ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬

আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান: শিবির


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযানের নামে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের হয়রানী ও পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্যের নিন্দা জানিয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে সহকারী প্রচার সম্পাদক জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিবৃতিতে আজ (শনিবার) এমন দাবি করেছে শিবির।
প্রেসবার্তায় বলা হয়, সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা আড়াল করতে সারাদেশে সাঁড়াশি অভিযানের নামে নির্বিচারে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে আটক –হয়রানী এবং পুলিশের গ্রেপ্তার বাণিজ্য চলছে।
যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইয়াছিন আরাফাত বলেন, আগাম ঘোষণাদিয়ে এই বিশেষ গ্রেপ্তার অভিযান জাতির সাথে প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়। এ পর্যন্ত সাধারণ ছাত্র ও ছাত্রশিবিরের অসংখ্য নেতা-কর্মীসহ তিন সহস্রাধিক মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তারা বলেন, জঙ্গিবাদ ও টার্গেট কিলিং রোধ করার নামে এ সাঁড়াশি অভিযান ঘোষণাকরা হলেও, উল্টো গ্রেপ্তার ঘোষণার পরই পাবনায় এক আশ্রমের সেবককে হত্যা করা হয়েছে। অন্যান্য খুনের মত এই খুনের সাথে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
প্রেস বার্তায় দুই শিবির নেতা আরও বলেন, এটা এখন জাতির কাছে স্পষ্ট যে নিজেদের ব্যর্থতাকে আড়াল, বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের দমন ও পুলিশকে গ্রেপ্তার বাণিজ্যের সুযোগ করে দিতে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। অন্য দিকে এই অভিযান প্রচলিত আইনের সাথেও সাংঘর্ষিক।
তারা বলেন, সম্প্রতি উচ্চ আদালতেরদেয়া এক রায়ে বলা হয়েছে যে, বিনা কারণে বা ওয়ারেন্ট না থাকলে ৫৪ ধারায় কাউকে আটক বা হয়রানী করা যাবেনা। সুতরাং সরকারের নিদের্শে পুলিশের এই অভিযান সম্পূর্ণ বেআইনি। এই অভিযানে উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করে চলেছে স্বয়ং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যা আরেকটি অপরাধ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার পুলিশকে দলীয় কর্মীদের মত ব্যবহার করছে,আর পুলিশও নিজেদের দায়িত্ববোধকে জলাঞ্জলি দিয়ে সেবাদাসের ভূমিকা পালন করছে। গুটিকয়েক সন্ত্রাসী বা জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করতে নিরপরাধ হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা কোনভাবেই যৌক্তিক হতে পারেনা।
তারা অভিযোগ করেন, বেআইনি গ্রেপ্তার ও অবিচারের মাধ্যমে নিরপরাধ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের কারাগারে রাখলেও সন্ত্রাসীদের লালন পালন করছে সরকার। এই বেআইনি গ্রেপ্তার অভিযান দেশে ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া আইনশৃঙ্খলা অবস্থার উন্নতিতে কোন ভূমিকা পালন করবে কিনা, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।
শিবির নেতারা পবিত্র রমজান মাসে নিরপরাধ মানুষকে এভাবে হয়রানী না করে অবিলম্বে অভিযানের নামে এই রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক হয়রানী বন্ধ করার দাবি জানান। নৃশংস হত্যাকান্ড নিয়ে অসভ্য রাজনীতি না করে প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন