ঢাকার নিউজ-২৬ ফেব্রুয়ারী ২০১৫: বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতালের বিরুদ্ধে নগরের ২৩টি স্থানে নিয়মিত অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ। তবে এ কর্মসূচিতে নেতা–কর্মীদের তেমন দেখা যায় না। কোথাও কোথাও সমাবেশ হলেও তাতে উপস্থিত থাকেন হাতে গোনা কয়েকজন নেতা–কর্মী। বেশির ভাগ সময় দেশাত্মবোধক গান ও বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ভাষণ প্রচারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে হরতাল বিরোধী চট্টগ্রাম নগরের ২ নম্বর গেট। আবার কোথাও কোথাও থাকে শুধু দলীয় ব্যানার ঝুলানো জনহীন অবস্থান।
এই এলাকার বিপ্লব উদ্যানের সামনে টাঙানো হয়েছে মাইক। এখানে হরতালবিরোধী কর্মসূচি পালন করে শুলকবহর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ। গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিপ্লব উদ্যানের সামনে গিয়ে দেখা যায়, সামিয়ানার ভেতর ছড়িয়ে– ছিটিয়ে আছে বেশ কিছু চেয়ার। তখনো নেতা–কর্মীরা কেউ আসেননি। ফাঁকা চেয়ারগুলোয় বসে ছিলেন পুলিশ সদস্যরা। নেতা–কর্মীরা না এলেও মাইকে বাজছিল দেশাত্মবোধক গান। অবশ্য এর আগের দিন সোমবার বেলা একটার দিকে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের সাত–আটজন নেতা–কর্মীকে সামিয়ানার নিচে বসে থাকতে দেখা য মঙ্গলবার দুপুর ১২টা। চকবাজার অলি খাঁ মসজিদের মোড়ের পাশের যাত্রীছাউনি। যাত্রী নেই। সেখানে বসে আছেন আওয়ামী লীগের ১৩ জন নেতা–কর্মী। দেয়ালে টাঙানো হয়েছে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ব্যানার। যাত্রীছাউনির বাইরে পাশে অবস্থান করছিলেন ছাত্রলীগ-যুবলীগের আরও সাত–আটজন নেতা–কর্মী। চলছিল হরতালবিরোধী সমাবেশ মাইক্রোফোনে বক্তব্য দিচ্ছিলেন দলের নেতা–কর্মীরা। যাত্রীছাউনির ভেতরে ও পাশে অল্পসংখ্যক নেতা–কর্মী থাকলেও সামনের অংশ খালি পড়ে থাকতে দেখা যায় সমাবেশ পরিচালনা করছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। সমাবেশ পরিচালনার একফাঁকে তিনি বলেন, সকাল নয়টা থেকে বেলা একটা এই মোড়ে দলের পক্ষ থেকে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে গণসংগীত, বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রচার ও বিক্ষোভ সমাবেশ। আওয়ামী লীগের সমাবেশের পর দুপুরে ছাত্রলীগ- যুবলীগের সভা অনুষ্ঠিত হয়। একই চিত্র দেখা গেছে আজকেও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন