ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ স

আচ্ছালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। ইসলামী ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট দক্ষিণগাও বাজার এর পক্ষ থেকে সকল গ্রাহক, শুভাকাংখীসহ সবাইকে জানাই সালাম শুভেচ্ছা। এইগ্রুপে যারা আছেন তাদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট এলাকার এলাকারসকলকে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে বিদেশ থেকে রেমিটপন্স পাঠানোর আহবান জানাচ্ছি। রাজারবাগ, কুসুমবাগ, দক্ষিনগাও, শাহীবাগ, মানিকদিয়া, বাইকদিয়া, নন্দিপাড়াসহ সকল এলাকার গ্রাহক, শুভাকাংখী, শুভানুধ্যায়ীদের প্রদত্ত মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করার অনুরোধ করা হলোঃ ০১৭১১-৪৫৮১৫১, ০১৭০০৯২৫২৪১

বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭

জমকালো বিজ্ঞাপনের প্রচার দেখে এইচ এস সি তে ভর্তি হলেই চুঙ্গায় ডুকে যাবেন

বাংলাদেশ বার্তাঃ ভাল জিনিসের প্রচার কম থাকে।যে জিনিস অচল তার প্রচার বেশী।লোভনীয় প্রস্তাব থাকে।সেদিন রাস্তায় ফুটপাথে এনার্জি লাইট বিক্রি দেখে বিভ্রান্ত হইছিলাম। একটি লাইট মাত্র ২০০/-তবে একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি।বাঙ্গালী ফ্রি খাইতে চাই বেশী।তাই দুটো লাইট মাত্র দুশো টাকায় কিনে এক মাসও ব্যবহার করতে পারিনি কয়েক সপ্তাহে ফিউজ।কারে বলুম গ্যারান্টি কার্ড তখন কলা পাতা হয়ে গেল। কারন এর পরে বিক্রেতাকে রাস্তায় দেখা যায়নি।
আজকাল এসএসসি পাস করা ছাত্রছাত্রীরা স্বভাবতই সরকারী কলেজে ভর্তি হতে চাই।কিন্ত সরকারি কলেজে আসন সংখ্যা সীমিত।অন্যদিকে বেসরকারি এমপিও ভুক্ত কলেজ আছে ভুড়ি ভুড়ি।সে সব কলেজে ভর্তি করাতে চাইনা অভিভাবকগন।বেসরকারি কলেজ গুলোর প্রতি ছাত্রছাত্রীদের বেতন ভাতা আদায়ের ক্ষেত্রে সরকারের চাপ থাকে বেশি।যার কারনে একটি সীমার মধ্যে থেকে বেতন আদায় করে এসব প্রতিষ্ঠান।এখানে একটি কথা বলে রাখছি যেই পন্য বাজারে সহজে পাওয়া যায় তার কদর কম থাকে।অপরদিকে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে তারা শিক্ষার নামে বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে শহরের অলিতে গলিতে তাদের কোন নিজস্ব ভবনতো নাই বরঞ্চ খেলার মাঠ সহ বিনোদনের কোন ব্যবস্হা নাই।ভর্তি পিরিউডে এসব কলেজ গুলো তাদের জমকালো বিজ্ঞাপনে অনেকে আকৃষ্ট না হয়ে পারেনা যেমন এসি রুম ডিজিটাল ক্লাস রুম ক্লাসের পড়া ক্লাসেই শেষ করবে কোন প্রাইভেট পড়তে হবেনা বেসসরকারির মধ্যে প্রথম ৯৮% পাস হেন থেন ইত্যাদি বিজ্ঞাপন গুলো দেখে অভিভাবক সমাজ বিভ্রান্তির বেড়াজালে আটকে বোকা হয়ে ধোঁকা খেয়ে যাবার মত পরিস্হিতি সৃষ্টি হয়।কোন ক্রমে একবার ছাত্র ভর্তি করাতে পারলে হলো চুঙ্গায় ডুকে যাবে আর মাসে মাসে কত টাকায় যে দিতে হয় তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানে।কেউ ভর্তি বাতিল করাতে চাইলে পুরো দুই বছরের বেতন সহ অন্যার্ন খরচ দিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে।এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্র যাদের কোন সরকারি ট্রেনিং নাই।ফলে শিক্ষির্থীরা এসব প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে সৃজনশীল উপযোগী মান সম্মত শিক্ষা হতে বঞ্চিত হয়।
এটি দীর্ঘ দিন হতে চলে আসা অনিয়ম। এসব অনিয়ম গুলো দেখার মত কোন অভিভাবক এই সমাজে নেই।শিক্ষার নামে ব্যাবসা কখন বন্ধ হবে?আর কত আমাদের অভিভাবক সমাজ তাদের জমকালো বিজ্ঞাপনে বোঁকা হয়ে ধোঁকা খাবে?
পরামর্শঃ
আমি একজন শিক্ষক হিসেবে যেহেতু শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে জড়িৎ তাই অভিভাবকদের প্রতি পরামর্শ দিবো আপনার সন্তানদের যদি কোন কারনে সরকারি কলেজে ভর্তি করাতে না পারেন তাহলে বেসরকারি এমপিও ভুক্ত কলেজে নিশ্চিন্তে ভর্তি করাতে পারেন।কারন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকগন সবাই উচ্চতর ডিগ্রিধারী এবং যোগ্যতার বলে নিয়োগ প্রাপ্ত।স্ব স্ব বিষয়ে পাঠদানে সরকারি প্রশিক্ষন প্রাপ্ত।সরকার এদেরকে শতভাগ বেতন দিয়ে থাকেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন