ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ২ জুলাই, ২০২১

নগরীর জলাবদ্ধতায় জামায়াতের উদ্বেগ এবং সমাধানে কতিপয় সুপারিশ পেশ করে বিবৃতি

বাংলাদেশ বার্তা: নগরীর জলাবদ্ধতায় জামায়াতের উদ্বেগ এবং সমাধানে কতিপয় সুপারিশ পেশ করে বিবৃতি বার্তা বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বার্তা: নগরীর জলাবদ্ধতায় জামায়াতের উদ্বেগ এবং সমাধানে কতিপয় সুপারিশ পেশ করে বিবৃতি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মুহাম্মদ শাহজাহান এবং সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমীন আজ এক বিবৃতিতে বলেন,"পৃথিবীর বুকে এরকম খুব কম শহরই আছে, যেখানে পাহাড়, সমুদ্র আর নদী একসাথে দেখতে পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম শহর সেরকমই একটি শহর, যেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অনুপম আঁধার। কিন্তু নানা অব্যবস্থাপনা আর খামখেয়ালির দরুণ এই শহর আজ বিপর্যস্ত। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই প্রবল বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকা।"

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, "চট্টগ্রাম নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের ২২টিতেই বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে কম-বেশি জলাবদ্ধতা হয়। নগরীর ৬০ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ৩১ লাখ ২৩ হাজার ৬১৩ জন এসব ওয়ার্ডে বসবাস করছে। সবচেয়ে বেশি জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ পোহাতে হয় চান্দগাঁও, পূর্ব ষোলশহর, শুলকবহর, চকবাজার, পশ্চিম বাকলিয়া, পূর্ব বাকলিয়া, দক্ষিণ বাকলিয়া, উত্তর আগ্রাবাদ, দক্ষিণ আগ্রাবাদ, পাঠানটুলী, বকসিরহাট, গোসাইলডাঙা, উত্তর মধ্যম হালিশহর এলাকার মানুষদের। এই ১৩টি ওয়ার্ডে মোট বাসিন্দা ১৮ লাখ ২৮৫ জন। এ ছাড়া পাঁচলাইশ, মোহরা, পশ্চিম ষোলশহর, উত্তর কাট্টলী, রামপুর, উত্তর হালিশহর, পাথরঘাটা, দক্ষিণ মধ্যম হালিশহর ও দক্ষিণ হালিশহরের বাসিন্দাদেরও জলাবদ্ধতায় ভুগতে হচ্ছে। এ ৯টি ওয়ার্ডে বাস করে ১৩ লাখ ২৩ হাজার ৩২৮ লোক।
সিটি করপোরেশনের বাজেট বই ও বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে গত ১৪ অর্থবছরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন প্রায় ৩২৪ কোটি টাকা খরচ করেছে। কিন্তু জল দূর করার টাকা যেন জলেই গেছে, জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ আরো বেড়েছে। চট্টগ্রাম মহানগরীতে ৫১টি (শাখা-প্রশাখা মিলিয়ে ১১৮টি) খালের মধ্যে বর্তমানে দৃশ্যমান রয়েছে মাত্র ২৯টি। তার মধ্যে পুর্বাবস্থায় ফেরানো যাবে মাত্র ১৩টি। তিন দশক পূর্বেও এমন খালের অস্তিত্ব ছিল ২৭টি। এর মধ্যে ১০টির চিহ্নও নেই। মৃতপ্রায় খালের সংখ্যা ৬টি। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৮২ দশমিক ২৫ কিলোমিটার। বর্তমানে পাকা ও কাঁচা নালা-নর্দমা আছে যথাক্রমে ৭১০ কিলোমিটার ও ৫৫ কিলোমিটার। শুধু খাল ও নালা-নর্দমা থেকে মাটি উত্তোলন করে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন করা সম্ভব নয়। এ সমস্যা দূর করতে সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে সব সংস্থার মধ্যে সমন্বয় করার বিকল্প নেই।
