ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০২০

সন্তানের জন্য পিতামাতার প্রতিক্ষার প্রহর দীর্ঘই হচ্ছে -ছাত্রশিবির


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ ২০১৩ সালের ৩ এপ্রিল ঢাকা থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক গ্রেফতারকৃত ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিমের আদাবর থানার সভাপতি, মেধাবী ছাত্রনেতা হাফেজ জাকির হোসেনের সন্ধানের দাবিতে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
গতকাল শুক্রবার দেয়া যৌথ বিবৃতিতে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতারের পর গুম হওয়া সন্তানের জন্য পিতামাতার প্রতিক্ষার প্রহর দীর্ঘ হলেও অমানবিক আচরণেই অটল রয়েছে প্রশাসন। ২০১৩ সালের ২ এপ্রিল দিবাগত রাত ৪ টায় সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শ্যামলী রিং রোডের ১৯/৬ টিক্কাপাড়া, বাসা থেকে হাফেজ জাকির হোসেনকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। পরের দিন ৩ এপ্রিল ২০১৩ ইং তারিখে মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ এলাকায় অবস্থিত র‌্যাব-২ ক্যাম্প এবং মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় খোঁজ নেয়া হয়। কিন্তু তাঁকে গ্রেপ্তারের কথা প্রশাসন অস্বীকার করে। পরে ৪ এপ্রিল তাঁর সন্ধানের বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানায় তার বড় ভাই কর্তৃক সাধারণ ডায়রি করা হয়। সাধারণ ডাইরি নাম্বার-৩২৮। তাঁর খোঁজে সংগঠন ও পরিবারের পক্ষ থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে বহুবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘ ৭ বছর হয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রশাসন কর্তৃক বারবার বিষয়টিকে উপেক্ষা করায় প্রমাণ হয় তারাই জাকির হোসেনকে গুম করে রেখেছে। অথচ তাঁর মা-বাবা আজও সন্তানের ফেরার অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছেন। সহপাঠিরা তাঁকে ফিরে পাওয়ার আশায় প্রহর গুণছে। এমনই ভাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তারের পর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ওয়ালিউল্লাহ ও আল-মুকাদ্দাসের মত অসংখ্য নেতা কর্মীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের মেধাবী ছাত্ররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এমনভাবে গুম হয়ে যাবে তা কল্পনাও করা যায়না। এটা কোন সভ্য রাষ্ট্রের আচরণ হতে পারেনা।
নেতৃদ্বয় বলেন, অন্য সবার মত জাকির হোসেনও এদেশের সন্তান। সাংবিধানিকভাবে তাঁর ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল আইনের ধারক-বাহকরাই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এই মেধাবী ছাত্রকে গুম করে রেখেছে। কোন সভ্য সমাজে এমন লোমহর্ষক আচরণ চিন্তা করা যায় না। এত কিছুর পরও আমরা বিশ্বাস করি জাকির হোসেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছেই নিরাপদে আছেন। আমরা আশা করি, কলিজার টুকরা সন্তানের জন্য প্রতিক্ষারত, বেদনাহত মা-বাবার প্রতিক্ষা আর দীর্ঘ করবে না প্রশাসন; তারা অবিলম্বে তাঁর সন্ধান প্রদান করবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের শপথ ও পোশাকের প্রতি সম্মান দেখিয়ে হলেও হাফেজ জাকির হোসেনকে তাঁর মা-বাবার কাছে ফিরিয়ে দিবে।
নেতৃদ্বয় অমানবিকতার অবসান ঘটিয়ে জাকির হোসেনসহ গুম হওয়া সকল ছাত্র ও রাজনৈতিক ব্যক্তির সন্ধান ও মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন