ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৩০ মার্চ, ২০১৯

পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতার চেতনা ও ইসলামকে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে -ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ

বাংলাদেশ বার্তাঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেছেন, আজ পরিকল্পিতভাবে স্বাধীনতার চেতনা ও ইসলামকে পরস্পরের বিরুদ্ধে দাঁড় করানো হচ্ছে অথচ ইসলামই জনগনকে প্রকৃত মুক্তি ও স্বাধীনতার স্বাদ দিয়েছে। তথাকথিত স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি ও চেতনাধারীরা স্বাধীনতার লাইসেন্স হিসেবে খুন ধর্ষন ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে জনগনের স্বাধীনতাকে ধুলিস্যাৎ করছে। গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভোটের স্বাধীনতা হরণ করার মাধ্যমে মূলত বর্তমান সরকার স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নয়, স্বাধীনতা বিরোধী সরকারে পরিণত হয়েছে। তারা এখন স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় বিরোধী শক্তি। এদেশের জনগণ দেশ ও ধর্ম বিরোধী কোন অপশক্তিকে অতীতে কখনো মেনে নেয়নি এবং ভবিষ্যতেও মেনে নিবে না। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় স্বৈরাচারী জালেম শাষকেরা তাদের কর্মের কারনেই ধ্বংস হয়। এই সরকারও তদের অপকর্মের কারণে অচিরেই ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষেপ হবে ইনশাআল্লাহ। তিনি জনগনকে প্রকৃত মুক্তির স্বাদ গ্রহনের জন্য ইসলামকে বিজয়ী করার উদাত্ত আহবান জানান। তিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মদানকারী সকলের অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আয়োজিত মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারী এডভোকেট ড.হেলাল উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট এস এম কামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আমিনুর রহমান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সরকার অবৈধ ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতেই দেশে বিরাজনীতিকরণ শুরু করেছে। স্বাধীনতা অর্জন ও রক্ষায় ইসলামপ্রিয় জনতা বৃহত্তম শক্তি হিসেবে ভুমিকা পালন করছিল অথচ আজকে ইতিহাস পরিবর্তন করে ইসলামপ্রিয় জনতাকে স্বাধীনতার প্রতিপক্ষ হিসেবে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় জুডিশিয়াল কিলিং এর মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর আমীর, সেক্রেটারী সহ শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা করা হয়েছে। এই সরকার দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। মানুষের অধীকার, আইনের শাসন, মানবাধিকার আজ ভূলুন্ঠিত। মতপ্রকাশের স্বধীনতা তথা মানুষের কথা বলার অধিকার পর্যন্ত কেড়ে নিয়েছে। মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারছেনা। যে উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের এই স্বাধীনতা অর্জন সরকারের বিভেদের রাজনীতির কারণে তা পুরোপুরি অর্থবহ হয়ে ওঠেনি। স্বাধীন বাংলাদেশের উন্নয়নে যেখানে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন সেখানে ক্ষমতাসীনদের অপরাজনীতির কারণে তা ব্যর্থতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি সরকারকে অপরাজনীতি পরিহার করে সুস্থ ধারায় ফিরে আসার আহবান জানান।
তিনি আরোও বলেন, সাম্য, মৈত্রী, সামাজিক ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র ও সকল স্তরে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অর্জিত হয়েছিল আমাদের স্বাধীনতা। অথচ এ সরকারের আমলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকারের অপশাসন, দুঃশাসন ও পর্বত প্রমাণ ব্যর্থতার কারণেই স্বাধীনতার সুফল অর্জন করা সম্ভব হয়নি। দেশে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতি হয়েছে। সরকার ও সরকারদলীয় লোকজন রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুটপাটের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত ঊর্ধ্বগতি, গ্যাস ও বিদ্যুতের দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধিতে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এ ছাড়াও চরম নৈতিক ও সামাজিক অবক্ষয়ে আমাদের মূল্যবোধ ও জাতিসত্তা হুমকির মুখে। আকাশ সংস্কৃতি ও বিজাতীয় সংস্কৃতি এবং সরকারের ধর্মনিরপেক্ষতার আড়ালে ধর্মহীন শিক্ষাব্যবস্থা এবং সর্বক্ষেত্রে নাস্তিকতা বিস্তারের ফলে তরুণ প্রজন্ম আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তিনি দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব, ইসলাম, গণতন্ত্র রক্ষা ও মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা পালন করার আহ্বান জানান।
পরিশেষে স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দরবারে বিশেষ দোআ অনুষ্ঠিত হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন