ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

সোমবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১৮

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা বাঞ্ছনীয়—কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো

বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ইউএস করেসপন্ডেন্ট: বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা এলাকার মার্কিন কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বকারী প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো এক ভিডিও বার্তা দিয়েছেন।
ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা এলাকায় বাংলাদেশি-আমেরিকান নাগরিকদের একটি বৃহত অংশ গভীর সম্পর্কিত। গত কয়েক বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র লক্ষ্য করছে যে, বাংলাদেশের গণতন্ত্র, সহঅবস্থানের ভারসাম্য মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। বাংলাদেশে ভারসাম্যময় গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য তার সহকর্মীদের সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ করে কাজ করতে আগ্রহী কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো।
উল্লেখ্য, আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশে তত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফিরিয়ে ঐতিহ্যতগতভাবে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে, যেখানে সবাই ভোট দিতে পারে। এ জন্যই বাংলাদেশ যদি সত্যিকার্থে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে চায় তাহলে দেশটিতে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র কাছে কংগ্রেসের চিঠির সমর্থনের জন্য কংগ্রেসের অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে একসাথে কাজ করবেন কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র যেন পুনরুদ্ধার করতে তাদের উৎসাহিত করা হয়।
বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র, জনগণের ভোটের অধিকার, প্রয়োজনীয় সংস্কার নিশ্চিত হলে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক অব্যাহত থাকবে বলে জানান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য করে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সহায়তা প্রদানের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। গত ৬ ডিসেম্বর ১১৫তম কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে এই সিদ্ধান্ত পেশ করেন ৬ জন কংগ্রেসম্যান এবং দেশটির পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটিকে ইতোমধ্যেই এই প্রত্যয়ের কথা জানিয়ে দেয়া হয়। মার্কিন পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসিফিকের চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান টেড ইয়োহো, কংগ্রেসম্যান ইলিয়ট এঙ্গেল, কংগ্রেসম্যান ব্র্যাড শেরম্যান, কংগ্রেসম্যান স্টীভ শ্যাবট, কংগ্রেসম্যান জেরি কনলি, কংগ্রেসম্যানের ড্যারেন সোটো ও কংগ্রেসম্যান বিল কিটিং এই বিলটি উপস্থাপন করেন। উল্লেখ্য, ছয়জন কংগ্রেসম্যানের প্রত্যেকেই মার্কিন কংগ্রেসের ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রভাবশালী সদস্য।
পরবর্তিতে গত ১২ ডিসেম্বর, যুক্তরাষ্ট্র স্থানীয় সময় দুপুর ২:৪৫ মিনিটে বিলটি মার্কিন কংগ্রেসের ফ্লোরে উত্থাপন করেন ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের রিপাবলিকান কংগ্রেস ওয়েম্যান এবং মার্কিন কংগ্রেসের ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রভাবশালী সদস্য এলিয়েনা রস লেথটইনেন।
তিনি বলেন, মার্কিন কংগ্রেসের ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে বিলটির প্রতি আস্থা পোষণ করেছে। তাই তিনি ফরেইন অ্যাফেয়ার্স কমিটির পক্ষে বিলটি কমিটি থেকে খারিজ করে কংগ্রেসের ফ্লোরে পেশ করার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কংগ্রেসের স্পিকার বিলটি গ্রহণ করে ফ্লোরে অন্যান্য সদস্যদের ভোটের জন্য পেশ করলে সর্বসম্মতিক্রমে বিলটি পাশ হয়।
১১৫তম মার্কিন কংগ্রেসের শেষ অধিবেশনে কংগ্রেসম্যান ও ওয়েম্যানরা বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চেয়ে কংগ্রেসের ফ্লোরে সমালোচনার ঝড় তুলেছিলেন। এতে যোগ দেন কংগ্রেসম্যান ইলিয়ট এঙ্গেল এবং ড্যারেন সোটো'সহ বিভিন্ন অঙ্গ রাজ্যের কংগ্রেসম্যানরা। কংগ্রেসের শেষ অধিবেশনের পূর্বে বিলটি উত্থাপনে বিশেষ ভূমিকা রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা এলাকার মার্কিন কংগ্রেসে প্রতিনিধিত্বকারী প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে উৎসাহ প্রদানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ। সেই প্রতিশ্রুতি এই রেজল্যুশনে পুনর্ব্যক্ত করা হলো।
আরো উল্লেখ করা হয় যে, প্রত্যেক দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তিপ্রস্তর হচ্ছে- একটি স্বাধীন, নিরেপেক্ষ, স্বচ্ছ এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন। এজন্য সকল ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘ্নে প্রবেশাধিকারের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা গ্রহণে প্রশাসনের জবাদিহিতা-স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে ভোটারের মৌলিক স্বাধীনতাকে সম্মান দেখানোই হচ্ছে একটি বৈধ নির্বাচনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট।
উল্লেখ করা হয়, ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতার প্রশ্নে উদ্বেগ প্রকাশ করে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছিল।
কংগ্রেস সভার সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র অঙ্গীকারাবদ্ধ। কংগ্রেস সভার পক্ষ থেকে বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে আহ্বান জানানো হয়। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার প্রতিও মনোযোগী হতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধে জানান।
এছাড়া, অনুরোধ জানানো হয়েছে রাজনৈতিক নেতা ও বিচার বিভাগকেও। বলা হয়েছে, সকল বাংলাদেশী যেন আসন্ন নির্বাচনে স্বাধীনভাবে নির্বিগ্নে ও নির্দ্বিধায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ভোটারদের ইচ্ছার প্রতি সম্মান জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র কাছে কংগ্রেসের চিঠির সমর্থনের জন্য কংগ্রেসের অন্যান্য সহকর্মীদের সাথে একসাথে কাজ করবেন বলে ভিডিও বার্তা দেন কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো। পরবর্তিতে, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বিদ্যমান পরিবেশ ও পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে গত মঙ্গলবার ১১ ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের আর্মড সার্ভিস কমিটির চেয়ারম্যান ও হাউজ অব ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য জু উইলসন। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছে এ চিঠি পাঠায় কংগ্রেসম্যান জু এর দফতর।
জু উইলসন উল্লেখ করেন, সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রকাশিত মানবাধিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কার্যকরভাবে বিএনপিসহ অন্যান্য বিরোধী দলের কার্যকর অংশগ্রহণের যেকোনো উদ্যোগকে সরকারি দল ব্যাহত করতে পারে এমন উদ্বেগ থাকার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
তিনি আরো উল্লেখ করেন, গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে বাংলাদেশে অবশ্যই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা বিরোধীদলের অস্তিত্ব বজায় রাখার উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
১১৫তম মার্কিন কংগ্রেসের অধিবেশন শেষ হওয়ার প্রাক্কালে, ছয়জন কংগ্রেসম্যানের সাথে একত্তা প্রকাশ ও সকলকে একত্রিত করে তড়িৎ গতিতে বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন চেয়ে পাশ হওয়া বিলটিতে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও’র কাছে কংগ্রেসের চিঠির সমর্থনে বিশেষ ভুমিকা রাখেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রভাবশালী কংগ্রেসম্যান ড্যারেন সোটো।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন