বাংলাদেশ বার্তাঃ মাহে রমযানের পবিত্রতা রক্ষা এবং তাকওয়া ভিত্তিক চরিত্র গঠনের মাধ্যমে আত্মগঠনের জন্যে সযত্ন প্রচেষ্টা চালাবার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর জনাব মকবুল আহমাদ আজ ৪ জুন নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেনঃ-
“রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে মাহে রমযান আবার সমাগত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, এ মাসের প্রথম অংশ রহমতের, মধ্যবর্তী অংশ মাগফিরাতের ও শেষ অংশ নাজাতের। এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে রয়েছে একটি বরকতময় রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে একটি ফরজ কাজ আঞ্জাম দিলে অন্য মাসের ৭০টি ফরজ কাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়; আর ১টি নফল কাজের আঞ্জাম দিলে ফরজ কাজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। এ মাস সবর ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীলতার মাস। এ মাসটি পূর্ণ মর্যাদাসহকারে পরিপূর্ণ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে পালন করার জন্য আমি আহ্বান জানাচ্ছি।
পবিত্র এ রমযান মাস কুরআন নাজিলের মাস। কুরআন মানবজাতির প্রতি আল্লাহ তায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ নেয়ামত। পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনকে সঠিকভাবে জানা এবং সেই অনুযায়ী নিজের ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে পবিত্র রমযান মাসের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা সম্ভব। কুরআন থেকে হেদায়াত লাভের জন্য যে মনমানসিকতা ও চরিত্রের প্রয়োজন, সেই মন ও চরিত্র সৃষ্টির জন্য আল্লাহ তায়ালা মাহে রমজানের রোজা পালনকে আমাদের প্রতি ফরজ করেছেন। এক মাসব্যাপী রোযা পালনের মাধ্যমে সে লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার জন্য আমি সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
রমযানের পবিত্রতা রক্ষা, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতা বন্ধ করার দায়িত্ব সরকারের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে রেখে ও দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে মানুষের জানমাল-ইজ্জতের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব সরকারের। এ দায়িত্ব পালনের জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি।
রোজাদারদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রেখে অধিক মুনাফা লাভের মানসিকতা পরিহার করার জন্য আমি দেশের ব্যবসায়ী মহলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন