আগামী ১ আগষ্ট ২০২০ইং, ১৪৪১ হিজরীর ১০ জিলহাজ্ব ও ১৪২৭ বাংলা, ১৭ শ্রাবন, রোজ শনিবার বাংলাদেশে উদযাপিত হবে কুরবানীর ঈদ পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা তথা কুরবানীর ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম বাসীর প্রতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরার সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারী মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন।
বিবৃতিতে নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বলেন, ঈমানদার মুসলমানদের জীবনে কুরবানির ঈদ বা ঈদুল আযহার দিনে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু জবাই করা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হযরত ইব্রাহীম (আ:) আত্মত্যাগের মহান নজরানা থেকেই শুরু করে হযরত মুহাম্মদ (স:)এর নবুয়াতী জীবনের মদিনার দশ বছর তিনি এই ইবাদত পালন করেছেন। গোটা মুসলিম জাতি আল্লাহর সন্তুষ্টি বিধানের লক্ষ্যে এ হুকুম পালন করে আসছে। পশু কুরবানির মাধ্যমে ইব্রাহীম (আ:) যেমন আল্লাহর হুকুমের সামনে আত্মসর্ম্পন করেছিলেন আমরাও আল্লাহ প্রভুত্বের সামনে নিজেদেরকে সেভাবে পেশ করছি।
জামায়াত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক মহামারির সময়ে এ মহান ইবাদাতকে নিয়ে প্রশ্ন এবং সন্দেহ সংশয়ের এক ধরনের অপপ্রচার ও প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। কিছু কিছু মানুষ বুঝে হোক না বুঝে হোক বিভ্রান্ত হচ্ছে। করোনা কালীন এ সময়ে কুরবাণী না করে কুরবানীর অর্থ দরিদ্র মানুষের মাঝে বিতরণ করে দিলে মানুষ উপকৃত হবে। কুরবানীর মতো একটি মহিমান্বিত ইবাদতের বিকল্প কি আসলেই আছে ? ঈদুল আযহার দিনে পশুর রক্ত প্রভাহিত করার মাধ্যমে কুরবানী করার ইবাদতকে হীনগন্য করে তার বিকল্প কোন সুযোগ ইসলাম কাউকে দেয়নি। ইসলাম তো মানুষকে স্বাভাবিকভাবেই অসহায়, দরিদ্র, পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আদেশ দিয়েছেন। একটি ইবাদাত বন্ধ করে কি ঐ সকল কল্যাণকর কাজ করতে হবে ? মানবতার সেবা করা অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো, এতিমকে খাদ্য দান অতীব সওয়াবের কাজ। এ কাজ সকল প্রেক্ষাপটে একটি কল্যাণকর কাজ। মুসলমানদের জন্য আল্লাহর নির্দেশ হচ্ছে “হে নবী আপনি বলুন নিশ্চয়ই আমার সালাত, আমার কুরবানী, আমার জীবন, আমার মৃত্যু সবই আল্লাহর জন্য। তাঁর কোন শরিক নেই। আর ঐ বিষয়ে আমাকে আদেশ করা হয়েছে। সুতারাং আমি হলাম প্রথম আত্মসর্ম্পনকারী“।
নগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য শুধু মুসলিম নয় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ছুটে চলেন ঈদ যাত্রায় গ্রামের পথে। এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন বৈশ্বিক মহামারির ঝুকি এড়াতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরে ভ্রমন করা, অপরিচিত গাড়িতে উঠা পরিহারসহ যানজট এড়াতে সাবধানতা অবলম্বন করলে নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত হবে। এমন পরিস্থিতিতে ঈদুল আযহার সময় সর্ব্বোচ্ছ সতর্কতা অবলম্বন না করলে ক্ষতিকর হতে পারে। তাই কুবানীর ঈদে চট্টগ্রামবাসীর ঈদ যাত্রা শুভ হোক, স্বাস্থ্য বান্ধব, নিরাপদ এবং নির্বিঘœ হোজ এই কামনায় ঈদ মুবারক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন