বাংলাদেশ বার্তাঃ শহীদ আব্দুল মালেক ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের অগ্রনায়ক ও বীর সেনানী। শহীদ আব্দুল মালেক একটি নাম,একটি প্রেরণা,একটি
বিশ্বাস,একটি আন্দোলন,একটি ইতিহাস একটি মাইলস্টোন।১৯৬৯ সালে পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্তার আদর্শিক ভিত্তি কি হবে তা নিয়ে জনমত জরিপের আয়োজন করা হয়। জনমত জরিপের অংশ হিসেবে ১৯৬৯ সালের ২ আগস্ট National institute of public administration (nipa) এর উদ্যোগে সরকারের পক্ষ থেকে 'শিক্ষার আদর্শিক ভিত্তি' শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
ছাত্র ইসলামী আন্দোলনের নেতা ঢাবির মেধাবী ছাত্র শহীদ আব্দুল মালেক অংশগ্রহন করে মাত্র ৫ মিনিটের বক্তব্যে বামপন্থী সকল ছাত্রসংগঠনের সকল যু্ক্তিকে হার মানিয়ে উপস্থিত সবার চিন্তার রাজ্যে এক বিপ্লবী ঝড় সৃষ্টি করে ইসলামী শিক্ষার পক্ষে জনমত সংগ্রহ করতে সক্ষম হন।
এটি সহ্য করতে না পেরে ছাত্রলীগ ও ছাত্র ইউনিয়ন অর্থাৎ বামপন্থীরা শহীদ আব্দুল মালেককে টি এস সি মোড়ে হামলা করে এবং রেসকোর্স ময়দানে এনে তার মাথার নিচে ইট দিয়ে ওপরে ইট ও লোহার রড দিয়ে আঘাতের পর আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করে এবং খুনিরা অর্ধমৃত অবস্থায় ফেলে যায়। তখন শহীদ আব্দুর মালেক ভাইকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার আঘাত এতটাই জটিল ছিল যে, ১৯৬৯ সালের ১৫ আগস্ট তিনি শাহাদাত বরণ করেন।
শহীদ আব্দুল মালেক ভাইয়ের শাহাদাতের তাৎপর্য ছাত্রসমাজের কাছে তুলে ধরা এবং তাঁর আত্মত্যাগ থেকে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের অনুপ্রাণিত করার জন্য ইসলামী ছাত্রশিবির এ দিনটিকে "১৫ আগস্ট" ইসলামী শিক্ষা দিবস" হিসেবে প্রতিবছর পালন করে আসছে। আর শহীদ আব্দুল মালেক ইসলামী শিক্ষা আন্দোলনের জন্য প্রথম শহীদ। তাই মাও. মওদুদী (রহ) তার শোকবাণীতে মন্তব্য করেন" শহীদ আব্দুল মালেকের রক্ত থেকে লক্ষ মালেক জন্ম নেবে। "
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন