বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আজ ১৮ জুন প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করায় ভারতই একতরফাভাবে লাভবান হচ্ছে। অপর পক্ষে বাংলাদেশের লাভের পরিবর্তে অপূরনীয় ক্ষয়ক্ষতি হবে।
দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখে ইতোমধ্যেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ বন্দরের জেটিতে ভারতীয় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস করে ট্রাকে ভারতে নেয়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের সড়কগুলো ভারতীয় ভারী যান-বাহন চলাচলের উপযোগী নয়। ভারতীয় ভারী যানবাহন চলাচলের উপযোগী সড়ক অবকাঠামো নির্মাণের পূর্বেই ভারতীয় ভারী যানবাহন চলাচল করলে বাংলাদেশের সড়কগুলো ভেঙ্গে যানবাহন চলাচলের অনুপোযোগি হয়ে যাবে। বাংলাদেশের ভাঙ্গা রাস্তাঘাটের মেরামতের দায়িত্ব তো ভারত নিবেনা। তাই বাংলাদেশকেই ভাঙ্গা রাস্তাঘাট নির্মাণের খরচের ভার বহন করতে হবে। এতে প্রতি বছরই বাংলাদেশকে শত শত কোটি টাকা গচ্ছা দিতে হবে। এছাড়া বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা করছে অভিজ্ঞ মহল।
সরকার একদিকে জঙ্গী ধরার নামে সারা দেশে সাঁড়াশী অভিযান চালিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার লোককে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে দেশের জনগণকে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠ ও আতংকের মধ্যে রাখছে। অন্যদিকে দেশবাসীকে অন্ধকারে রেখে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দিচ্ছে। এতে সরকারের সাঁড়াশি গণগ্রেফতার অভিযানের উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনগণের মনে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদান করা হলে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের লক্ষ লক্ষ শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে এবং ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলাদেশের শত শত কোটি টাকা ক্ষতি হবে। তাই ট্রানজিট প্রদানের খবরে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
ভারতকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার বিষয়টি নিয়ে জাতীয়ভাবে খোলামেলা সংলাপ হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু দেশের জনগণের মতামতের কোন তোয়াক্কা না করে সরকার একতরফা সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া শুরু করেছে।
বাংলাদেশের উপর দিয়ে ভারতকে ট্রানজিট সুবিধা দেয়ার মত জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে জাতীয়ভাবে অবশ্যই সংলাপ হওয়া উচিত। তাই জাতীয়ভাবে সংলাপ করে জাতীয় স্বার্থ অক্ষুন্ন রেখে জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে এ বিষয় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”