এ ছাড়া জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বাস্তবায়নাধীন মেগা প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৬১৬ কোটি ৪৯ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া এ প্রকল্প ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় এক বছর সময় বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়। তবে বর্ধিত সময়ে কাজ শেষ হবে কি-না তা নিয়েও ইতোমধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে। কাজের এই মন্থরগতি এবারের জলাবদ্ধতা যেন আরও বহুগুনে বাড়িয়ে দিয়েছে।
চট্টগ্রাম নগর সাগর ও নদীর পাশে গড়ে উঠেছে। এই সাগর নদী ক্রমশ নাব্যতা হারাচ্ছে। উন্নত বিশ্বে সিংগাপুরসহ নদী বেষ্টিত শহরগুলোতে যেভাবে নদী শাসন ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে আমরা সেভাবে পারিনি ঠিক আছে কিন্তু তার কাছাকাছি কোন পরিকল্পনাও বাস্তবাসন হতে দেখিনা। সব মিলিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত আমাদের এই নগর।
জলাবদ্ধতার কারণ :
১/ সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধি: সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বৃদ্ধির কারনে খাল দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পানি যেখানে পড়বে (কর্ণফুলী নদীতে), সেখানে মুখগুলো উঁচু হয়ে গেছে। ফলে জোয়ারের সময় নদীর পানি সহজে প্রবেশ করছে, পরে আর বের হতে পারছে না। এতে পানি অবাধে শহরে প্রবেশ করে লোকালয় তলিয়ে যায়। যখন একই সময়ে বৃষ্টিপাত ও উচ্চ জোয়ার থাকে, তখন অবস্থা ভয়াবহ হয়। জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী ও বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত খালগুলোর মুখে ৩৬টি জোয়াররোধক ফটক (টাইডাল রেগুলেটর) নির্মাণের কথা বলা হয় মহাপরিকল্পনায়। পরিকল্পনা মত সিডিএর ২ প্রজেক্ট মিলে ১৭টি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২৩টিসহ মোট ৪০টি স্লুইস গেইট নির্মাণ সম্পন্ন হয়ে গেলে চাক্তাই, রাজাখালী, ডোমখালী ও মহেশখালসহ অন্যান্য খাল দিয়ে জোয়ারের পানি ঢুকে নগরীর বিভিন্ন এলাকা বৃষ্টি ছাড়াই আর ডুবে যাবেনা।
২/ ড্রেনেজ মাষ্টার প্লান বাস্তবায়ন না করা: ড্রেনেজ মাষ্টার প্লান বাস্তবায়ন না করে জোড়াতালির কাজ করে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। বৃষ্টি ও জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা কিংবা বন্যা- এসব দুর্ভোগ থেকে চট্টগ্রাম নগরবাসীকে মুক্তি দিতে ১৯৯৫ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘চিটাগাং স্টর্ম ওয়াটার ড্রেনেজ অ্যান্ড ফ্লাড কন্ট্রোল মাস্টারপ্ল্যান’। এটি ‘ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা’ নামে পরিচিত। নগরীর জলাবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে কী করণীয়, এই মহাপরিকল্পনায় এর স্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। এ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দায়িত্ব চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের। কিন্তু নগরীর মহাপরিকল্পনা অগ্রাধিকার প্রকল্প এখনো বাস্তবায়িত হয়নি। এ জন্য সিটি করপোরেশন, সিডিএ, চট্টগ্রাম ওয়াসা ও অর্থের অভাব অনেকাংশেই দায়ী।
৩/ আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকা: যুগের চাহিদার আলোকে আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় নালা-নর্দমা ও খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করার মানসিকতাও জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট হওয়ার একটি কারণ।
৪/ পাহাড় কাটা: অবৈধভাবে পাহাড় কাটার ফলে পাহাড়ি মাটি ও বালু বৃষ্টির পানির সঙ্গে এসে নালা-নর্দমা ভরাট হয়ে গেছে। এতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়ে জলাবদ্ধতা তৈরি করছে।
৫/ অবৈধ দখল: অবৈধ দখল-দুষণে পলি জমে নাব্যতা হারাচ্ছে কর্ণফুলী নদী। আবার যেসব নালা-নর্দমা আছে, সেগুলো মানুষ দখল করে স্থাপনা তৈরি করছে এবং সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। নিচু এলাকা এবং জলাধার ও জলাশয় ভরাট করে ভবন তৈরি করা হচ্ছে। এতে ড্রেনেজ এলাকা কমে যাচ্ছে। জলাশয় ভরাট মামলায় তেমন কেউ শাস্তি পাচ্ছেনা।
৬/ কর্ণফুলীর নাব্যতা না থাকা: কর্ণফুলী পাড়ে গড়ে উঠা আমাদের চট্টগ্রাম শহর প্রতিদিন একটু একটু করে নাব্যতা হারাচ্ছে। উন্নত বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ সিংগাপুরের শহর গুলোর দিকে তাকালে এটা স্পষ্ট হয় যে তারা কত সুপার নাব্যতা ফিরিয়ে দিয়ে নদীগুলো শাসন করছে। আমরাও আমাদের শহর বেষ্টিত নদীগুলোকে সেভাবে শাসন করতে না পারলে যত স্লুইস গেইটই হোকনা কেন জলাবদ্ধতা নিরসনে তা কোন কাজে আসবেনা।
৬/ অপরিকল্পিত নগরায়ন: পরিকল্পিতভাবে নগরায়ণের কোনো সুযোগ-সুবিধা না থাকায় মানুষ যত্রতত্র বাড়ি তৈরি করছে। আগে যেখানে পানি জমত, সেগুলো ভরাট করছে। পাহাড় কেটে বাড়ি করছে। খাল সমূহের ক্যাচমেন্ট এরিয়ায় অপরিকল্পিত নগরায়নে র্বষায় দ্রুত পানি নির্গমন পথ অবরুদ্ধ হয়ে জলবদ্ধতা তৈরি হয়। আবার খালের ভিতর দিয়ে সেবা সংস্থার পাইপলাইন গিয়ে পানি নিষ্কাশনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে।
৭/ স্যুয়ারেজ ব্যাবস্থা না থাকা: ৫৯ বছরেও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থা চালু করতে পারেনি ওয়াসা। ফলে ময়লা আবর্জনাযুক্ত পানি খালের মধ্যে পলি জমিয়ে দেয়। সেই পলিতে র্বষা মৌসুমে পানি আটকে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়।
সম্ভাব্য সমাধান :
১/ ড্রেনেজ মাষ্টার প্লান বাস্তবায়ন: এই সমস্যা সমাধান করতে ১৯৯৫ সালে প্রণীত চট্টগ্রাম ড্রেনেজ মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প নেই। জলাবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয়ভাবে যথেষ্ট পরিমাণ গবেষণা ও পরিকল্পনা প্রণয়নের প্রয়োজন আছে। যেহেতু এই মাষ্টার প্লান প্রণয়নের পর অনেক সময় চলে গেছে। বিশেষজ্ঞদের দ্বারা এই মহাপরিকল্পনাকে সংশোধন ও পরিমার্জন করতে হবে। ১৯৯৫ এর মাষ্টার প্লানের মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু এর অপরিহায্যতা ও বাস্তবতা শেষ হয়নি। তাই নতুন মাষ্টার প্লান তৈরিতে পুনরায় অর্থ অপচয় না করে আগের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সরকারী বরাদ্ধের যোগান বাড়াতে হবে।
২/ ৪০ টাইডাল রেগুলেটর দ্রুত নির্মাণ : জোয়ারজনিত জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী ও বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে যুক্ত খালগুলোর মুখে জোয়াররোধক ফটক (টাইডাল রেগুলেটর) বেশি করে নির্মাণ করা প্রয়োজন। দীর্ঘ ২ যুগ পরে হলেও মহাপরিকল্পনা ফলো করে সিডিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাতে যে ৪০ স্লুইসগেইট নির্মাণের কাজ চলছে তা দ্রুত শেষ করতে হবে। তা যেন কাজীর গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই অবস্থা না হয়।
৩/ মেগা প্রজেক্টে কাজের দ্রুতগতি:
জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য গৃহিত মেগা প্রজেক্ট যে গতিতে কাজ শুরু হয়েছিল তা এই পর্যায়ে এসে মন্থর হয়ে গেছে। এটা দ্রুত শেষ করতে হবে।
৪/ কার্যকরী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: আধুনিক ও কার্যকরী বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলতে হবে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ বা সার উৎপাদনে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত প্রকল্প প্রস্তাব দ্রুত পাশ হলে নালা-নর্দমা ও খালকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করার মানসিকতা দুর হবে। গৃহস্থালি ময়লা-আবর্জনা নালা-নর্দমার মাধ্যমে খাল ও নদীতে চলে যাওয়া বন্ধ করতে হবে। আপাতত বর্তমানে প্রচলিত ময়লা ব্যবস্থাপনায় নজরদারি জোরদার করতে হবে।
৫/ জোরদার নদী শাসন : নিয়মিত ড্রেজিং করে কর্ণফুলীর গভীরতা বাড়াতে হবে। নদীর আশপাশে অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিতে হবে। নগরের সব খাল পুনরুদ্ধার, নিয়মিত খনন এবং রাস্তার পাশে নালার গভীরতা ও প্রশস্ততা বাড়াতে হবে। জলাশয়, ডোবা ও পুকুর ভরাটের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে হবে।
৬/ পানি নিষ্কাশনের প্রতিবন্ধকতা দূরীকরণ: পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতা, খাল ও নালা-নর্দমার অপদখল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার ত্রুটিগুলো চিহ্নিত করা প্রয়োজন। নতুন তিনটি খাল খনন এবং খালগুলোর অপ্রয়োজনীয় বাঁক সংশোধন করে সোজা করা প্রয়োজন।
৭/ বালু রোধে সিলট্র্যাপ: পাহাড়ের বালু রোধে সিলট্র্যাপ (পাহাড়ি বালু আটকানোর ফাঁদ) করা নির্মাণ প্রয়োজন।
৮/ জলাধার সংরক্ষণ: সাগর ও নদীর কাছাকাছি নিচু এলাকায় জলাধার সংরক্ষণ করতে হবে। নালা ও খালের ভিতর থাকা সেবা সংস্থার পাইপলাইন সরিয়ে নিতে হবে।
৯/ কারিগরি ত্রু‌টি সংশোধন ও আবর্জনা মুক্ত খাল : নালা-নর্দমা ও খালগুলোর কারিগরি ত্রু‌টি সংশোধন করতে হবে। নালা-নর্দমা ও খালে যাতে কেউ আবর্জনা ফেলতে না পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই হবে।
১০/ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা: জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলের কার্যালয়গুলোকে সক্রিয় ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
১১/ সমন্বিত ফ্লাড কন্ট্রোল ইউনিট' গঠন: সিটি করপোরেশনের নেতৃত্বে সিডিএ, বন্দর, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সব সেবা সংস্থার সমন্বয়ে এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। সিটি করপোরেশনের একার পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়। তাদের যে বাজেট তাতে তাদের পক্ষে কঠিন। এ জন্য সরকারি সব সংস্থা, যেমন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), সিটি করপোরেশন, ওয়াসা, পানি উন্নয়ন বোর্ড ও রেলওয়ের সমন্বয়ে 'ফ্লাড কন্ট্রোল ইউনিট' গঠন করে একে প্রয়োজনী বরাদ্ধ দিতে হবে।
১২/ জনসচেতনতা তৈরি: পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠনসহ চট্টগ্রামকে নিয়ে কাজ করা সাংবাদিক ও সুশিল সমাজকে কাজে লাগিয়ে পুরো নগরকে ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করে নগরবাসীকে সচেতন করতে হবে। তা না হলে জলাবদ্ধতা দূর হবে না।"
প্রদত্ত বিবৃতিতে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের পক্ষ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর দাবী জানানো হয়৷

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন