয়ার্ডে বাস করে ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৩২৮ লোক।
সিটি করপোরেশনের বাজেট বই ও বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ১৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রায় ৩২৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু জল দূর করার টাকা যেন জলেই গেছে, জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৫১টি (শাখা-প্রশাখা মিলিয়ে ১১৮টি) খালের মধ্যে বর্তমানে দৃশ্যমান রয়েছে মাত্র ২৯টি। তার মধ্যে পুর্বাবস্থায় ফেরানো যাবে মাত্র ১৩টি। তিন দশক পূর্বেও এমন খালের অস্তিত্ব ছিল ২৭টি। এর মধ্যে ১০টির চিহ্নও নেই। মৃতপ্রায় খালের সংখ্যা ৬টি। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৮২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। বর্তমানে পাকা ও কাঁচা নালা-নর্দমা আছে যথাক্রমে ৭১০ কিলোমিটার ও ৫৫ কিলোমিটার। শুধু খাল ও নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলন করে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। এ সমস্যা দূর করতে সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করার বিকল্প নেই।
এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়। তবে বর্ধিত সময়ে কাজ শেষ হবে কি-না তা নিয়েও ইতোমধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। কাজের এই মন্থরগতি এবারের জলাবদ্ধতা যেন আরও বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর সাগর ও নদীর পাশে গড়ে উঠেছে। এই সাগর নদী ক্রমশ নাব্যতা হারাচ্ছে। উন্নত বিশ্বে সিংগাপুরসহ নদী বেষ্টিত শহরগুলোতে যেভাবে নদী শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে আমরা সেভাবে পারিনি ঠিক আছে কিন্তু তার কাছাকাছি কোন পরিকল্পনাও বাস্তবাসন হতে দেখিনা। সব মিলিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত আমাদের এই নগর।
জলাবদ্ধতার কারণ :
১/ সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি: সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধির কারনে খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পানি যেখানে পড়বে (কর্ণফুলী নদীতে), সেখানে মুখগুলো উঁচু হয়ে গেছে। ফলে জোয়ারের সময় নদীর পানি সহজে প্রবেশ করছে, পরে আর বের হতে পারছে না। এতে পানি অবাধে শহরে প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে যায়। যখন একই সময়ে বৃষ্টিপাত ও উচ্চ জোয়ার থাকে, তখন অবস্থা ভয়াবহ হয়। জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী ও বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত খালগুলোর মুখে ৩৬টি জোয়াররোধক ফটক (টাইডাল রেগুলেটর) নির্মাণের কথা বলা হয় মহাপরিকল্পনায়। পরিকল্পনা মত সিডিএর ২ প্রজেক্ট মিলে ১৭টি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৩টিসহ মোট ৪০টি স্লুইস গেইট নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে গেলে চাক্তাই, রাজাখালী, ডোমখালী ও মহেশখালসহ অন্যান্য খাল দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টি ছাড়াই আর ডুবে যাবেনা।
২/ ড্রেনেজ মাষ্টার প্লান বাস্তবায়ন না করা: ড্রেনেজ মাষ্টার প্লান বাস্তবায়ন না করে জোড়াতালির কাজ করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বৃষ্টি ও জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা কিংবা বন্যা- এসব দুর্ভোগ থেকে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ১৯৯৫ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘চিটাগাং স্টর্ম ওয়াটার ড্রেনেজ অ্যান্ড ফ্লাড কন্ট্রোল মাস্টারপ্ল্যান’। এটি ‘ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা’ নামে পরিচিত। নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে কী করণীয়, এই মহাপরিকল্পনায় এর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। কিন্তু নগরীর মহাপরিকল্পনা অগ্রাধিকার প্রকল্প এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ জন্য সিটি করপোরেশন, সিডিএ, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও অর্থের অভাব অনেকাংশেই দায়ী।
৩/ আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা: যুগের চাহিদার আলোকে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় নালা-নর্দমা ও খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করার মানসিকতাও জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট হওয়ার একটি কারণ।
৪/ পাহাড় কাটা: অবৈধভাবে পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ি মাটি ও বালু বৃষ্টির পানির সঙ্গে এসে নালা-নর্দমা ভরাট হয়ে গেছে। এতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি করছে।
৫/ অবৈধ দখল: অবৈধ দখল-দুষণে পলি জমে নাব্যতা হারাচ্ছে কর্ণফুলী নদী। আবার যেসব নালা-নর্দমা আছে, সেগুলো মানুষ দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে এবং সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। নিচু এলাকা এবং জলাধার ও জলাশয় ভরাট করে ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এতে ড্রেনেজ এলাকা কমে যাচ্ছে। জলাশয় ভরাট মামলায় তেমন কেউ শাস্তি পাচ্ছেনা।
৬/ কর্ণফুলীর নাব্যতা না থাকা: কর্ণফুলী পাড়ে গড়ে উঠা আমাদের চট্টগ্রাম শহর প্রতিদিন একটু একটু করে নাব্যতা হারাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ সিংগাপুরের শহর গুলোর দিকে তাকালে এটা স্পষ্ট হয় যে তারা কত সুপার নাব্যতা ফিরিয়ে দিয়ে নদীগুলো শাসন করছে। আমরাও আমাদের শহর বেষ্টিত নদীগুলোকে সেভাবে শাসন করতে না পারলে যত স্লুইস গেইটই হোকনা কেন জলাবদ্ধতা নিরসনে তা কোন কাজে আসবেনা।
৬/ অপরিকল্পিত নগরায়ন: পরিকল্পিতভাবে নগরায়ণের কোনো সুযোগ-সুবিধা না থাকায় মানুষ যত্রতত্র বাড়ি তৈরি করছে। আগে যেখানে পানি জমত, সেগুলো ভরাট করছে। পাহাড় কেটে বাড়ি করছে। খাল সমূহের ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় অপরিকল্পিত নগরায়নে র্বষায় দ্রুত পানি নির্গমন পথ অবরুদ্ধ হয়ে জলবদ্ধতা তৈরি হয়। আবার খালের ভিতর দিয়ে সেবা সংস্থার পাইপলাইন গিয়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
৭/ স্যুয়ারেজ ব্যাবস্থা না থাকা: ৫৯ বছরেও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি ওয়াসা। ফলে ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি খালের মধ্যে পলি জমিয়ে দেয়। সেই পলিতে র্বষা মৌসুমে পানি আটকে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
সম্ভাব্য সমাধান :
১/ ড্রেনেজ মাষ্টার প্লান বাস্তবায়ন: এই সমস্যা সমাধান করতে ১৯৯৫ সালে প্রণীত চট্টগ্রাম ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবে যথেষ্ট পরিমাণ গবেষণা ও পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রয়োজন আছে। যেহেতু এই মাষ্টার প্লান প্রণয়নের পর অনেক সময় চলে গেছে। বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এই মহাপরিকল্পনাকে সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হবে। ১৯৯৫ এর মাষ্টার প্লানের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু এর অপরিহায্যতা ও বাস্তবতা শেষ হয়নি। তাই নতুন মাষ্টার প্লান তৈরিতে পুনরায় অর্থ অপচয় না করে আগের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সরকারী বরাদ্ধের যোগান বাড়াতে হবে।
২/ ৪০ টাইডাল রেগুলেটর দ্রুত নির্মাণ : জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী ও বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত খালগুলোর মুখে জোয়াররোধক ফটক (টাইডাল রেগুলেটর) বেশি করে নির্মাণ করা প্রয়োজন। দীর্ঘ ২ যুগ পরে হলেও মহাপরিকল্পনা ফলো করে সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাতে যে ৪০ স্লুইসগেইট নির্মাণের কাজ চলছে তা দ্রুত শেষ করতে হবে। তা যেন কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই অবস্থা না হয়।
৩/ মেগা প্রজেক্টে কাজের দ্রুতগতি:
জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য গৃহিত মেগা প্রজেক্ট যে গতিতে কাজ শুরু হয়েছিল তা এই পর্যায়ে এসে মন্থর হয়ে গেছে। এটা দ্রুত শেষ করতে হবে।
৪/ কার্যকরী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আধুনিক ও কার্যকরী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ বা সার উৎপাদনে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত প্রকল্প প্রস্তাব দ্রুত পাশ হলে নালা-নর্দমা ও খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করার মানসিকতা দুর হবে। গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা নালা-নর্দমার মাধ্যমে খাল ও নদীতে চলে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। আপাতত বর্তমানে প্রচলিত ময়লা ব্যবস্থাপনায় নজরদারি জোরদার করতে হবে।
৫/ জোরদার নদী শাসন : নিয়মিত ড্রেজিং করে কর্ণফুলীর গভীরতা বাড়াতে হবে। নদীর আশপাশে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। নগরের সব খাল পুনরুদ্ধার, নিয়মিত খনন এবং রাস্তার পাশে নালার গভীরতা ও প্রশস্ততা বাড়াতে হবে। জলাশয়, ডোবা ও পুকুর ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
৬/ পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ: পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা, খাল ও নালা-নর্দমার অপদখল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। নতুন তিনটি খাল খনন এবং খালগুলোর অপ্রয়োজনীয় বাঁক সংশোধন করে সোজা করা প্রয়োজন।
৭/ বালু রোধে সিলট্র্যাপ: পাহাড়ের বালু রোধে সিলট্র্যাপ (পাহাড়ি বালু আটকানোর ফাঁদ) করা নির্মাণ প্রয়োজন।
৮/ জলাধার সংরক্ষণ: সাগর ও নদীর কাছাকাছি নিচু এলাকায় জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে। নালা ও খালের ভিতর থাকা সেবা সংস্থার পাইপলাইন সরিয়ে নিতে হবে।
৯/ কারিগরি ত্রু‌টি সংশোধন ও আবর্জনা মুক্ত খাল : নালা-নর্দমা ও খালগুলোর কারিগরি ত্রু‌টি সংশোধন করতে হবে। নালা-নর্দমা ও খালে যাতে কেউ আবর্জনা ফেলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই হবে।
১০/ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলের কার্যালয়গুলোকে সক্রিয় ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
১১/ সমন্বিত ফ্লাড কন্ট্রোল ইউনিট' গঠন: সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে সিডিএ, বন্দর, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব সেবা সংস্থার সমন্বয়ে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাদের যে বাজেট তাতে তাদের পক্ষে কঠিন। এ জন্য সরকারি সব সংস্থা, যেমন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রেলওয়ের সমন্বয়ে 'ফ্লাড কন্ট্রোল ইউনিট' গঠন করে একে প্রয়োজনী বরাদ্ধ দিতে হবে।
১২/ জনসচেতনতা তৈরি: পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনসহ চট্টগ্রামকে নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক ও সুশিল সমাজকে কাজে লাগিয়ে পুরো নগরকে ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করে নগরবাসীকে সচেতন করতে হবে। তা না হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে না।"
প্রদত্ত বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের পক্ষ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবী জানানো হয়৷