ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২১

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রশ্নে কমরেড মাহমুদ এর যৌক্তিক বিশ্লেষণ

 

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী সাহেবের প্রশ্ন ছিলো "রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর স্ত্রী'গনকে বিয়ে করা যাবে না কেনো? আব্বাসী সাহেব বললেন, আল্লাহ কোরআনে বলেছেন, নবীর স্ত্রী'গন তোমাদের মা। মা'কে বিবাহ করা হারাম। তখন জাফরুল্লাহ বললেন, এমনকি হতে পারে না, উনি চান নাই উনার স্ত্রী'গণকে কেউ বিয়ে করুক তাই সেইভাবে আল্লাহর নিকট থেকে আয়াত নাজিল করিয়েছেন"!

এই প্রশ্নে দু'টি জিনিস ফুটে ওঠে। এক. জাফরুল্লাহ সাহেব সরাসরি বলার সাহস পাচ্ছেন না কিন্তু মনে করেন এসব আয়াত আল্লাহর নিকট থেকে আসে নাই, রাসুলুল্লাহ নিজের দরকার মতো বানিয়েছেন (নাউজুবিল্লাহ), দুই, অথবা উনি মনে করেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) উনার দরকার মতো আয়াত আল্লাহর নিকট থেকে নিয়ে আসতে পারতেন! এগুলো চিন্তাভাবনা কিন্তু নাস্তিকতার পরিচয়।
এই যায়গায় আব্বাসী সাহেব অসাধারণ উত্তর দিয়েছেন। প্রথমেই তিনি বলেন, আপনার সম্ভবত পুরো কোরআনের উপর বিশ্বাস নেই। কিছু আয়াতে বিশ্বাস আছে কিছু আয়াতে নেই। আপনার তওবা পড়া উচিত এবং আমি আপনার হেদায়েত কামনা করছি।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যদি নিজের ইচ্ছামত আয়াত চেয়ে নিয়ে আসতেন তবে গোটা কোরআনে নিজের মায়ের কথা একবারও আনলেন না কেনো! নিজের প্রিয় মা'কে নিয়ে একটা আয়াত অন্তত আনতেন। কোন স্ত্রী'গনের নামে কোন আয়াত সুরা নেই। দুঃসময়ে পাশে থাকা প্রিয় স্ত্রী বিবি খাদিজাকে নিয়ে অন্তত একটা সুরা আনতেন। অন্যদিকে কোরআনে আছে অন্য নবীর মা মরিয়মের নামে সুরা। কেনো? কারন আল্লাহ যেভাবে চেয়েছেন উনার ইচ্ছামাফিক কোরআন নাজিল হয়েছে।"
এটা গেলো আব্বাসী সাহেবের চমতকার যৌক্তিক উত্তর। এই বিষয়ে আমার নিজের কাছে একটা উদাহরণ আছে। "আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের মারা যাওয়ার পর তার পুত্র এসে কান্নাকাটি করে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে অনুরোধ করলেন পিতার জানাজা পড়ানোর এবং গায়ের একটা জামা দিতে। সেটা দিয়ে দাফন করতে চাইলেন যদি আল্লাহ ক্ষমা করেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের সাহাবী পুত্রের কথা অনুযায়ী গায়ের জামা দিয়ে দিলেন এবং জানাজা পড়াতে রাজি হলেন। হযরত ওমর (রাঃ) এসে বাঁধা দিলেন জানাজা না পড়াতে। আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বললেন আমি ৭০ বার জানাজা পড়ালেও কাজ হবে না। ছেলেটা এতকরে বলছে আমি পড়াই! আল্লাহ তো আমাকে নিষেধ করেননি, বলেছে আপনি ৭০ বার পড়ান বা না পড়ান তাতে কোন লাভ হবে না!
পরবর্তীতে আল্লাহ কোরআন নাজিল করে বলে দিলেন ওদের জানাজাও আপনি পড়াবেন না।"
রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজের ইচ্ছামত আয়াত আনলে উনার চাওয়ার বিপরীতে আয়াত নাজিল হতো না। উনি জানাজা পড়ানোতে রাজি ছিলেন কিন্তু আল্লাহ নিষেধ করে দিলেন।
মুল বিষয় হলো, এসব জ্ঞানী লোকদের নিকট কোরআনের কোন জ্ঞান নেই। আর যে ব্যাক্তির কাছে কোরআনের জ্ঞান নেই তিনি পৃথিবীর সেরা মুর্খ। বলা যায় শিক্ষিত মুর্খ...
( Shafiqur Rahman)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন