ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৫

ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের হত্যা সন্ত্রাসের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ, সোমবার সারাদেশে বিক্ষোভ নৈরাজ্যকারীদের গ্রেপ্তার করে অবিলম্বে বন্ধ হল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে-ছাত্রশিবির


ইবি ও চট্টগ্রাম কলেজ সহ দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের ধারাবাহিক সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে আগামী ২১ ডিসেম্বর সোমবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনা করে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে হাজারো ছাত্র-ছাত্রীর জীবনকে জিম্মি করে রেখেছে। এই সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের ধারাবাহিক নৃশংসতায় ক্যাম্পাস গুলো বার বার রক্তাক্ত হচ্ছে। আজও ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ সশস্ত্র রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র উচিয়ে একে অন্যর উপর হায়েনার মত ঝাপিয়ে পড়ে যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে ছবিসহ প্রকাশ হয়েছে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ৭জনসহ ১১ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করেছে। যা চরম দায়িত্বহীনতা ও সন্ত্রাসীদের প্রতি নতজানুমূলক আচরণ। সম্প্রতি ঐতিহ্যবাহী চট্টগ্রাম কলেজ বহিঃরাগত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা হামলা চালালে পুলিশ ও প্রশাসন অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে নিরাপরাধ ছাত্রদের গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়েছে। মূলত ক্যাম্পাসে হামলা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের নিত্যদিনের কাজে পরিণত হয়েছে। ছাত্রলীগ ধারাবাহিক সশস্ত্র হামলা ও তান্ডব চালিয়ে রাবি, চবি, ইবি, ঢাবিসহ দেশের প্রতিটি ক্যাম্পাস সন্ত্রাসের আখরায় পরিণত করেছে। খুন জখম করছে নিজ দল ও প্রতিপক্ষ দলের নেতাকর্মীদের। কিন্তু দুঃজনক ভাবে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসে মদদ ও উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছে অবৈধ সরকার। পুলিশ প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। আর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সামান্য ছুতায় অন্য ছাত্রদের ব্যপারে কঠোর আচরণ করলেও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের ব্যপারে কোন পদক্ষেপ নিচ্ছেন না। বরং ব্যর্থতা ঢাকতে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিচ্ছেন। সরকার, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রসাশনের এই দায়িত্বহীন ভূমিকা মূলত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের নৃশংসতার চালানোর লাইসেন্স দেয়ার শামিল। সন্ত্রাসীদের তোষন নীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ছাত্র-শিক্ষক সবার জীবন হুমকির মুখে পড়েছে। ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের এই যৌথ নৈরাজ্যে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের পায়তারা ছাড়া কিছু নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারেন তাহলে তাদের উচিৎ পদত্যাগ করা। আমরা অবিলম্বে চিহ্নিত অস্ত্রধারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা, বিশ্ববিদ্যালয়েরর বন্ধ হল খুলে দেয়া, নিরীহ ছাত্রদের মুক্তি ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সরকার, পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনাঃ
এদিকে ইবি ও চট্টগ্রাম কলেজ সহ ক্যাম্পাস গুলোতে ছাত্রলীগের অব্যাহত সন্ত্রাসের প্রতিবাদ ও অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় এনে ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখার দাবীতে আগামী ২১ ডিসেম্বর সোমবার সারাদেশে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষনা করে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারী জেনারেল আতিকুর রহমান বলেন, গুটি কয়েক সন্ত্রাসীর কাছে লাখো ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা জীবন জিম্মি হয়ে থাকতে পারেনা। আমরা ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতাকে এগিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। নেতৃবৃন্দ নেতাকর্মীসহ ছাত্রসমাজকে এই শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে স্বতস্ফুর্ত ভাবে অংশ গ্রহণ করার জন্য আহবান জানান। একই সাথে পুলিশ প্রশাসনকে ছাত্রশিবিরের কর্মসূচিতে সহায়তার জন্য আহবান জানান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন