ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

গোলাম সারওয়ারের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর শহর শাখার সদস্য (রুকন) ও সাবেক আমীর জনাব গোলাম সারওয়ার ২৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ৬২ বছর বয়সে ইন্তিকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিঊন)। তিনি স্ত্রী, ৩ পুত্র ও ৩ কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন রেখে গিয়েছেন।

শোকবাণী

জনাব গোলাম সারওয়ারের ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ এক শোকবাণী প্রদান করেছেন।
শোকবাণীতে তিনি বলেন, জনাব গোলাম সারওয়ারের ইন্তিকালে আমরা ইসলামী আন্দোলনের একজন নিবেদিত প্রাণ দাঈকে হারালাম। আমি তার ইন্তিকালে গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি ইসলামী আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গিয়েছেন। তিনি সংগঠনের সকল কাজ যথাযথভাবে আঞ্জাম দেয়ার চেষ্টা করতেন।
শোকবাণীতে তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে তিনি দুনিয়ার সফর শেষ করেছেন। শুরু হয়েছে তাঁর অনন্তকালের সফর। এই সফরে আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন তাঁর একান্ত সাহায্যকারী হোন। কবর থেকে শুরু করে পরবর্তী প্রত্যেকটি মঞ্জিলকে তাঁর জন্য সহজ, আরামদায়ক ও শান্তিময় করে দিন। আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁকে ক্ষমা করে দিয়ে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন। আমীন।

কোন কল্যাণ অর্জন করলে আল্লাহর প্রশংসা করা আর অকল্যান পেলে, নিজেকেই দোষারোপ করা

 

রাসুলে করীম (সা.) ইরশাদ করেন : আল্লাহ তাআলা বলেছেন, হে আমার বান্দারা! আমি আমার নিজ সত্তার উপর অত্যাচারকে হারাম করে নিয়েছি এবং তোমাদের মধ্যেও তা হারাম বলে ঘোষণা করছি অতএব তোমরা একে অপরের ওপর অত্যাচার করো না

হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই ছিলে দিশেহারা, তবে আমি যাকে সুপথ দেখিয়েছি সে ব্যতীত। তোমরা আমার কাছে হিদায়াত প্রার্থনা কর আমি তোমাদের হিদায়াত দান করব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই ক্ষুধার্ত, তবে আমি যাকে খাদ্য দান করি সে ব্যতীত। তোমরা আমার কাছে খাবার চাও, আমি তোমাদের আহার করাব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা সবাই বস্ত্রহীন, কিন্তু আমি যাকে পরিধান করাই সে ব্যতীত। তোমারা আমার কাছে পরিধেয় চাও, আমি তোমাদের পরিধান করাব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা রাতদিন অপরাধ করে থাকো। আর আমিই সব অপরাধ ক্ষমা করি। সুতরাং তোমরা আমার কাছে মাগফিরাত প্রার্থনা করো, আমি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দিব।

হে আমার বান্দারা! তোমরা কখনো আমার অনিষ্ট করতে পারবে না, যাতে আমি ক্ষতিগ্রস্ত হই এবং তোমরা কখনো আমার উপকার করতে পারবে না, যাতে আমি উপকৃত হই।

হে আমার বান্দারা! তোমাদের আদি, তোমাদের অন্ত, তোমাদের মানুষ জিন জাতির মধ্যে যার অন্তর আমাকে সবচাইতে বেশী ভয় পায়, তোমরা সবাই যদি তার মতো হয়ে যাও তাতে আমার রাজত্ব একটুও বৃদ্ধি পাবে না। হে আমার বান্দাগণ! তোমাদের আদি, তোমাদের অন্ত, তোমাদের সকল মানুষ জিন জাতির মধ্যে যার অন্তর সবচাইতে পাপিষ্ঠ তোমরা সবাই যদি তার মতো হয়ে যাও তাতে আমার রাজত্ব কিছুমাত্র হ্রাস পাবে না।

হে আমার বান্দা! তোমাদের আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত সকল মানুষ জিন যদি কোন বিশাল মাঠে দাঁড়িয়ে সবাই আমার কাছে আবদার করে আর আমি প্রত্যক ব্যক্তির চাহিদা পূরণ করি তাহলে আমার কাছে যা আছে তাতে এর চাইতে বেশী হ্রাস পাবে না, যেমন কেউ সমুদ্রে একটি সূচ ডুবিয়ে দিলে যতটুকু পানি তা থেকে হ্রাস পায়।

হে আমার বান্দারা! আমি তোমাদের আমলই তোমাদের জন্য সংরক্ষিত রাখি। এরপর পুরোপুরিভাবে তার বিনিময় প্রদান করে থাকি। সুতরাং যে ব্যক্তি কোন কল্যাণ অর্জন করে সে যেন আল্লাহর প্রশংসা করে। আর যে অকল্যান পায়, তবে সে যেন নিজেকেই দোষারোপ করে। (সহিহ মুসলিম। ইসলামি ফাউন্ডেশন থেকে প্রকাশিত। হাদিস নং ৬৩৩৮)

 


বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

পিলখানার হত্যাযজ্ঞ বাংলাদেশকে নিয়ে আগ্রাসী শক্তির প্যাকেজ ষড়যন্ত্রের অংশ -মিয়া গোলাম পরওয়ার

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ পিলখানার হত্যাযজ্ঞ বাংলাদেশকে নিয়ে আগ্রাসী শক্তির প্যাকেজ ষড়যন্ত্রের অংশ -মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ২০০৯ সালের ২৫ এবং ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন। মাত্র ৩৬ ঘণ্টায় পিলখানায় যে হত্যাযজ্ঞ ঘটেছিল এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধেও এতো সংখ্যক সেনা কর্মকর্তা নিহত হননি। আধিপত্যবাদী শক্তি বাংলাদেশকে একটি তাবেদারী রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই। দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই এই ঘটনা সংগঠিত হয়। আমাদের এই বাংলাদেশকে নিয়ে আগ্রাসী শক্তির একটা প্যাকেজ ষড়যন্ত্র আছে। তারা আমাদের অর্থনীতি, রাজনীতি, সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-কলকারখানা সহ সকল ক্ষেত্রে গোলামী বা পরাধীনতার শিকলে আবদ্ধ করতে চাই। আধিপত্যবাদীদের ষড়যন্ত্রে দেশের সীমানা আজ অরক্ষিত। যখনই তারা সুযোগ পায় তখনই বাংলাদেশে পরিকল্পিতভাবে আক্রমণ করে। ফলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে দেশপ্রেমিক জনতাকে অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ ২৫শে ফেব্রুয়ারি ২০২১ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারী পিলখানা হত্যাযজ্ঞের শহীদদের স্মরণে আয়োজিত ‘আলোচনা সভা ও দোয়া’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য যথাক্রমে আব্দুস সবুর ফকির ও অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আশরাফুল আলম ইমন, শাহিন আহমদ খান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, বাংলাদেশে আমরা এমন এক দুঃসময় পার করছি, যেখানে মানুষের ভোটের অধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই, মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। পিলখানার ঘটনার যারা কুশিলব ছিলেন, তারা আজ ধরা-ছোঁয়ার বাইরে অথচ সেই ঘটনায় অসংখ্য নিরাপরাধ বিডিআর সদস্যদের বিনা বিচারে বছরের পর বছর কারান্তরীন করে রাখা হয়েছে। এই বিভিষিকাময় ঘটনার পিছনে ভূ-রাজনীতির ওতপ্রোত সম্পর্ক রয়েছে। তাই দেশপ্রেমিক রাজনীতিক ব্যক্তিসহ দেশের সকল নাগরিকগণকে এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে জনাব নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, এই ঘটনায় দেশ ও জাতির যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে তা সহজে পূরণ হবার নয়। ইতিহাসের এই কলঙ্কজনক অধ্যায় দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে দীর্ঘমেয়াদে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। একদিকে এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী সেনাবাহিনীকে দূর্বল করে ফেলার অপচেষ্টা করা হয়েছে। অপরদিকে এ ঘটনার মধ্যে দিয়ে এদেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মনোবল ধ্বংস করে দিয়ে আমাদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত সীমানাকে অরক্ষিত করে দেয়ার নীল নকশা আঁকা হয়েছে। এই ভূখন্ড ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সকলকে দেশপ্রেম ও ইসলামের সুমহান আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা পালন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে শহীদ ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা সহ নিহতদের রুহের মাগফেরাত ও তাদের শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত করা হয়।

মানুষের কল্যাণে কাজ করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব -নূরুল ইসলাম বুলবুল

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল আজ ২৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মানিকনগরের কুমিল্লা পট্টিতে অগ্নিদগ্ধ অসহায় পরিবার গুলোর মাঝে নগদ অর্থ, খাবার সহ নানা উপকরণ বিতরণ করেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মুহা. দেলাওয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য হাফিজুর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও মুগদা উত্তর থানা আমীর মতিউর রহমান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও মুগদা দক্ষিণ থানা আমীর বনি ইয়ামিন, থানা সেক্রেটারি রিয়াজ উদ্দিন প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, জামায়াত সবসময় দল-মত, জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সকল ক্ষতিগ্রস্থ অসহায় মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করে। জামায়াত ইসলামীর চার দফা কর্মসূচির মধ্যে একটি অন্যতম কর্মসূচি হচ্ছে সমাজসেবা ও সমাজ সংস্কার। মানুষের কল্যাণে কাজ করা এটা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য বলে আমরা বিশ্বাস করি। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে যেকোন বিপদ আপদ ও দূর্যোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী সারাবছরই মানুষের পাশে থাকে। মানবতার পাশে আমরা আছি সবসময় থাকব ইনশাআল্লাহ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল আরও বলেন, মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার কাজে আমরা সব সময়ে সোচ্চার। আমরা এদেশকে ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি কল্যাণরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করি। যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে। মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা থাকবে। এই রাষ্ট্র ব্যবস্থার সুফল হিসেবে মানুষ তাদের স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার সুনিশ্চিত হবে এবং মানবতার পাশে সকলে দাঁড়াবে। তিনি সকলকে সেই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার উদাত্ত আহবান জানান।

মঙ্গলবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

জামায়াত নেতা দিদারুল ইসলাম এর মায়ের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন সাবেক এমপি আ,ন,ম,শামসুল ইসলাম

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সাতকানিয়া উপজেলার অন্তর্গত নলুয়া ইউনিয়ন এর জামায়াত ইসলামীর সম্মানীত আমীর মুহাম্মদ দিদারুল ইসলামের মায়ের ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া লোহাগাড়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আ ন ম শামসুল ইসলাম।

শোক বার্তায় তিনি বলেন দিদারুল ইসলামের আম্মাজান একজন সৎ চরিত্রবান দ্বীনদার মহিলা ছিলেন! আল্লাহ তাআলা মরহুমা কে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন! আমিন

দিদারুল ইসলামের আম্মাজানের আত্মার মাগফিরাত কামনার পাশাপাশি তাঁর শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন সাবেক এমপি আ ন ম শামসুল ইসলাম ।

শনিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার আহবান

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’। ১৯৫২ সালে আমাদের তরুন, ছাত্র ও যুব সমাজ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আন্দোলন দমণের জন্য সে দিন রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে মিছিলকারীদের উপর গুলী চালানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ আরো অনেকেই। ভাষার জন্য তাদের এ আত্মত্যাগের কারণে জাতি তাদেরকে চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। আমি তাদের রূহের মাগফিরাতের জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করছি।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করেছে। এটা ভাষা শহীদদের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলা ভাষাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করে বিজাতীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্বপ্ন সার্থক হবে।
আমরা এমন এক সময় ভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছি যখন দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, বাক-স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশের মানুষের কথা বলার কোন অধিকার নেই।সকল ক্ষেত্রেই শাসকগোষ্ঠীর অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার জন্য আমি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন: জামায়াতের প্রস্তুতি সভা

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকার একটি মিলনায়তনে ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২১ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচী বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয় এবং কর্মসূচী বাস্তবায়নে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখার প্রতি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়। সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারী জনাব মতিউর রহমান আকন্দ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোঃ সেলিম উদ্দিনসহ কমিটির অন্যান্য সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে পদার্পণ করলেও আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নতি ও অগ্রগতিতে আমরা আজও আমাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারিনি। স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এ ঐতিহাসিক মূহুর্তে আমাদেরকে বিভেদ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি পরিহার করে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী সুন্দর বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা পালন করতে হবে।

বুধবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

ছাত্র সংগঠনের সাবেকদের নিয়ে প্রীতি সম্মেলন আয়োজন চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুহতারাম আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান, বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাবেক এমপি আনম শামসুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, চট্টগ্রাম অঞ্চল পরিচালক উপাধ্যক্ষ আব্দুর রব, চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আমীর মুহাম্মদ জাফর সাদেক ও উত্তর জেলা আমীর মুহাম্মদ নুরুল আমিন চৌধুরী, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাউদ্দিন আইয়ুবী।


এছাড়া মহানগরীর নায়েবে আমীর ও সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আজম ওবায়েদুল্লাহ, নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, নায়েবে আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তরের সভাপতি আমান উল্লাহ আমান, মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি ডা. হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আমজাদ হোসেন, ছাত্রনেতা ওসমান গণি।

আমীরে জামায়াত উপস্থিত সকলকে দুনিয়ার জীবনের স্বার্থকতা ও আখেরাতের সফলতার জন্য একমাত্র মুক্তির ঠিকানা হিসেবে দ্বীন প্রতিষ্টার আন্দোলনে নিজেকে একাকার করে জোরালো ভূমিকা পালন করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, 'আখিরাতের জীবনে সফলতা পাওয়ার জন্য দুনিয়ার জীবনকে সাজাতে হবে, দুনিয়ার জীবনের উপর নির্ভর করবে ব্যক্তি হিসেবে আমার জান্নাত-জাহান্নাম। তাই ছাত্র জীবনে যেমন দ্বীনের জন্য ইখলাসের সাথে জান-প্রাণ দিয়ে কাজ করেছি, তেমনি এই বৃহত্তর সংগঠনে আমাদেরকে ইখলাসের সাথে কাজ করতে হবে।'

'সংগঠন আজীবন' স্লোগানে আয়োজিত প্রীতি সম্মেলনে মহানগরী আমীর তাঁর বক্তব্যে বলেন, 'শহীদের রক্তস্নাত এ জমিনে আবারো সকলকে দূর্বার গতিতে জেগে উঠার মাধ্যমে ঐতিহাসিক দারুল ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগরীর ইসলামী আন্দোলনের ঐতিহ্যকে পূনরুদ্ধার করতে হবে ইনশাআল্লাহ।'

প্রায় দুই সহস্রাধিক সাবেক সদস্য-সাথীদের উপস্থিতিতে প্রীতি সম্মেলনে আরো শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ছাত্রসংগঠনের সাবেক জনশক্তি চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিল্পপতি, শিক্ষাবিদ, ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার, এডভোকেট, সাংবাদিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।

মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

চট্টগ্রাম শহরের যে সব এলাকায় ১৭ ফেব্রুয়ারী বুধবার রাত ১২টা হতে পরবর্তী ৩৬ ঘন্টা পানি সরবরাহ বন্ধ থাকবে

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম ওয়াসা চট্টগ্রাম শহরে পানি সরবরাহ বিঘ্নের বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেক করা হয়েছে, চট্টগ্রাম শহরের জলবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নে চট্টগ্রাম ওয়াসার মড- আওতাধীন এলাকায় হিজরা খালে স্থিত কাপাসগোল ব্রিজ স্থানে ২৪ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ লাইন পুনর্বাসন কাজ চলমান আছে। পাইপ লাইন পুনর্বাসনের জন্য আগামী ১৭//২০২১ খ্রিঃ রোজ বুধবার রাত ১২:০০ ঘটিকা হইতে পরবর্তী ৩৬ ঘন্টা পানি সরবরাহ বন্ধ রাখিতে হইবে।

ফলে কালুরঘাট বুস্টার স্টেশনের আওতাধীন এলাকাসমূহ যথাক্রমে চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, চকবাজার, ডিসি রোড, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তৎসংলগ্ন এলাকা, সিরাজুদ্দৌল্লাহ রোড, কাপাসগোলা রোড, বহদ্দারহাট, বাড়ইপাড়া, খাজারোড, প্রবর্তক মোড়, সুগন্ধ্যা আবাসিক এলাকা, কাতালগঞ্জ, বাদুরতলা, শুলকবহর (আংশিক), চাঁনমিয়া সওদাগর রোড তৎসংলগ্ন এলাকাসমূহে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকিবে। 

সম্মানিত গ্রহকবৃন্দের সামিয়িক অসুবিধার জন্য চট্টগ্রাম ওয়াসা কর্তৃপক্ষি আন্তরিকবাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। 

মঙ্গলবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

চট্টগ্রাম- দোহাজারী রুটে লোকাল ট্রেন ও ডেমু ট্রেনের সময়সূচি

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম- দোহাজারী রুটে লোকাল ট্রেন ও ডেমু ট্রেনের সময়সূচি ।

জনপ্রতি ভাড়া- (ডেমু) ১-৪১ কিঃমিঃ পর্যন্ত ২০ টাকা।
১-৪৭ কিঃমিঃ ২৫টাকা।
জনপ্রতি ভাড়া- (লোকাল) ৫ টাকা থেকে ১৪ টাকা।
★ডেমু ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে বিকাল ৫টা ২০মিনিটে, দোহাজারী পৌঁছবে সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে।
পুনরায় দোহাজারী থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিটে, চট্টগ্রামে পৌঁছবে রাত ৯ঘটিকায়।
★লোকাল ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে সন্ধ্যা ৬টায় দোহাজারী পৌঁছবে রাত ৮টা ৫০ মিনিটে।
রাতে দোহাজারী অবস্থান করে সকাল ৬টায় দোহাজারী থেকে ছাড়বে এবং চট্টগ্রাম পৌঁছবে সকাল ৮.৪০ মিনিটে।
তথ্যসূত্রঃ ইকবাল হোসেন চৌধুরী, ষ্টেশন মাষ্টার, দোহাজারী

সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

জনগণ ও ময়না : পাখি মা মু ন প্লা ব ন

সোনার খাঁচায় বন্দী পাখি

পোলাও খাবে?
কোর্মা নাকি চিকেন ফ্রাই
হরেক রকম স্যুপ রেখেছি
চাইনিজ আর দেশী থাই।
আহা- সাধের ময়না
ক্যান যে কথা কয়না..
পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল
দশ টাকা সের চাল
দুধে ভাতে বাংলাদেশী
থাকবে চিরকাল।
মধ্য আয়ের দেশে তুমি
আহা কী যে সুখ-
সবাই ভীষণ ভালো আছে
গোমরা কেন মুখ?
মিথ্যাবাদীর মিথ্যা কথা
ময়নারা রাজপথে
ময়না পাখি বলছে কথা
হাজার শতে শতে...
তুমি অনেক ক্লেভার
বাংলাদেশটা লুট করে নাও
উন্নয়নের ফ্লেভার...!!
খুন গুম লুট ধর্ষণ
রডের বদল বাঁশ
নিশি রাতে ভোট ডাকাতি
দেশের গলায় ফাঁস।
বলেন দেখি মামা
বাংলাদেশ ব্যাংক
ক্যান চুরি হয়
ভল্টের সোনা - তামা?
চেটে চুষে কেটে কুটে
বাংলাদেশটা খান
হজম করতে ঢেকুর ছাড়েন
উন্নয়নের গান!
লাথ্থি মারি সোনার খাঁচায়
বন্দী জীবন চাইনা,
রক্তে কেনা স্বাধীনতা
সেটাই যদি পাই না।
৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

হেঁটে চলুন-ভাল থাকুন

 

আল্লাহ্ তা’য়ালা আমাদের শরীরে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ দিয়েছে যথাযথ কাজে লাগানোর জন্য। শরীরের যাবতীয় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেরই পৃথক পৃথক কাজ রয়েছে। এর মধ্যে পা-দুটি অন্যতম প্রধান অঙ্গ। এই পা-এর ব্যবহার আধুনিক ও যান্ত্রিক যুগে এসে আমরা যেন ভুলেই গেছি। অর্থাৎ আমরা হাঁটতে ভুলে গেছি। আর তাই ঘর থেকে যে যার সাধ্যমত বাহন যোগে একস্থান থেকে অন্যত্র গমানগমন করে থাকি। এ অভ্যাস আমাদের স্বল্প পাল্লা (Walking distance) বা দূল পাল্লা (Long distance) উভয় ক্ষেত্রেই লক্ষণীয়। অথচ পেছন ফিরে তাকালে আমরা দেখতে পাই যে, মাত্র দু’তিন দশক আগেও মানুষ পায়ে হেঁটে পথ চলতো মাইলের পর মাইল। ক্ষেত্র বিশেষে কখনো কখনো নৌকায় চড়েও। তখন কিন্তু এতসব পাকা রাস্তা ছিল না এবং যানবাহনও ছিল খুব কম। তখন হাঁটার অভ্যাস জারী ছিল বিধায় মানুষের শরীরে রোগব্যাধি ছিল তুলনামূলক কম। অসুখ-বিসুখ যেমন কম ছিল তেমন এত ডাক্তার-কবিরাজ, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বলতে তেমন বেশী কিছু ছিল না। কালের বিবর্তনে মানুষ বেড়েছে বহুগুণ এবং মানুষ হাঁটতে ভুলে গিয়ে যানবাহন নির্ভর হয়ে পড়েছে। আমার মতে খুব তাড়া না থাকলে নিকটের রাস্তা পায়ে হেঁটে যাওয়াই শ্রেয়। এতে সুফলও পাওয়া যাবে অনেক। যেমন :

১। দুর্ঘটনার আশংকা কম থাকে।
২। টাকা বাঁচে।
৩। অচেনা রাস্তা-ঘাট হাঁটতে হাঁটতে জিজ্ঞাসাবাদে চেনা যায়।
৪। হাঁটলে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যায়াম হয়। ফলে রক্ত সঞ্চালন হয়ে শরীর থাকে সুস্থ ও সবল।
৫। হাঁটাহাঁটির ফলে ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে ইনসুলিন তৈরী হয় ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৬। স্ববান্ধবে বা স্বপরিবারে হাঁটতে হাঁটতে কথার কাজটি সেরে নেয়া যায়।
৭। খাবার পর হালকা হাঁটাহাঁটি করলে শরীর স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
৮। এক সমীক্ষায় জানা যায় যে, একজন গৃহিণী ঘরের মধ্যে সংসারের সব কাজ কর্ম সারতে দিনে গড়ে ১৮ কি.মি. হেঁটে থাকেন। এ হাঁটাহাঁটি যদি শরীরের ক্ষতি করতো তাহলে অনেক গৃহিণী অকালে অসুস্থ হয়ে পড়তেন। যেহেতু অধিকাংশ গৃহিণী হাঁটাহাঁটির কারণে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন না সেহেতু হাঁটাহাঁটিতে নিশ্চয়ই উপকার আছে যা বুঝতে আর বাকী থাকে না।
৯। বহুতল ভবনে উপরে-নীচে ওঠা-নামার সিঁড়ি ব্যবহার করলে পায়ের তথা সমস্ত শরীরের ব্যায়াম হয়। লিফ্ট ব্যবহারে সে সুযোগ থাকে না। তাছাড়া লিফ্ট ছিঁড়ে পড়ে মানুষ হতাহতের ঘটনাও ঘটে থাকে মাঝে মধ্যে। বিদ্যুৎ চলে গেলেও লিফ্ট বন্ধ হয়ে আটকা পড়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই লিফ্টে না উঠে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামার অভ্যাস করুন।
১০। পায়ে হেঁটে চলার অভ্যাস থাকলে কারো ধাওয়া খেয়ে দ্রুত পালানো যায়।
১১। যেহেতু আমাদের দেশে ঘন ঘন হরতাল পালিত হয়ে থাকে, সেহেতু পায়ে হেঁটে চলার অভ্যাস থাকলে হরতালের দিন হেঁটেই কর্মস্থলে যাওয়া যায়।
১২। পায়ে হেঁটে মসজিদে গমনাগমনে প্রতি কদমে সওয়াব হয়।
১৩। অনেক সময় যানবাহন পাওয়া না গেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে না থেকে ততক্ষণে পায়ে হেঁটে গন্তব্যস্থলে যাওয়া যায়।
১৪। ট্রাফিক জ্যামে বসে থেকে সময় নষ্ট না করে হেঁটে চলুন। দেখবেন যান্ত্রিক/অযান্ত্রিক যানগুলোকে পেছনে ফেলে দিব্যি আগে ভাগেই গন্তব্যে গেছেন।
১৫। প্রতিদিন সকালে ও বিকালে ২ ঘণ্টা পায়ে হেঁটে চলার অভ্যাস থাকলে যাতায়াতের টাকাটা বেঁচে যায় যা মাস শেষে মোটামুটি ভাল একটা অংকে দাঁড়াতে পারে।
১৬। অনেককে বলতে শোনা যায়, মানুষ যখন হাঁটে তখন তাকে দেখে মনে হয় যে আদম গাড়ী চালাচ্ছে। এতে জ্বালানী তেল ও টাকা দু’টোর সাশ্রয় হয়। এমনকি কালো ধোঁয়া বা বিকট শব্দে পরিবেশ দূষণের ভয় থাকে না। মোদ্দা কথা পায়ে হেঁটে চলার কোন বিকল্প নেই।
সুতরাং, আসুন- আমরা আজ থেকে পায়ে হেঁটে চলার অভ্যাস গড়ে তুলি। নিজেরা সুস্থ থাকি। পরিবেশ সুস্থ রাখি। মূল্যবান সময় ও টাকা বাঁচাই। নিজের তথা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তিতে সামান্যতম হলেও অবদান রাখি।
(হামিদ খান, daily sangram)