বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ মিসরের ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল আল ইখওয়ানুল মুসলিমুন ( মুসলিম ব্রাদারহুড) এর প্রতিষ্ঠাতা শায়খ হাসান আল বান্না ১৯৪৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি আজকের এই দিনে ইন্তেকাল করেন। একজন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংস্কারক হিসেবে বিশ্বের অদ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে তার সুনাম সুখ্যাতি ছড়িয়ে আছে আজও।
গোটা মুসলিম উম্মাহকে একক জাতি-সম্প্রদায়ে ঐক্যবদ্ধ করতে তিনি আমৃত্যু যে প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন- ইতিহাসে তা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ রয়েছে। সত্যধর্ম ইসলামকে বাস্তব জীবনের জীবন ব্যবস্থা ও কুরআনে কারিমকে এই ব্যবস্থার একমাত্র সংবিধান বলে প্রচার করতেন তিনি।
পাশ্চাত্যের বস্তুবাদ, ব্রিটিশদের সাম্রাজ্যবাদ এবং মিশরের প্রথাগত আলেমদের কঠোর সমালোচক ছিলেন মিসরীয় মুসলমানদের আধ্যাত্মিক এই নেতা। ‘আত্মার জিহাদ’ তার মতাদর্শের গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন ইসলামী সমাজের অবস্থার উন্নতি সাধনে ‘আত্মার জিহাদ’ এর বিকল্প নেই। তিনি বলতেন,তলোয়ারের জিহাদের তুলনায় আত্মার জিহাদ আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্য তার এবং মুসলিম ব্রাদারহুডের ভূমিকা সবসময়ই প্রশংসনীয় ছিল। আর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনে সমগ্র মুসলিম উম্মাহ অংশ নিবে- এটা তার আকাঙ্খা ছিল।
মাত্র ৪৩ বছর বয়সে ১৯৪৯ সালের আজকের এই দিনে শাসকশ্রেণীর লেলিয়ে দেওয়া গুন্ডার গুলিতে হাসান আল বান্না শাহাদাত বরণ করেন। তার জন্ম হয় ১৯০৬ সালের ১৪ অক্টোবর। মৃত্যুদিনে আমরা মহান এই মানুষটির জান্নাতে উঁচু মর্যাদার জন্য মহান আল্লাহর নিকট দোয়া করি।
সূত্র: আল জাজিরা ও উইকিপিডিয়া
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন