ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮

নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা ভুল -প্রফেসর ড. শাহদীন মালিক

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ইত্যদি পদাধিকারীদের স্ব স্ব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে-গত সপ্তাহে এ গোছের সংবাদ নজরে এসেছিল। এই ব্যাখ্যার উৎস নির্বাচন কমিশন। এর ফলে দুই ধরনের ঘটনা ঘটল। সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য বর্তমানে চেয়ারম্যান বা মেয়র আছেন এমন অনেকেই তাড়াহুড়ো করে তাঁদের পদত্যাগপত্র প্রযোজ্য কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিলেন। দ্বিতীয়ত, রিটার্নিং কর্মকর্তাদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে জানা গেল যে পদত্যাগী চেয়ারম্যান-মেয়রদের অনেকেরই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে এ কারণে যে তাঁদের পদত্যাগপত্র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে এ মর্মে কোনো কাগজপত্র তাঁরা দাখিল করেননি। অর্থাৎ, পদত্যাগ কার্যকর হয়েছে সে-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজ তাঁরা জমা দেননি। ফল দাঁড়াল, এই চেয়ারম্যান-মেয়ররা মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের সময় যেহেতু তাঁদের স্ব স্ব পদে বহাল আছেন, সেহেতু তাঁদের মনোনয়নপত্র বাতিল বা অবৈধ হিসেবে ঘোষিত হলো। কিন্তু ইসি এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের এ ধরনের ব্যাখ্যা ও সিদ্ধান্ত ভুল।
২. 
আমাদের স্থানীয় সরকার পাঁচ প্রকারের-ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা পরিষদ ও সিটি করপোরেশন। প্রতিটি স্থানীয় সরকারের জন্য আলাদা আলাদা আইন আছে। যেমন স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯; স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯; ইত্যাদি। ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রধান হলেন চেয়ারম্যান। পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনের মেয়র।

সব স্থানীয় সরকার আইন এবং চেয়ারম্যান ও মেয়রদের নিয়ে আইনি ব্যাখ্যা করতে গেলে আলোচনাটা দীর্ঘ ও জটিল হয়ে পড়বে। তাই শুধু স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ থেকে দেখাব যে পৌরসভার নির্বাচিত মেয়র স্বপদে বহাল থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তাঁকে প্রার্থী হওয়ার আগে পদত্যাগ করতে হবে না। আর যেহেতু পদত্যাগ করতে হবে না, সেহেতু পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়েছে কি না, সেই প্রশ্নটা অবান্তর।
পৌরসভার আইনে ৩৩ ধারায় কোন কোন ক্ষেত্রে পৌরসভার মেয়রের পদ শূন্য হবে সে-সংক্রান্ত বিধান আছে। স্বভাবতই মেয়র মৃত্যুবরণ করলে তাঁর পদ শূন্য হবে। এ ছাড়া পদত্যাগ ও অন্য কিছু কারণে পদ শূন্য হতে পারে। এই আলোচনায় আমাদের জন্য যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, ৩৩ ধারার (১) (ঙ), যেখানে বলা আছে, ‘মেয়রের পদ শূন্য হইবে যদি তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।’ এই বিধান থেকে এটা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট যে পৌরসভার একজন মেয়র স্বপদে থেকে সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন। সংসদ নির্বাচনে তিনি যদি জয়লাভ করেন, তাহলে তাঁর মেয়রের পদ শূন্য হবে। কিন্তু সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে মেয়র যদি সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হতে না পারেন, তাহলে তিনি তাঁর মেয়র পদে বহাল থাকবেন। অন্য কথায়, পৌরসভার একজন মেয়রকে পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে সেই পদত্যাগপত্র গৃহীত হলে তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন, আইনের এ রকম অদ্ভুত ব্যাখ্যা চমকপ্রদ। এ ধরনের বিধান একটু অন্যভাবে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও জেলা পরিষদ আইনেও আছে।
চেয়ারম্যান বা মেয়র (সিটি করপোরেশন ব্যতীত) প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত না। অন্য কথায়, তাঁরা প্রজাতন্ত্রের বা সরকারের পদে আছেন সেই জন্য পদত্যাগ না করে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, সেটাও আইনের ভুল ব্যাখা। শেষে মোদ্দাকথা, আইনের একটা ভুল ব্যাখ্যার কারণে বেশ কিছু চেয়ারম্যান বা মেয়র প্রার্থী হওয়ার জন্য তাঁদের স্ব স্ব পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু পদত্যাগ করেও অনেকেই বৈধ প্রার্থী হতে পারেননি। কারণ, তাঁদের পদত্যাগপত্র এখনো গৃহীত হয়নি। এ ধরনের ভুল ব্যাখ্যার ফাঁদে পড়ে বেচারাদের আমও গেছে, ছালাও গেছে।
ড. শাহদীন মালিক: বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের আইনের শিক্ষক।
দৈনিক প্রথম আলো
০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন