বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ কমিউনিস্ট পার্টির প্রয়াত নেতা মোহাম্মাদ তোয়াহা তাঁর একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন-রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বপক্ষে ইশতেহার বিলি করতে গিয়ে ছাত্ররা একদিন চকবাজারে জনতা কর্তৃক ঘেরাও হয়, তখন পরিস্থিতি খুবই প্রতিকূল ছিল। ছাত্ররা উত্তেজিত জনতার সামনে অসহায় হয়ে পরে, এসময় গোলাম আযম সবার সামনে সাহস করে এগিয়ে যান এবং তিনি চিৎকার করে জনতাদের লক্ষ করে বলেন, "আরে ভাই আমরা কি বলতে চাই, তা একবার শুনবেন তো"। এই বলেই তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলা হলে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণের কি উপকার হবে, তার উপর ছোট-খাটো বক্তৃতা দিয়ে উপস্থিত জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করার ফলে পরিস্থিতি শান্ত হয়, সেদিন আর কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি"।
মোহাম্মাদ তোয়াহাকে প্রশ্ন করা হলো- আপনি কোন গোলাম আযমের কথা বলছেন?
তিনি উত্তর দিলেন-অধ্যাপক গোলাম আযম। এখন যিনি জামায়াতে ইসলামী করেন" তিনি আরো বলেন, "গোলাম আযম ছাত্র হিসেবে ছিলেন মেধাবী এবং স্বভাবগত ভাবে তিনি ছিলেন অমায়িক ও ভদ্র"। ভাষা আন্দোলনে যার ভূমিকা এতটাই দৃশ্যমান, অথচ সেই গোলাম আযমকে আজ কালকের ২১ ফেব্রুয়ারীতে স্মরণ করা হয় না!
রাষ্ট্র বা তথাকথিত প্রগতিশীলদের কাছে গোলাম আযম উপেক্ষিত থাকলেও, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস চর্চায়, প্রকৃত ইতিহাস অনুসন্ধানীদের কাছে গোলাম আযম বার বার ফিরে আসে এবং আসবেন। আজকের এই দিনে অধ্যাপক গোলাম সহ সকল ভাষা শহীদদের মাগফেরাত কামনা করছি।
(তথ্যসূত্রঃ ভাষা আন্দোলনঃ সাতচল্লিশ থেকে বায়ান্ন, লেখক- মোস্তফা কামাল। মোহাম্মাদ তোয়াহার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালের মার্চ মাসে, ঢাকা ডাইজেস্ট নামক পত্রিকায়।)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন