ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বৃহস্পতিবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

আমরা শোকাহত


বাংলাদেশ বার্তা ডেস্কঃ শহীদ ডা. মঈন উদ্দীনকে নিয়ে কিছু কথা জানতে পারলাম। আমরা ছোটবেলায় আমার জীবনের লক্ষ্য রচনায় যেমন ডাক্তার হবার কথা লিখতাম, এই লোকটা ছিলেন তেমন একজন ডাক্তার। গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বিনা পয়সায় গরীব রোগী দেখতেন, এমনকি নিজের প্রাইভেট চেম্বারেও বিনা পয়সায় গরীব রোগী দেখতেন, সুযোগ পেলে তাদের রেফার করে দিতেন সিলেট ওসমানী মেডিক্যালে, যাতে রোগীরা কম খরচে চিকিৎসাটা পেতে পারে। এর মানে, ডা. মঈন উদ্দীন সেই সমস্ত গুটিকয়েক চিকিৎসকদের একজন, যিনি এই দেশের রোগীদের প্রধান সমস্যাটা বুঝতেন, টাকার অভাব। শুধু বুঝতেনই না, নিজের ক্ষমতায় থাকা সবকিছু তিনি করতেন মানুষকে চিকিৎসা দেয়ার জন্য।

এই মানুষটি নাকি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিবিরের সভাপতি ছিলেন এককালে। এই কারনেই কি তবে তাকে আইসিইউ বা এয়ার এম্বুলেন্স দিতে এমন নীচতার পরিচয় দিল প্রশাসন??
আমার জানামতে, বাংলাদেশে হাজার হাজার মেডিক্যাল ছাত্র এবং ডাক্তার কোন না কোনসময় জামায়াত/শিবির করেছেন বা করেন। আচ্ছা, তারা আওয়ামী লীগের রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার সময় ওষুধের বদলে বিষ দিয়ে দেন?? দিলে মানুষ বাচতো??

তাহলে কেন আপনারা এভাবে এই মানুষটাকে মারলেন??

সন্ধ্যা থেকে দেখছি অনলাইনে শহীদ ডাঃ মঈনের রাজনৈতিক অতীত নিয়ে কথা উঠছে। তিনি শিবির করতেন এটা নিয়ে আওয়ামীরা খোচা দেয়ার চেষ্টা করছে। এরা বোঝাতে চেষ্টা করছে, যেহেতু লোকটা এককালে শিবির করতো, তাই তিনি একটা নেগলিজিবল ক্যাজুয়ালটি। তার জীবন ও সম্পদ মূল্যহীন।

এই দাবির সাথে একমত হতে গিয়েই আজকে বাংলাদেশের মানুষ একদল দুর্বৃত্তের হাতে তাদের সর্বস্ব তুলে দিয়ে দেউলিয়া সেজেছে।

যারা চলমান দুর্বৃত্তের শাসন থেকে কোন একদিন বাংলাদেশের মুক্তি কামনা করেন, তাদের এই মুহুর্তের রাজনৈতিক ওয়াজিব হল যারা ডাঃ মঈন শিবির করতেন বলে তার মৃত্যুকে জায়েয করার চেষ্টা করছে তাদের মুখের ওপর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়া, হ্যা, শিবির করতেন, তো??

কাউকে তার শিবির পরিচয় দিয়ে রাজনৈতিকভাবে ঘায়েল করে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার নোংরা রাজনীতি অনেক দেখেছি। ক্যাম্পাসে হলের এক বেডে ডাবলিং করে থাকা একই ডিপার্টমেন্টের দুই ব্যাচমেটের একজন আরেকজনকে শিবির সাজিয়েছে কেবল রাতে একা ঘুমানোর জন্য, এমন দৃশ্যও দেখেছি চোখের সামনে। এই শিবির পরিচয়কে হত্যার লাইসেন্স হিসেবে ব্যবহার করেই গত বছর খুন করা হয় আবরার ফাহাদকে।

২০১৮ সালের এই সময়ে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের মতিয়া চৌধুরী রাজাকারের বাচ্চা বলেছিলেন, ঐদিন রাতে লিখেছিলাম আজ থেকে বাংলাদেশে রাজাকার ও শিবির গালি হিসেবে অচল হয়ে গেল।

Yes, the age of dehumanising your political opponent by labelling them as Jamaat-Shibir to legitimise your immoral brutality against them is over!!

আমরা, যারা ইনসাফের জন্য লড়াইয়ের দম ফুসফুসে ধারন করে এখনো জালিমের সামনে হক্ব কথা বলি, আমরা এখন আর এই জামাত শিবির ট্যাগকে গুনি না।

Yes, we dare to say that being Shibir is nothing wrong if the person is honest and serves people of Bangladesh!!

ডা. মঈনের মত লোক যদি শিবির হয়ে থাকে, তবে সারা বাংলাদেশ শিবির হয়ে গেলে ক্ষতি কি?? আপনাদের মত চালচোর-ডালচোর তো আর হচ্ছে না।
.
লিখেছেন : মুহাম্মদ সজল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন