ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শুক্রবার, ৩ জুন, ২০১৬

বাজেট নিয়ে শিবিরের প্রতিক্রিয়া


বাংলাদেশ বার্তাঃ  লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা আর জনগণকে শোষন করার হাতিয়ার এই গণবিরোধী বাজেট
অবৈধ সরকার নিয়ন্ত্রিত সংসদে পেশকৃত ২০১৬-১৭ সালের বাজেটকে লুটেরাদের স্বার্থ রক্ষা ও জনগণকে শোষন করার হাতিয়ার উল্লেখ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারী জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, এই জনবিরোধী বাজেটের মাধ্যমে ভারসাম্যহীন অর্থমন্ত্রী ও অবৈধ সরকারের চরম অযোগ্যতার বহি:প্রকাশ ঘটেছে। জনগণকে ধোকা দিতে ৩ লক্ষ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকার বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। অথচ ৯৭ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার ঘাটতিই রয়েছে। ফলে দেশ বিদেশ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে সরকারকে। সুতরাং এই বাজেট ঋণ নির্ভর। আর এই বিশাল ঋণের বোঝা বহন করতে হবে জনগণকে। শিক্ষা খাতে বরাদ্ধ বাড়লেও তা অপ্রতুল। তারউপর আমদানি করা প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি শিক্ষার পাঠ্য বাইয়ের ওপর আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। 
অন্যদিকে বাজেটে ২০১৮ সালের মধ্যে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের নামে প্রাথমিক শিক্ষাকে অষ্টম শ্রেনী করার ফলে শিক্ষকদের উল্লেখ যোগ্য অংশ বেকার হয়ে পড়বে, অবকাঠামো সংকটসহ শিক্ষা ক্ষেত্রে এক ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি হবে। মোবাইল ১০০ টাকা কথা বললে সরকারকে দিতে হবে ২১ টাকা। অথচ মোবাইল ধনী গরিব সবার জন্য নিত্য প্রয়োজনিয় জিনিস। মূলত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে জনগণর উপর করের বোঝা চাপানো হয়েছে। সুতরাং বিশাল বাজেটের আড়ালে এই বাজেট জনগণের সাথে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। অন্যদিকে নানা কৌশলে লুটেরাদের ছাড় দেয়া হয়েছে এবং আরও লুটপাটের রাস্তা সহজ করে দেয়া হয়েছে। জনগণের কষ্টের টাকা দিয়ে সরকারের অনুরাগী ও লুটেরাদের পকেট ভারী করার পাকাপোক্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। 
অথচ জাতির কারীগর এমপিওভুক্তির দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন নন-এমপিও শিক্ষকরা। আমরণ অনশন, অবস্থান ধর্মঘট, শিক্ষামন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর বিভিন্ন সময়ে তারা স্মারকলিপি দিয়েছেন এই দাবিতে। তারপরও নতুন (২০১৬-১৭) অর্থবছরের বাজেটে নন-এমপিও শিক্ষকদের এমপিওভুক্তি অথবা বাড়তি ভাতার ব্যবস্থা করতে কোনও বরাদ্দই রাখেননি অর্থমন্ত্রী। একই ভাবে দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা আড়াই লক্ষের বেশি হলেও এ সমস্যা নিরসনে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। মূলত বর্তমান সরকার জনগণের নির্বাচিত সরকার নয়। দেশের জনগণের প্রতি এ সরকারের কোন দায়বদ্ধতা নেই। শিক্ষার্থীদের প্রতিও তাদের দায়বদ্ধতা নেই। সুতরাং নূন্যতম সচেতন নাগরীক এই বাজেট মেনে নিতে পারেনা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এতি মধ্যেই এই গণবিরোধী বাজেট বিভিন্ন সংস্থা, দল ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বিভিন্ন সংস্থার পরামর্শ ও দাবীকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে বাজেটে। দেশের বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন হিসেবে আমাদের প্রস্তাবনা হলো, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরিকে ডিজিটালাইজড করতে হবে। সাম্প্রতিক আবিষ্কার ও গবেষণামূলক তথ্য এবং উপকরণের যোগান নিশ্চিত করতে অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। 
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বুয়েটসহ অন্যান্য প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকে জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহার করার ব্যবস্থা করতে হবে। দেশে মানসম্মত চিকিৎসা শিক্ষা নিশ্চিত করতে মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করে তাতে শিক্ষা ব্যয় কমাতে হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান নিশ্চিত করার কার্যকরী ব্যবস্থা করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ শিক্ষা কর্মসূচির উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন