বলতে গেলে বৃহত্তর চট্টগ্রামের জামায়াতে ইসলামীকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন এই তিন কিংবদন্তি মহাপুরুষ। একে অপরের হাত ধরে টানা ৫০ বছরেরও অধিক সময় তিনজনে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় জামায়াতের নেতৃত্ব তো দিয়েছেন। পাশাপাশি বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে চৌকস নেতৃত্ব, বুদ্ধিবৃত্তিক শ্রেণী, শিক্ষা, মিডিয়া এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠান তৈরিতে ব্যাপক একচ্ছত্র ভুমিকা রাখেন ।
একমাত্র এই তিনজনের হাত ধরেই বৃহত্তর চট্টগ্রামের জামায়াতে ইসলামী এবং ছাত্র শিবির তৈরি করে হামিদ হোসাইন আজাদের মতো ক্যাম্পাস কাঁপানো ছাত্র নেতা, অধ্যাপক মফিজুর রহমানের মতো ইসলামী চিন্তাবিদ, অধ্যাপক আহসান উল্লাহর মতো শিক্ষাবিদ রাজনীতিক, শাহজাহান চৌধুরীর মতো জননেতা, এ বি এম ছিদ্দিকুল্লার মত প্রাজ্ঞ আলেম রাজনীতিবিদ, এম এ তাহেরের মতো শ্রমিক নেতা।
এভাবে ডঃ আবু বকর রফিক, আফসার উদ্দিন চৌধুরী, ডাঃ রফিক, এডভোকেট বদিউল আলম, এডভোকেট শামসুদ্দিন মির্জা, এডভোকেট জিয়া, অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান সহ অসংখ্য রতি-মহরথিদের এরকম লিস্টের পরিধি বাড়তেই থাকবে ।
ইতিহাসের এই তিন মহিয়ানের মেধাবী নেতৃত্বের বিকাশের জন্য নিজের জায়গা পর্যন্ত ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে কাজ করার এই প্রভাব চট্টগ্রাম ছাপিয়ে পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার জেলায় গিয়েও আছড়ে পড়ে, ফলে বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে উঠে আসে মীর কাসেম আলী, মাওলানা আবু তাহের, হামিদ হোসাইন আজাদ, মাওলানা শামসুল ইসলাম, আ,জ,ম, ওবায়দুল্লা, জসিম উদ্দিন সরকার, হামিদুর রহমান আজাদ, এনামুল হক মঞ্জু, মোহাম্মদ শাহজাহানের মতো কেন্দ্রীয় সভাপতিগন। এডোভোকেট শাহজালালের মতো আইনজীবী নেতা ।
চট্টগ্রাম ইসলামী আন্দোলনের এই তিন কিংবদন্তি মহানায়কের সময়েই চট্টগ্রাম এবং পার্শ্ববর্তী কক্সবাজার মিলে ছাত্র শিবিরকে দশ জন কেন্দ্রীয় সভাপতি উপহার দেন। মোদ্দা কথা হচ্ছে চট্টগ্রাম জামায়াতের মেধাবী নেতৃত্বের চূড়ান্ত বিকাশের জন্য এই তিনজন মহামানব চট্টগ্রামের উর্বর ময়দানকে তার জমির সমস্ত মেধাগুলোকে বের করে দেওয়ার জন্য পুরোপুরি ছেড়ে দিয়েছিলেন। প্রতিহিংসা বা লোভের বশবর্তী হয়ে কারো অগ্রগতি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন