বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ সরকার বলে তোমার চাকরি নেই।ইসলামি ব্যাংক বলে তোমার চাকরি নেই।এনজিও বলে তোমার চাকরি নেই।আদর্শিক কোচিং সেন্টার বলে আপনি ক্লাস নিতে পারবেন না(আপনি কালার)।নিজেদের কলেজে শিক্ষকতা করি সেখানে আমার কারনে সবাই গ্রেপ্তার।প্রশাসন বলে তোমার নামে ওয়ারেন্ট ও পি এন্ড আছে!!পুলিশ এসে ঘরের মালামাল নিয়ে গেল(ফ্রিজ,সোফাসেট,ডাইনিং টেবিল, টেলিভিন, বৈদ্যুতিক পাকা, টি টেবিল এমন কি হাঁড়িপাতিল) ।ডাকাত এসে ঘর ডাকাতী করে সব লন্ডভন্ড করে দেয়।পুলিশ বারবার বাসায় এসে সবাইকে গ্রেপ্তার করে।অনেক আপনজন ইন্তেকাল করলো জানাজায় যেতে দেয়নি স্থানীয় কিছু মানুষরুপী জানোয়ার।আওয়ামীলীগ বলে তুমি ব্যবসা করতে পারবেনা।চকবাজার দাড়িয়েছি ছাত্রলীগ ডেকে বলে এখানে দাড়ালে শিরদাঁড়া ভেঙে দিবে।পরিবার বলে তুই একটা বোকা, কি করলি সারা জীবন??আর কতদিন জ্বলবেো তুর কারণে??
অর্থনীতি বিষয় নিয়ে অনার্স, মাস্টার্স করেছি রেজাল্টও ভাল।সাথে আরও কিছু ডিগ্রিও আছে ঝুলিতে।
#৫বছরের_কলেজ_শিক্ষকতার_অভিজ্ঞতা_আছে।এনজিও তে চাকরি করতাম ফৌজদারি অপরাধের মামলা থাকায় চাকরি চলে গেল।
একটা গ্রুপ অব কোম্পানীতে চাকরি করেছি দুই মাস ২০ দিন, তাও চলে গেল একই অপরাধে।গ্রামের বাড়ীতে পাহাড়ে কিছু গাছের বাগান ছিল তাও জবরদখল হলো।
তারপরও বেকারত্বের খাতায় নাম উঠে যাচ্ছে বলে হালাল যত কাজ পেয়েছি সব করেছি(ডাইয়িং ফ্যাক্টরি, প্যাকেজিং সাপ্লাই, গার্মেন্টস পলি সাপ্লাই,গার্মেন্টস এক্সেসরিজ সাপ্লাই,স্টক লটের ব্যবসা, কেক বোর্ড সাপ্লাই, দোকান- জায়গার মিডিয়া,প্রিন্টিং প্রেস সহ আরও কত কি!!!।)
(বন্ধুদের মধ্যে কেউ পুলিশ ক্যাডার,কেউ ডাক্তার,কেউ কাস্টমস ক্যাডার, কেউ প্রশাসনিক ক্যাডার,কেউ মাল্টিন্যশনাল কোম্পানির কর্মকর্তা,কেউ ব্যাংকার, কেউ আবার আইনজীবি কেউবা আবার শিক্ষক।)
এমতবস্থায় ধারদেনা করে, ব্যাংক লোন দিয়ে পুঁজি জোগাড় করে কিছু কষ্টকর হালাল পন্যের ব্যবসা শুরু করলাম। নিতান্তই হালাল ভাবে বেঁচে থাকার জন্য।
আমার সে ব্যবসার পন্যগুলো যারা বাড়ী তৈরি করেন,কিংবা নির্মান প্রতিষ্ঠান আছে তাদের সবার দরকার।অর্থাৎ নির্মান সামগ্রী।
তাই সাহস নিয়ে
কিছু আদর্শিক প্রিয় ভাইদের কাছে গেলাম।যেসব ভাইয়েরা শহরে বাড়ী করছেন।তাদের কাজের জন্য আমার সেসব পন্যগুলো দরকার।যা অন্য দশজন বিক্রেতার মত আমিও বিক্রি করি।।যে সকল প্রিয় আদর্শিক ভাইয়েরা অন্যের কাছে কিনছে সেই সব ভাইদের কাছে গিয়ে বললাম,
প্রিয় ভাই
আপনি অন্যদের কাছ থেকে আপনার দরকারী যে সকল পন্য নিচ্ছেন একই পন্য আমার কাছ থেকে নিবেন দামে কম রাখবো,মানে ঠিক রাখবো,ওজনেও ঠিক রাখবো ।আমার ক্রয়মূল্য দেখে আপনি মূল্য দিবেন।আমি কোন চুরি করবোনা(প্রশ্ন-ই আসে না)।
যা আপনার দরকার তাই নিবেন।
তখন সেই প্রিয় আদর্শিক ভাইদের কি ভাব!??আমি যেন তার কাছে ভিক্ষা করতে গেছি এমন একটা মুড।কথা বলার সময় এমন আচরণ প্রকাশ করেন যেন, তিনি আমার কাছে কয়টা পন্য কিনে আমাকে অনেক বড় করুণা করতে যাচ্ছেন!!প্রিয় ভাইদের কাছে আমার চেয়ে অন্য বিক্রেতা ভালো((কারন সে রিসিভার ও ক্রয়ে নিয়োজিত ব্যক্তিকে কমিশন দেয়))সে বিক্রেতার আদর্শ যাই হোক! #ওহ_ভাই_ইহুদিদের_ইতিহাস_পড়বেন (যদি না পড়ে থাকেন) তারা তাদের জাতীকে প্রতিষ্ঠিত করতে কত বেশি আন্তরিক!?কত বেশি সেক্রিফাইজ করে?।আরে ভাই আমাকে কোন সেক্রিফাইজ করার দরকার নেই।মান,দাম ওজন দেখে নিবেন।। অন্যদের চেয়ে কমদামে,একই পন্য সঠিক মাপে নেন। ((#অন্য_আদর্শের_লোক_চুরি_করছেন_মাপে_কম_দিচ্ছেন তাও আপনি সাহস করে বলতে পারবেন না, তখন উল্টা আপনার সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলবে সেই দ্বীনি ভাইয়েরা))।আমরা তো ভাই হুমকি দিব না কারন আখিরাতকে দারুন ভাবে বিশ্বাস করি।কিন্তু আপনি যখন নিজেকে শতভাগ সৎ হিসেবে জাহির করেন তখনই বিপত্তি!!সৎ অসৎ এসব বিষয় পড়ে চেটে-পুটে খেয়েছি।নিজে সৎ হই আল্লাহর ভয়ে।আপনি চটাং চটাং করবেন না।!কয়টা পয়সা ইনকাম করছেন এটা আল্লাহর দয়া বৈ আর কিছুই নয়!!।আরে মিয়া আপনি যে আন্দোলনের কর্মী দাবি করেন,আমরাও সেই একই আন্দোলনের কর্মী।।আজকে আপনি আল্লাহর দয়ায় একটা চাকরি পেয়েছেন বা ব্যবসার সুযোগ পেয়েছেন।ব্যক্তিগত গাড়ি বা কোম্পানির গাড়ি ব্যবহার করছেন। নিজের নামে বাড়ী করছেন! খবর রাখেন নাকি??আমরা বছরের পর বছর জন্মদাতা বাবার কবরটাও জেয়ারত করতে পারছিনা।মায়ের ঔষধের টাকা দিতে পারছিনা।আপনি অনেক পেয়েছেন, আমরা রাস্তায় লড়াই করছি দু মুঠো হালাল রুজির জন্য, মনে রাখবেন দু অবস্থা'ই আল্লাহর পরীক্ষা।সুতরাং দাম্ভিক হবেন না।কয়টা পয়সা জীবনের সব কিছু নয়।আল্লাহ ফকির কে রাজা আর রাজাকে ফকির বানান নিমিষেই।রিজিক কিন্তু আল্লাহর নিয়ন্ত্রণে।।ভুলে যাবেন না আপনি নিজেকে যতই সৎ বলে মুখে ফেনা তুলেন না কেন, যে প্রক্রিয়ায় চলছেন তা যদি বিবেক ও শরীয়তের মানদন্ডে যাচাই করেন তবে হয়ত বের হবে নিজের অজান্তে বা কৌশলে অনেক অসৎ ও অসুন্দর্য্যকে আপনি অত্যান্ত নোংরা ভাবে নিজে লালন করছেন। সুতরাং কাউকে কথা বলার সময় আল্লাহর শক্তি ও নিজের অতীতের দিকে একবার তাকাবেন, সব দম্ভ চুর্ণ হবে।আল্লাহ আমাদের সকল অবস্থায় হকের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন।
(বিশেষদ্রষ্টব্য #প্লিজ_দয়া_করে_এটাকে_হাতাশার_লিখা_কিংবা_কারো_করুণা_বা_দয়ার_আশায়_লিখা_মনে_করবেন_না। বরং এখানে সমাজের নিষ্ঠুর বাস্তবতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।এবং সকল অবস্থায় আল্লাহর উপর সন্তুষ্ট থাকার তাগাদার অনুভূতি জাগ্রত করার চেষ্টাও বটে। এছাড়াও নিজেকে প্রিয় ভাইদের মোনাজাতে শরীক করবার প্রত্যয়ে লিখা)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন