ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ৯ জুন, ২০১৬

শিবিরের বিবৃতিঃ শিবির নয়, ছাত্রসেনা’র রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল আটক আবু নছর।


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রামে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সন্দেহে আটককৃত আবু নছর গুন্না কে সাবেক শিবির কর্মী আখ্যা দিয়ে কতিপয় গণমাধ্যমে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে প্রচারিত সংবাদ ও উপ-পুলিশ কমিশনারের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগরী উত্তর সভাপতি সালাউদ্দিন মাহমুদ ও সেক্রেটারী নাজিব আহসান।
বুধবার রাতে সংবাদপত্রে পাঠানো যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় শিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, পুলিশ সুপারের স্ত্রী হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে আটক মাজারের খাদেম আবু নছর এর সাথে ছাত্রশিবিরের কখনো কোন রকম দূরতম সম্পর্ক অতীতেও ছিল না বর্তমানেও নেই।
তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে তিনি ছাত্রজীবনে ইসলামি ছাত্রসেনার রাজনীতির সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত। একই সাথে ইসলামী ফ্রন্টের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ব্যক্তিরাই দেশের আপামর মানুষের ধর্ম বিশ্বাসকে পুঁজি করে তা নিয়ে রীতিমত মাজার, পীর ইত্যাদির মুরিদ সেজে ব্যবসা করে যাচ্ছে।
তাছাড়া ছাত্রশিবিরের কোন নেতা কর্মী মাজার কিংবা পীর পূজায় বিশ্বাস করে না বরং এক আল্লাহর প্রতি অটল বিশ্বাসী। তাছাড়া পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী হত্যাকান্ডে যখন জাতি শোকাহত তখন এ ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন না করে বরং ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতেই এ ঘটনায় আটক হওয়া মাজারের খাদেম আবু নছর কে শিবির পরিচয়ে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট বক্তব্য প্রচার করে যাচ্ছে সিএমপি’র দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা।
এক্ষেত্রে তারা নিরপেক্ষ অবস্থানের বদলে দলকানা ও নিচু মানষিকতার পরিচয় দিয়েছেন। জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে এমন ভিত্তিহীন বক্তব্য জাতি কখনো প্রত্যাশা করে না।‘হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটর সাইকেল উদ্ধার ও খুনিরা জামায়াত অধ্যুষিত এলাকা দিয়ে পালিয়েছে। তাই ঘটনার সাথে শিবির জড়িত’ পুলিশ কমিশনারের এমন যুক্তি একেবারেই হাস্যকর যা একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তার দায়িত্বহীন আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ ছাড়া আর কিছুই হতে পারে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন একজন সাহসী জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীর হত্যাকাণ্ড নিয়ে রাজনীতি দুঃখজনক। এ থেকে প্রমাণিত হয়, কোন ঘটনা ঘটলেই তার দায় জামায়াত-শিবিরের উপর চাপানোর যে প্রবণতা, তা থেকে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এখনো বের হতে পারে নি। প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত করার আগেই এহেন অপপ্রচার প্রমাণ করে কোন অদৃশ্য মহলের ইশারায় পুলিশ সত্যকে আড়াল বা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছে। একটি নির্মম হত্যাকান্ড নিয়ে তাদের ঘৃণ্য অপতৎপরতার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন কোন ঘটনা ঘটলেই কিছু পুলিশ কর্মকর্তার আগ বাড়িয়ে মন্তব্য যেমন ন্যায় বিচারকে বাধাগ্রস্থ করে তেমনি খুনিদেরও উৎসাহিত করে। এই বর্বর ঘটনা নিয়ে পুলিশের অপরাজনীতির অপচেষ্টার নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে ছাত্রশিবিরকে জড়িয়ে পুলিশের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবী জানাচ্ছি। সেই সাথে তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত প্রকৃত খুনিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। একই সাথে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যম গুলোকে সঠিক ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশন করার আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন