বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ
১. #হালাল পথে রিজিক তালাশি:
ছাত্র জীবনে অর্জিত ডিগ্রীর সাথে মিল রেখে নিজের রুচিমত ক্যরিয়ার গঠন অধিকাংশ ক্ষেত্রে সম্ভব হচ্ছে না। এটা হলো আমাদের সমাজ বাস্তবতা যেখানে বেকারত্ব ও কর্মহীনতা নিত্য সঙ্গী। কিন্তু আমাদের দৃঢ় ঈমান হলো আল্লাহ আমাদের প্রত্যেকের জন্য রিজিকের বরাদ্দ রেখেছেন এবং সেটা পরিশ্রম করে হালাল পন্থায় তালাশ করে নেয়াও আমাদের দুনিয়া-আখিরাতের সফলতার জন্য অপরিহার্য। কাজেই আল্লাহ প্রদত্ত যোগ্যতার সর্বোত্তম ব্যবহার করে একটি সুনির্দিষ্ট ক্যরিয়ার লাইন ঠিক করে হালাল পথে রিজিক তালাশির কাজ অব্যাহত রাখতে হবে। কোন পেশাকেই খাট করে দেখার সুযোগ নেই। চাকরী হোক বা ব্যবসা হোক নিজ নিজ যোগ্যতা ও সীমাবদ্ধতাকে মাথায় রেখে অধ্যবসায়ী হলে আল্লাহ অবশ্যই রিজিকের পথ খুলে দেবেন। পাখী যেমন সকালে খালী পেটে বের হয়ে সন্ধ্যায় ভরা পেটে নীড়ে ফিরে- আল্লাহ আমাদেরকেও অনুরূপভাবে রিজিক দেবেন। হালাল রিজিক দুনিয়ায় পবিত্র জীবন যাপনের পাশাপাশি আল্লাহর গ্রহণযোগ্য বান্দাহ হওয়ার জন্যও জরুরী। মনে রাখতে হবে বরাদ্দকৃত রিজিকের প্রতিটি বিন্দু ভোগ করার আগে কারো মৃত্যু হবে না। কাজেই রিজিকের ব্যাপারে অতিরিক্ত টেনশন না করে আল্লাহর উপর তায়াওয়াক্কুলই বেশী প্রয়োজন।
২. #বিয়ে শাদী যথাসময়ে করে সাংসারিক জীবন গড়ে তোলা:
ইসলাম বিয়েটাকে অনেক সহজ করেছে একটি নৈতিকতাপূর্ণ পুত পবিত্র সমাজ গঠনের লক্ষে। কিন্তু সামাজিক রুছুম রিওয়াজ বিয়েকে জটিল করে ফেলেছে। সামাজিকতার দোহাই দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার দু:স্বপ্নে অনেকে বিয়ের সাহস হারিয়ে ফেলে এবং অনেক দেরীতে বিয়ে করে নিজের জীবন যৌবনের উপর জুলুম করছেন। বিয়েকে 'নিসফুল ঈমান' তথা ঈমানের অর্ধেক বলার গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে এবং নিজের ও নিজ পরিবারের বর্তমান অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে পাত্রী নির্বাচন করে সহজভাবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে ও সংসার জীবন শুরু করতে হবে। বিয়ে একদিকে যেমন পুত পবিত্র জীবনের সুযোগ এনে দেয় অন্যদিকে রিজিক প্রশস্ত হওয়ার কারণও ঘটে। সাহাবায়ে কিরামের জীবনে এমন দৃষ্টান্ত আছে। 'আরো খাই- আরো চাই' দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে সীমিত আয়ের সীমাবদ্ধ চাহিদায় সন্তুষ্ট থেকে সহজ সরল জীবন যাপন করতে পারলে সংসারে অভাব থাকলেও অশান্তি থাকবে না ইনশা-আল্লাহ। মু'মিনদের জন্য এরকম শান্তিময় পবিত্র জীবন তথা হায়াতে তাইয়্যেবাহ অর্জনও আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ।
৩. #ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন:
ইসলামী আন্দোলন তথা জিহাদ ফি সাবিলিল্লাহ ছাত্র জীবন বা জীবনের কোন খন্ডিত অংশের কাজ নয় বরং আজীবনের সংগ্রাম। তাবুক অভিযানে অনুপস্থিত মুনাফিকরা মিথ্যা ওজর পেশ করে রাসুলুল্লাহ (স:) এর নিকট থেকে ছুটি মন্জুর করিয়ে নিয়েছেন ঠিকই কিন্তু পরকালীন আজাব থেকে মুক্ত হতে পারেন নি। বিপরীত পক্ষে তিনজন খাটি মু'মিন নিজ গড়িমসির সরল স্বীকারোক্তি দিয়ে মুসলিম সমাজে বয়কটের মতো শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছিলেন। দীর্ঘ পন্চাশ দিন বয়কটের শাস্তি ভোগ করা এমনকি শেষ দশদিন নিজ নিজ স্ত্রী থেকেও বিচ্ছিন্ন থাকার মত শাস্তি মাথা পেতে নিয়েছিলেন একটিমাত্র সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে গাফেলতির কারণে। অথচ তিনজনের মধ্যে দু'জন বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী মর্যাদাবান সাহাবী ছিলেন। আমাদেরও ছাত্র ইসলামী আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা আছে কিন্তু চূড়ান্ত সফলতা পেতে হলে আহযাব যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবায়ে কিরামের মত আজীবন জিহাদের পথে সক্রিয় থাকার শপথ নিতে হবে। আল্লাহর রেজামন্দী হাসিলের লক্ষে 'জীবন যতদিন-ইসলামী আন্দোলনও ততদিন'- এটাই জিহাদের হাক্ব অনুযায়ী জিহাদ তথা 'হাক্কা জিহাদিহি' এর সঠিক মর্মার্থ। ইসলামী আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার লক্ষেই আমরা সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে বাছাই করেছি। কাজেই জামায়াতী জীন্দেগীর শৃঙ্খলা মেনেই আমাদেরকে পথ চলতে হবে। সিলেবাস অনুসরণ, ব্যক্তিগত রিপোর্ট সংরক্ষণসহ সংগঠনের নির্দেশনা অনুসরণ ছাড়া আনুগত্যের হক্ব আদায় হবে না। জামায়াতবদ্ধ হওয়া, শুনা, মানা এবং চারিত্রিক সংশোধনের মাধ্যমেই ইসলামী আন্দোলনে তৎপর থাকতে হবে।
রিপোস্ট।ছবিঃ প্রতিকী
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন