ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০২১

সূচনালগ্নেই জামায়াত ছেড়ে যারা চলে গেলেন

 বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বন্ধুরা, গত পরশু দিন একটি পোষ্ট করেছিলাম যে, জামায়াতের আকিদা খারাপ এমন ডকুমেন্টারি দালিলিক তথ্য প্রমাণ কেউই দেখাতে পারবে না।

এক ভাই কমেন্ট করেছে জামায়াতে ইসলামীর আকিদা যদি সহীহ হতো, তাহলে মানজুরে নূমানী ও আবুল হাসান নদভী'র মতো বিশ্ব মানের মহান ব্যক্তিরা কেন জামায়াত ছেড়ে চলে গেলেন?

তার জবাবে আমরা বলতে চাই সংগঠন করা না করা ব্যক্তির স্বাধীন ইচ্ছা। জামায়াত কাউকে সংগঠন করতে বাধ্য করে না। জামায়াত কেবল জাতির মধ্যে এতটুকুন সেন্টিমেন্ট গ্রুরো বা জাগ্রত করতে চায় যে দ্বীন কায়েমে সাংগঠনিক প্রক্রিয়ায় ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করা ফরজ।

কেউ যদি নিজেকে খাঁটি মুমিন হিসেবে আল্লাহর কাছে স্বীকৃতি পেতে চায়, তাহলে তার উপর ওয়াজিব যে নিজেকে সাংগঠনিক আওতায় নিয়ে আসা।

যারা চলে গেছেন, তারা কিন্তু জামায়াতের মৌলিক কোন ত্রুটির কারণে জামায়াত ত্যাগ করতে পারেননি বরং কতগুলো ইখতিলাফী ফুরুয়ী কারণে তারা জামায়াত ছেড়ে চলে গেছেন।

তা ছাড়া ক্বওমী জগতে একটি হাদীস চালু রয়েছে সেটি হল, আল ইখতিলাফু রহমাতুন অর্থাৎ ইখতিলাফ করা রহমত। আমি জানি না উল্লেখিত হাদীসটি তাদের উপর কোত্থেকে নাযিল হয়েছে। অথচ আল্লাহর অনবদ্য নির্দেশ হলো, দ্বীন কায়েমের ব্যাপারে ইখতিলাফ না করা ফরজ।

উল্লেখিত হাদীসের উপর আমল করতে গিয়েই হাফেজ্জী হুজুরের খেলাফত আন্দোলন চার টুকরো রয়েছে। আমাদের ক্বওমী জগতে যে কতটা ভাগ আমি নিজে ক্বওমী ডিগ্রিধারী হওয়া সত্ত্বেও গোনে শেষ করতে পারেনি।


আসল কথা হলো, আমার বাপ দাদারা একসাথে থাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না আলাদা থাকাটাই তারা রহমত মনে করেন।

যারা জামায়াত ছেড়ে চলে গেছেন, তারা যদি জামায়াতের চেয়ে কোন শক্তিশালী দল গঠন করতে পারতেন, তাহলে বুঝতাম জামায়াত ত্যাগ করাটা জাতির জন্য মঙ্গলজনক হয়েছে। দল ত্যাগ করার পর তারা তো জাতিকে কোন শক্তিশালী মেসেজ উপহার দিতে পারেননি।

আল্লাহর অশেষ রহমত তারা নিজ ইচ্ছেই জামায়াত ত্যাগ করেছেন,না হয় এ সব রহমত ওয়ালা লোক থাকলে জামায়াতে ইসলামী অন্ততঃ দশ বারো টুকরো হতো।

তার চেয়ে একটু বাড়িয়ে লিখলে আমার জ্ঞাতি গোষ্ঠীর ভাইয়েরা হজম করতে পারবে না। আজ এই পর্যন্তই। আল্লাহ হাফেজ।

(মাওলানা মাসউদুর রহমান)
208

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন