ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

মঙ্গলবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৮

পাবনা-১ আসনে শহীদ নিজামী-পুত্র ব্যারিস্টার নাজিবুর !


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ নাটকীয় মোড় নিয়েছে পাবনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাঁথিয়া আসনের নির্বাচনী মাঠ। এই আসনে জামায়াত এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোটের হয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ড কার্যকর হওয়া মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সে আসনেই স্বাধীন বাংলাদেশর সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাঈয়িদ বিএনপি-জামায়াত সমন্বয়ে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের টিকিটে ধানের শীষ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি ঐক্যফ্রন্ট থেকে শরিকদল গণফোরামের হয়ে এই আসনের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
ওই আসনে জামায়াতের বেড়া উপজেলা আমির ডা. আবদুল বাসেত এবং মাওলানা নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিন্তু রোববার মনেনায়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ডা. বাসেত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলেও নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান প্রত্যাহার করেননি।
সোমবার জেলা রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মো. জসিম উদ্দিন অধ্যাপক ড. আবু সাঈয়িদকে ধানের শীষ এবং নিজামীর ছেলে নাজিবুর রহমানকে আপেল প্রতীক বরাদ্দ করেন।
পাবনা-১ (সাঁথিয়া উপজেলা ও বেড়া উপজেলার আংশিক) আসনে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং ভোটারদের মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। আর তা হলো, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন অধ্যাপক ড. আবু সাঈয়িদ নাকি অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু? আবার ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে বিএনপি না, জামায়াত প্রার্থী মনোনয়ন পাচ্ছেন তা নিয়েও ছিল নানান হিসাব-নিকাশ।
পাবনা-১ আসনটিকে বরাবরই ভিআইপি আসন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। কারণ স্বাধীনতার পর থেকে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এ আসন থেকে যিনিই এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনিই সরকারের মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে মন্ত্রিত্ব পান অধ্যাপক ড. আবু সাঈয়িদ (তথ্য প্রতিমন্ত্রী), মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের (পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী), মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী (শিল্পমন্ত্রী), অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু (স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী)।
এছাড়া প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়ার আমলে বেড়ার সন্তান মির্জা আবদুল হালিম (পাবনা-৫ থেকে নির্বাচিত) মন্ত্রিত্ব পান। এসব কারণে বরাবরই পাবনা-১ আসনের দিকে সবার নজর থাকে একটু আলাদা করে এবং গুরুত্বও বহন করে একটু বেশি। সাঁথিয়ায় ১টি পৌরসভা ১০টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭২ হাজার ৫৮২ ও বেড়ায় ১টি পৌরসভা ৪টি ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮ হাজার ৫৩৪ জন।
এ আসনে বরাবরই ছিল দলের এক সময়ের দাপুটে নেতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. আবু সাঈয়িদের একক আধিপত্য। এ আসন থেকে তিনি ১৯৭০ ও ১৯৯৬ সালে বিজয়ী হয়েছিলেন। কিন্ত ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি ছিটকে পড়েন। ওই নির্বাচনে মনোনয়ন পান জেলা আওয়ামী লীগের ওই সময়ের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু।
এদিকে নিজামীর ছেলে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকলে কী হবে? এ প্রশ্ন এখন অনেকের মনে। কেননা, সাঁথিয়ায় নিজামীর কারণে জামায়াতের একটি ভোটব্যাংক রয়েছে। এ আসনে বিএনপির সালাউদ্দিন খান নামক একজন ইউপি চেয়ারম্যান মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। কিন্তু তার মনোনয়নপত্র বাছাইতে বাতিল হলে বিএনপি প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়ে। তখন ধরেই নেয়া হয় যে, ঐক্যজোটের বিএনপি পক্ষে এবারের প্রার্থী আবু সাঈয়িদ। সে হিসাবে রোব্বার জামায়াতের বেড়া উপজেলা আমির ডা. আব্দুল বাসেত তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলেও নিজামীর ছেলে ব্যারিস্টার নাজিবুর রহমান যথাসময়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি।
এদিকে পাবনা-১ এরশাদ সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং পরে বিএনপি নেতা মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদেরের নির্বাচনী এলাকা হলেও জোটের কারণে ১৯৯১ এবং ২০০১ সালে নিজামী জোটের মনোনয়ন পান এবং সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে নির্বাসিত হন মেজর (অব.) মঞ্জুর কাদের।
বেড়ার সন্তান মঞ্জুর কাদের পাবনা-১ আসন থেকে একবার নির্বাচন করেছিলেন বলে এবারেও এখান থেকে প্রার্থী হতে পারেন- এমন গুঞ্জনও ছিল। কিন্তু জোটের কারণে তাকে এবারেও তিনি এবং তার দল বিএনপি বঞ্চিত হয়। কিন্ত নিজামীর ছেলের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় সবশেষে হিসাব-নিকাশ এলোমেলো হয়ে গেল ওই ভোটের মাঠে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন