ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৯

মজিবুর রহমান মন্জু ভাই -ড. আবদুস সালাম আজাদী


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ আমি যখন চিটাগাং এ, তিনি বিশ্ববিদ্যালয় এর দায়িত্বশীল। পরে সিপি হয়েছেন। তিনি একজন সংবেদনশীল সমাজদরদী ও চতুর্মুখী যোগ্যতার অধিকারী ব্যক্তি। জীবনে তার সাথে কথা হয়নি, মত বিনিময় হয়নি, তার সহবত ও পাইনি কোন দিন। কিন্তু তার কথা ভালো লাগে। 

তাকে জামায়াতে ধরে রাখা যায়নি এটা জামায়াতের ব্যর্থতা, তবে তিনিও জামায়াতে থাকতে পারেননি এটাও বলবোনা। 

তিনি নতুন দল গঠন করেছেন, এবং ইসলামি রাজনীতির ভিন্ন ধারা তৈরী করার ইচ্ছা করেছেন এটা অত্যন্ত প্রশংসার কাজ।

জামায়াত কোন অর্বাচীন দল নয় যে এই পরিবর্তন ট্যাকল করতে পারবেনা। এটা এমন দল নয় যে তার জীবনে ভাঙন আসেনি। ইমাম আবুল হাসান আলী নাদভীর পদত্যাগ, মাওলানি মনজুর নো'মানীর পদত্যাগ, ড: ইসরার আহমাদের ভাঙন, কাজী হুসায়ন আহমদের প্রথম ভাঙন, শায়খ আবদুর রহীমগণের জামায়াত ত্যাগের কাছে মন্জু ভাইয়ের টা নস্যি। এটা জামায়াতের কাজের কন্টিনিউয়েশান।

জামায়াতে ইসলামী প্রধানত: দ্বীন মেনে রাজনীতি করতে চায়, ফলে তার পরিবর্তন আনা হয়ত সম্ভব হয়না। তাই আজ কতকটা স্ট্যাগনান্ট। কিন্তু মন্জু ভাইরা আলাদা কনসেপশান নিয়ে আসতে চান। ফলে আমার প্রতিটি জনতার আকাঙ্খা জামায়াতের থ্রেট হবেনা। 

তিনি রাজনীতি সামনে নিয়ে কাজ করবেন। ফলে দেশের মিডিয়া, শিক্ষা ব্যবস্থা, চিকিৎসার ক্ষেত্রগুলোতে, ব্যাংকিংসহ অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে তার কাজ শুরু হবে। সেখানে তিনি নিরবে কাজ করতে থাকবেন। 

জামায়াত শিবিরের ভাইয়েরা পোড় খাওয়া দাঈ ইলাল্লাহ, আত্মত্যাগকারী, ময়দানের খুঁটি ও ইসলামের সেবক। তাদের সময় কই নিজেদের ভাইদের সাথে ঝগড়া করার।

মন্জু ভাই দেশের মানুষকে আশা দিতে চান। পানির স্রোতে চলা মানুষকে তিনি টানতে থাকুন। জামায়াতের কাজ যখন তার মত চলেনি, তখন ঐদিকে আর তাকায়ে লাভ কি?

আমার আব্বা ও চাচা পৃথক হলে দোকানের খরিদ্দারদের নিয়ে বিপদ শুরু হয়। তারা আগে এক দোকান থেকে কিনতেন। এখন দুই দোকান। দুই ভাই তাদের পণ্যের দাম কমিয়ে ক্লায়েন্ট ধরার চেষ্টা করতেন। পরে দুইজনের দোকান লাঠে ওঠে। 

আমি মনে করি জামায়াত ভাঙেনি। জামায়াতের একজন ভাই একটা দল বানায়েছেন। যার সাথে জামায়াতের মৌলিক পার্থক্য আছে। কাজেই কারো মধ্যে “নিসবতে তাবায়ুন” থাকবেনা। থাকবে “নিসবতে আম খাছ মিন অজহিন”।

ইসলামী চিন্তাবিদ ও সাবেক প্রফেসর, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রাম।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন