বাংলাদেশ বার্তাঃ নভেম্বরের ১ম সপ্তাহে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সম্ভাবনা রয়েছে। জাতীয় নির্বাচন ১৮ অথবা ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
রাজনৈতিক দলগুলো নিজ নিজ দলের প্রার্থী প্রায় চুড়ান্ত করেছে। জোট ভিত্তিক দলগুলোতে এখনো শরিক দলসমুহের মাঝে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে চুড়ান্ত ফায়সালা না হলেও ভিতরে ভিতরে সমঝোতা চলছে।
আওয়ামীলীগ প্রায় ২০০ আসনে তাদের প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে। মহাজোটের অন্যান্ন দলসমুহকে ৭০ থেকে ৮০ টি আসন ছেড়ে দিবে বলে জানা যাচ্ছে। তবে বিএনপি নির্বাচনে না এলে এরশাদের সাথে হিসেব উল্টে যাবে।
এদিকে বৃহত্তর ঐক্য গঠনের পাশাপাশি জামায়াতের সাথে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা চলছে বিএনপিতে। জামায়াতকে ৩৫ থেকে ৪০ টি আসন আর জাতীয় ঐক্য ও ২০ দলের অন্যন্ন দল সমুহকে সর্বোচ্চ ৩৫ টি আসন
ছেড়ে দেয়ার টার্গেট নিয়েছে বিএনপি। এ দিকে কঠিন রাজনৈতিক বৈরী পরিস্থিতির মুখেও জামায়াতে ইসলামী আগামী নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিয়ে সামনে এগুচ্ছে। বিবিসি বাংলার সাথে বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকারে দলটির সেক্রেটারী জেনারেল ডাঃ শফিকুর রহমান বলেছেন ‘জামায়াত থেমে নেই, বাধা মোকাবেলা করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে, আগামী নির্বাচনে অবশ্যই অংশ গ্রহণ করবে’। জামায়াত প্রাথমিকভাবে একশ আসন নিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিলেও বিএনপির কাছে সাম্প্রতি ৫১ আসনের চুড়ান্ত তালিকা জমা দিয়েছে। জামায়াতের নির্বাচন কমিটির এক শুরা সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান চুড়ান্ত এ তালিকা থেকে জামায়াতের আসন
কমানোর আর সুযোগ নেই। বিগত উপজেলা, ইউনিয়ন নির্বাচন ও আন্দোলন সংগ্রামে ত্যাগ কুরবানীর বিষয়গুলো পর্যালোচনা করেই জামায়াত ৫১ আসনের এ চুড়ান্ত তালিকা বিএনপির কাছে জমা দিয়েছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নবম সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামায়াতকে ৩৫টি আসন দেয় এবং বিএনপি জামায়াতের যৌথ প্রার্থী ছিল ৪ টি আসনে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের এক কর্মপরিষদ নেতা জানান ৫১ আসনে লড়ে জামায়াত কমপক্ষে ৩০ টিতে জিততে চায়। জামায়াত যে ৫১ টি আসনের চুড়ান্ত তালিকা বিএনপিকে দিয়েছে সেগুলো হচ্ছে-
ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর):মাওলানা আবদুল হাকিম। দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল): মাওলানা আবু হানিফ। দিনাজপুর-৪ (খানসামা-চিরিরবন্দর): মাও আফতাব উদ্দিন মোল্লা। দিনাজপুর-৬ (নবাবগঞ্জ-বিরামপুর-হাকিমপু র-ঘোড়াঘাট): আনোয়ারুল ইসলাম। নীলফামারী-২ (সদর) মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মন্টু। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা): মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতিবান্ধা): আবু হেনা মোঃ এরশাদ হোসেন সাজু।। রংপুর-৫ (মিঠপুকুর): অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ): অধ্যাপক মাজেদুর রহমান।
গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী): মাওলানা নজরুল ইসলাম। গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্ধগঞ্জ): ডাঃ আবদুর রহীম। জয়পুরহাট-১ (সদর-পাঁচবিবি): ডাঃ ফজলুর রহমান সাঈদ। বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ): অধ্যক্ষ শাহাদাতুজ্জামান। বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম): অধ্যক্ষ মাওঃ তায়েব আলী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ (শিবগঞ্জ) ড.কেরামত আলী। চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর): নুরুল ইসলাম বুলবুল রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী -তানোর ): অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
নওগাঁ-৪ (মান্দা): খ ম আবদুর রাকিব। সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া-সলঙ্গা): মাও রফিকুল ইসলাম খান।সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি-চৌহালি): অধ্যক্ষ আলী আলম। পাবনা-১ (সাঁথিয়া-বেড়া): ব্যারিষ্টার নাজিব মোমেন। পাবনা-৫ (সদর): প্রিন্সিপাল ইকবাল হোসাইন। কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) মুহাম্মদ আবদুল গফুর। চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা-জীবন নগর): মোহাম্মদ রুহুল আমিন। ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর-কোটচাঁদপুর): অধ্যাপক মতিয়ার রহমান। যশোর-১ (শার্শা): মাওলানা আজিজুর রহমান।যশোর-২ (চৌগাছা-ঝিকরগাছা): আবু সাঈদ মুহাম্মদ শাহাদত হোসাইন। যশোর-৬ (কেশবপুর)- অধ্যাপক মুক্তার আলী। বাগেরহাট-৩ (মংলা-রামপাল): অ্যাডভোকেট আবদুল ওয়াদুদ।
বাগেরহাট-৪ (মোড়েলগঞ্জ-সরনখোলা): অধ্যাপক আবদুল আলীম। খুলনা-৫ (ফুলতলা-ডুমুরিয়া): অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা): মাও আবুল কালাম আযাদ।সাতক্ষীরা-১ (কলারোয়া-তালা): অধ্যক্ষ ইজ্জতুল্লাহ। সাতক্ষীরা-২ (সদর): মুহাদ্দিস আবদুল খালেক।সাতক্ষীরা-৩ (আশাশুনি-দেবহাটা): মুফতি রবিউল বাশার। সাতক্ষীরা-৪ (কালিগঞ্জ-শ্যামনগর): গাজী নজরুল ইসলাম। পিরোজপুর-১ (সদর -নাজিরপুর-স্বরূপকাঠি): শামীম সাঈদী।পটুয়াখালী-২ (বাউফল): ড.শফিকুল ইসলাম মাসুদ। শেরপুর-১ (সদর): হাসান ইমাম ওয়াফি। ময়মনসিংহ-৬ (ফুলবাড়িয়া): অধ্যাপক জসিম উদ্দিন। ঢাকা-১৫ (কাফরুল-মিরপুর): ডাঃ শফিকুর রহমান।
সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কানাইঘাট): মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী। সিলেট-৬ (বিয়ানিবাজার-গোলাপগঞ্জ):মাওলানা হাবিবুর রহমান। কুমিল্লা-১০ (নাঙ্গলকোট-সদর দক্ষিণ- লালমাই): মোহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত। কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম): ডা.সৈয়দ আবদুল্লাহ মো.তাহের। ফেনী-৩ (সোনাগাজী-দাগনভুঞা): ডা.ফখরুদ্দিন মানিক। লক্ষীপুর-২ (রায়পুর-সদর আংশিক): মাস্টার রুহুল আমীন।চট্টগ্রাম-১০ (ডাবলমুরিং): মাওলানা আ.ন.ম শামসুল ইসলাম।
চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া):আলহাজ্ব শাহাজাহান চৌধরী। চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী): মাওলানা জহিরুল ইসলাম। কক্সবাজার-২ (কুতুবদিয়া-মহেশখালী): হামিদুর রহমান আজাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন