ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০

ভোটাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে চসিক নির্বাচনে অংশ নেবে না মহানগরী জামায়াত


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ শাহাজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক কর্মপরিষদ বৈঠকে আসন্ন সিটি নির্বাচন বিষয়ে এক প্রস্তাব গৃহীত হয়। গৃহীত প্রস্তাবে অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের আসন্ন নির্বাচনেও বিতর্কিত ইভিএম ব্যবহারসহ আরেকটি প্রহসনের নাটক মঞ্চায়নের তোড়জোড় চলছে।
ইতোমধ্যে ঘোষিত নৌকা মার্কা প্রার্থীকে যে কোনো মূল্যে নির্বাচিত করার নির্লজ্জ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। জামায়াত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে বৈধ জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায়, বর্তমান অবৈধ সরকারের আজ্ঞাবহ ও জনগণের ভোটাধিকার হরণকারী ব্যর্থ নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোন নির্বাচন নামের প্রহসনের সাক্ষী হতে চায় না জামায়াত। তাই ভোটাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের অংশ হিসেবে প্রহসনের সিটি নির্বাচনে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াত অংশ গ্রহণ করবে না।
উক্ত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী নায়েবে আমীর,সেক্রেটারী,এসিসটেন্ট সেক্রেটারী, সাংগঠনিক সেক্রেটারীসহ কর্মপরিষদের সদস্যগণ।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রস্তাবে বলা হয়, এটি ছিলো জনগণের ভোটাধিকার হরণ ও একটি নজিরবিহীন প্রসহনের সর্বশেষ সংযোজন যেখানে স্বয়ং প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলতে বাধ্য হয়েছেন যে, এ ধরনের নির্বাচন দেখতে চাইনি। ভোটাররা ধরেই নিয়েছিলেন দেশে আরো একটি প্রহসনের একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই তারা ব্যাপকভাবে ভোট প্রদানে বিরত থাকে। মূলত দেশের মানুষ ভোট কেন্দ্রে না গিয়ে বর্তমান সরকার এবং তার আজ্ঞাাবহ নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছে। ভোট কেন্দ্র দখল,সরকার বিরোধী প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেয়া,ব্যাপক জাল ভোট প্রদান, বেশ কিছু জায়গায় ভোটারদেরকে ভোট প্রদানের বাধা ও ফিঙ্গার প্রিন্ট নিয়ে নানা জটিলতার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলো যে দৃশ্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে তাতে স্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে,জনগণ ভোট দেয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। বিগত তের জানুয়ারী চট্টগ্রাম- আট (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনেও উপনির্বাচন নামের একই প্রহসন করা হয়েছে। বিরোধী পক্ষের প্রার্থী ও ভোট কর্মীদেরকে হামলা মামলা, গ্রেফতার, এজেন্টদের বের করে দেয়া, ইভিএম ম্যানুপুলেশান ও ভোট ডাকাতি করে নৌকা মার্কা প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণাই ছিলো প্রহসনের মূল টার্গেট।
উক্ত প্রস্তাবে আসন্ন নির্বাচনে অংশ না নেয়ার কারণ ব্যাখ্য করে আরো অভিমত ব্যক্ত করা হয় যে, নির্বাচন ব্যবস্থায় ব্যাপক অনিয়ম ও নির্বাচন কমিশনের ন্যক্কারজনক ভূমিকায় জনগণ ভোট দিতে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছে। সুদীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পর ১৯৯১,১৯৯৬ ও ২০০১ সালে তিনটি অর্থবহ নির্বাচনের ধারাবাহিকতা ধ্বংস করতে লগি-বৈঠার তান্ডব সৃষ্টির ফসলই দু‘বছরের অসাংবিধানিক সরকার এবং তাদের সেফ এক্সিটের লক্ষ্যেই অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ডিজিটাল কারচুপির নির্বাচন। ধারাবাহিকভাবে ভোট ডাকাতির স্থানীয় নির্বাচন, ২০১৪ সালের পাঁচ জানুয়ারী ভোটার বিহীন নির্বাচন ও ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর আগের রাতে সীল মেরে ফলাফল তৈরীর নির্বাচনসহ বিগত দশ বছর যাবত নির্বাচন নিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন জনগণের সাথে যে খেলা খেলে যাচ্ছে তা এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনামলকেও হার মানিয়েছে। এখন জনগণের মাঝে নির্বাচনের বিষয়ে আর কোন আগ্রহ নেই এবং এ ধরণের পরিস্থিতি গণতন্ত্রের জন্য মোটেই সুখকর নয়।
প্রস্তাবে আরো বলা হয় যে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার পরিবেশ রক্ষার দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরাবরই আহবান জানিয়ে এসেছে। দলীয় সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনই নিরপেক্ষ হবে না আশষ্কা করেই কেন্দ্রীয় জামায়াত বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিল যার যথার্থতা প্রতিটি প্রহসনের নির্বাচনেই প্রমাণিত হচ্ছে। কোন কোন মহল “বর্তমান সরকারের অধীনে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় জনগণ ভোট দেয়ার প্রয়োজনবোধ করছে না“ ধরণের উক্তি করে মূলত সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার হাস্যকর কৌশল নিয়েছে।
সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ ও অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী করে নির্বাচনের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে এনে ভোটাধিকার পুন:প্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানানো হয়। সেই সাথে ভোটাধিকার পুনরূদ্ধার করার লক্ষ্যে জনগণ এবং সকল বিরোধী দলকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলারও আহবান জানানো হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন